শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায়। মূলত শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনা অনেকটাই কঠিন একটি ব্যাপার তবে যদি আপনি ভাল খারাপ মেয়ে ডিফারেন্স করতে চান তাহলে শারীরিক গঠন দেখেই কিন্তু সেটা বুঝতে হবে মূলত কিশোর কিশোরীদের শারীরিক গঠন এক রকম হয় এবং বিবাহিত মেয়েদের গঠন মূলত আরেক রকম হয়ে থাকে তবে কিভাবে বুঝবেন কোন মেয়েটি কেমন এবং শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আজকের এই কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরেছি।
মূলত আমাদের সমাজে বিভিন্ন রকম মেয়েদের বসবাস সেখানে বিবাহিত মেয়ে এবং অবিবাহিত মেয়ে অনেক রয়েছে আবার নতুন কেউ যদি বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুজে থাকে তাহলে কিন্তু সে কিভাবে বুঝবে এর আগে কোথাও বিয়ে হয়েছে কিনা এবং তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কিনা এগুলো বুঝার জন্য মেয়েদের গঠন দেখেই মূলত বোঝা যায়।
তবে সব মেয়েদের গঠন কিন্তু একই রকম হয় না অনেক মেয়ে বিবাহ হওয়ার আগেই তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিবর্তন দেখা দিতে পারে তবে সেটা একেবারে যাচাই-বাছাই করা ঠিক হবে না তবে বিশেষ কিছু পদ্ধতি ফলো করে অথবা শরীরের বিশেষ কিছু অঙ্গের দিকে নজর দিলেই এটা বোঝা সম্ভব তবে কিভাবে বুঝবেন এই উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছি।
শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার উপায়
শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চিনতে হলে প্রথম অবস্থায় তার স্বাস্থ্যের দিকে ফলো করতে হবে। স্বাস্থ্য যদি ভালো হয় তাহলে তার ওই মেয়ের মন-মানসিকতা অনেকটাই ভালো হয়। স্বাস্থ্য ভালো মেয়েদের মন শান্ত প্রকৃতির এই মেয়েগুলো সঙ্গে ঝগড়া করে কম। খাটো মেয়েদের মনের মধ্যে অনেক ধরনের শয়তানি বুদ্ধি থাকে। লম্বা ছাড়া মেয়েদের বুদ্ধি কম হলেও যেকোনো পরিস্থিতি মানিয়ে নিয়ে চলাফেরা করতে পারে। খাটো মেয়েদের বুদ্ধি বেশি হয় এবং এরা অতি চালাকি করে থাকে।
শুধুমাত্র এই কয়টি গঠন দেখলে হবে না তার কথাবার্তা তার চাল চলন এগুলো ফলো করতে হবে যদি সে ছেলেদের সাথে বেশি ঘোরাফেরা করে তারা কেমন এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে হবে। সে পোশাক আশাক কেমন পড়ে এবং ধর্মীয় অনুভূতি কেমন রয়েছে সে বিষয়গুলো জানলেই একটা মেয়ের প্রকৃত চরিত্র টের পাওয়া যাবে।
বিবাহের জন্য সবথেকে ভালো এবং উপযুক্ত মেয়ে হলো শরীর স্বাস্থ্য ভালো হতে হবে সেই সাথে কথাবার্তা এবং তার চলাফেরা অবশ্যই ভালো হতে হবে। যে মেয়েদের শরীরের গঠন আঁকাবাঁকা করে হাঁটাচলা করে সেই মেয়েদের মনে অহংকার থাকে। চিকনা মেয়েদের শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয় সেই সাথে তাদের অনেক রাগ থাকে।
মুখ দেখে নারী চেনার উপায়
মুখে যদি অতিরিক্ত দাগ থাকে সে নারী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে অনেকটাই অমনোযোগী। যে কোন পরিস্থিতিতে যদি তার মুখ পরিষ্কার না থাকে তাহলে সে অনেকটাই অলস। মুখের আকার আকৃতি যদি কথা বলার সময় বেশি করে পরিবর্তন করে তাহলে তার চরিত্রের সমস্যা আছে। মুখের ভাষা যদি ঠিক না থাকে তাহলে সেই নারীর লজ্জা কম এবং কাউকে রেসপেক্ট করতে জানে না।
মেয়েদের মুখে সাধারণত দাগ সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেয় যে মেয়ের মুখে অতিরিক্ত দাগ থাকে তারা রাত জাগে এবং তাদের ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণ হয় না সেই সাথে ঘুম না হওয়ার কারণ হলো তারা নিয়মিত ঘুমাতে পারে না বলে তাদের ঘুম হয় না যদি মনের মধ্যে আজেবাজে চিন্তা প্রকাশ করে এবং সে আজেবাজে চিন্তাই মনোযোগ দিয়ে থাকে তাহলে কিন্তু তার মুখের পরিবর্তন হবে এবং তার মুখে অনেক দাগ দেখা দিবে।
বিবাহিত মেয়েদের চেনার উপায়
বিবাহিত মেয়েদের চেনার জন্য তাদের শরীরের গঠন দেখলেই বুঝা যায় বিবাহিত মেয়েদের মাজার দিকের সাইজ গুলো অনেকটাই আকৃতিতে বড় হয় এবং বুকের সাইজও অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে। তবে অনেক অবিবাহিত মেয়ে রয়েছে যাদের মাজার সাইজ এবং বুকের সাইজ আগে থেকে কিন্তু বেশি হয় এটি মূলত শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্যই তাদের পরিবর্তন হয়।
তবে কিশোর অবস্থায় যদি এসব মেয়েদের শারীরিক অঙ্গ এবং বুকের সাইজগুলো যদি বেশি হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে সেই মেয়ে বিবাহিত। আবার অনেকেই চিকনা মেয়ে আছে যারা বিবাহিত কিনা চেনা যায় না এক্ষেত্রে তাদেরকে পোশাকের মাধ্যমেই চিনে নিতে হয়। সাধারণত হিন্দু বিবাহিত মেয়েরা কপালে সিঁদুর পরে। কিন্তু মুসলমান মেয়েদের ক্ষেত্রে বিবাহিত মেয়েরা সালোয়ার কামিজ থ্রি পিস সহ শাড়ি পড়ার চেষ্টা করে এবং তারা হাতে ছড়িয়ে পরিধান করে সেই সাথে নাকে নাকফুল ব্যবহার করে।
শুধুমাত্র বিবাহিত মেয়েরা বেশি মাত্রায় নাকে নাকফুল ব্যবহার করে এই নাকফুল দেখে বুঝে নিতে হবে যে আসলে মেয়েটি বিবাহিত কিনা। বিবাহিত মেয়েরা হাঁটাচলা করার ক্ষেত্রে তেমন কোন গুরুত্বসহকারে চলাফেরা করে না। এবং পুরুষ মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য তেমনভাবে সে মুভমেন্ট করে না।
পোশাক আশাকের প্রতি তারা যত্নশীল হয় এবং তেমন কোন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বা নিয়মিত একই পোশাক পরিধান করার প্রবণতা থাকে। বিবাহিত মেয়েরা সাধারণত গেঞ্জি বা টি শার্ট টাইপের পোশাকগুলো কখনোই করেনা যদিও বা পড়ে থাকে তাহলে খুবই কম বয়সে যাদের বিয়ে হয় তারাই মাত্র এ সমস্ত পোশাকগুলো পড়ে।
সাধারণত টি-শার্ট সালোয়ার কামিজ থ্রি পিস পড়ে থাকে। এক হাতে চুড়ি পড়তে পারে আবার এক হাতে চুরি নাও করতে পারে। এদের হাতের আঙ্গুলে রিং পরানো থাকে তবে এক্ষেত্রে স্টাইলিশ রিংগুলো বেশি পড়ে থাকে। এক পায়ে তোড়া ব্যবহার করে অন্য পায়ে ব্যবহার করেনা। বাইরে গেলে তারা ছোট পার্টস ব্যবহার করে অথবা স্কুল কলেজ ব্যাগগুলো ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
নিয়মিত একই রকমের পোশাক পড়ে না প্রত্যেকদিন পোশাক পরিবর্তন করে। সেই সাথে সাজুগুজু করে বের হয় এবং চুল খোলা অথবা চুল বেঁধেই বের হয়। এদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো সাইজের দিক থেকে অনেকটাই চিপা চাপা হয়ে থাকে এবং জামাকাপড় এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে তারা একেবারে কেয়ারফুলি থাকে।
অবিবাহিত মেয়েরা পুরুষদের এড়িয়ে চলে এবং ভিড়ের মধ্যে তারা চলাফেরা করেনা সেই সাথে তারা একা একা বসে থাকতে পছন্দ করে নিরিবিলি পরিবেশে তারা দাঁড়িয়ে থাকে অথবা বসে থাকে। অবিভীত মেয়েরা সাধারণত শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে এরা উচ্চ মেজাজে অথবা উচ্চস্বরে কম কথা বলে। এরা ভিড় এবং যে সমস্ত এলাকাগুলোতে বেশি মাত্রায় ভেঙে ঐ সমস্ত এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।
শারীরিক গঠন দেখে সব মেয়েকেই চেনা যায় না এক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন কোয়ালিটির মেয়ে রয়েছে তারা সাধারণত অল্প বয়সে এবং বেশি বয়সেও তারা বিয়ে করে থাকে তবে বর্তমানে এখন বিবাহিত এবং অবিবাহিত মেয়েদের চেনা অনেকটাই দুষ্কর কারণ অল্প বয়সেও অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় আবার অনেকটা মোটা এবং স্বাস্থ্যবান মেয়েদের অনেক সময় বিয়ে হতে দেরি হয় এবং তারা বিয়ে দেরি করে থাকে।
তাই যে কোন মেয়েকে শরীরের গঠন দেখে অথবা পোশাক-আশাক দেখে কখনোই ডিসাইড করা যাবে না যে আসলে এটা কি ধরনের মেয়ে তাই সবকিছু জানার জন্য তার পারিবারিকভাবে অথবা তারা কেউ কোন বন্ধুর মাধ্যমে তার বিষয়ে ভালোমতো জেনে নেওয়া উচিত হবে এবং মেয়েকে দেখেই মন্তব্য করা যাবে না সে কেমন কিনা কোন মেয়ের মধ্যে কেমন কি গুণ রয়েছে তা জানার জন্য তার ফ্যামিলির সাথে অথবা তার সাথেই যোগাযোগ করতে হবে।