আমরা অনেকেই এসএসসি পাশ করার পর ভালো কোন মেডিকেল বা ভার্সিটিতে পড়তে চাই, কিন্তু ১ ঘণ্টার ব্যবধানে আমরা অনেকেই এই স্বপ্ন বাস্তব করতে পারি আবার অনেকেই পারিনা। আমরা যারা স্বপ্ন বাস্তব করতে পারি না তারা প্রায়ই ডিপ্রেশনের মধ্যে চলে যাই।তাই আমাদের অনেকেরই ইচ্ছা থাকে দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করার এবং ভালো কিছু করার। তাই মূলত আজকে আমরা এ বিষয়গুলো নিয়েই কথা বলব চায়না স্কলারশিপ ২০২৩ নিয়ে।
অনেক স্টুডেন্ট আছে তারা কি করবে কিছুই বুঝতে পারেনা, তখন তাদের মনে প্রশ্ন জাগে অন্য জায়গায় বা অন্য দেশে গিয়ে ভালোভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার, এজন্য অনেকেই কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া,চীন ইত্যাদি দেশে পড়াশুনা করছে বাংলাদেশের অনেকেই। সেখানে বিভিন্ন সাবজেক্ট নিয়ে তারা পড়াশোনা করার সুযোগ পাই।
বর্তমান বিশ্বের শিক্ষার দিক থেকে এবং উন্নয়নের দিক থেকে অনেক বড় একটি রাষ্ট্র হল চীন । বিশ্বের সকল দেশের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছে চীন, কোন দেশ থেকে চায়না স্কলারশিপ ২০২৩ পড়াশোনা করতে কোন শিক্ষার্থী গেলে তাদের জন্য আবাসন খরচ সম্পন্ন ফ্রী।
চায়না স্কলারশিপ ২০২৩
২০২৩ এ প্রতিবছরের মতো এবারও চায়না স্কলারশিপ এ আবেদন চলছে। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই আবেদন শুরু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করা যাবে। বর্তমানে প্রোগ্রাম লেভেল এবং আন্ডারগ্রাজুয়েট, মাস্টার্স, পিএইচডি এবং সিনিয়র স্কলার প্রতিবছরের মত এবারেও এ বিষয়গুলোর জন্য স্কলারশিপের আবেদন করতে পারবেন।
চীনে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
চায়না স্কলারশিপের জন্য সরাসরি কেউ যদি চায়নার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করে তাহলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে যদি দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা হয় স্কলার্শিপ প্রতিযোগী অনেক বেশি থাকে তার জন্য দূতাবাসের মাধ্যমে যারা আবেদন করে তাদের মধ্যে থেকে কম পরিমাণ চান্স পেয়ে থাকেন চায়না স্কলারশিপে।
চায়না স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি অথবা এইচএসসি পাশ থাকতে হয় সেই সাথে নির্দিষ্ট একটি বয়স্কীমা দেওয়া থাকে স্কলার্শিপের আবেদন ফরমে। মাস্টার্স অথবা বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করার জন্য নির্দিষ্ট বয়স সীমা অনুযায়ী আবেদন করতে হয়। আবেদন করার লিংকসহ বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা
চায়না স্কলারশিপ আবেদনের যোগ্যতা
বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
অন্য কোন স্কলারশিপে মনোনীত হলে হবে না
হাই স্কুল সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং 25 বছরের নিচে বয়স হতে হবে
ব্যাচেলর ডিগ্রি করতে হলে ৩৫ এর নিচে বয়স হতে হবে
পিএইচডি মাস্টার্স এর জন্য বয়স ৪০ এর নিচে হতে হবে
হাই স্কুল সার্টিফিকেট এবং বয়স 45 এর নিচে হতে হবে জেনারেল প্রোগ্রাম
অথবা মাস্টার ডিগ্রী কমপক্ষে এসোসিয়েট প্রফেসর বয়স 50 এর নিচে
তাছাড়াও অন্যান্য ডিগ্রী অর্জন করার জন্য অথবা স্পেশাল কোন কোর্স করার জন্য যদি চায়নাতে যেতে চান তাহলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের রিকোয়ারমেন্ট সম্পর্কে জেনে তারপরে জ্বর সিদ্ধান্ত নিবেন এবং তারা কি কি রিকোয়ারমেন্ট দিয়ে থাকে এবং বয়সসীমা কত তা অবশ্যই ভালোমতো জেনে নিবেন।
চীন সরকারের বৃত্তি ২০২২ ২০২৩ এর আবেদন আহবান
২০২২ ২৩ সেশনে যারা চিনে সরকারিভাবে শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা করার সুযোগ খুঁজছেন তারা চাইলে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আবেদন করতে পারেন আবেদন করার জন্য সরাসরি দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তবে সব থেকে ভালো হয় চায়নার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করলে। এভাবে যদি আপনারা আবেদন করেন তাহলে ট্রান্সফার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
চীন বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য যে স্কলার্শিপ গুলো দেয়
চীন বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য যে স্কলার্শিপ গুলো দেয় তা হল চাইনিজ স্কলারশিপ কাউন্সিল, কাচ টাওয়াস, ফরেস্ট গভার্নমেন্ট, রোড এন্ড বেল্ট, কনফুসিয়াস, চাইনিজ লোকাল গভর্নমেন্ট, চায়না বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারপ্রাইজ ইত্যাদি স্কলারশিপ দিয়ে থাকেন তবে সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ দিয়ে থাকেন সিএসসি।
চায়না স্কলারশিপ আবেদন এ যা যা প্রয়োজন
চায়না স্কলারশিপ এর আবেদন করার করতে যা যা প্রয়োজন তা হলো, আমরা যার জন্য আবেদন করে রাখি না কেনো সে সম্পর্কে আমরা যেনে নিই| আপনারা যারা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করবেন তাদেরও স্কলার্শিপ এ কি কি প্রয়োজন সেটা জানা অত্যন্ত জরুরী।
আজকে আপনাদের বলব চায়না স্কলারশিপ এর জন্য আবেদনের জন্য যা প্রয়োজনঃ 6 মাস মেয়াদী এমন একটি পাসপোর্ট, সত্যায়িত সব নম্বরপত্র এবং সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন।
জাপান ভ্রমণ ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা
পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ফরেন মেডিকেল সার্টিফিকেট, আইইএলটিএস সার্টিফিকেট থাকলে ভালো হয়। যদি না থাকে তবে সমস্যা নাই ইংরেজি তে পড়াশোনা করা হয়েছে এমন একটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
রিকমেন্ডেশন লেটার দুইটা ভর্তির আবেদন পত্র, আর অবশ্যই স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র পূরণ করা হতে হবে । কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু অনলাইনে আবেদন করলে হয় এবং কোন কোথাও অনলাইনে আবেদন করার পাশাপাশি হার্ড কপি ও দিতে হয় স্কলারশিপের আবেদন সংক্রান্ত সবকিছু তাদের ওয়েব পেজে উল্লেখ থাকে সেখান থেকে আপনারা চাইলে দেখে নিতে পারেন।
চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ
চায়নাতে বিভিন্ন ভার্সিটিতে টিউশন ফি হিসেবে খরচ হয়ে থাকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি আপনি ভাল রেকিং এ আসতে পারেন তাহলে টিউশন ফি অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম এক দুই দিনের মধ্যে যদি থাকতে পারে তাহলে টিউশন ফি সম্পূর্ণভাবে মওকুফ করে দেয়। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়ার খরচ কিন্তু ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
চায়না স্কলার্শিপ কখন আবেদন করতে হয়
স্কলার্শিপ কখন আবেদন করতে হয় HSC. শেষে যদি স্কলারশিপ নিয়ে অন্য দেশে যেতে চান তাহলে এইচএসসিতে থাকা অবস্থাতেই নিজের একাডেমী অর্জন শক্তিশালী করতে হবে। কেননা এখানে ভালো রেজাল্ট করলে স্কলার্শিপ পাওয়ার পথটা সহজ হয়ে যাবে। যেকোনো স্কলারশিপের তাদের একটি নিজস্ব আবেদনের প্রক্রিয়া থাকে এবং তারা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে তাদের প্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকেন। আপনারা চাইলে সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
চায়না স্কলারশিপ আবেদনের আগে যেগুলো করা লাগবে
ছয় মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট
এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি
নিবন্ধন আইডি কার্ড ইংলিশে ট্রান্সলেট করা
জমির দলিল ইংলিশ ট্রান্সলেট করা
বাবা-মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ইংলিশ ট্রান্সলেট
সরকারি ডাটাবেজে নিবন্ধন আইডি সংরক্ষণ
এবং আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট রেডি করে রাখবেন
তবে আপনাদের এই ক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে অবশ্যই গুরুত্ব কাগজপত্র যদি কোন ধরনের নামের অথবা নিবন্ধন এর ডেটে কোন ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে অবশ্যই তার সংশোধন করে নিতে হবে তা না হলে চায়না স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন