সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয় এবং এবং সিজারের সেলাই কাটার পরে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং কিভাবে চলাফেরা করতে হবে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি আশাকরি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয় এবং কিভাবে পরবর্তীতে চলাফেরা করতে হয় এই নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বর্তমানে নরমাল ডেলিভারি থেকে সিজারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে তবে অনেকেই জানেনা যে সঠিক সময়ে সেলাই কাটার নিয়ম সম্পর্কে তাই আজকে আমরা এই বিষয়টি তুলে ধরবো। আপনি যদি আগেই কেটে ফেলেন তাহলে কিন্তু আপনার সিজারের স্থানে সমস্যা দেখা দিতে পারে আবার আপনি দীর্ঘদিন ধরে যদি সেলাই দিয়ে রাখেন তাহলেও কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়।
এক্ষেত্রে ইনফেকশনজনিত সমস্যা অথবা আপনার সেখান থেকে যদি পুঁজ বের হয় এবং সেলাই থাকার কারণে অনেক সময় সেখান থেকে আরও নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে তাই অবশ্যই সঠিক সময়ে সেলাই খুলে নিতে হবে তা না হলে আপনার সেই স্থান থেকে নানা ধরনের প্রবলেম দেখা দিতে পারে।
সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়
সিজার করার পর তিন সপ্তাহ পর সেলাই খুলে ফেলতে হবে। বর্তমানে সিজারের পর দুইটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় একটি হল কসমেটিক সার্জারি অন্যটি হচ্ছে একটি নরমাল সুতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণ নরমাল শিলা এর ক্ষেত্রে যাদের ডায়াবেটিকস প্রবলেম থাকে বা অন্যান্য ইনফেকশনজনিত প্রবলেম থাকে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আর সিজারের এই সেলাই অপসারণ করতে হয় তিন সপ্তাহ পর।
তবে আপনাদের জানা উচিত যে কসমেটিক সার্জারি ব্যবহার করলে সেই শিলায় কাটা লাগেনা এটা অটোমেটিক ভাবে পরবর্তীতে চামড়ার সঙ্গে লেগে যায়। তাই এই শিলায় অপসারণ করা লাগেনা। আমরা নিশ্চয়ই আমাদের অন্যান্য কন্টেন্টের মধ্যে তুলে ধরেছে সিজারের জন্য কোন শিলায় ভালো হবে এবং বর্তমানে কোন শিলায় বেশি চলে এই নিয়ে বিস্তারিত হবে নিচের এই কনটেন্টে তুলে ধরেছি।
তাছাড়াও আজকে আমরা সিজার নিয়ে কয়েকটি আলোচনা করেছে যেমন সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয় এবং সিজারের ঘা শুকাতে কতদিন সময় লাগে এবং কি কি খাবার খেতে হবে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা অন্যান্য কনটেন্ট এর মধ্যেও তুলে ধরেছে আশা করি এই কমেন্টগুলো পড়লেই আপনারা সিজার সম্পর্কে এবং সিজারে কিভাবে ইনফেকশন হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
এবং আমরা এই কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরেছি যে সিজার অপারেশন কতবার করা যায় এবং প্রথম সিজার করার কতদিন পরে বাচ্চা নেওয়া যায় সেই সাথে আপনারা জানতে পারবেন তৃতীয় সিজারে কি কি সমস্যা দেখা দেয় এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা অন্যান্য কনটেন্ট এর মধ্যেও তুলে ধরেছি। আমরা পর্যায়ক্রমে লিংক দিয়ে দেবো সেখান থেকে আপনারা সিজার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
সিজার সেলাই কাটার সময় সাবধানতা
সিজারের সেলাই কাটার সময় অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী। অনেকেই অনভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে কিন্তু সিজারের সেলাই কেটে থাকে এক্ষেত্রে কিন্তু নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেখানে যদি উল্টাপাল্টা ভাবে কাটে এবং যদি অস্ত্রের আঘাত পাই তাহলে কিন্তু সেখানে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি পরবর্তীতে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
এবং সিজার সেলাই কাটার পরে সেই স্থান গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে আপনারা প্রতিবার গোসলের আগে ভালোমতো জায়গাটা পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলবেন তাহলে সিজারের কাটা স্থানে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করবে। এবং যদি পারেন সেই স্থানের নিমপাতা গরম পানির সাথে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে ধৌত করার চেষ্টা করবেন এতে করে দ্রুত সিজারের কাটা সারিয়ে তোলা যায়।
সিজার সেলাই কাটার পর পরামর্শ
সিজার সেলাই কাটার পরে কিছুদিনের জন্য রেস্টে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে তিনদিন পর্যন্ত কোন ধরনের ভারী কাজ না করা উচিত তা না হলে সিজারের স্থানে ইনফেকশনজনিত প্রবলেম দেখা দিতে পারে তাই চেষ্টা করবেন মিনিমাম তিন দিন পর্যন্ত একেবারে কম হাঁটাচলা করা এবং বাড়ির সিঁড়ি ব্যবহার না করা। এতে করে আপনার সিজারের স্থান এ কোন ধরনের প্রবলেম দেখা দিবেনা।
এবং সেইসাথে আপনাকে বাড়ি জিনিস উত্তোলন থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ওষুধগুলো সেবন করতে হবে তা না হলে সিজারের কাটা স্থান থেকে সমস্যা দেখা দিতে পারে এক্ষেত্রে যদি জোরে আঘাত পাই এবং সিজারের স্থানে যদি টান লাগে তাহলে কিন্তু সেখান থেকে মাংস সরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন সিজারের পরে সাবধানতা অবলম্বন করার।