আজকে আমরা আলোচনা করব ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে এবং ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত এই কনটেস্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরবো এবং এমন ইম্পর্টেন্ট কৌশল আপনাদের কাছে বর্ণনা করব ডিলারশিপ ব্যবসা করে আপনি আপনার লাইফে সফলতা বয়ে নিয়ে আসতে পারবেন তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পর্যায়ক্রমে ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া এবং ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
এই সময়ে সব থেকে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে ডিলারশিপ ব্যবসার গুরুত্ব অন্যতম। অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে বর্তমানে ডিলারশিপ ব্যবসা ঝুঁকির পরিমাণ একেবারেই কম অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় এক্ষেত্রে আপনি যদি লাভজনক এই ব্যবসাটি করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য ফলাফল ভালো বয়ে নিয়ে আসবে। আপনি যদি সঠিকভাবে ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসার মধ্যে আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন আশা করা যাচ্ছে।
ডিলারশিপ ব্যবসা আসলে কি
ডিলারশিপ ব্যবসা হল মূলত কোন কোম্পানির প্রডাক্ট নির্দিষ্ট কোন অঞ্চল ভেদে অথবা নির্দিষ্ট কোন এলাকা অনুযায়ী ওই কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলোকে ব্যবসার মাধ্যমে ওই সমস্ত এলাকাতে বিক্রি করাকেই ডিলারশিপ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি কোন কোম্পানির পক্ষ থেকে ডিলারশিপ নিয়ে আপনি আপনার নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সেই মালামালগুলো বিক্রি করার পদ্ধতি কি ডিলারশিপ বলা হয়।
ডিলারশিপ এমন এক ধরনের ব্যবসা যে ব্যবসার মাধ্যমে নিজের মূলধনের হয় খুব কম হয়ে থাকে এবং এ ব্যবসার মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা লাভ করতে পারবেন এবং ক্ষতির অংশ একেবারেই কম হবে। এটি আপনি যেকোনো প্রডাক্টের ডিলার ব্যবসা করতে পারবেন বিস্তারিতভাবে নিচে আরো তুলে ধরব।
তাছাড়াও ডিলারশিপ ব্যবসার মাধ্যমে কিছু সুবিধা রয়েছে সেটি হল কোন ধরনের সমস্যা হলে কম্পানি সরাসরি আপনার এই সমস্ত প্রোডাক্ট গুলা নিয়ে এবং বিস্তারিত ভাবে তারা সাহায্য করবে। বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি যদি আপনি শুরু করতে চান তাহলে ভালো একটি পদক্ষেপ হাতে নিবেন বলে মনে করছি তবে সেই হিসেবে কিছু আইডিয়া থাকা লাগবে।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন | ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২২
আপনি ডিলারশিপ ব্যবসা কেন করবেন
আপনি ডিলারশিপ ব্যবসার মাধ্যমে স্পেসিফিক কোন প্রোডাক্ট অথবা কোন কোম্পানির মাধ্যমে যদি ডিলারশিপ নিতে পারেন তাহলে আপনি আপনার নির্দিষ্ট একটি স্থান ভেদে এ সমস্ত প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করতে পারবেন। পাইকারি এবং খুচরা বাজারেও দোকানদার এর মাধ্যমে ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে সেই সমস্ত মালামালগুলো অন্যান্য খুচরা বাজার গুলোতেও বিক্রি করতে পারবেন এক্ষেত্রে এই সমস্ত প্রোডাক্ট গুলো বিক্রির মাধ্যমে যে কমিশন পাবেন এক্ষেত্রে আপনার ঝুঁকির পরিমাণ তা একেবারেই কমে যাবে তাই আপনার জন্য এটি হবে লাভজনক ব্যবসা কারণ এক্ষেত্রে যে আপনার কাছে পাইকারি মূল্যে কিনছে সেও কিছুটা ঝুঁকি নিচ্ছে এক্ষেত্রে আপনার ঝুঁকির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।
আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক কৌশল অবলম্বন করে ডিলারশিপ ব্যবসার কাজে লাগাতে পারেন তাহলে এ ব্যবসার মাধ্যমে একেবারেই ঝুঁকিহীন ভাবে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা ডিলারশিপ এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনাকে বাজারে পরিস্থিতি এবং গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রডাক্ট যাচাই বাছাই করতে হবে।
সে ক্ষেত্রে এতক্ষণে আপনি বুঝে গিয়েছেন যে ডিলারশিপ ব্যবসা টা কতটা লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কেননা ডিলারশিপ ব্যবসার মাধ্যমে আপনার তেমন কোনো পরিশ্রম করা লাগবে না আপনি যদি গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে পারেন বা দোকানদারের সংখ্যা বাড়াতে পারেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার লাভের পরিমাণ টা তত বেশি হবে।
কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম | কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার নিয়ম
ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু কিভাবে করবেন
আপনি যদি মনস্থির করে ফেলেন যে আপনি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করবেন তাহলে প্রথমে আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করবেন এবং তাদের কোম্পানির নিকটস্থ আশেপাশে তাদের কোন ব্রাঞ্চ আছে কিনা এবং এই বিজনেসটা আপনার আশেপাশে কেউ অলরেডী শুরু করেছে কিনা এই বিষয়টি আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে পাশাপাশি আপনি যেই কোম্পানির প্রোডাক্ট নিচ্ছেন তাদের প্রোফাইল কেমন এবং তাদের ছেড়ে সার্ভিস কেমন দিচ্ছে এ বিষয়টি অবশ্যই ভালোমতো দেখে নেবেন।
এবং আপনি যে কোম্পানির সাথে ডিলারশিপ এর ব্যবসা পরিচালনা করতে চাচ্ছেন সেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের ওয়েবসাইটে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি ভালোমতো জেনে নিতে পারেন যে আপনাদের প্রোডাক্ট এর বিস্তারিত এবং আপনাদের বর্তমানে sell-service কেমন এই সমস্ত বিষয়ে আপনি তাদের সাথে সরাসরি কথা বলে নিতে পারেন।
আপনি যদি তাদের সাথে যোগাযোগ করেন তাহলে তারা আপনার আইডিয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাবে এবং তাদের একটি প্রতিনিধিদল আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বা আপনার বিজনেস পরিচালনার জন্য সরাসরি মাঠ পর্যায়ে চলে আসবে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনাকে ডিলারশিপ দেওয়ার জন্য তারা রেডি হয়ে যাবে।
যদি আপনার সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে ডিলারশিপ ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারবেন। তাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো এবং তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে তাদের এগ্রিমেন্ট পেপারে সিগনেচার করতে হবে এবং তাদের রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো আপনাকে অবশ্যই পুরন করতে হবে।
ডিলারশিপ নিতে যা যা প্রয়োজন
ডিলারশিপ নিতে হলে আপনি যেই কোম্পানির ডিলারশিপ নিবেন সেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো অবশ্যই তাদেরকে প্রোভাইড করতে হবে এবং এই সমস্ত রিকয়ারমেন্ট পূরণ করলেই আপনার ডিলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। নিচে তুলে ধরা হলো
- আপনার নিজের একটি এজেন্সি থাকতে হবে
- নির্দিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
- ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে
- পার্সোনাল ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে
অফিস প্রোফাইল কেমন হওয়া উচিত
উপরোক্ত রিকোয়ারমেন্ট ছাড়াও সেই সাথে আপনার অফিসের কিছু প্রোফাইল থাকা লাগবে আর এগুলো মূলত অফিস প্রোফাইলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এ সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য অবশ্যই জরুরি।
- অফিসে গোডাউন আছে কিনা
- অফিসের গোডাউনের সাইজ কত বড়
- এবং আপনার অফিসে কতজন কর্মচারী সেখানে কাজ করে
- আপনার টার্গেট এ কোন এরর আছে কিনা
- এবং আপনার প্রোডাক্ট বিক্রির কৌশল কি
- এবং আপনার বিজনেস মডেল পরিচালনার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ আছে
- মার্কেটিং এর জন্য কি পদক্ষেপ নিবেন
সাধারণত অফিস প্রোফাইলের জন্য অবশ্যই এই বিজনেস পদ্ধতিগুলো থাকা লাগবে তাহলে আপনার অফিস প্রোফাইলটি দেখা মাত্রই তারা ডিলারশিপ দেওয়ার জন্য রেডি হয়ে যাবে তাই উপরোক্ত বিষয়গুলা অবশ্যই অফিস প্রোফাইলের মধ্যে থাকতে হবে।
এলজি ফ্রিজের মূল্য তালিকা ২০২২ | কিস্তিতে এলজি ফ্রিজ কেনার নিয়ম
ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া
ডিলারশিপ ব্যবসার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে টার্গেট করতে হবে যে আপনার নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে কোন প্রোডাক্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে এবং এই সমস্ত প্রোডাক্ট গুলা নিয়ে রিসার্চ করতে হবে এবং পসিশন ঠিক রাখতে হবে আপনি যে পজিশনে আপনার অফিস দিতে যাচ্ছেন সেখানে আসলে জনবসতি মানুষ কেমন রয়েছে এবং আপনি সেখানে যদি বিজনেস পরিচালনা করতে চান তাহলে কেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন এই বিষয়টি অবশ্যই আগে আপনাকে নজরে নিয়ে আসতে হবে।
তারপরে আপনাকে টার্গেট করতে হবে যে বেশি প্রোডাক্ট সেল করার কৌশল রপ্ত করতে হবে যাতে আপনি ব্যবসা শুরু করার পরেই যাতে আপনার বিজনেস গ্রহ হতে থাকে এজন্য আপনাকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে যেমন অফার এবং অনলাইন মার্কেটিং এবং অফলাইন মার্কেটিং এর বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে আপনাকে দেখতে হবে সেক্ষেত্রে যদি আপনি মারকেটিং করতে পারেন তাহলে ডিলারশিপ ব্যবসা তে আপনি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
পরবর্তীতে দেখতে হবে আপনার কম্পিটিটর কারা আছে এবং তাদের থেকে ভালো মানের সার্ভিস দিতে হবে এবং আপনার আচার-ব্যবহার অন্যান্য কম্পিটিটরদের থেকে ভালো হওয়া লাগবে যাতে করে আপনার ক্রেতারা বারবার আপনার কাছে আসে এবং আপনার প্রোডাক্ট কেনার আগ্রহ তারা প্রকাশ করবে এমন ধরনের আচরণ করতে হবে।
আপনার ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার কোম্পানির সাথে চুক্তি পত্র করে নিতে হবে এবং সেই চুক্তি পত্রের মাধ্যমে আপনাকে স্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো সঙ্গে রাখতে হবে আর আপনার কোম্পানীর নির্দিষ্ট চুক্তিপত্র রয়েছে এবং সেই চুক্তিপত্রে যা যা থাকবে।
- কোম্পানির মাধ্যমে কি কি প্রোডাক্ট নিবেন
- এবং আপনার প্রোডাক্ট কি পরিমাণ নিতে পারবেন
- এবং আপনাকে কমিশন কত পারসেন্ট দিবে
- এবং মালামাল পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ কে দিবে
- বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে সমাধান করার জন্য পদক্ষেপ
- এবং কত দিন মেয়াদে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান
এ সমস্ত বিষয় গুলো লক্ষ্য করে এবং বুঝে শুনে তারপরে আপনি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবেন। তাছাড়াও আপনার যদি কোনো রিকোয়ারমেন্ট থেকে থাকে বা আপনি যদি কোন বিষয় ক্লিয়ার না হয়ে থাকেন তা হলেও তাদের কাছ থেকে ভালোমতো জেনে নিবেন তার পরে আপনি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবেন। কোন রকমের দ্বিধা থাকলে নিশ্চিন্তে তাদের মাধ্যমে জেনে নিবেন।
বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো জেনে নিন
ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়ম
ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনার জন্য আপনার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে এই সমস্ত নিয়ম ফলো করেই তার পরে আপনাকে ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে তা না হলে আপনি ডিলারশিপ ব্যবসা থেকে ভালো লাভবান হতে পারবেন না তাই অবশ্যই এসব বিষয়ে আপনাকে ভালোমতো জেনে নিতে হবে এবং সে বিষয়টা রিসার্চ করতে হবে।
আপনি যে কোম্পানির মাধ্যমে ডিলারশিপ নিতে চাচ্ছেন সেই কোম্পানির সার্ভিস কেমন দিচ্ছে এ বিষয়টি অবশ্যই ভালো মত পর্যবেক্ষন করে দেখে নিবেন। এবং তাদের কাছ থেকে আপনি কি ধরনের মাল নিবেন তারা আপনাকে প্রোডাক্ট কিভাবে পাঠাবে এটাও ভাল মত জেনে নিবেন।
এবং আপনি যে প্রোডাক্টটি নিবেন সেটি বর্তমান বাজার মূল্য কেমন থাকবে এবং পরবর্তীতে যদি এটা বাড়ানো হয় তাহলে আপনি কত পারসেন্ট কমিশন পাবেন সে বিষয়টিও আপনি তাদের মাধ্যমে ভালোমতো জেনে নিবেন আবার এই প্রোডাক্ট এর মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত থাকবে এবং এটি শেষ হওয়ার পর কোম্পানির তার কি ব্যবস্থা করবে সে বিষয়টিও জেনে নেওয়া উচিত।
আপনি তাদের প্রোডাক্টের কোন প্রমোশনাল কাজ করবেন কিনা এবং যদিও করে থাকে এবং বিক্রির হার যদি বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে কত পারসেন্ট কমিশন দিবে সে বিষয়টিও তাদের মাধ্যমে জেনে নিবেন কারণ আপনি যে মার্কেটিং করার কারণে যে খরচ হয়েছে সে খরচটা এর ব্যবস্থা কি হবে।
তার আগে অবশ্যই আপনাকে চুক্তিপত্র বাতিল হওয়ার জন্য কি কি বিষয় আছে সেই কোম্পানির সেই কোম্পানি সম্পর্কে অবশ্যই আপনি ভালোমতো জেনে নেবেন এবং আপনি কি কি করলে আপনার চুক্তিপত্র বাদ হতে পারে তাদের রিকোয়ারমেন্ট গুলো অবশ্যই ভালোমতো জেনে নেবেন।
ডিলারশিপ ব্যবসা করতে টাকা কত লাগে
ডিলারশিপ ব্যবসা যদি শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে ব্যবসায়ীর যেমন মূলধন থাকতে হয় তবে অবশ্যই আপনার এটি থাকতে হবে আর এই মূলধন দুইভাবেই আপনি করতে পারবেন। আপনি প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু মূলধন যদি থেকে থাকে তাহলেও আপনি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনি যে কোম্পানির মাধ্যমে প্রোডাক্ট নিচ্ছেন সেই কোম্পানিতে আপনাকে সিকিউরিটি হিসাবে কিছু টাকা তাদের কাছে জমা রাখা লাগবে আপনি যে পরিমান মাল নিবেন সেই পরিমাণ মালের হিসাব অনুযায়ী আপনাকে অর্ধেক টাকা সেখানে প্রদান করা লাগবে তারপরে আপনাকে তারা মালামাল প্রোভাইড করতে বাধ্য হবে।
তাছাড়াও আপনি যদি তাদের সাথে ভালো আচরণ করে এবং পরিচিতি লাভ করতে পারেন পরবর্তীতে আপনাকে খুব সহজেই তারা প্রোডাক্ট দিতে রাজি হবে তাই অবশ্যই তাদের দেনাপাওনা গুলো আপনাকে ঠিকঠাক ভাবে পরিচালনা করতে হবে তাই প্রথম অবস্থায় ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে আপনাকে লাভের জন্য কিছুটা টাকা প্রাথমিকভাবে আপনাকে খরচ করা লাগবেই। এবং তাদের প্রোডাক্ট হাতে পাবার পরে আপনি যদি বিক্রি শুরু করতে পারেন তাহলে আপনার লাভের অংশটা বাড়তে থাকবে।
ডিলারশিপ ব্যবসার সুবিধা কি
বর্তমানে ডিলারশিপ ব্যবসার মাধ্যমে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে তারমধ্যে আপনার প্রোডাক্টের কোন ধরনের সমস্যা হলে কোম্পানি প্রোডাক্ট সমস্যার সমাধান করে দিবে এবং আপনার প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য অনেক সময় ডিলাররাও বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে যাতে তাদের প্রোডাক্ট গুলো বেশি বেশি বিক্রি হয় যেমন মার্কেটিং অ্যাডভার্টাইজমেন্ট আরো অনেক পদক্ষেপ তারা নিয়ে থাকে ।
আপনার নির্দিষ্ট এলাকাতে কোন প্রোডাক্ট এর চাহিদা বেশি এবং গ্রাহকরা কি ধরনের প্রোডাক্ট যাচ্ছে সেই বিষয় নিয়ে তারা পর্যবেক্ষণ করবে এবং যদি বিক্রির সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে তারা বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং সহ অন্যান্য বিষয়ে তারা করে থাকে এক্ষেত্রে আপনার বিক্রির হার দ্বিগুণ ভাবে বেড়ে যাবে তাই ডিলারশিপ সাধারণত এই বিষয়গুলা তাদের নজরে থাকে।
তা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে ডিলারশিপ ব্যবসার মাধ্যমে সবথেকে বড় ব্যাপার হলো আপনার প্রোডাক্ট বিক্রির হার যদি আপনি বানাতে পারেন তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনাকে কোন রকমের জামানত ছাড়াই প্রোডাক্ট দিতে রাজি হবে এক্ষেত্রে আপনি বিক্রি করে তাদের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
ডিলারশিপ ব্যবসায় লাভ কেমন
ডিলারশিপ এমন একটি ব্যবসা যে ব্যবসা এর মাধ্যমে ভালো পরিমাণ লাভ করতে পারবেন এবং অনেক কম ঝুঁকি নিয়ে ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন এতে করে আপনার লাভের অংশ বেশি থাকবে কিন্তু ঝুঁকির অংশ অনেকটাই কম থাকবে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় ডিলারশিপ ব্যবসার লাভের পরিমাণ বেশি থাকে।
তবে ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে এবং প্রোডাক্ট যাচাই-বাছাই করার ক্ষেত্রে আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে কেননা এটি সম্পূর্ণ বাজার এরপর নির্ভর করে বর্তমানে মার্কেট বা বাজারে কোন প্রোডাক্ট বেশি চলছে সমস্ত প্রোডাক্ট গুলো আপনাকে টার্গেট করতে হবে তাহলে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
কেননা আপনি প্রোডাক্ট নিচ্ছেন কোম্পানির কাছ থেকে এবং কোম্পানি আপনাকে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেবে এমনকি আপনার বিক্রি বৃদ্ধি করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে অনেক অনেক কোম্পানিই তাই এই বিষয়টি আগে থেকেই আপনি যদি ঠিকঠাক করে রাখতে পারেন তাহলে আপনার অনেকটাই লাভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তবে এই বিষয়টি নিয়ে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে নিতে হবে।
মালামাল নিয়ে যদি কোনো সমস্যা তৈরী হয়ে থাকে তাহলে আপনি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে সেই মাল সম্পর্কে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় এই বিষয়টি অবশ্যই ভালোমতো জেনে নিবেন যদি কোনরকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কম্পানি এগুলান এর জন্য পদক্ষেপ নিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার কোন সমস্যা হবে না।
এককথায় বলা যায় ডিলারশিপ ব্যবসার মাধ্যমে আপনি ঝুঁকি কম নিবেন কিন্তু লাভের অংশ বেশি পাবেন এবং সুবিধা বেশি পাবেন সেই সাথে যদি আপনি সঠিক চিন্তা ভাবনা করে প্রডাক্ট রিসার্চ করে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী প্রডাক্ট তুলতে পারেন তাহলে আপনার বিক্রি বৃদ্ধি হবে এবং লাভের পারসেন্টেন্স আপনি সর্বদা তখন বেশি পেতে থাকবেন তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন বিক্রির সংখ্যা বাড়াতে।
আপনি যদি ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে নিতে পারেন কারণ এখানে লাভের সংখ্যা বেশি এবং লোকের সংখ্যা একেবারেই কম তাই ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য এখনই একটি পারফেক্ট সময় আপনার জন্য।
পরিশেষে
পরিশেষে বলতে চাই যে বর্তমানে ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই চুক্তিপত্র গুলো দেখে এবং আপনার প্রোডাক্টের রিচার্জ করে তারপরেই ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে যাবেন এবং অবশ্যই কোম্পানির রিকোয়ারমেন্ট গুলো কি কি আছে এবং প্রোডাক্ট নিয়ে যাবতীয় কনসেপ্ট আপনি ক্লিয়ার করে নিবেন তা না হলে পরবর্তীতে বিষয়গুলোর এর জন্য আপনাকে ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
এ সমস্ত বিষয় গুলো দেখে এবং আপনি লাভের পার্সেন্টেজ কত পাবেন এ বিষয়টিও ভালোমতো দেখে নেবেন তারপরে আপনি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন আর ডিলারশিপ ব্যবসা সর্বদা বিজনেস পলিসি এর মধ্যে একই রকম হয়ে থাকে বিভিন্ন কোম্পানির তাই সে বিষয়টি দেখে আপনি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান