বর্তমানে যারা নতুন সিএনজির দাম কত এই বিষয়টা নিয়ে জানতে চাচ্ছেন এবং অনেকেই চিন্তাভাবনা করেছেন যে নতুন সিএনজি কিনে ব্যবসা শুরু করবেন অথবা নিজেই ড্রাইভিং করে উপার্জন করবেন তাই আপনার এই শখের জিনিসটি বা উপার্জন করার নতুন সিএনজিটি কিনার ক্ষেত্রে অবশ্যইযাচাই-বাছাই করে কেনা উচিত।
বাজারে অনেক ধরনের সিএনজির মডেল রয়েছে তবে সব সিএনজির দাম কিন্তু এক কই না। এক্ষেত্রে আজকে আমরা এখানে জানাবো নতুন সেন্সের দাম কত ২০২৫ এর সব মডেল গুলোর। তাই সম্পূর্ণ আজকের এই কনটেন্টটি জুড়েই আমরা মূলত সিএনজির ভালো দিক এবং খারাপ দিক এবং নতুন সিএনজির বর্তমান দাম কত যাচ্ছে তা জানানো হবে আজকের এই কনটেন্টে।
নতুন সিএনজির দাম কত ২০২৫
যারা বর্তমানে নতুন সিএনজি কিনার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য আজকে এখানে ২০ টি নতুন সিএনজির দাম মডেল সহ উল্লেখ করেছি। মডেল অনুযায়ী এবং আপনার বাজেট অনুযায়ী পছন্দ মত নতুন সিএনজি কিনতে হলে আজকের এই তালিকাটি দেখে সিদ্ধান্ত নিন।
সিএনজির মডেল | দাম |
---|---|
Bajaj RE Compact 4S | ৩,০০,০০০ টাকা। |
Piaggio Ape Xtra | ৩,২০,০০০ টাকা। |
TVS King Deluxe | ৩,৫০,০০০ টাকা। |
Mahindra Alfa Plus | ৩,৭৫,০০০ টাকা। |
Atul Elite Cargo | ২,৯০,০০০ টাকা। |
Bajaj Maxima Z | ৩,৪০,০০০ টাকা। |
Piaggio Ape E-City | ৩,৩০,০০০ টাকা। |
TVS King Duramax | ৩,৬০,০০০ টাকা। |
Mahindra Treo Auto | ৪,০০,০০০ টাকা। |
Atul Gem Paxx | ৩,১০,০০০ টাকা। |
Bajaj Maxima Cargo | ৩,৬৫,০০০ টাকা। |
Piaggio Ape Auto DX | ৩,২৫,০০০ টাকা। |
TVS King Kargo | ৩,৪৫,০০০ টাকা। |
Mahindra E-Alfa Mini | ৩,৮৫,০০০ টাকা। |
Atul Shakti Cargo | ৩,২০,০০০ টাকা। |
Bajaj Compact RE | ৩,০০,০০০ টাকা। |
Piaggio Ape Plus | ৩,৫০,০০০ টাকা। |
TVS King Duramax LPG | ৩,৭০,০০০ টাকা। |
Mahindra Treo Zor | ৪,১০,০০০ টাকা। |
Atul Elite Passenger | ২,৯৫,০০০ টাকা। |
যারা গ্রামে বা শহরে নতুন সিএনজি কিনে ব্যবসা অথবা নিজের ড্রাইভিং করে উপার্জন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য উপযুক্ত এই সিএনজিগুলো। মূলত যারা নতুন সিএনজি কিনতে চাচ্ছেন তারা চাইলে মডেল অনুযায়ী এই বাজেটগুলোর মধ্যে নতুন সিএনজি গুলো কিনতে পারেন। আজকে আপনারা এখান থেকে নতুন সিএনজির দাম কত ২০২৫ এর বিস্তারিত তথ্য গুলো দেখুন।
সিএনজির দাম কত 2025 বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বাজারে নতুন সিএনজির দাম ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। তবে এক্ষেত্রে ভালো কোম্পানি গুলোর নতুন সিএনজির দাম কিন্তু বেশি হয়। এক্ষেত্রে সিএনজির মডেল এবং ব্যবহারিত বিষয়ের উপর নির্ভর করেই মূলত সিএনজির দাম নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে একেক কোম্পানির এক এক ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে।
তাই আপনি যখন বাংলাদেশের মার্কেটগুলো থেকে সিএনজি কিনবেন তখন অনলাইন থেকে অথবা কয়েকটি শোরুম ঘুরে তারপরে কেনার সিদ্ধান্ত নিন। এতে করে আপনি বর্তমান বাজার দাম সম্পর্কেও জানতে পারবেন এবং কোন সিএনজি নেওয়া আপনার জন্য সঠিক হবে সেটিও জানা যাবে।
পুরাতন সিএনজির দাম কত ২০২৫
বাজারে পুরাতন সিএনজির দাম মূলত নির্ধারিত হয় কত দিন ব্যবহৃত হয়েছে তার ওপর। এক্ষেত্রে যদি দুই বছর অথবা ৬ মাস বা এর থেকেও বেশি ব্যবহৃত হয় তাহলে মূলত এক লক্ষ আশি হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা অথবা আরও যদি কন্ডিশন ভালো থাকে তাহলে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামে পুরাতন সিএনজি বিক্রি হয়। নিচে মডেল অনুযায়ী পুরাতন সিএনজির দাম কত হয় এই একটি তালিকা তুলে ধরা হলো।
সিএনজির মডেল | দাম |
---|---|
Bajaj RE Compact 4S | ১,৮০,০০০ – ২,২০,০০০ |
Piaggio Ape Xtra | ২,০০,০০০ – ২,৪০,০০০ |
TVS King Deluxe | ২,১০,০০০ – ২,৫০,০০০ |
Mahindra Alfa Plus | ২,৩০,০০০ – ২,৮০,০০০ |
Atul Elite Cargo | ১,৫০,০০০ – ১,৯০,০০০ |
Bajaj Maxima Z | ২,২০,০০০ – ২,৭০,০০০ |
Piaggio Ape E-City | ২,১০,০০০ – ২,৬০,০০০ |
TVS King Duramax | ২,৪০,০০০ – ২,৯০,০০০ |
Mahindra Treo Auto | ২,৮০,০০০ – ৩,২০,০০০ |
Atul Gem Paxx | ১,৭০,০০০ – ২,১০,০০০ |
আপনাদের অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে নতুন সিএনজির তুলনায় পুরাতন সিএনজির দাম কিন্তু তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম হয়। তবে এক্ষেত্রে সিএনজির কন্ডিশনের উপর নির্ভর করেই মূলত দাম নির্ধারিত হয়। ভালো কোন মডেলের পুরাতন চেঞ্জ এর দাম কিন্তু অন্যান্য সিএনজির তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়। তাই সিএনজির কাগজপত্র এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য এবং গাড়ির কন্ডিশন যদি ভালো থাকে তাহলে নিতে পারেন।
একটা সিএনজির দাম কত ২০২৫
২০২৫ সালে একটা সিএনজির দাম ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র যদি আপনি একটা পুরাতন সিএনজি কিনতে চান সে ক্ষেত্রে কিন্তু খরচ ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকার মধ্যেই পুরাতন সিএনজি কিনতে নিতে পারবেন।
তবে পুরাতন সিএনজি কিনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সিএনজির কন্ডিশনের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে টায়ার অথবা বসার সিট এবং গাড়ির অন্যান্য সকল বিষয়গুলো ঠিক আছে কিনা সেটা ভালো মতো চেক করে দেখুন। অনেক সময় পুরাতন সিএনজিগুলো কিনার ক্ষেত্রে কিন্তু এই বিষয়গুলো আগে থেকেই দেখে চিন্তা ভাবনা করে দাম নির্ধারণ করা হয়।
সিএনজি গ্যাসের দাম ২০২৫
সিএনজি গ্যাসের দাম ৩৫ টাকা। এক্ষেত্রে যে কোন সিএনজি স্টেশন থেকে যদি সিএনজির গ্যাস ক্রয় করেন তাহলে দাম পড়বে প্রতি ঘন মিটারে ৩৫ টাকা করে। বিভিন্ন লোকাল পর্যায়ের জায়গা গুলোতে কিন্তু দুই দশ টাকা কম বেশি হতে পারে।
এক্ষেত্রে প্রত্যেক দিনের সিএনজির গ্যাসের দাম কিন্তু পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে দাম পরিবর্তন হওয়ার আগে অবশ্যই গণমাধ্যমে বিষয়টা নিশ্চিত করা হয়। এক্ষেত্রে সেন্সের গ্যাসের দাম কত টাকা এবং নতুন সিএনজির দাম কত ২০২৫ বিস্তারিত দেখুন।
সিএনজি অটো রিক্সার দাম ২০২৫
বর্তমানে সিএনজির অনেক মডেল রয়েছে এবং অনেক ভালো ভালো কোম্পানির সিএনজি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে এক্ষেত্রে দাম ৮৮ হাজার টাকা থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে যদি আপনি একেবারে সর্বনিম্ন বা পুরাতন সিএনজি অটো রিক্সা কিনতে চাচ্ছেন তাহলে খরচ পড়বে ৮৮ হাজার টাকা।
এর থেকে ভালো কোন মডেলের এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ নতুন সিএনজি কিনেন তাহলে প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দাম পড়বে। কোম্পানির ১৭৫ সিসির দাম ৮৮ হাজার টাকা। রানার অথবা টিভিএস মডেলের দাম কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন তফাৎ রয়েছে সেক্ষেত্রে tvs মডেল টাকা পর্যন্ত।
নতুন সিএনজির দাম কত ২০২৫ রাজশাহী
নতুন সিএনজির দাম মূলত নির্ভর করে মডেলের উপর এবং গাড়ির কন্ডিশনের উপর এক্ষেত্রে যদি ভালো মানের কন্ডিশন অথবা আয়তনে দেখতে বড়ো সাইজের নতুন সিএনজির দাম প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে যদি আপনি রাজশাহী থেকে নতুন সিএনজি কিনতে চান সেক্ষেত্রের দাম কিন্তু প্রায় একই রকম পড়বে এক্ষেত্রে ১ লাখ ৮০ হাজারহাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে নতুন সিএনজি কিনতে পারবেন।।
রাজশাহীতে ভালো মানের সিএনজি পাওয়ার জন্য অবশ্যই সিএনজির শোরুমগুলোতে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন এক্ষেত্রে যে কোন ভালো ব্যান্ডের সিএনজি নিতে হলে কিন্তু রাজশাহীর শোরুম গুলো প্রথমে দেখতে পারেন অথবা চাইলে আপনার পছন্দমত নতুন চেঞ্জের মডেল থাকলে তাদেরকে দেখালেও তারা এনে দিতে পারবে।
সেকেন্ড হ্যান্ড সিএনজির এর দাম কত
সেকেন্ড হ্যান্ড সিএনজি হলো যে কোন মডেলের সিএনজি এক থেকে দুই বছর ব্যবহার করার পরে অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দেওয়া তাকে বলা হয় সেকেন্ড হ্যান্ড সিএনজি। আর এই সিএনজির দাম মূলত ৮০ হাজার টাকা থেকে ১১ লাখ ৫০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
তাই নতুন এবং পুরাতন যেকোনো ধরনের সিএনজি কেনার আগে অবশ্যই এই পোস্ট গুরুত্বসহকারে দেখবেন এবং যাচাই-বাছাই করে তারপরে মার্কেট থেকে নতুন সিএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন। সিএনজি কেনার পরে চেঞ্জের গ্যাস সংক্রান্ত গাড়ির কি অবস্থা এই বিষয়গুলো দেখে তারপরে প্রত্যেকদিন ড্রাইভিং করা উচিত আপনার ব্যবসার কাজে পাঠানো উচিত।