রাতে ঘুমানোর আগে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন
সারাদিনের কাজকর্মে ত্বকে ধুলোবালি জমা টা খুবই স্বাভাবিক। আর এসব ধুলোবালি যদি সঠিক উপায়ে পরিষ্কার না করেন তাহলে কিন্তু ত্বকে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যা একসময়ে রূপ নেয় কালো দাগে।
আবার অনেকের আবহাওয়া কত কারণে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন কালো ছোপ দাগ। ত্বকের এসব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন খুব সহজেই। আজকের এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন ত্বকের যত্নে রাতে ঘুমানোর আগে কি কি টিপস অবলম্বন করবেন।
মেকআপ না তুলে কখনো রাতে ঘুমাতে যাবেন না
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ঘুমাবেন। তা না হলে এক ঘন্টার পর ঘন্টা আপনার লোমকূপ বন্ধ থেকে আপনার ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কোন মেকআপ রিমুভার দিয়ে মেকআপ তুলে নেবেন তারপর ঘুমাতে যাবেন।
সারাদিনের ধুলোবালি জমে ত্বকে। তাই মেকআপ না করলে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো কোন ক্লিনছার দিয়ে মুখটাকে মুছে ফেলতে হবে। এতে আপনার ত্বক কিন্তু বেশ সতেজ থাকবে।
মুখ কোন ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে ধোয়ার পর ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স একটু শুষ্ক করে দেয়। তাই মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই টোনার লাগান। এক্ষেত্রে আপনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকবে।
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন
রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগে ত্বকে ভালো করে ময়েশ্চারাইজ করা জরুরি। তবে যেকোনো ময়েশ্চারাইজার ক্রিম দিয়ে নয়। ভালো কোন নাইট ক্রিম দিয়ে ত্বকের 5 মিনিট ম্যাসাজ করুন এতে আপনার ত্বক আদ্র থাকবে।
মুখের পরিচর্যার ক্ষেত্রে চোখের পাতা ফুলে গেলে কিন্তু চলবে না। চোখের নিচের কালো দাগ এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের ফোলা ভাব দূর করার জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের নিচে আন্ডার আই ক্রিম দিয়ে দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে আপনি উপকারী পাবেন।
হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
সপ্তাহে অন্তত একটা রাত মুখের মাক্স ব্যবহার করুন। এরপর 10 থেকে 15 মিনিট পর হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে দেখবেন আপনার ত্বককে বেশ সতেজ লাগছে।তবে এক্ষেত্রে আপনার ত্বকের ধরন ও প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক মাক্স টি বেছে নিন। এই ভাবে যদি আপনি এই টিপসগুলো অবলম্বন করেন তাহলে কিন্তু দেখবেন আপনার ত্বক অনেক সুন্দর এবং সতেজ হয়ে গেছে।
ত্বক ভালো রাখার উপায়
ত্বক ভালো রাখতে হলে অতিরিক্ত কসমেটিকস অথবা ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া অযথা কোনো অতিরিক্ত মেকআপ করা যাবে না। অতিরিক্ত মেকআপ করলে চেহারা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই বাজে ব্যান্ড অথবা বাজে ক্রিম ব্যবহার হতে বিরত থাকুন। নাইট ক্রিম একেবারেই ব্যবহার না করাই ভালো তবে সে ক্ষেত্রে যদি ভাল কোন ব্যান্ড এবং পার্শপ্রতিক্রিয়া নাই এমন নাইট ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনেক নাইট ক্রিম এর দ্বারা সাইড ইফেক্ট হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে চেহারার আদ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এটা সাময়িক সময়ের জন্য সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে কিন্তু পরবর্তীতে ফেসের সৌন্দর্য তা নষ্ট করে ফেলে তাই নাইট ক্রিম হালকা ভাবে ব্যবহার করা ভালো। এতে করে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে আবার আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করবে।
ত্বকের যত্নে নারকেল তেল
নারিকেল তেল শুধু চুলের জন্য উপকার করে না এটি ত্বকের জন্যও উপকার করে থাকে। কারণ যদিও দূরত্ব কাটা থাকে এবং কালচে দাগ থাকে তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি প্রত্যেকদিন হালকা করে সেসব স্থানে লাগিয়ে রাখে তাহলে আস্তে আস্তে সে সমস্ত দাগগুলো দূর হয়ে যায়। এবং ত্বককে নরম এবং সফট করে। এতে করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে রোদের আদ্রতা এবং কালো দাগ হতে দূরে রাখে।
কারো যদি অতিরিক্ত রোদে পোড়া কালো দাগ তৈরি হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে নারিকেল তেল ত্বকের যত্নে ব্যবহার করলে তার সেই সমস্ত রোদে পোড়া দাগ গুলো খুব দ্রুত সরিয়ে ফেলবে নারিকেল তেল তাই এইভাবে যদি এক সপ্তাহের সাত দিন হালকাভাবে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের যত্নে লেবু
ত্বকের যত্নে লেবু অত্যন্ত কার্যকরী একটি টিপস। কেউ যদি প্রত্যেকদিন হালকাভাবে লেবুর রস দিয়ে সমস্ত মুখমন্ডল মাস্টার্স করে তাহলে তার ত্বকের সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। প্রথমে হালকা ভাবে লেবুর রস তৈরি করতে হবে তারপরে আংগুল দিয়ে ত্বকের সমস্ত মুখমন্ডলে ভালোমতো লাগাতে হবে এভাবে কাছ থেকে 6 মিনিট ম্যাসাজ করুন তারপরে মুখ ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন করলে তার তারপর নরম হবে এবং ফাটা কালোদাগ দূর হয়ে যাবে। তাছাড়াও ত্বকের নতুন কোষ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- লতা হারবাল ক্রিম এর উপকারিতা | লতা হারবাল ক্রিম এর দাম | লতা হারবাল ফেসওয়াশ
- নাইট ক্রিম কোনটা ভালো | নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম | ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
- ঘরোয়া উপায়ে নাইট ক্রিম তৈরি | ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম বানানোর উপায়
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন