বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি? কোন কাজের বেতন বেশি?

    বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি? কোন কাজের বেতন বেশি?


    বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি বা কোন কাজের বেতন বেশি? কোন কাজগুলো ভালো এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি। যারা বিদেশ যাবেন বা যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করতেছেন তাদের জন্য আজকের পোস্ট টা খুবই হেল্প ফুল একটি পোস্ট হতে পারে।

    বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

    আসলে বিদেশে কাজ করার জন্য বিশেষ করে আমি ইউরোপের কথা বলব আমাদের দেশের মানুষ খুব বেশি ইউরোপ পছন্দ করে, ইউরোপে যায় সেখানে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করার জন্য যেই জিনিসগুলো আপনার খুব প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে আজকে আমরা step-by-step আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করি!


    বিদেশে যাওয়ার আগে ভাষা

    বিদেশে কাজ করার জন্য আপনাকে যে জিনিসটা সবার আগে দরকার সেটা হচ্ছে, যে দেশে যাবেন সেই দেশের ভাষাটা আগে ভালভাবে শেখা। আপনি বাংলাদেশ থেকে অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রি পাস করছেন  কিন্তু আপনি বিদেশে গিয়ে সেই দেশের যদি ভাষা না জানেন তাহলে এই লেখা পড়াটা কোন কিন্তু মূল্য থাকবে না।


    সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন দেশে জাবেন। যে দেশে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করতেছেন বা জাবেন সে দেশের বেসিক ল্যাংগুয়েজটা আগে শিখে নেন।


    আমাদের দেশে ভিসা প্রসেসিং হতে হতে প্রায় দুই মাস থেকে 1 বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। এই সময়টাতে আপনি ওই দেশের ভাষাটা শিখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যখন আপনি ওই দেশে যাবেন তখন কাজ পাওয়ার  সুবিধা হবে আপনার জন্য।


    বিদেশি কোন কাজগুলো সহজে পাওয়া যায় 

    আমাদের দেশের মানুষেরা বা বাংলাদেশী প্রবাসীরা বিদেশে বা ইউরোপে যে কাজগুলো খুব বেশি পেয়ে থাকে সেটা রেস্টুরেন্টের কাজ। এই রেষ্টুরেন্টের কাজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে কাজে বেতন সেটা হচ্ছে সুশি স্টুডেন্ট এর কাজ।


    রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?   সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?


    বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোতে কাজের চাহিদা বাড়তেই আছে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মীও কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই যাচ্ছে তবে আপনারা যদি বিদেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই দেশ থেকে ভালো একটি কাজ শিখে তারপরেই বিদেশে যাওয়া উচিত


    বিদেশে সব থেকে চাহিদা বেশি কাজগুলোর মধ্যে ইলেকট্রিক কাজ, ড্রাইভিং, ফ্যাক্টরি, ক্লিনার ম্যান, গ্যারেজ, সহ আরো অনেক ধরনের কাজ রয়েছে এই কাজগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায় তাই আপনারা যদি এই কাজগুলো নিয়ে বিদেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞতা থাকতে হবে


    নরমালি সব কাজগুলোতে যে অভিজ্ঞতা থাকা লাগে তা কিন্তু নয় এক্ষেত্রে আপনারা যে কাজগুলো ভালো পারেন সেই কাজগুলো সেখানে যদি গিয়ে করতে পারেন তাহলে কিন্তু ভালো বেতন পাওয়া সম্ভব


    সুশি রেস্টুরেন্ট কি বা এর কাজ কি 


    সুশি কাজ হচ্ছে চায়না, জাপানিজ এবং কোরিয়ানরা যে রেস্টুরেন্টে খাবার খায় ওটাকে বলা হয় সুশি রেস্টুরেন্ট। সুশি রেস্টুরেন্ট টা একটু নিট এন্ড ক্লিন থাকে। যখন যেখানে কাস্টমার বসে খাবার খায়, তখন এখান থেকে দেখা যায় ভিতরে কোথায় কি রান্না হচ্ছে এরকম টাইপের।


    সুশি রেস্টুরেন্টে কাজের বেতন টা কিন্তু অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে সুশি যে শেপ আছে নতুন অবস্থায় কেউ যদি  শেপের কাজ করে সে ক্ষেত্রে 12 থেকে 15 ইউরো বেতন পেতে পারেন।আবার যদি আপনি কাজ শিখে যেতে পারেন তখন কিন্তু ১৬০০থেকে ২৫০০ ইউরো পর্যন্ত বেতন পাবেন।


    যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে নতুন গেছেন। কাজ জানেনা ভাষাও তেমন ভালভাবে জানেন না। এমন অবস্থায় আপনি যদি রেস্টুরেন্টে কাজ করতে চান তখন আপনকে কিচেন এর পিছনে কাজ দিবে। 


    কিচেন এর পিছনের  কাজ মানে প্লেট ধোয়া পাতিল ধোঁয়ায় চিকেন ম্যাক করা এই ধরনের কাজ গুলো। এই কাজগুলোতে আপনি 800 থেকে 1000 ইউরো পর্যন্ত বেতন পাবেন।যখন আপনি কাজ জানবেন শেপের পাশে থাকতে থাকতে কিছু কাজ শিখবেন তখন আপনার বেতন বাড়তে থাকবে।


    বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?


    বিদেশে ওয়েটারের কাজ


    আপনি যদি ওয়েটারের কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ওই দেশের ভাষা টা ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। অন্যথায় আপনি যখন কাস্টমার এর ওয়াডার নিবেন তখন আপনার সমস্যায় পড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশ থেকে ওয়াটার এর কোর্স করে যেতে পারেন। 


    পাশাপাশি যে দেশে আসবেন ঐ দেশের ভাষা টাও শিখবেন।তাহলে আপনার জন্য এখানে ভালো একটা কাজ তৈরি হয়ে থাকবে অর্থাৎ যাওয়ার সাথে সাথেই খুব সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন।


    বিদেশে কনস্ট্রাকশনের কাজ

    কনস্ট্রাকশনের কাজ প্রচুর পরিমাণের পাওয়া যায়। বাংলাদেশিরা এই ধরনের কাজগুলো করে থাকে বেশিরভাগ। সবচেয়ে বেশি করে পাকিস্তান সহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা। যারা বাংলাদেশি নতুন সাধারণত তারা এই ধরনের কাজ গুলো বেশি করে থাকে। বেতন এক্ষেত্রে প্রতিদিন 35 থেকে 40 ইউরো পায়। তাতে মাসে আপনি 12 থেকে 14 ইউরো ও পেতে পারেন নতুন অবস্থায়।


    কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত


    বিদেশে বর্তমানে যারা আছে তাদের বেশিরভাগই কর্মী কিন্তু কনস্ট্রাকশন এর কাজ করে থাকে এ ক্ষেত্রে কনস্ট্রাকশন কাজে যদি আপনি সময় দেন তাহলে প্রত্যেকদিন ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পাবেন এক্ষেত্রে বেতনও কিন্তু আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি পাওয়া যাচ্ছে


    প্রত্যেক মাসে এভারেজ ৫০ হাজার টাকা করে যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে বেতন তোলা সম্ভব তাই সেই হিসেবে যদি আপনি নরমালি এশিয়ার কান্ট্রির ভিতর যেতে চান তাহলে এই বেতন নিয়ে আপনি ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন সাধারণত দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর এসব গানটি গুলোতেও বর্তমানে কনস্ট্রাকশনের কাজ করে ভালো পরিমান বেতন তোলা সম্ভব হচ্ছে


    বিদেশে টাইস বা মার্বেল এর কাজ 

    কনস্ট্রাকশন এর ভিতরে আরেকটা জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে টাইস বা মার্বেল এর বিভিন্ন কাজ যারা জানেন তারা এগুলো করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন 40 থেকে 50 ইউরও পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।


    আর টাইলস এন্ড মার্বেল  যখন আপনি কার জানবেন তখন প্রতিদিন 80 থেকে 85 থেকে ইউরো পারেন দেখা যাবে আপনি মাসের তখন  2400  থেকে 3000 ইউরো পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাছাড়া বর্তমানে এই কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উনো কনস্ট্রাকশন কম্পানি তে এর লোকের সংখ্যা দিন দিন আরো কমে যাচ্ছে অথবা নতুন যারা ভিসা নিয়ে কাজে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্যই কাজটি হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভ্যালুয়েবল কাজ


    বিদেশে যে সমস্ত নতুন নতুন সৃষ্টি হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ তা পালন করে। এই কাজের আপনারা তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে খুব সহজে বিদেশে গিয়ে কাজ করতে পারবেন বর্তমানে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া সহ অন্যান্য দেশগুলোতে এই কাজের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে


    সিঙ্গাপুরে টাইলসের কাজ করে অনেকেই আছে যারা মাসে 80000 টাকা থেকে শুরু করে দিল লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। আবার অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে বেতন অনুযায়ী কাজ করছে


    বিদেশে ইলেকট্রিক্যাল কাজ

    যারা ইলেকট্রিক্যাল কাজ জানেন তারা এখানে এসে কাজগুলো করতে পারেন। নতুন অবস্থায় মাসে 1200 থেকে 1400 ইউরো পর্যন্ত বেতন পাবেন। যখন আপনি ভালো মানের কাজ জানবেন একটু অভিজ্ঞতা বাড়বে তখন আপনি প্রতিদিন আশি থেকে নব্বই ইউরো পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।


    বলাই বাহুল্য যে বিদেশে প্রতিনিয়ত ও ইলেকট্রিক্যাল এর কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এ ক্ষেত্রে নতুন বাসা বাড়ি তৈরীর ক্ষেত্রে ওয়ারিং এর কাজ এবং বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে এবং কনস্ট্রাকশন কম্পানি তে এই লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে। তাই যারা চিন্তা ভাবনা করছেন বিদেশে ইলেকট্রিকের কাজ করবেন তারা চাইলে দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুব সহজেই বিদেশে এলেক্ট্রাইক্যাল এর কাজ করতে পারবেন


    ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গুলোতে ইলেকট্রিক্যাল কাজের চাহিদা থাকার কারণে অনেকেই ফ্রী ভিসা পেয়ে যায় আবার অনেকে কোম্পানিভেদে ভিসা পেয়ে যায়। তাই প্রথম অবস্থায় আপনি যদি কোন দেশে ইউরোপ কান্ট্রি তে ঢুকতে চান তাহলে আপনাকে স্পেসিফিক কিছু কাজ দিয়ে তারপর ঢুকতে হবে যেমন ইলেকট্রিক্যাল এর কাজের চাহিদা আছে বলেই যদি আপনি কাজটি শিখেন তাহলে কিন্তু আপনার কাজ পাওয়া সহজ হবে


    বিদেশে মোবাইলের সার্ভিসিং কাজ এর চাহিদা

    আপনি যদি মোবাইলের দোকানে বিভিন্ন সার্ভিসিং এর কাজ করতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় 1000 ইউরো পর্যন্ত বেতন পাবে। যদি আপনি ভাষা জানেন তাহলে সেলসম্যানের কাজ করতে পারবে। সেলসম্যানের কাজ করলেই বেতন পাবেন তখন 15 শ থেকে 18 শ ইউরো পর্যন্ত।


    এই কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাছাড়াও দেশেও কিন্তু বর্তমানে মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়তেই আছে। তাই কেউ যদি চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন দেশে গিয়ে কাজ করতে পারবেন অথবা নিজেও দেশে বসেও আপনারা কাজ করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞতা তৈরি করে নিতে হবে কোথা থেকে অভিজ্ঞতা তৈরি করবেন এবং কি কি প্রশিক্ষণ নেওয়া লাগবে বিস্তারিত নিচে তুলে ধরব


    মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ


    আপনি যদি মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ জেনে থাকেন তাহলে ভালো পরিমাণের বেতন পেতে পারেন। ভালোতো কাজ করলে আপনার বেতন হতে পারে 1800 থেকে 2000 ইউরো পর্যন্ত।


    মোবাইলের দোকানে কাজ বা মোবাইল সার্ভিসিং বা সেলসম্যান এই ধরনের কাজ গুলোর জন্য অবশ্যই আপনার ডকুমেন্টস বা কাগজ থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার TRP (Temporary Residence Permit) অথবা PR(Permit of Residence) ডুকুমেন্ট থাকতে হবে। যদি আপনার এই ধরনের ঢুকবে না থাকে তাহলে এই ধরনের কাজ গুলো পাওয়া একটু কষ্টকর হয়ে থাকে।



    বিদেশে ড্রাইভিং এর কাজের চাহিদা


    অনেকেই বলে থাকেন যে ভাই আমি ড্রাইভিং জানি সেখানে ড্রাইভিং এর কাজ করতে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেদেশে ট্রেনিং এর কাজ করতে পারব কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। 


    হ্যাঁ অবশ্যই ড্রাইভিং এর কাজগুলো করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এখানে আসার পর আপনাকে পারমিট পেতে হবে। অর্থাৎ TRP (Temporary Residence Permit) অথবা PR(Permit of Residence)  পেতে হবে। যদি কাগজ পেয়ে যান তাহলে আপনি উবার এর কাজ করতে পারেন। 


    ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি? দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

    কারণ এখানে প্রায় সবাই ড্রাইভিং জানে সবাই নিজের নিজের গাড়ি ড্রাইভ করে। তাই এখানে এসে আপনাকে উবারের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি বেতন পাবেন 12 থেকে 14শ  ইউরো।


    বিদেশের সবথেকে ভালো বেতন এবং ডিমান্ডেবল কাজ হল ডাইভিং। ড্রাইভিং এর কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ এবং ভালো পরিমাণ বেতন তোলা সম্ভব এবং ভালো সুযোগ সুবিধা সহ অন্যান্য আরো অনেক ধরনের ব্যবস্থা পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট কোম্পানির আন্ডারে অথবা বাসা বাড়ির জন্য পার্মানেন্ট ভাবে ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে থাকে বিদেশীরা


    কেউ যদি চিন্তা ভাবনা করে থাকেন বিদেশে গিয়ে ডাইভিং করে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা রেমিটেন্স ইনকাম করবেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে দেশ থেকে ডাইভিং শিখা তারপরে বিদেশে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি অথবা সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কিনা সরকারিভাবে আপনাকে বিদেশে ড্রাইভিং ভিসার কাজ দিতে পারে



    বিদেশে সেলসম্যানের কাজ

    আপনি যে কোম্পানিতে যান  বা সেখানে যান না কেন যদি আপনি সেলসম্যানের কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভাষা জানতে হবে। ভাষা না জানলে সেলসম্যান বেতন 1500  থেকে 2000,2500 ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে।



    প্রিয় পাঠক আজকে এই পর্যন্তই ছিল  আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। এ সম্পর্কিত আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এবং পরবর্তীতে কি বিষয় নিয়ে পোস্ট করলে ভালো হয় সেটাও জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।


    বিদেশে বিভিন্ন স্তরের জন্য কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা রয়েছে এ বছরের শুরুতে এক্ষেত্রে ইউরোপ কান্টি সহ এশিয়া মহাদেশের ভিতরে অনেক দেশে রয়েছে যারা কিনা এরজন্য সেলসম্যান নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করলেই আপনারা সেলসম্যানের ভিসা নিতে পারবেন


     বিদেশে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব

    আপনি চাইলে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর দক্ষ হয়ে বিদেশে কোন আইএসপি অথবা ডাটা সেন্টারে কাজ করতে পারেন এখানে কাজের মূল্য অনেক বেশি এই সেক্টরে। তবে বিদেশে কাজ করার জন্য আপনার অল্প দক্ষতা নিয়ে কখনোই সেখানে টিকে থাকতে পারবেন না আপনাকে এ বিষয়ে অনেকটাই দক্ষ হতে হবে তাহলে আপনি অবশ্যই কাজ পাবেন এবং ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন।  কারণ বিদেশে কাজের চাহিদা অনেক বেশি।


    বর্তমানে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার এর উপর দক্ষ লোক অনেক কম এবং অন্যান্য দেশ থেকে নিয়োগ দিয়ে থাকে বড় বড় রাষ্ট্রগুলো তাই এই বিষয়ে করে আপনি এসকে অর্জন করে দক্ষ হয়ে এই কাজে নিয়োগ হতে পারেন।  নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং এ কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কম্পিউটার হতে হবে।


    অন্যান্য কাজের থেকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ গুলো এর  প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি কারণ।  এখানে দক্ষ মানুষ ছাড়া কখনোই  এই কাজ করা সম্ভব নয় তাই আপনাকে অবশ্যই নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং এ দক্ষ হতে হবে।


     কারণ আপনাকে বিভিন্ন ব্যাংক অফিস মেডিকেল এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তে নিয়োগ দিয়ে থাকে তারা।  আর এরা সাধারণত আইএসপি কোম্পানিগুলোতে নেটওয়ার্কের হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে বা সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে তাই অবশ্যই আপনাকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে পাড়ি জমানোর চিন্তাভাবনা করবেন।



    বিদেশে শেফ এর কাজ

    সৌদি আরব দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর শহর ইউরোপের বিভিন্ন কান্ট্রিতে শেফ এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অন্যান্য কাজের বেতন তুলনায় শেফ এর বেতন অনেকটাই বেশি। এবং অনেকটাই আরামদায়ক কাজ। এই কাজগুলো আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার এক্সপিরিয়েন্স থাকা লাগবে তা না হলে আপনি শেফ এর ভিসা পাবেন না। তাই এই কাজের উপর ভিসা নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করে দেন এই কাজ করতে পারবেন


    ইউরোপের বিভিন্ন কান্ট্রিতে তারা হোস্টেল বা ফাইভ স্টার হোটেল এর জন্য ব্যাপকভাবে শেফ নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই বর্তমান সময়ে শেফ এর চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই এই কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে কেউ যদি বিদেশে পাড়ি জমায় তাহলে তার কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই অন্যান্য ক্যাটাগরির তুলনায় শেফ এর গুরুত্ব অনেকটাই বেশি


    শেফদের কাজ গুলো সাধারণত ফাইভ স্টার হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং বাসাবাড়ির জন্য হয়ে থাকে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য। শেফ এর বেতন এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা এবং ইউরোপ কান্ট্রির মধ্যে 1 লাখ থেকে দুই আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন শেফ হিসেবে। তাই অবশ্যই পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে তা না হলে এই কাজের উপর ভিসা পাবেন না


    বিদেশে কেয়ারিং ম্যানের চাহিদা

    বিদেশে প্রতিনিয়ত কেয়ারিং ম্যান এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসাবাড়িতে মুরুব্বিদের জন্য দেখভালের ক্ষেত্রে কেয়ারিং মেন এই কাজগুলো করে থাকে। আবার অনেক ফ্যামিলিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী শিশু এদেরকে দেখভালের জন্য সাধারনত কেয়ারিং ম্যান হায়ার করে থাকে বিদেশীরা। তাই কেউ যদি কেয়ারিং কাজ শিখে বিদেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এই কাজের উপর তারপরে আপনি বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাবেন


    বিশেষ করিয়া জার্মানি, জাপান ,সহ বিভিন্ন দেশগুলোতে কেয়ারিং ম্যান এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে ঐ সমস্ত দেশগুলোতে ভালো পরিমাণ বেতন দেওয়া হয় এবং সুযোগ সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বেতন ভাতা প্রদান করা হয়। তবে অবশ্যই আপনাকে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে যেমন ভাষা এবং মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ এই বিষয়গুলো অবশ্যই থাকতে হবে


    বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কোরিয়াতে কেয়ারিং ম্যান হিসেবে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োজিত আছে প্রতিবন্ধী এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধী স্কুলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেয়ারিং ম্যানের কাজ হয়ে থাকে। তাই এই গুলোতে কাজ করার জন্য অবশ্যই সে দেশের ভাষা সম্পর্কে আপনাকে জানা লাগবে এবং ভালো বেহাভিয়ার থাকা লাগবে। তাহলে আপনারা কেয়ারিং ম্যানের কাজ করার সুযোগ পাবেন


    আরো পড়ুন:


    কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?


    বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এখন বিদেশে কৃষি কাজ নিয়ে তারা পাড়ি জমাচ্ছে এক্ষেত্রে যদি কৃষি কাজ নিয়ে সেখানে গিয়ে আপনারা নিয়োজিত হতে পারেন তাহলে সব থেকে বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন এক্ষেত্রে অনেকেই আছে যারা কিনা কৃষি কাজের পাশাপাশি নিজেই কৃষি কাজের বিজনেস করে থাকে দেখা যাচ্ছে কোম্পানির কাজের বাইরেও তারা কৃষি কাজ করে


    এক্ষেত্রে অনেকেই আছে যারা কৃষিতে অভিজ্ঞ তারা মূলত ঐ সমস্ত কান্ট্রিতে যাওয়ার পরে নির্ধারিত একটি সময়ের পরেই কৃষি কাজ করছে তাই কৃষি কাজ নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই তারা বিদেশে আসা দেখতে পারে। তবে সাধারণত সেখানে যাওয়ার পরে আপনাদেরকে স্থায়ী হওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন অথবা পরিচিত কোন ব্যক্তি হলে সবথেকে ভালো হয়


    দুবাই কাজের ভিসা | দুবাই ভিসা আজকের খবর


    কৃষি কাজের চাহিদা বাড়তেই আছে দুবাইয়ের মত দেশগুলোতেও কিন্তু বর্তমানে এই বিষয়ে অনেকটাই সুযোগ নিচ্ছে বা করে দিচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে তাই অবশ্যই আপনারা যারা যেতে চাচ্ছেন কৃষি ভিসা নিয়ে তারা অবশ্যই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন তা না হলে কিন্তু আপনাদের পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে


    কানাডা জব ভিসা | কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা


    রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন