ওষুধ যেমন মানুষের রোগ মুক্তি করে তেমনি আবার অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। তার প্রত্যেকটি ওষুধের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে সে নিয়মের বাইরে যদি কেউ সেবন করে থাকে তাহলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই আজকে আমরা কথা বলবো ঘুমের ওষুধ বেশি খেলে কি হয়। এবং ঘুমের ওষুধের নাম সহ এবং ঘুমের ওষুধ ছাড়ার উপায় নিয়ে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এ সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে।
অনেক সময় মানুষ ঘুমের জন্য ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকে অথবা টেনশনের কারণে ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকে। তাছাড়া অনেকে আছেন শারীরিক যন্ত্রণা বা ব্যথার জন্য ঘুমের ওষুধ সেবন করে সেটা থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকে। সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ সেবন করা উচিত তা না হলে আপনার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে ঘুমের ওষুধের কারণে। তবে স্বাভাবিকভাবে আপনি যদি টেনশন বা ঘুমের জন্য খেতে চান তাহলে নরমাল ঘুমের ওষুধ গুলা খেলে তেমন খুব একটা সমস্যা হয় না সে ক্ষেত্রে যদি আপনি মাত্রা অতিরিক্ত খেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘুমের ঔষধ বেশি খেলে কি হয়
কেউ যদি মাত্রা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকে তাহলে তার মৃত্যু হতে পারে। এমনকি মানুষের হাড় ও ব্রেইনের রক্তনালীর রক্তচলাচল একেবারে বন্ধ করে দেয়। অনেক সময় মাত্রা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে। তাছাড়াও যদি মাত্রা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করে তাহলে সে কোমায় চলে যেতে পারে এবং তার স্মৃতিশক্তি লোপ যেতে পারে। আর যদি সামান্য পরিমাণ বেশি খেয়ে থাকে তাহলে অতিরিক্ত ঘুমের কারণে হার্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে সেক্ষেত্রে নিশ্চিত মৃত্যু ঘটবে।
অতিরিক্ত সেবন করা উচিত নয় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ সেবন করতে হবে তা না হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এমনকি আপনার মৃত্যু ঘটতে পারে। তাছাড়া যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তারা কিন্তু প্যারালাইসিস সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই যারা টেনশন অথবা ডিপ্রেশন এর মধ্যে আছেন তারা মাত্রা অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না তা না হলে আপনার অকালেই সুন্দর জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ঘুমের ঔষধ কয়টা খেলে মানুষ মারা যায়
অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন ঘুমের ঔষধ কয়টা খেলে মানুষ মারা যায়। তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় 10 থেকে পঞ্চাশটা ট্যাবলেট কেউ যদি এসে থাকে তাহলে নির্ঘাত তার মৃত্যু ঘটবে। যদি তাও না হয় তাহলে প্যারালাইসিস হবে এবং আজীবনের জন্য নির্দিষ্ট কোন অঙ্গ পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। তাছাড়াও পাগল অথবা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যেতে পারে। ঘুমের ঔষধের সাধারণত শ্বাসতন্ত্রের এবং মস্তিষ্কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অর্থাৎ মস্তিষ্ক এবং শ্বাস নেওয়ার সংকেত পাঠাতে পারে না একেবারেই ফলে মানুষের অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু ঘটতে পারে। কেউ যদি ডিপ্রেশনে বা বিভিন্ন সমস্যার কারণে খেয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চিত ভুল করবেন কারণ প্রত্যেকটি ধর্মে বলা হয়েছে মৃত্যু নিজের হাতে নেওয়া উচিত নয় মৃত্যু আল্লাহর হাতে। কেউ যদি 100 টা উঠিয়ে ফেলে তার মৃত্যু নাও হতে পারে সেটা সম্পন্ন আল্লার ইচ্ছা জন্ম-মৃত্যু সম্পন্ন আল্লার হাতে।
ঘুমের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মানুষ সাধারণত ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম না হওয়ার কারণে বা মানুষের শরীরে নানাবিধ সমস্যার কারণে ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকে। অনেকেরই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার কারণে ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকে। তাছাড়া বর্তমান সময়ে মানুষ ডিপ্রেশন এর মধ্যে থাকলে অথবা কারো সাথে মনোমালিন্য হলে খুব সহজে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তার জীবন ধ্বংস করার চেষ্টা করে। সে ক্ষেত্রে সে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করে কিন্তু সমস্যাটা আরো বেড়ে যায়।
কেউ যদি ঘুমের ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করে থাকে তাহলে তার মৃত্যু ঘটতে পারে আর যদি মৃত্যু না ঘটে তাহলে তার প্যারালাইসিস সহজ বুদ্ধি শক্তি হারিয়ে যেতে পারে এমনকি পাগল হয়ে যেতে পারে। তাই পরবর্তীতে এর পার্শপ্রতিক্রিয়া মাঝে মাঝেই কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে। জন্ম-মৃত্যু সবকিছুই আল্লাহর হাতে তাই কেউ যদি মনোমালিন্য অথবা কোনো সমস্যার কারণে খেয়ে থাকেন তাহলে তার পরকালীন জীবন হবে ভয়াবহ। তাই নিজের হাতে কখনোই মৃত্যু ডেকে নেওয়া উচিত না। তাই ভুলেও কেউ অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না তা না হলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু আপনার শারীরিক ভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
ঘুমের ঔষধ এর নাম কি
অনেকেই ঘুমের ওষুধের নাম খুঁজে থাকেন আজকে আমি আপনাদেরকে কয়েকটি ঘুমের ওষুধের নাম এবং কার্যকারিতা বলবো তবে সাবধানতার জন্য ঘুমের ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন তা না হলে আপনার শারীরিকভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন দেখা দিতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না।
ঘুমের ওষুধের নাম
- ব্রোমাজিপাম
- ভ্যাপাম ক্লোনাজেপাম
- ডায়াজিপাম
- টেনিল
- টার্বো
- নরি
ঘুমের ওষুধ কেনার উপায়
ঘুমের ঔষধ ছাড়ার উপায়
কেউ যদি প্রতিনিয়ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুম নিয়ে আসে থাকেন তাহলে তার পরবর্তীতে ঘুমের ওষুধ ছাড়া ঘুম আসে না তাই ঘুমের ওষুধ ছাড়ার উপায় হল সামান্য ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে হালকা গরম জলে গোসল করতে হবে। এবং আপনার পছন্দের মিউজিক খুবই মৃদুল সাউন্ড শুনবেন অথবা কেউ যদি কোরআন তেলাওয়াত ভালো লাগে তাহলে পাশে কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে সুগন্ধি মেখে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন এগুলি ঘুমের আমেজ ঘনিয়ে আসে। এবং ঘুমানোর আগে ঘরের সমস্ত আলো নিভিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এবং দুচোখ একেবারেই বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। যদি চোখে এর ওপর হালকা কাপড় অথবা তোয়ালে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন তাহলে ঘুম আসার সম্ভাবনা অনেকটাই হয়ে যায়।
টেনশনের ঔষধ
টেনশনের জন্য স্পেসিফিকভাবে কোন ঔষধের কথা উল্লেখ করে না ডাক্তাররা আপনার শারীরিক বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের পর তারা ওষুধ দিয়ে থাকে। তবে অনেকেই আছে যারা টেনশনের জন্য ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন এটা একেবারেই উচিত না। আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তারপরে ঘুমের ওষুধ সেবন করতে হবে তা না হলে আপনার পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এমনকি আপনার শরীরের বিশেষ কোন অংশ বিকলাঙ্গ অকেজো হয়ে যেতে পারে। তাই টেনশনের ওষুধ এবং ঘুমের ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলে কি করবেন
বর্তমানে দেশের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে অনেকেরই ঘুমের জন্য ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। তাছাড়া রোগীদের ঘুমের সমস্যা দূর করতে ডাক্তাররা প্রতিনিয়ত ঘুমের ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন সমস্যার জন্য যেমন মানসিক অবসাদ দুশ্চিন্তা এ সমস্ত সমস্যার জন্য ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলে থাকেন ঘুম ভালো হওয়ার উদ্দেশ্যে ঘুমের ওষুধ নেওয়া হলেও অভ্যাসের জন্য পরবর্তীতে শরীরের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলে যা করবেন
- রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে
- হালকা গরম পানিতে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে রোগীর পাকস্থলীতে দিতে হবে
- এবং শিরাপথে রোগীকে স্যালাইন দিতে হবে
- রোগী অনেকক্ষণ আগে ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকে তাহলে মূত্রবর্ধক ওষুধ দিয়ে রোগীকে প্রসাব করাতে হবে
- অনেকক্ষণ যাবৎ যদি ঘুমে থাকে তাহলে নাকে নল দিয়ে তাকে দুধ ও গ্লুকোজ খাওয়াতে হবে
সতর্কতাঃ
মানসিক যন্ত্রণা অথবা ডিপ্রেশন এবং কারো সাথে যদি মনমালিন্য হয়ে থাকে তাহলে কেউ অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না। আপনার ভুলের কারণে আপনার পরিবারের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সর্বদা নিজের ভালোর চেষ্টা করবেন কে কি বলল না বলল সেদিকে কান দিবেন না। আপনার লাইফ আপনাকেই তৈরি করে নিতে হবে। আপনি কিছুদিন ধৈর্য্য ধরেন সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে জন্ম-মৃত্যু সবকিছুই আল্লাহর হাতে। পৃথিবীতে আল্লাহ আপনাকে পাঠিয়েছে যে কোনো মূল্যে আপনাকে ভালো রাখার দায়িত্ব আল্লাহর তাই এগুলো চিন্তাভাবনা কখনোই মাথায় নিয়ে আসবেন না।
- নাইট ক্রিম কোনটা ভালো | নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম | ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
- ঘরোয়া উপায়ে নাইট ক্রিম তৈরি | ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম বানানোর উপায়
- ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার 10 টি উপায়
- টিকটক থেকে টাকা ইনকাম পদ্ধতি। টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়
- আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান
- Vodi App দিয়ে টাকা আয় | মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম