আজকে আমরা কথা বলবো ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগে এবং কি কি দক্ষতার উপরে বর্তমানে কাজ পাওয়া যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে। তাছাড়াও বর্তমানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি কোন স্কিল ডেভেলপ করে ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে ঢুকতে পারবেন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমাদের এই কনটেন্টে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি সম্পূর্ণ কনটেন্টটি করলে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি
প্রথমেই জেনে নেয়া উচিৎ তা আসলে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি। এটা আসলে অনেকেই মনে করে যেটা একটি মুক্ত পেশা। কিন্তু আসলে কিন্তু তা নয় যখন আপনি পরিপূর্ণভাবে কাজ করতে পারবেন তখন কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং আপনার একটি পেশা হয়ে দাঁড়াবে তখন আপনাকে নিয়মিত কাজে থাকা লাগবে। কারণ আপনাকে ঠিকঠাক সময়ের মধ্যে আপনার ক্লায়েন্টের কাজ সাবমিট করতে হবে এবং পাশাপাশি আপনাকে অন্যান্য ক্লায়েন্টদের সাথে ও সময় দিয়ে তাদেরকে সহায়তা দিতে হবে তা না হলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
এবার আসা যাক ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি মূলত ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সমস্ত কাজগুলো করা হয় তার সবগুলো অনলাইন ভিত্তিক। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায় যেমন ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং, ভিডিও এডিটিং, অ্যানিমেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফিল্ম মেকিং, স্টরি ক্রেতর কোথায় আপনি অনলাইন ভিত্তিক যে সমস্ত কাজ গুলো বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে করে নেওয়া যায় তাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
এটা হতে পারে বিভিন্ন ধরনের কাজ তাই যে সমস্ত কাজগুলা একজন আরেকজনের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাহায্যে তা সম্পূর্ণ করে দেয় তাই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড কাজ আর এই কাজগুলোই বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া সহ অন্যান্য দেশের মানুষজন করে দিচ্ছে বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষজনের।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গেলে কি কি লাগে
আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান। কিন্তু সঠিক ভাবে জানেন না যে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আসলে কি কি লাগে। আজকের পোস্টে আমরা এসকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রথম অবস্থায় আপনার কোন কোন জিনিসগুলো থাকা প্রয়োজন।
কম্পিউটার অথবা একটি ল্যাপটপ
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে প্রথমে আপনার যে জিনিসটা থাকতে হবে সেটা হচ্ছে একটা ডেস্কটপ কম্পিউটার অথবা একটি ল্যাপটপ। অনেকেই বলে মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। এটা আসলে পুরোপুরি সঠিক না। ফ্রিল্যান্সিং এমন কিছু সেক্টর আছে যেগুলো মোবাইল ফোন দিয়ে করা সম্ভব।
কিন্তু মোবাইল ফোনের এতোটুকু স্ক্রিনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো সহজ ভাবে করা সম্ভব নয়। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বাসায় একটা কম্পিউটার অথবা একটা ডেক্সটপ থাকা দরকার।
আপনাদের যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই তারা খুব কম দামে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিনে নিতে পারেন। অথবা 10 12 হাজার টাকা দিয়ে একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার বানিয়ে ফেলতে পারেন।
এখন একটা ডেক্সটপ কম্পিউটার তৈরি করতে হিউজ পরিমান টাকা খরচ করতে হয় না। আপনারা যদি প্রপার নলেজ থাকে তাহলে আপনারা খুব কম দামের ভিতরে একটি কম্পিউটার বানিয়ে ফেলতে পারবেন। অথবা ভালো দেখে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিনে নিতে পারেন। এটা হচ্ছে আপনার প্রথম রিকোয়ারমেন্ট। অর্থাৎ প্রফেশনাল হবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকতে হবে।
ডোমেইন কি? কত প্রকার ? জেনে নিন ডোমেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
ইন্টারনেট কানেকশন
এরপরে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সাথে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। ব্রডব্যান্ড হোক অথবা আপনি মডেম দিয়ে বা যেটা দিয়ে কানেকশন দেন না কেন। ইন্টারনেট কানেকশন থাকা লাগবে।
কারণ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার এই দুইটা অবশ্যই অবশ্যই প্রয়োজন। তাই আপনার অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
যারা শহরে থাকেন তারা ব্রডব্যান্ড ইউজ করতে পারবেন। যারা গ্রামাঞ্চলে থাকেন তারা ওয়াইফাই যদি নিতে পারেন তাহলে নিবেন না হলে মডেম দিয়ে চালাতে পারেন। ইন্টারনেট ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই জরুরী। হয়তো আপনাকে 24 ঘন্টায় সবসময় অনলাইনে থাকতে হতে পারে।
কম্পিউটার নলেজ
এক্ষেত্রে আপনাদের বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অনেকেই আছেন যারা কম্পিউটার টেপা টিপি কিছু করতে পারেন না।কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করতে যাচ্ছেন তাহলে কিন্তু হবে না। আপনাকে আগে কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
যেমন কম্পিউটার টাইপিং এর কাজ গুলো জানতে হবে আপনাকে ভালোমতো। এছাড়াও মাইক্রোসফট অফিস এক্সেল পাওয়ারপয়েন্ট সহ আরো বেসিক কিছু কাজ আছে সেগুলো আপনাকে জানতে হবে।
ইন্টারনেট কিভাবে কম্পিউটারে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে হবে। কিভাবে সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন সেগুলো জানতে হবে। অবশ্যই এই জিনিসগুলো আপনাকে জানতে হবে। এই জিনিসগুলো আপনারা সঠিকভাবে জানলে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে পারবেন। কাজ শিখতে বা শুরু করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করে? ডিজিটাল মার্কেটিং গাইডলাইন
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে দক্ষতা থাকতে হবে
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি যে সেক্টরে বা বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে আপনার পর্যন্ত স্কিল থাকতে হবে। ধরেন আপনি গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন ফ্রীলান্সিং সেক্টর। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইন এ কাজটা ভালোমতো রপ্ত করতে হবে।
গ্রাফিক ডিজাইন ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ের এমন অনেক অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে যেমন ওয়েব ডেভলপিং অ্যাপ ডেভলপিং কনটেন্ট রাইটিং ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রতিটা সেক্টরেই আপনি চাইলে কাজ করতে পারবেন। তবে যে সেক্টরেই কাজ করেন না কেন সেই সেক্টরে আপনার পর্যাপ্ত স্কিল থাকতে হবে কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
তবে হ্যা আপনি যে জিনিসটা তো এক্সপার্ট এই জিনিস টা আপনার ভালো লাগে ইন্টারেস্ট বেশি আপনার সে বিষয়টা নিয়ে কাজ করাকে আমি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিব। বিষয়টা আপনি কিন্তু সহজেই খুব ভালো হবে এবং মনোযোগ সহকারে রক্ত পড়তে পারবেন কারন সে জিনিসটা আপনার ভালো লাগে।
যে কোন কাজ করতে গেলে অবশ্যই আপনার এসকে লাগবে স্কিল থাকা অবশ্যক। যদিও এটা আমার প্রথমে বলা উচিত ছিল। যেহেতু আমি আজকে এই পোস্টে বলতেছি ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কি কি থাকা লাগবে তাই আমি সিরিয়ালে একটার পর একটা বলার চেষ্টা করেছি।
আই স্কিল বা কাজের দক্ষতা কিন্তু আপনার অবশ্যই থাকা লাগবে। এর জন্য আপনারা যেটা করতে পারেন গুগোল বা ইউটিউবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন এবং সেগুলো পরিবার দেখে শিখতে পারেন। অথবা বিভিন্ন ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স করে ফিলান্সিং শিখতে পারেন।
টিকটক থেকে টাকা ইনকাম পদ্ধতি। টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে প্র্যাকটিস
আপনি যদি কোন কাজের প্রতি স্কিল থাকে তাহলে সেটা নিয়ে প্রতিনিয়ত প্যাকটিস করে যেতে হবে। আপনি একটি কাজ শিখলেন অথবা একটি কাদের উপর দক্ষতা অর্জন করলেন কিন্তু ওটা যদি আপনি প্র্যাকটিস করতে না থাকেন তাহলে দেখা যাবে আপনি একসময় ওই কাজটি ভুলে যাবেন।
ভাই অবশ্যই আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে কোন কাজ শিখার করে সেটা নিয়মিত প্যাকটিস করতে হবে। তাহলে কিন্তু আপনি সেই কাজটার উপর খুব ভালোমতো দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট
এভাবে সেটা হবে একটা সেটা মার্কেটপ্লেসে আপনার একাউন্ট। তারাপীঠে মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন সেখানে একটা অ্যাকাউন্ট করতে হবে। আপনারা সবাই অনেক মার্কেট প্লেসের নাম শুনে থাকবেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Fiver.com Freelancer.com Upwork.com. এই তিনটি মার্কেটপ্লেসে সবথেকে বেশি ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে থাকে। এবং এই তিনটি মার্কেটপ্লেস কিন্তু সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রফেশনাল এবং সুন্দরভাবে একটা আপনাকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান
শেষ কথা
উপরে আলোচিত স্টেপগুলো যদি আপনি সুন্দর হবে ফিলাপ করতে পারেন তখন মার্কেটপ্লেসের যখন কাজ করতে আসবেন তারপর যখন আপনি ওখানে জবের জন্য এপ্লিকেশন করবেন বা আবেদন করবেন তারপর এই কিন্তু আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু হয়ে যাবে।
তাই যারা জানতেন না যে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কি কি করতে হবে বা কি কি জিনিস থাকা লাগবে তাদের জন্য ছিল আজকের মতো এই পোস্টটি। আপনি যদি একটি কাজ সঠিক ভাবে করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন।
এই ছিল আজকের পোস্ট। প্রতি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন আর ভালো লাগলে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন