জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া কি জায়েজ | ইসলামে পিল খাওয়া কি হারাম

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া কি জায়েজ


আজকে আমরা কথা বলবো জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া কি জায়েজ এবং এখানে জানতে পারবেন ইসলামে পিল খাওয়া কি হারাম এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। আশা করছি সম্পূর্ণ কন্ট্রোলে আপনারা বিস্তারিতভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া নিয়ে বিষয়গুলো জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া কি জায়েজ?


জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া কি জায়েজ

ইসলামে অস্থায়ীভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য যেকোন পদ্ধতি-ই জায়েজ আছে। এক্ষেত্রে পিল খাওয়া হারাম হবে না। অস্থায়ী পদ্ধতি এমন যে, যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর কেউ প্রজনন ক্ষমতাহীন হয়ে যায় না। এছাড়া পিল খাওয়া কেবল এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে বৈধ হবে। 


বাচ্চার জন্মের মাঝে কিছু সময় বিরতি দেওয়া যাতে প্রথম সন্তানের লালন-পালন, পরিচর্যা ঠিকমত হয় এই জন্য পিল সেবন করা যাবে। কোন কারণে মহিলার বাচ্চা লালন-পালনের সামর্থ যদি না থাকে তাহলে। 


মহিলা অসুস্থ ও দূর্বল হওয়ার কারণে গর্ভধারণ বিপদজনক হলে। তবে যদি কথা এমন হয় যে, সন্তান জন্ম নিলে তার রিযিকের ব্যবস্থা করা যাবে না। এক্ষেত্রে পিল খাওয়া হারাম। কেউ যদি এমন মনোভাব করে পিল সেবন করে তাহলে তার জন্য হারাম হবে 


বর্তমান সময়ে সন্তানের জন্মদানকে বন্ধ করার জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণের নানান পদ্ধতি গ্রহণ করছে বর্তমান সময়ের মানুষ। আর এই কথাগুলো আমাদের সবারই জানা যে, এ পদ্ধতি গ্রহণ করা করছে এ কথা বলে যে, মানুষ বেশি হলে অভাব দারিদ্র দেখা দিবে, রিযিকের ঘাটতি পড়ে যাবে। এমন মনোভাব করেই কিন্তু মানুষ জন্মদান কে বন্ধ করার চেষ্টা করছে


এই বিষয় সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন যে: তোমরা তোমাদের সন্তানকে দরিদ্রতার জন্য হত্যা করো না। আমিই তোমাদের রিযিক দান করি এবং তাদেরও আমি করব। (আনআম ৬:-১৫১)


অতএব অত্র আয়াত দ্বারা বুঝাযায় যে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকটি মানুষের জন্যই আলাদাভাবে রিজিক বরাদ্দ রাখে। কেউ কারো রিযিক কেড়ে নিতে পারবে না। আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠিয়েছে এবং আল্লাহ তার রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করে দিবে। রিজিক যতদিন থাকবে সে ততদিন ভোগ করতে পারবে


জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে আল্লাহ বলেন

আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদেরকে হাদিসের মাধ্যমে জানিয়েছে যে তোমরা তোমাদের সন্তানকে দরিদ্রতার ভয় হত্যা করো না, আমি তাদের রিযিক দেব এবং তোমাদেরও নিশ্চয়ই তাদের হত্যা করা এটা বিরাট ভুল।

(বানী ইসরাঈল ১৭:- ৩১) 


ভবিষ্যতে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কায় যারা সন্তান জন্মদানে ভয় পায় জন্মদানে বিরত থাকে, যারা মনে করে যে, অধিক সন্তান নেওয়ার ফলে জীবনযাত্রার মান নষ্ট হয়ে যাবে এবং সে দরিদ্রতার দিকে চলে যাবে, এটা মনে করে কেউ যদি জন্মনিয়ন্ত্রণে ক্ষমতা গ্রহণ করে


ইসলামে পিল খাওয়া কি হারাম

উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ে তাদের সম্পর্কে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। বর্তমানে তোমাদের যেমন আমিই রিযিক দিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে দেব, তোমাদের সন্তান হলে অভিষ্যতে আমিই তাদের রিযিক দেব, ভয়ের কোন কারণ নেই। প্রতিটি জীবের রিজিকের মালিক আল্লাহ তবে জন্মনিরোধ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম কেননা তা সম্পূর্ণরূপে সন্তান দানের ক্ষমতাকে বিলুপ্ত করে দিয়ে থাকে।


মানুষ যদি চিন্তা-ভাবনা করে থাকে যে আমার যদি বেশি সংখ্যক সন্তান হয়ে থাকে তাহলে আমার আয়-রোজগার কমে যাবে এবং আমি ধ্বংসের পথে চলে যাব তাহলে তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে ইসলাম-পরিপন্থী। এরকম চিন্তা ভাবনা কেউ যদি করে থাকে সে মারাত্মকভাবে ভুল করছে এবং আল্লাহর পাপের মধ্যে নিমজ্জিত হচ্ছে


তাই যারা সন্তান জন্মদানে বাধা প্রদান করার জন্য পিল সেবন করছে অথবা জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে তাহলে তাদের জন্য আল্লাহ্ কঠিন শাস্তি ব্যবস্থা করে রেখেছে। তাই অবশ্যই ইসলামে সম্পূর্ণরূপে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করা আল্লাহ হারাম করেছে


পিল খাওয়া কি জায়েজ

অস্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য পিল খাওয়া জায়েজ আছে। এক্ষেত্রে পিল খাওয়া হারাম হবে না। স্থায়ীভাবে যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয় পিলের মাধ্যমে তাহলে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে পিল খাওয়া হারাম হবে। শারীরিক কোনো অসুস্থতা অথবা কিছুদিনের জন্য বাচ্চা পালা সমস্যা হলে পিল সেবন করে কিছু সময়ের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে

তবে এমন কোন পিল সেবন করা যাবে না যেখানে পরবর্তী জীবনে সন্তান জন্মদানে বাধাপ্রাপ্ত হয় অথবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। এমন কোন পিল সেবন করা সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ হারাম করেছে তবে অস্থায়ীভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে


আরো পড়ুন:

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ও চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ

নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম | ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম বানানোর উপায়

Leave a Comment