প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ | গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ | গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ

গর্ভধারণ হলে প্রাথমিক লক্ষণগুলো বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ পায় শরীরে। প্রথমে অবস্থায় যদি কারো পিরিয়ড মিস হয়ে যাই তাহলে অনেকেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেলে যে সে গর্ভবতী। কিন্তু আসলেই কথাটি সঠিক নয় তার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তাছাড়াও পর্বতের প্রথম 60 দিনের মধ্যেই শরীরের বিভিন্ন প্রকাশের মাধ্যমে একাধিক লক্ষণ দেখা যায় গর্ভধারণের


শুধুমাত্র পিরিয়ড মিস হলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না যে আপনি গর্ভবতী তাই আপনি কিসের লক্ষণ দেখে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন গর্ভবতী হওয়া। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পর্যায়ক্রমে কয়েকটি গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণপ্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। এগুলো নিয়ে আজকে আমরা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করব এবং আপনাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ 

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো দেখা যায়। গর্ভাবস্থার শুরুতে সহবাসের দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। তাছাড়াও কিছু নারীর ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা শুরু হওয়ার সাত দিনের মধ্যেই প্রাথমিক লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়ে যাই। তাছাড়া অনেক সময়ই গর্ভবস্থার কয়েক মাস পর্যন্ত এই লক্ষণগুলি প্রকাশ পেয়ে থাকে। তাছাড়াও কিছু মহিলাদের পাঁচ দিনের মধ্যে পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন। প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ এর মধ্যে রয়েছে ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত যেগুলো শুক্রাণু ডিম্বাণু নিষিক্ত করে 5 থেকে 6 দিনের মধ্যে এগুলো ঘটতে পারে। 


তাছাড়াও প্রথমবার গর্ভবতী লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে ঘন ঘন মাথা ঘোরা। বমি বমি ভাব হওয়া, শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠার সময়, বাথরুমে বেশি বেশি যাওয়া পেশাবের জন্য, বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া এগুলো হচ্ছে গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো প্রকাশ পায়

গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে বোঝার উপায়

গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ

যদি দেখেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনার শরীর দুর্বল বোধ করছেন তাহলে গর্ভধারণের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ মনে করা হয়ে থাকে এটিকে। এটি দিনে বা রাত্রে যে কোন সময় লক্ষণটি দেখা দিতে পারে।গর্ভবতীর লক্ষণ এর এই বিষয়টি সাধারণত এক মাস পর থেকেই এই সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে


গর্ভধারণের সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর বমি ভাব আসে এবং বমি শুরু হয়ে যায়। এসময় এস্ট্রোজন ও প্রয়োজনের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সময় তাই গর্ভবতী মহিলাদের সকালে উঠে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। তা ছাড়াও বিভিন্ন সময় বমি হতে পারে এবং বমির ভাব থাকতে পারে


বর্তমানে 80 শতাংশ নারীর যৌন সমস্যায় ভুগে থাকেন গর্ভধারণের ছয় মাস বা 80 দিন অথবা পিরিয়ড মিস হওয়ার পর থেকেই বমির ভাব চলে আসে অথবা বমি হতে থাকে


তাছাড়া অন্যান্য লক্ষণগুলো দেখা যায় যেমন স্তনে অধিক ব্যথা অথবা ফুলে যাওয়া ভারি হয়ে যাওয়া এটা কি গর্ভধারণের অন্যতম লক্ষণ ধরা হয়। কারো কারো প্রাথমিক অবস্থায় এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই স্তন ব্যথা হয়ে যায় অথবা ফুলে যায় এটি একটি অন্যতম গর্ভধারণের লক্ষণ


গর্ভধারণ অবস্থায় নুর্সিং হতে পারে অথবা মাথা ঘোরা বমি বমি ভাব হওয়া এটা একটি প্রাথমিক লক্ষণ। কারণ গর্ভধারণের সময় বিভিন্ন হরমোন নানা পরিবর্তনের কারণে এ বিষয়গুলো হয়ে থাকে হঠাৎ করে রেগে যাওয়া অথবা মাঝে মাঝেই খিটখিটে মেজাজ তৈরি হওয়া অতিরিক্ত এক্সাইটেড হয়ে পড়া এগুলো হচ্ছে প্রাথমিক লক্ষণ


গর্ভধারণের প্রথম এর দিকে মাথা ব্যথা অনুভূত হতে পারে রাত্রে অস্বাভাবিক ভাবে মাথা ব্যথা হতে পারে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্লান্তিভাব আসতে পারে। তাছাড়া অল্প পরিশ্রম করেই অনেকটা হাঁপিয়ে ওঠা। এই লক্ষণগুলো বুঝতে পারলেই আপনার প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত


গর্ভবতী অবস্থায় শরীরের রক্তের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে যাই। এসময় কিডনিতে অধিক পরিমাণ তরল পদার্থ নিঃসৃত হতে থাকে। যা প্রসাবের সাথে শরীর থেকে এগুলো বের হয়ে আসে


গর্ভধারণের প্রাথমিক অবস্থায় অধিকাংশ নারীর ক্ষেত্রে মুখের রুচি বদলে যায় বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূল ও বিভিন্ন খাবার খেতে গেলে পাওয়া যায় না। তাই এই সময়ে শাকসবজিসহ বিভিন্ন খাবার বেশি বেশি খাওয়া উচিত


নাইট ক্রিম কোনটা ভালো | নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম | ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম


অথবা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় টক অথবা বিভিন্ন পছন্দের খাবার বেশি বেশি খেতে ইচ্ছে করে। রাতে বা দিনে যে কোন সময় পছন্দের খাবারগুলো খেতে ইচ্ছে করতে পারে গর্ভবতী অবস্থায়। তাই উপরের দেওয়া প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখলেই আপনার গর্ভবতী হওয়া লক্ষণগুলো নিশ্চিত করতে পারবেন


দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো হল গাধা তাড়াতাড়ি বড় হয়, স্তনের পরিবর্তন হতে পারে, প্রাথমিক ধরনের গতিবিধি, বাক্য সংকোচন এর ভিন্নতা, শ্রম ক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি অনুভব করা, পিঠে অথবা মাজা ব্যথা, দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে যদি এই লক্ষণগুলো দেখতে পান তাহলে বুঝবেন আপনি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হতে চলেছেন


তাছাড়াও দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সাধারণত যাদের প্রথমবার গর্ভবতী হয়েছিল সেই ক্ষেত্রে যদি বমি হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয়বারের ক্ষেত্রেও একই সমস্যার সম্মুখিন হয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সপ্তাহের প্রথম সাত দিনের মধ্যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় কারও কারও পাঁচ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিতে পারে মাথা ঘোরা বমি হওয়া সহ মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়বারের বেলায় একই রকম লক্ষণ দেখা দিতে পারে


পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

অনেক সময় পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে। যেমন মাথা ব্যথা মাথা ঘোরা বমি হওয়া স্তন ফুলে যাওয়া বা ব্যথা হওয়া এগুলো যদি দেখা যায় তাহলে আপনি নিশ্চিত ভাবেই গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে তাই দ্রুত ইউরিন টেস্ট এর মাধ্যমে গর্ভবতী হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ যদি দেখা দেয় তাহলে উপরের দেওয়া লক্ষণগুলো হলে অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে টেস্ট করে নিতে হবে


মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

সাধারণত মাসিক হওয়ার সাত দিনের মধ্যে বা অথবা দুই সপ্তাহের মধ্যেই গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে যেমন বমি হওয়া মাথা ঘোরা শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া বেশি বেশি বাথরুমে যাওয়া। এছাড়াও অনেকেরই প্রথম দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কোন রকমের লক্ষণ প্রকাশ পায় না মোটামুটি এক মাসের মতো অনেকেরই সময় লেগে যায় গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো বোঝার জন্য। তাই কোনো কারণে যদি মাসিক মিস হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে ইউরিন টেস্ট এর মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে তা না হলে এক মাসের আগে আপনি কখনোই আপনার লক্ষণগুলো বুঝতে পারবেন না


Leave a Comment