বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ও খরচ (দালাল ছাড়া)

বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

বাটার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম এবং কিভাবে বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করবেন কোথায় গিয়ে করতে পারবেন, তার সকল বিষয়গুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমে আজকের আলোচনা। তাহলে চলুন দেরি না করে এ বিষয়গুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমে জেনে নেওয়া যাক।

যারা বর্ডার ক্রস বাইক ইন্ডিয়া অথবা অন্যান্য দেশের মাধ্যমে নিয়ে আসছেন তাদের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় ভালোমতো জেনে রাখা উচিত। বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কিন্তু অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র থাকতে হবে। কি কি কাগজপত্র লাগে চলুন দেখানো যাক।

বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করা যায়

বর্ডার ক্রসিং বাইকের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হলে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও প্রয়োজন। সমস্ত তথ্যগুলো যদি সঠিকভাবে দেখাতে পারেন তাহলে বাংলাদেশের বি আর টি অফিস থেকে বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
 
এক্ষেত্রে কি কি তথ্য লাগে এবং প্রয়োজনীয় কোন বিষয়গুলো উল্লেখ করা লাগে আবেদন ফর্মে তার সকল বিষয়গুলো নিয়ে পর্যায়ক্রমে নিচে তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে আপনারা বর্ডার বাইক রেজিস্ট্রেশন করবেন তার নিয়ম দেখে নিন।

বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন:

  • বাইকের নিবন্ধন কপি
  • বৈধ ট্রাইভিং লাইসেন্স
  • জাতীয় পরিচয় পত্র

নিবন্ধন পরিষদ করুন:

  • বি আর টি অফিস থেকে নির্ধারিত ফ্রি পরিশোধ করুন

বিআরটি অফিস আবেদন করুন:

  • স্থানীয় বিআরটি অফিসে প্রয়োজনীয় ফরমের মাধ্যমে আবেদন করুন

বর্ডার ক্রসিং পারমিট:

  • বিদেশ থেকে আনা বর্ডার ক্রসিং পারমিট লাগবে
 
বর্ডার ক্রসিং বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। বাইকের নিবন্ধন সনদ বৈধ লাইসেন্স এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সঙ্গে নিয়ে বিআরটি অফিসের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করুন।

বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন খরচ

বর্ডার ক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য খরচ পড়ে প্রায় ৫,০০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে আরো অন্যান্য কাগজপত্র উত্তোলন করার জন্য ৩০০ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়তে পারে।

বর্ডার ক্রস বাইক লাইসেন্স কারা করে

বর্ডার ক্রস লাইসেন্স কখনোই করা যায় না তবে বাংলাদেশে কিছু দালাল রয়েছে যারা কিনা ডুপ্লিকেট ভাবে লাইসেন্স করে দিতে পারে। তবে এই লাইসেন্সের কাগজ দিয়ে কখনোই আপনি বৈধতা প্রমাণ করতে পারবেন না। মূলত বর্ডার ক্রস গাড়িগুলোতে অরজিনাল কাগজ কখনোই পাওয়া যায় না দেখতে হুবহু বিআরটিএর মত একটি কাগজ তৈরি করে দেওয়া হয়।

কিন্তু এই কাগজ দিয়ে কখনোই আপনি আপনার বাইক বৈধভাবে বাংলাদেশে ব্যবহার করতে পারবেন না। এটি বৈধভাবে ব্যবহার করার জন্য আপনি যেকোনো বিআরটিএ অফিসে যাবেন না কেন আপনার গাড়ি কখনোই লাইসেন্স করে দিবে না

আপনি যদি বাংলাদেশের কোন ব্যক্তির মাধ্যমে বর্ডার ক্রস বাইকের লাইসেন্স করে নিতে চান তাহলে এটি কখনোই সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র আপনার টাকা খরচ হবে কিন্তু কখনোই আপনি বৈধভাবে বাংলাদেশ এই গাড়িটি লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন না।

টানা মোটরসাইকেল বৈধ করার উপায়

টানা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করা যায় না। এটি বাংলাদেশের যে কোন বিআরটিএ অফিসে গেলেই আপনার এই গাড়িটি বৈধতা দিবে না। এবং কোন ব্যক্তি যদি এই গাড়ির বৈধতা দিয়ে থাকে তাহলে সেটা হবে অবৈধ এই কাগজ দিয়ে আপনি কখনোই আপনার গাড়ির প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করতে পারবেন না।

দালালের মাধ্যমে অবৈধ কাজ করে আপনি আরো আপনার টাকা হারিয়ে ফেলবেন কিন্তু আপনার কাজের কাজ কখনোই হবে না। টানা মোটরসাইকেল গুলো বাংলাদেশে অনেক রয়েছে তারা কখনোই বৈধভাবে তারা ব্যবহার করতে পারছে না। তবে টানা মোটরসাইকেলের জন্য বৈধ কাগজের মত দেখতে হুবহু ডুপ্লিকেট একটি কাগজ তৈরি করে রাখতে পারবেন তবে এটাতে কখনোই বৈধতা প্রমাণ করা যায় না।

বর্ডার ক্রস বাইক কোথায় পাওয়া যায়

বর্ডার ক্রস বাইক বাংলাদেশের যে কোন বর্ডার অঞ্চলে গেলেই পাওয়া যায় যেমন, সিলেট, যশোর, বেনাপোল, হিলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সহ বাংলাদেশের আরো কিছু বর্ডার অঞ্চল রয়েছে সেগুলোতে বর্ডার ক্রস বাইক কোথায় পাওয়া যায়। এই বাইকগুলোর দাম অনেক কম হয় এবং ইন্ডিয়াতে থেকে অবৈধভাবে আসার কারণে কোন ধরনের ট্যাক্স প্রদান করা লাগে না।

ইন্ডিয়া থেকে অবৈধ হয়ে বাইক নিয়ে আসার কারণে এগুলোতে টেক্সট প্রদান করা লাগে না এমনকি বাংলাদেশ নিয়ে আসার পরেও কিন্তু এটার বৈধতা পাওয়া যায় না এটি শুধুমাত্র আপনি লোকালে ব্যবহার করতে পারবেন তবে কোন না কোন একদিন কিন্তু আপনার এই বাইক ধরে নিতে পারে পুলিশ। তাই এই গাড়িগুলোতে বৈধতা নেওয়ার জন্য কখনোই আপনি বিআরটিএ অফিসে নিয়ে যেতে পারবেন না।

বর্ডার ক্রস বাইক সিলেট

সিলেটে বর্ডার ক্রস বাইক সেল করা হয় এবং খুবই কম দামের মধ্যে এই বাইকগুলো কিনতে পারবেন। সিলেটের বর্ডার অঞ্চলে গেলে এই ধরনের বাইকগুলো আপনি কিনতে পারবেন তবে সব জায়গায় কিন্তু এই বাইকগুলো এভেলেবল নাও থাকতে পারে। কিছু কিছু অঞ্চলে এই বাইক গুলো পাওয়া যায়।

বডার ক্রস বাইক যশোর

বর্তমানে যশোরেও কিন্তু বর্ডার ক্রস বাইক পাওয়া যাচ্ছে এবং খুবই কম দামের মধ্যে এই বাইকগুলো যশোর থেকে কিনতে পারবেন। যশোরের বর্ডার অঞ্চলগুলোতে এই বাইকগুলো বিক্রি হয়ে থাকে এটি অবৈধভাবে ভারত থেকে নিয়ে আসা হয় এই বাইকগুলো। যশোর তুলনায় সিলেটে খুবই কম দামে বিক্রি হয় যশোরে বর্তমানে আগের তুলনায় কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বডার ক্রস বাইক বেনাপোল

বেনাপোল এ সবথেকে বেশি পরিমাণ বাইক আমদানি হয় বর্ডার ক্রস বাইকগুলো এই বাইকগুলো খুবই কম দামের মধ্যে আপনারা নিতে পারবেন। তবে অনেক সময় এই বাইকগুলো নেওয়ার পরে কিন্তু পুলিশি হয়রানীর মুখে পড়তে হয়। তবে এক্ষেত্রে আপনারা যদি লোকাল এই গাড়িগুলো ব্যবহার করেন তাহলে কোন সমস্যা হবে না।

সব থেকে বেশি পরিমাণ বেনাপোল আমদানি বেশি হওয়ার কারণে সেখানে পুলিশের সমস্যা বেশি থাকে এবং কিভাবে নিয়ে আসবেন এবং কোথায় কি করবেন তা সকল বিষয়গুলো আপনি যার কাছ থেকে কিনবেন সেই দেখায় দিতে পারবে।

বর্ডার ক্রস বাইক কি

বর্ডার ক্রস বাইক হল ভারত থেকে যে সমস্ত বাইক চোরাই ভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় সেগুলোই মূলত বর্ডার ক্রস বাইক। এই বাইক গুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসার পরে খুবই কম দামে বিক্রি করা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে চাপাই নবাবগঞ্জ, সিলেট, যশোর, বেনাপোল সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু বর্ডার অঞ্চলে এইভাবে বাইক ভারত থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। সেগুলোকে মূলত বর্ডার ক্রস বাইক বলা হয়।

মনে রাখবেন এই সমস্ত বাইকগুলো নিলেই যে আপনি বাংলাদেশের মধ্যে বৈধভাবে চালাতে পারবেন তা কখনোই সম্ভব নয় এটি কখনোই বৈধতা পাবেন না এবং বৈধভাবে যদি রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে বিআরটিএ অফিস থেকেও কিন্তু আপনি এটি অরজিনাল ভাবে কখনোই বৈধতা প্রমাণ করতে পারবেন না।

 তাই উচিত হবে আপনি বৈধভাবে বাংলাদেশ বাইক কিনে নেন এবং বৈধভাবে যেকোনো শোরুম থেকে কাগজপত্র তৈরি করে নিয়ে বিআরটিএ অফিস থেকে আপনি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবেন।

Leave a Comment