ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি
হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব অনলাইনে কোন কাজ গুলোর চাহিদা বেশি এবং কোন কাজগুলো শিখে আপনি মোটামুটি অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। যদি আপনি আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।
ডেভলপার
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে সেখানে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে। মনে করুন একটি বায়ারের সে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে চায়। এখন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে একজন ডেভলপার লাগবে। সেই ডেভলপার সুন্দর ভাবে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার
ওয়েব সাইটিকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য কিছু ব্যানার লোগো ইমেজ আইকন এ ধরনের কিছু গ্রাফিক্স জিনিস লাগবে। এখন এই গ্রাফিক্স জিনিসগুলো কে দিবে? এর জন্য একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে হায়ার করতে হবে। তারপর সেই ডিজাইনার লোগো, ব্যানার ইত্যাদি এ ধরনের জিনিস গুলো তৈরি করবে।
বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মনে করুন আপনি একটি শার্ট তৈরি করবেন সেটি শার্টের ডিজাইন তৈরি করা লাগতে পারে এবং টি শার্ট মার্কেটিং করার জন্য পোস্টার অথবা ব্যানার তৈরি করার প্রয়োজন পড়তে পারে অথবা শেট্টি ভালোমতো ডিজাইন এবং কালার কম্বিনেশন দিয়ে সুন্দর একটি ডিজাইন তৈরি করার প্রয়োজন পড়তে পারে এক্ষেত্রে বোঝাই যাচ্ছে যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তারা মনে করেন যে আপনি যদি একটি ব্যান্ড তৈরি করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে অথবা আপনি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে যাচ্ছেন যেখানে আপনার বিভিন্ন ধরনের থাকবে কোথায় কি ধরনের সিস্টেম থাকবে সেই বিষয়গুলো তার আগে আপনি একটি পিএসডি ফাইল এর মাধ্যমে দেখতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনে প্রয়োজন পড়ে তাই এক কথায় বলা যায় যে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন সেক্টর গুলোতে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
তাই ভবিষ্যতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাবে এবং চাইলে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে লোগো ডিজাইন, পোস্টার, টি-শার্ট, বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন তাছাড়াও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কনটেস্ট অংশগ্রহণ করে ভালো ভালো কাজ ধরতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটার
ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শেষ হয়ে গেল। এখন ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখতে হবে। প্রোডাক্ট গুলোর জন্য প্রডাক্ট ডেস্ক্রিপশন লিখতে হবে।আর এ জন্য একজন কনটেন্ট রাইটারকে হায়ার করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার প্রয়োজন পড়ে। তাই কনটেন্ট রাইটিং করে আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো একটি পেশা হিসেবে তৈরি করে নিতে পারবেন।
বর্তমানে কনটেন্ট রাইটার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনে নতুন নতুন প্রোডাক্ট তৈরীর কাজ চলছে এবং সেইসাথে মার্কেটিং কাজের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করা লাগে। তাই আপনি চাইলে ভালো কনটেন্ট রাইটার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সুযোগ তৈরী নিতে পারবেন। এবং কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিজেকে প্রফেশনাল নিয়োজিত করতে পারবেন।
মার্কেটিং
তারপর তার ওয়েবসাইট এবং প্রডাক্ট কে মার্কেটিং করার জন্য একজন মার্কেটার এর প্রয়োজন হবে পাশাপাশি একজন এসইও এক্সপার্ট এর প্রয়োজন হবে ওয়েবসাইটকে র্যাংকিংয়ে আনার জন্য।
যেভাবে একটি নতুন কোম্পানি তৈরি হলে সেটা সবার কাছে পরিচিত পাওয়াতে হয় তেমনি একটি ওয়েবসাইটকে সবার কাছে পরিচিত করে তোলার জন্য একজন মার্কেটিং এক্সপার্ট এর প্রয়োজন।
ওয়েবসাইটের জন্য যদি ভিডিও বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং করতে চান তাহলে একজন ভিডিও এডিটর বা ত্রিডি এনিমেশন করতে পারে এরকম করো দরকার পড়বে।
সাপোর্ট ম্যানেজার
তারপর যদি আপনার পণ একটু বেশি পরিমাণ সেল হয় তখন কাস্টমারের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কল সেন্টার সাপোর্ট ম্যানেজার ফ্রিল্যান্সারের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল অথবা বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপোর্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। সাধারণত দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর সাপোর্ট ম্যানেজার প্রয়োজন পড়ে। এভাবে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
ফোন কেনার আগে ফোন সম্পর্কে কয়েকটা জিনিস জেনে নেওয়া আমাদের অতি জরুরী |
ফ্রিল্যান্সিংয়ে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
পরবর্তীতে যদি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য একটি অ্যাপস তৈরি করতে চান সেটাও কিন্তু অনেক ভালো। ওই ছেলের জন্য একটি অ্যাপস তৈরি করলে কাস্টমার সহজেই ডাউনলোড করে কেনাকাটা করতে পারবে। এজন্য আপনাকে একজন অ্যাপ ডেভেলপার কেয়ার করতে হবে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর অ্যাপস তৈরি করার জন্য।
সুতরাং আপনারা একটু খেয়াল করলেই দেখবেন আমি যেসব ক্যাটাগরি নিয়ে আলোচনা করেছি শেগুলোর যেকোনো একটি নিয়েই যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন এগুলো প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে।
ডেভলপার,ডিজাইনার, মার্কেটার, এডিটর এসইও বিষয়গুলোর উপর যারা স্কিল ডেভলপমেন্ট করেছে তারা নিয়মিত কাজ পেয়ে যাচ্ছেন এবং আপনিও যদি এই কাজ করতে চান এগুলো উপর স্কিল ডেবলপ করেন তাহলে আশা করি আপনারা কোনো কাজের অভাব হবে না। তবে হ্যা এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য রাখতে হবে।
উপরে উল্লেখিত কাজগুলো থেকে ইনকাম শুরু হতে কোন গুলোর এক বছরও লাগতে পারে। আবার কোনো গুলোতে তিন-চার মাসের মধ্যেই আপনার ইনকাম চলে আসবে সেটা নির্ভর করবে আপনার উপর আপনি কোন কাজটি শিখবেন কত সময় নিয়ে শিখবেন তার উপর।
যদি আপনি মার্কেটিং শিখেন তাহলে ৩/৪ মাসের মধ্যে শিখতে পারবেন।আর যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান তাহলে সময় বেশি লাগবে। সেক্ষেত্রে আপনার ৬ মাস বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।
যদি আপনি উপরের আলোচিত যেকোনো একটি বিষয়ের উপর স্কিল ডেভলপমেন্ট করেন তাহলে আশা করি সেটা যুগোপযোগী একটি সিদ্ধান্ত হবে। কারন বর্তমানে এই কাজ গুলোর চাহিদা মার্কেটপ্লেসে এখন খুব বেশি চলতেছে।
আজকে এই পর্যন্তই আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। পোস্টটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রমই হতে হবে মিনিমাম ছয় মাস এর মত আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে তাহলেই আপনি ওয়েব ডেভলপমেন্টের মোটামুটি লেভেল অতিক্রম করতে পারবেন এবং সেখান থেকেই ভালো পরিমাণ কিছু আর্নিং করতে পারবেন যেখান থেকে আপনি দিনশেষে একটি ভাল ফলাফল পাবেন অতএব মিনিমাম ছয় মাস আপনাকে অবশ্যই সময় দিতে হবে কঠোরভাবে দিনে 6 থেকে 7 ঘণ্টা করে শেখার পিছনে সময় দিতে হবে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন