সমাজে বসবাস করা অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কাজের শিকার হয়ে থাকে অনেকেই তবে এ ক্ষেত্রে অনেকেই জানেনা কিভাবে প্রতারণা মামলা করতে হয় এবং মানহানি মামলা করতে হয় তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব কিভাবে প্রতারণা মামলা করার নিয়ম এবং মামলা করার জন্য কোথায় যোগাযোগ করবেন এবং কিভাবে করবেন এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
কোন ব্যক্তি যদি অন্যের সম্পত্তি হস্তান্তর করতে উদ্বুদ্ধ করে এমনকি অনুকূলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতারণামূলক কাজ করে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে প্রতারণা বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। তা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আশা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফায়দা লুটে নেওয়া কেউ বলা হয় প্রতারণা। প্রতারণামূলক কার্যক্রমে দেখা যায়। তবে সমপ্রতি এ সমস্ত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটার কারণে 415 ধারাই প্রদান করা হয়েছে।
কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এরকম রচনা করা হয় উক্ত ব্যক্তির দেহ মন বিভিন্ন সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে এবং সম্ভাবনা তৈরি হয়। প্রতারণা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি করা মিথ্যা প্রচার করা। বিয়ের প্রতারণা সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণামূলক কাজ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আলাদা আলাদা অভিযোগগুলোতে সাধারণত আলাদা আলাদা শাস্তি নির্ধারিত হয়।
সাধারণত এই মামলাগুলো 420 ধারা অনুযায়ী হয়ে থাকে তবে সাত বছরের পাশাপাশি অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে এই মামলাগুলোতে। যেকোনো প্রতারণার শিকার হলে কিংবা চাকরির নামে কোনো ধরনের প্রতারণা কেউ করে থাকলে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে যদি কেউ এই সমস্ত প্রতারণা করে থাকে তাহলে উক্ত দায়ী প্রতারণামূলক কাজে জড়িত ওই প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা করতে পারবে অথবা ঐ ব্যক্তির নামে মামলা করতে পারবে।
আরো পড়ুন: কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম | কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার নিয়ম
তবে এই মামলা করার জন্য অবশ্যই যথেষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে এবং লিখিত চুক্তি এবং কোন রশিদ এ সমস্ত বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে। এবং উক্ত কার্যক্রম পরিচালনায় যে সমস্ত বিষয়গুলো আদান-প্রদান হয়েছে সে সমস্ত বিষয়ের সঙ্গে নিয়েই আদালতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের মুকাদ্দামা দায়ের করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো লিখিত দলিল সংরক্ষণ করা অতীব জরুরী।
প্রতারণা মামলা করার নিয়ম
প্রতারণা মামলা করার জন্য থানায় এজাহার দায়ের করে মামলা করতে হয় অথবা আদালতে সরাসরি মামলা দায়ের করতে পারবেন। এই মামলা দায়ের করতে হয় সাধারণত সংশ্লিষ্ট বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গুলোতে। মামলাটি আমলে নেওয়ার জন্য লিপিবদ্ধ করার গুনাগুন বিশ্লেষণ করে সরাসরি আদালতে বাদীর জবানবন্দি নেওয়া হয়। অথবা কোন প্রাথমিক তদন্তের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আদেশ করতে পারে। এই ধরনের মামলাগুলোতে ব্যক্তির সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তের 7 বছর কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যারা ব্যবসা করে সরকারি কর্মচারী রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করবে দুর্নীতি কমিশন।
পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার নিয়ম
যেসকল আমলযোগ্য অপরাধ রয়েছে তা থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়ে ক্ষেত্রে পুলিশ হোক অথবা সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তা হোক। এটা বাংলাদেশ আইনে রয়েছে। এক্ষেত্রে অভিযোগ যদি কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে দেওয়ানী মামলা সংক্রান্ত হবে। তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে ও যদি মনে করে মামলা নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত কারণ না থাকে তাহলে সেটি মামলার না নিতে ও পারেন এটিও আইনে আছে। তবে অভিযোগ যদি অবশ্যই ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় হয়ে থাকে তাহলে মামলা না নিলেও ওসি সাহেবের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট কথা বলে আপনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন।
অনলাইনে প্রতারণা মামলা করার নিয়ম
অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে অথবা বিভিন্ন ধরনের টাকা-পয়সা আদান-প্রদান করার ক্ষেত্রে যদি কোন ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার নিকটস্থ কোন থানায় কে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো অথবা প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সঙ্গে নিয়ে মামলা করতে পারবেন। কি ধরনের আপনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন অথবা আপনি যদি কোন ধরনের টাকা-পয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রে অথবা আপনাকে যদি বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কাজে জড়িয়ে ফেলে তাহলে অবশ্যই সেই বিষয়গুলো ভালোমতো উল্লেখ করতে হবে।
অনেকেই রয়েছে যারা প্রতারণামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে তবে এক্ষেত্রে তার প্রমাণ থাকে না তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে এ ক্ষেত্রে মামলা অনেকটা দুর্বল হতে পারে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনি যেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন সেই প্রতারণার বিষয়টি ভালোমতো উল্লেখ করা যাতে পুলিশ না আপনার কেস টি ভালোমতো বুঝতে পারে এবং সেটি বোঝার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।
মানহানি মামলা করার নিয়ম
কোন ব্যক্তি যদি কারো বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে থাকেন অথবা তখন যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রকাশ করেছে সে ফৌজদারি আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারবে এক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সাক্ষী নিয়ে এসে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। তবে অস্ত্র মানহানির মামলা টি করার জন্য অবশ্যই আদালতে অভিযোগ দায়ের করে জবানবন্দি প্রদান এর মাধ্যমেই মানহানি মামলা করতে হবে।
আরো পড়ুন: চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ও চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ
তবে মানহানি মামলা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় সাক্ষী এবং প্রয়োজনীয় যে সমস্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করার দরকার তা বিস্তারিত ভাবে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে পাশাপাশি আপনি যেই ব্যক্তির নামে মামলা করছেন সেই ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্য এবং সে কোন কার্যকর আপনাকে মানহানির মতো ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়টি ভালোমতো নিশ্চিত করতে হবে।
বিয়ে প্রতারণা মামলা করার নিয়ম
বিয়ে সংক্রান্ত অপরাধের জন্য থানায় এজাহার হিসেবে মামলা দায়ের করতে হয়। বিয়ে প্রতারণামূলক মামলা করার জন্য সরাসরি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়েও মামলা দায়ের করতে পারবেন। তবে কোনো কারণে যদি থানায় মামলা না নেয় তাহলে সরাসরি আপনারা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে গিয়ে এই মামলা দায়ের করতে পারবেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ধরনের টাকা আত্মসাৎ করা অথবা শারীরিক নির্যাতন এবং শারীরিক বিভিন্ন কার্যকলাপে জড়িত হয় বিয়ে প্রতারণা মামলা করা হয়ে থাকে।
তবে এ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির মাধ্যমে আপনি এই কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন সে বিষয়টি ভালোমতো নিশ্চিত করতে হবে এবং আপনি কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সুন্দরমতো উল্লেখ করেই আপনাকে আদালতের মাধ্যমে ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কেউ আপনি বিয়ে প্রতারণা মামলা করতে পারবেন।