আজকে কথা বলব ডিপিএস করা কি জায়েজ এবং ডিপিএস এর টাকা কি যাকাত দেওয়া লাগে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে কনটেন্টের মাধ্যমে তুলে ধরবো। কারণ প্রতিনিয়তঃ ডিপিএস করার সংখ্যাটি বেড়েই চলেছে এবং মানুষের মধ্যে জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে যে আসলেই এটা করা কি জায়েজ এবং এটা করলে কি গুনাগারের ভাগীদার হওয়া লাগবে এই নিয়ে আজকে আমাদের বিস্তারিতভাবে এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরেছি আশাকরি আপনার মূল্যবান তথ্যটি পেয়ে যাবেন।
অনেকে আমাদের মধ্যে প্রশ্ন করে থাকে ব্যাংকে ডিপিএস করলে বা এফডিআর করলে তাতে যে লাভ পাওয়া যায় তা কি হারাম নাকি হালাল। আবার অনেকে প্রশ্ন করে থাকে ডিপিএস এর টাকা কি যাকাত দেওয়া যাবে কি যাবে না এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য যা অনেকেরই জানা নেই তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে আগে জেনে নিই ডিপিএস টা কি।
ডিপিএস কি
ডিপোজিট পেনশন স্কিম আর এটি হল ডিপিএস এর পূর্ণ অর্থ। ডিপিএস হল আর্থিক সংস্কারের পরিকল্পনা বা মাসিক ভিত্তিতে আর্থিক লেনদেনের পরিকল্পনা। গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট সময় পর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করে থাকে। এবং সেই গ্রাহকের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসিক হিসেবে সুদ এবং মুনাফার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডিপিএস হল মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখা এবং তাকে ডিপিএস বলে। আরে মাসিক ভিত্তিক সিস্টেমটি সাধারণত ব্যাংক সিস্টেম অনুযায়ী ধরা হয়ে থাকে। এবং এক মাস ভিত্তিক মুনাফা হয়ে থাকে আবার কোন কোন ব্যাংকে তিন মাস অথবা 6 মাস ভিত্তিক হয়ে থাকে। সেটা নির্ভর করে তাদের রিকোয়ারমেন্ট এর উপর।
বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি
ডিপিএস করা কি জায়েজ
ব্যাংকের কাগজের মধ্যেই বিষয়টি ভালোমতো উল্লেখ থাকে যে এটি কিভাবে লেনদেন হয়ে থাকে এবং এই লেনদেন প্রক্রিয়া কি রকম। এবং এই লেনদেনের মধ্যে কোনো রকমের ওষুধ আছে কিনা সে বিষয়েও সেখানে উল্লেখ থাকে। তাই আপনার যদি লেনদেনের মধ্যে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকে তাহলে সেই বিষয়টি ভালোমতো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে জেনে নিতে পারেন। আর সেখানে যদি সুন্দর মত লেনদেনের ক্ষেত্রে শুধু আদান প্রদান করে থাকে তাহলে এটি একটি শরিয়া বিধান। এটা করা জায়েজ হবে না এটা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএস পদ্ধতি করা হয়েছে ইসলামী শরীয়া সিস্টেম বা মোতাবেক। সেখানে কোন ওষুধের অবকাশ নেই। তাছাড়াও আপনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিষয়টি ভালোমতো জেনে নিতে পারেন। এটি কিসের ভিত্তিতে লেনদেন হচ্ছে এবং এটাতে কোন মুনাফা আছে কিনা আবার সুদের কারবার আছে কিনা সেটি ভালোমতো জেনে নিবেন। এটাতে ইসলামের কোন শরিয়া লংঘন করে কিনা সে বিষয়টি জেনে নেওয়ার পরে আপনি ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন।
তাই এক কথায় যদি বলা যায় ডিপিএস করা কি জায়েজ নাকি জায়েজ না তাহলে আমরা বলব সে ব্যাংকে যদি কোন সুদী কারবার থাকে তাহলে একবারে সম্পন্ন রূপে যায়না। তাই ডিপিএস করার আগে বা আর্থিক লেনদেন করার আগে অবশ্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আপনার বিষয়টি জেনে নিতে হবে যদি সেখানে সুদের কারবার হয় তাহলে এটি জায়েজ না।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন | ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২২
ডিপিএস এর টাকার যাকাত
প্রথমেই বলে রাখা উচিত যে আপনার ব্যাংকের টাকা রাখার সিস্টেম যদি শুধু কোন কারবারে হয়ে থাকে তাহলে এটার কোন যাকাত দেওয়া যাবে না এটি একটি নাজায়েজ কাজ। কারণ আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন সুদ প্রদান করা এবং স্বাদ গ্রহণ করা দুইটাই সম্পূর্ণরূপে হালাল করেছে তাই আপনার ওই টাকার মাধ্যমে যদি কোন রকমের সুদ হয়ে থাকে তাহলে এটি সম্পূর্ণরূপে নাজায়েজ কাজ বা হারাম কাজ। তাই এই টাকার কোন যাকাত প্রদান করা যাবে না।
অথবা আপনি যদি ব্যাংকের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রেখেছেন কিন্তু তার কোন ওষুধ বা মুনাফা নেই সে ক্ষেত্রে আপনি সেই টাকা থেকে যাকাত প্রদান করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার কোন সমস্যা হবে না তবে এই টাকা দ্বারা কোন সৎ গ্রহণ করলে বা লাভ অংশগ্রহণ করলে তার কোন যাকাত দেওয়া যাবে না আশা করি উক্ত বিষয়টি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন ২০২২ কিভাবে পাবেন দেখে নিন
ডিপিএস কি হারাম
ব্যাংকের সংখ্যাতেই দেওয়া আছে যে ব্যাংক হল অল্প সুদে ঋণ নেয় এবং বেশি সুদে তারা ঋণ প্রদান করে থাকে। শুধুমাত্র কারেন্ট অ্যাকাউন্ট গুলো ছাড়া অন্যান্য সকল একাউন্ট গুলো সুদি একাউন্ট সুদী ব্যাংক গুলোতে। তাই বলা যায় সেভিংস একাউন্ট এবং এ সকল ধরনের ফিক্স ডিপোজিট একাউন্ট গুলোই সুদি। বর্তমানে অনেক কারেন্ট একাউন্টে ও ইদানিং সুদের মিশ্রণ দেওয়া হয়ে থাকে বা সিস্টেম চালু আছে।
আরে সমস্ত অ্যাকাউন্ট গুলো তৈরি করা হয় সুদি চুক্তির মাধ্যমে। তাই বলা যায় ব্যাংকে যেকোনো ধরনের সুদি চুক্তির মাধ্যমে যদি অ্যাকাউন্ট করা হয় তাহলে যে কোনো আদান-প্রদানে আপনার জন্য গুনা হবে এটা সম্পূর্ণরূপেই সুদী কারবার এর মধ্যে পড়বে। আর ডিপিএস হল সম্পূর্ণরূপেই একটি সুদি একাউন্ট। আর এই অ্যাকাউন্ট থেকে যা কিছু লাভ পাওয়া যায় তা সুদ হয় আর এই সুদ সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই ডিপিএস এর মাধ্যমে যে লাভের টাকা পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণরূপে খাওয়া হারাম।
আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান