বর্তমানে কাজের জন্য মানুষ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর ছাড়া ও মানুষ ইংল্যান্ডে কাজের ভিসায় যাওয়ার ইচ্ছা অনেকের। কিন্তু সেখানে যাওয়ার জন্য আগে কোনো সুযোগ ছিল না কিন্তু বর্তমান সরকার আবার নতুনভাবে সুযোগ করে দিয়েছে।
ইংল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে মানুষ যেতে পারবে এখন বাংলাদেশ থেকেও। তাছাড়াও আপনি চাইলে অন্যান্য দেশের মাধ্যমে সে দেশে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। তাই আজকে আমরা কথা বলবো ইংল্যান্ডের কাজের ভিসা যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় এবং ইংল্যান্ড কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা আবেদন নিয়ে।
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
২০২৫ সালে যারা লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আসছে এবার সুবর্ণ সুযোগ। এখন থেকে বাংলাদেশের মাধ্যমে লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে।
বিগত বছরগুলোতে ইন্ডিয়ার মাধ্যমে সমস্ত ভিসা ব্যবস্থা করা লাগতো কিন্তু এখন বাংলাদেশ গ্লোবাল ভিসা সার্ভিস সেন্টার থেকে খুব সহজেই আপনারা লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ অন্যান্য সকল ভিসার কাজ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে যারা লন্ডনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই আগের তুলনায় শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে রিকোয়ারমেন্ট গুলো সম্পন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসা সহ সকল ধরনের ভিসা করার ক্ষেত্রে রিকোয়ারমেন্ট গুলো আগের মতই থাকবে।
২০২৫ সালের লন্ডনে কৃষি কাজের লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলমান রয়েছে এক্ষেত্রে প্রায় আট হাজারের মতো কর্মী নিবে এশিয়া থেকে। এর মধ্যে বাংলাদেশের বুয়েসেলের মাধ্যমে আপনারা সরকারিভাবে লন্ডনে কৃষি কাজের উপর পারদর্শী হয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে বেতন থাকবে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও কৃষি কাজে সেখানে বিজনেস করার সুযোগ থাকবে।
রোমানিয়াতে কোন কাজের চাহিদা বেশি দেখে নিন
ইউকে কাজের ভিসার জন্য ন্যূনতম IELTS স্কোর ২০২৫
ইউকে কাজের ভিসার জন্য নূন্যতম ILTS স্কোর ৬.৫-৭.০। ইউকে কাজের ভিসার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতার প্রমাণ। কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তার একটি সনদ অথবা নির্দিষ্ট কাজের উপর কোথাও কোন চাকরি করে থাকলে তার একটি প্রমাণ দেখানো লাগবে।
তাই আপনি বর্তমানে যে পেশাতে কাজ করবেন তার একটি পেশাগত সার্টিফিকেট থাকতে হবে অথবা বেতন রশিদ বা আপনি যেই কাজের নিয়োজিত আছেন তার একটি প্রমাণ থাকলেই খুব সহজেই আপনারা ইউকে কাজের ভিসা পাবেন।
ইংল্যান্ডে কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা
বর্তমানে ইংল্যান্ডে কেয়ার গিভার ভিসার মাধ্যমে অনেক শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে সে দেশের সরকার বাংলাদেশেও এটার মাধ্যমে ইংল্যান্ডে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে তাই যারা কেয়ারগিভার ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তারা বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। তাছাড়াও বাংলাদেশের কিছু স্বীকৃত কোম্পানি আছে তাদের মাধ্যমে আপনারা যেতে পারবেন নিচে আমরা ওয়েবসাইটের লিংক গুলো দিয়ে দিব।
বর্তমানে এই কার্যক্রমটি একেবারে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ আছে আপনি যদি যেতে চান তাহলে অবশ্যই এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে নতুন সার্ভিস সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন তবে এখন পর্যন্ত এই সার্ভিসটি বাংলাদেশ থেকে বন্দর হয়েছে। বাংলাদেশের এজেন্সি গুলো 2025 সাল থেকে আবারো কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা সিস্টেমটি চালু করার কথা আছে।
ইংল্যান্ডে কোন কোন পদে কর্মী নিয়োগ দেবে
ব্রিটেনে অসুস্থ মস্তিস্কের মানুষদের অথবা প্রতিবন্ধীদের সেবার জন্য সমগ্র বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পদে বর্তমানে জনবল নিয়োগ দিচ্ছে তাই বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের মানুষদের সেখানে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে।
কোন কোন পদে নিয়োগ দেবে
- এয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট পদ
- কেয়ার ওয়ার্কার
- কেয়ার
- হোম কেয়ার
- সাপোট কেয়ার
ইতালিতে কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং ভিসা আবেদন
লন্ডনে কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা আবেদন
কেয়ার ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে নিচের দেওয়া রিকোয়ারমেন্ট গুলো অবশ্যই থাকা লাগবে তা না হলে আপনি সেখানে কেয়ার ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি কাগজপত্র লাগবে। যদি আপনাকে কোন কোম্পানি স্পন্সর কাজ দিয়ে দেয় তাহলে যেগুলো জমা দেয়া লাগবে।
- দরখাস্ত
- সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট
- এম্পিয়ার এর সঙ্গে চুক্তি
- অ্যাপ্লিকেশন ফি ( 232 পাউন্ড তিন বছরের ভিসা ফি)
- TB টেস্ট সার্টিফিকেট
- আইএলটিএস সার্টিফিকেট
- এক মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সেখানে 1270 পাউন্ড ট্রানস্ফার থাকা লাগবে
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ছয় মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
- অন্যান্য জায়গায় ট্রাভেল করেছেন তার প্রমাণ
- বাসার বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
- বাবা মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের চার কপি ছবি
তাছাড়া আরো অন্যান্য প্রয়োজনেও কাগজপত্র লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য লাগে তাই অবশ্যই আপনারা এজেন্সির মাধ্যমে আগে থেকেই জেনে নিতে পারবেন লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে। এ প্রশ্নগুলো আপনার এজেন্সি কে করে খুব সহজেই তাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
আমরা এখানে যে কাগজগুলোর কথা উল্লেখ করেছি মূলত যে কোন ভিসা করার ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্ত কাগজপত্র গুলো লেগে থাকে। লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেওয়ার জন্য আপনি যেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সেই প্রশিক্ষণের উপর একটি সনদ দেখাতে হবে।
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত
লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম মূলত ১৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৮ লক্ষ টাকা। এছাড়া আপনি যদি ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লন্ডন যেতে চান সেক্ষেত্রে খরচ পড়বে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ২০২৫ সালে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে লন্ডনে যেতে হলে খরচ পড়বে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।
বর্তমানে লন্ডনে কাজের ভিসা সহ সকল ধরনের ভিসা কার্যক্রম আগের তুলনায় একটু জটিল প্রক্রিয়া এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা বা অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু আগের নিয়মই আছে শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়েছে।
তবে যারা দেশের বাইরে থেকে লন্ডনের ভিসা তৈরি করছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু সময় কম লাগছে এবং দ্রুত কিন্তু লন্ডনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। তাই আপনারা যদি দেশের বাইরে থেকে যেতে চান তাহলে অবশ্যই বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন এবং হাতে ভিসা পাওয়ার পরেই টাকা দিবেন।
ইংল্যান্ডে যাওয়ার সহজ উপায়
ইংল্যান্ডে যাওয়ার জন্য আগের থেকে অনেকটাই সহজ হয়েছে বর্তমান সময়ে। বর্তমানে ইংলিশ মোটামুটি অভিজ্ঞতা থাকলে যেতে পারবেন ইংল্যান্ডে। তাছাড়াও যদি আপনি আইএলটিএস স্কোর যদি ফোর পয়েন্ট থাকে তাহলে আপনি যেকোন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর পড়াশোনার ক্ষেত্রে যদি ইংল্যান্ডে যেতে চান তাহলে আপনার আইএলটিএস score 6 লাগবে। তা না হলে আপনি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
কুয়েতে কোন কাজে বেতন বেশি এবং সহজ কাজগুলো কি
ইংল্যান্ডে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে মানুষটির ভাবে যেতে পারবে এক অন্যান্য ভাষার মাধ্যমে এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রে অথবা চাকরির মাধ্যমে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইংলিশ দক্ষতাটা অবশ্যই জরুরি তা না হলে আপনি সেই দেশে গিয়ে ভাষাগত সমস্যা পড়তে পারেন। তাছাড়াও আপনি ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন আমরা নিচে পয়েন্ট আকারে দিয়ে দিলাম কোন কোন বিষয়ে আপনি ইংল্যান্ড যেতে পারবেন।
- ভ্রমণ ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ওয়ার্ক ভিসা
যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়া একটি কঠিন কাজ তবে এটি কিছু মাধ্যম অবলম্বন করে করা যায়। সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ সম্পাদনা করতে হবে এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। এবং নির্দিষ্ট অধ্যবসায় এর সাথে লক্ষটি শেষ পর্যন্ত অর্জন করতে হবে।
নাগরিকত্ব পেতে হলে একজন ব্রিটিশ বাসিন্দার সাথে বিয়ের তিন বছর থাকতে হবে। এবং মিনিমাম 11 বছর আপনাকে স্থায়ীভাবে বসবাস করা লাগবে এবং আপনাকে অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হওয়া লাগবে এবং পাশাপাশি ইংরেজিতে সাবলীল কথা বলা লাগবে।
এটি আপনার জন্য জেনে রাখা জরুরী যে নাগরিকত্ব আবেদনের কথা বিবেচনা করার সময় উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনাকে জেনে রাখা লাগবে। এবং এটি করার জন্য যুক্তরাজ্যের নাগরিক হতে সুপারি সরবরাহ করতে হবে কমপক্ষে তিন বছর ধরে। একটি সুপারিশকারী প্রত্যেক ব্যক্তির বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে তাদের সঠিক প্রস্তাবিত দ্বিতীয় জমিদার তার আত্মীয় বা হওয়া চলবে না। এছাড়া আবেদনকারীকে উপস্থাপনকারী কোন আইন সংস্থার কর্মচারী দ্বারা একটি সুপারিশ জারি করা যাবে না।
লন্ডন ভিজিট ভিসা ২০২৫
২০২৫ সালের লন্ডন ভিজিট ভিসা নিতে খরচ পড়ছে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে আপনি ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে পারবেন। লন্ডনে ভিসা নেওয়ার পরে কিন্তু অনেকেই সেখানে অবৈধভাবে থাকার চিন্তা ভাবনা করে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু আগের থেকে কঠিন নিয়ম করা হয়েছে।
তাই আপনি যদি চিন্তাভাবনা করেন যে লন্ডনে ভিজিট ভিসা নিয়ে সেখানে থেকে যাবেন তাহলে আপনাকে কঠিন একটা সময়ের মধ্যে যেতে হবে। কেননা লন্ডনে ভিজিট ভিসা নিয়ে থাকার পরে কিন্তু আপনাকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে তবে এক্ষেত্রে যদি তার মধ্যে আপনি যে কোন কাজে শিফট করতে পারেন তাহলে কিন্তু অনেকটাই সহজ এবং তাড়াতাড়ি ভিসা পরিবর্তন করতে পারবেন।
লন্ডন ফ্যামিলি ভিসা
লন্ডনের ফ্যামিলি ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সেখানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে সেখানে পৌঁছানোর পরে আপনি ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে আপনার ফ্যামিলির সদস্যদের কে নিয়ে যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ওখানেই স্থায়ী ভিসার জন্য আবেদন করে স্থানীয় হওয়া লাগবে তারপরে আপনি ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে আপনার ফ্যামিলির সদস্যদের কে নিয়ে যেতে পারবেন।