তালাক দেওয়ার নিয়ম
বাংলাদেশের আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে প্রতি ঘন্টায় তালাকের আশ্রয় নেওয়া লাগছে স্বামী-স্ত্রী অথবা নতুন দম্পতিদের। তারা একে অপরের সাথে থাকতে রাজি না হওয়ায় তালাক মাধ্যম বেশি নেওয়া লাগছে। তাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দুজনের ভাগাভাগি হওয়ার জন্য উকিল এর মাধ্যমে তাদের বিচ্ছেদ সম্পন্ন করার প্রক্রিয়াকেই তালাক বলা হয়।
তালাক বললে শুধু তালাক হয় না তালাক দেওয়ার পর কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে এবং এটি সময়ের ব্যাপার তাই আজকে আমরা কথা বলবো ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম এবং তালাক দেওয়ার সঠিক নিয়ম এবং ডিভোর্স দিতে কি কি লাগে এই বিষয় নিয়ে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তালাক দিতে হয় এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট বিয়ের রেজিস্ট্রি শাখা থেকে অথবা কোর্টের মাধ্যমে তালাক প্রদান করতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাক প্রদান করার কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক তালাক দেওয়ার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। তালাক আপনারা দুইভাবে দিতে পারবেন কাজী অফিসের মাধ্যমে অথবা কোর্টের মাধ্যমে।
ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম
বিবাহ কার্য সম্পাদন করার জন্য যেমন সরকারি রেস্ট্রি লোকের প্রয়োজন হয়। তেমনি বিচ্ছেদের সময় বা তালাকের সময় ও সরকারি উকিল অথবা কাজী এর প্রয়োজন হয়। যদি কেউ তালাক দিতে চায় তাকে মুখে স্বীকার পর তাকে কাগজের মাধ্যমে ও স্বীকৃতি দিতে হবে। তাই যে বিষয়ে তালাক দিতে চান সে বিষয়টি কাগজে উল্লেখ করা লাগবে।
এই বিষয়টি নোটিশ আকারে সেটি প্রেরণ করা লাগবে। ডাকযোগে অথবা চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে অপর পক্ষকে পাঠাতে হবে। ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে এবং ছবি সহ দেয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী ডিভোর্স পেপার লিখতে পারবেন।
ডিভোর্স দিতে কি লাগে
প্রথমে আপনাকে কাগজের দেওয়া ফরমটি পূরণ করতে হবে এবং আপনার যে বিষয়টি সেটি উল্লেখ করা লাগবে। কি উদ্দেশ্যে আপনার স্ত্রীকে ছাড়তে চাচ্ছেন অথবা আপনার স্বামী কে কি উদ্দেশ্যে ছাড়তে চাচ্ছেন সেই বিষয়টি ভালোমতো পেপারে উল্লেখ করা লাগবে। এবং আপনাদের মাঝে যদি কোন দেনা-পাওনার বিষয় থাকে সেটিও উল্লেখ করা লাগবে। এবং পারিবারিকভাবে যদি কোনো বৈঠক অথবা সালিশ হয়ে থাকে সে বিষয়টিও সেখানে উল্লেখ করা লাগবে।
তা ছাড়াও আরো প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন আছে। আপনার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পৌরসভার চেয়ারম্যান অথবা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রসাশক বা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার নিয়োগ করা কোন ব্যাক্তি এদের দ্বারা কোন সালিশ নামা দেখানো লাগবে।
ফর্সা হওয়ার জন্য ডাক্তারি ক্রিম গুলো কি জেনে নিন
সবকিছু ফরম পূরণের পর আপনার সমস্যাটির কথা ফর্মে উল্লেখ করে সরকারি দায়িত্বরত ব্যক্তির সিগনেচার নিয়ে আপনার পৌরসভার চেয়ারম্যান অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হাতে নোটিশটি পাঠিয়ে দিবেন এবং সেই নোটিশ আপনার অপরপক্ষকে 30 দিনের মধ্যেই চেয়ারম্যান পাঠিয়ে দিবে তারপরে 30 দিনের মধ্যে পূর্ণ মিলনের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান সালিশ তৈরি করবেন।
তার পরেও যদি দুপক্ষের কোন মিলন করা সম্ভব না হয় তবে তালাক নোটিশ টি প্রধানের 90 দিনের মধ্যেই কার্যকর হয়ে যাবে এ 90 দিনের মধ্যে যাবতীয় খরচ স্বামীকে দিতে হবে। বাধ্যতামূলক ভাবে বলা হয়েছে। তারপরে সেটি বিয়ে রেজিস্ট্রি কাজী এর মাধ্যমে তালাক নিবন্ধন করে নিতে হবে।
তালাক দেওয়ার নিয়ম
ডিভোর্স শুধু মুখে বললেই দেওয়া হয়না ডিভোর্স দেওয়ার কিছু প্রসেস মানতে হয় কারণ যেমন বিবাহ কার্য সম্পাদনের জন্য সরকারি ভাবে করতে হয় তেমনি ডিভোর্সের ক্ষেত্রেও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ডিভোর্স কার্য সম্পাদন করতে হয়। না হলে এটা নিয়ে পরবর্তীতে দু'পক্ষকেই ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারে তাই সরকারি উকিল অথবা নিকা নিবন্ধনকারী ব্যক্তিদের দ্বারা তালাক নিবন্ধন করে নিতে হবে।
স্ত্রী তালাক দেওয়ার নিয়ম
মুসলিম আইন দ্বারা বলা হয়েছে স্ত্রীগণ নিজ ক্ষমতায় কখনোই তালাক দিতে পারবে না। তার পরেও স্বামী যদি বিয়ের সময় তালাক দেওয়ার ক্ষমতা তার স্ত্রীকে দেয় তারা সেটি করে নেয় তাহলে কোন অনুমতি ছাড়াই স্বামীকে স্ত্রী তালাক দিতে পারবে। মুসলিম আইন অনুযায়ী সালিশ অথবা সমঝোতার মাধ্যমে ছেলেপক্ষ হতে তালাক দিয়ে থাকেন। যাকে বলা হয় খোলা তালাক ও মুবারাত তালাক।
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার নিয়ম
বিদেশ থেকে তালাক দেওয়া একটু জটিল প্রক্রিয়া তার পরেও যদি সম্ভব হয় দেশে এসে তালাক দেওয়া সবথেকে ভালো হবে। কারণ বাংলাদেশি নীতি অনুযায়ী কিছু নিয়ম এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো ফলো করা লাগবে তার পরেও যদি সম্ভব না হয় কিছু মাধ্যম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে তালাক দিতে পারবেন। তো চলুন কিভাবে বিদেশ থেকে তালাক দিবেন সেই বিষয় নিয়ে কথা বলি।
বিদেশ থেকে তালাক দিতে হলে দেশের ভালো একটি আইনজীবীর মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা লাগবে। এবং আপনার একজন গার্জিয়ান লাগবে। এবং আপনার নিকটস্থ কেউ যার মাধ্যমে আপনার সংসারের যাবতীয় দেখভাল করবে এমন ব্যক্তি। যে আপনার সম্পদ অথবা আপনার যাবতীয় দায়িত্ব রাখে এমন কোন ব্যক্তি।
আইনজীবীর এর মাধ্যমে আপনার ডিভোর্সের কারণ উল্লেখ করে একটি নোটিশ তৈরি করতে হবে। সেই নোটিশটি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আপনার দেশে মানে যেখানে অবস্থান করেন সেখানে থেকে নোটিশটি পাঠাতে হবে হবে। আপনার নিজস্ব স্বাক্ষর করা লাগবে। এবং সেটা আবার পুনরায় আইনজীবীর হাতে পেরন করা লাগবে।
হিমালয়া হারবাল নাইট ক্রিম দাম | হিমালয় নাইট ক্রিম কেমন
সেটি আইনজীবী সম্পন্ন করার পরে উপজেলা চেয়ারম্যান অথবা কাউন্সিল পর্যায়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আপনার অপরপক্ষকে সেই নোটিশ দিয়ে দেয়া হবে। তারপরে কার্যক্রমগুলো যে ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন আপনার গার্জিয়ান সেই কাজ চালিয়ে নিতে পারবে। প্রয়োজনে আপনার গার্জিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবেন।
মেয়েরা কি ডিভোর্স দিতে পারে
অনেকের মধ্যে প্রশ্ন জাগে মেয়েরা কি ডিভোর্স দিতে পারে কি পারে না। বাংলাদেশের বর্তমান আইন অনুযায়ী মহিলারা স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবে। কোন মহিলা যদি স্বামীর বাড়িতে নির্যাতিত হয়ে থাকে তাহলে অনায়াসে যে কোন সময় স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এক্ষেত্রে মেয়েরা নির্দিষ্ট কোন বিয়ে রেজিস্ট্রি শাখা থেকে ডিভোর্স করে নিতে পারবে।
তবে ইসলামের আইন অনুযায়ী বা ইসলামের নীতি অনুযায়ী মহিলা পক্ষ কখনোই ছেলেপক্ষকে ডিভোর্স দিতে পারে না। এ ক্ষেত্রে মহিলা যদি দিয়ে থাকে তাহলে এই ডিভোর্স কার্যকর হবে না। শুধুমাত্র বাংলাদেশি নিয়ম অনুযায়ী এ বিষয়টি প্রযোজ্য তবে ইসলাম ধর্মে কখনোই মহিলাদেরকে ডিভোর্স দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেনি।
রবি সিমে ১২ টাকায় ২ জিবি ইন্টারনেট কিনুন
স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার সঠিক নিয়ম
চাইলেই আপনার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবেন না। এটার জন্য আপনাকে মিনিমাম তিন মাস সময় দিতে হবে। সেই সময়ের মধ্যে সালিশ অথবা চেয়ারম্যান দ্বারা আপনাদের মিলন করার ব্যবস্থা করা হবে। তারপরেও যদি আপনারা রাজি না হন তখন তালাক নিবন্ধনকারী মাধ্যমে ফরম পূরণ করে অপর পক্ষকে নোটিশ পাঠাতে হবে। সে যদি রাজি হয় তাহলে আপনার তালাক কার্যকর হবে।
তবে বর্তমান নিয়ম আইন অনুযায়ী ছেলে-মেয়ে উভয়পক্ষই যে কোন মুহূর্তে ডিভোর্স দেয়ার ক্ষমতা রাখে। বর্তমান আইন অনুযায়ী এবং নিয়ম-নীতি অনুযায়ী যে কোন মুহূর্তেই ডিভোর্স দেওয়া হচ্ছে। তবে দুই পক্ষের কোন পক্ষ যদি সঠিকভাবে বিষয়টি না মানে তাহলে কোট পর্যায়ে অথবা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমেই সেটি নিষ্পত্তি করা হয়।
ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে
ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ নেই তবে কিছু কার্যক্রম সম্পাদনা করার জন্য টাকার প্রয়োজন হয়। যেমন তালাক নোটিশ পাঠানোর জন্য এবং চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে সালিশ করার জন্য এবং তালাক নিবন্ধনকারী খরচ বাবদ বা পেপার ফ্রি বাবদ খরচ করা হয়ে থাকে। যা নির্ধারিত কোন মূল্য নেই বললেই চলে এ জন্য উপযুক্ত জায়গায় গিয়ে বিষয়টি জেনে নিবেন।
তবে ছেলেদের ক্ষেত্রে কিন্তু ডিভোর্স দেওয়ার সময় অবশ্যই বিয়ের সময় যে দেনমোহর নির্ধারিত ছিল সেটি কিন্তু প্রদান করা লাগে। এক্ষেত্রে আপনার বিয়ের সময় কত টাকা দেন মোহর করা ছিল সেটি সম্পূর্ণ ভাবে পরিশোধ করতে হয়। এক্ষেত্রে ছেলেরা সরাসরি কোর্টের মাধ্যমেও বিষয়টি ফয়সালা করে নিতে পারবে অথবা গ্রামে সালিশের মাধ্যমেও বিষয়টি ফায়সালা করে নিতে পারবে।
তবে দুই পক্ষ যদি সবকিছু মিটমাট করে ঠিক করে নেয় তাহলে ছেলেপক্ষের মাধ্যমে টাকা কম বেশি করে তারা ডিভোর্সসম্পন্ন করে নিতে পারে। যদি ছেলের পক্ষে টাকা দিতে অসম্মতি দেখা দেয় অথবা ছেলেপক্ষ টাকা না দেয় তাহলে মেয়ে পক্ষ সরাসরি কোর্টের মাধ্যমেও টাকা আদায় করতে পারবে।
ছেলে পক্ষের মাধ্যমে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কোর্টের মাধ্যমে কিস্তিতে কিস্তিতেও ডিভোর্সের টাকা প্রদান করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোর্টের জজ ডিভোর্স কারী ব্যক্তি কে নির্দিষ্ট সময়ে বেঁধে দেওয়া হবে এই সময়ের মধ্যেই ডিভোর্সের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দিতে হয়।
তালাকের পর স্ত্রীর ভরণপোষণ
তালাকের পর স্ত্রীর ভরণপোষণ একটি ছোট্ট বিষয় রয়েছে যেমন। তালাক দেওয়ার পরে 90 দিন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় এরমধ্যে আপনাকে সমস্ত ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়া লাগবে। যদি মহিলা প্রেগন্যান্ট অবস্থায় থাকে তাহলে বাচ্চা প্রসব না করা পর্যন্ত ভরণপোষণ স্বামীকে দেওয়া লাগবে। বাচ্চা প্রসব হওয়ার পরে তালাক কার্যকর করা হবে।
আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা আনলক করতে চান
যদি ব্যাংকে কোনো ঋণ অথবা লোন নেওয়া থাকে সেই বিষয়গুলো দেখভাল করা হবে। যদি স্বামী কর্তৃক নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেটি স্বামীর উপর দায়ভার নিতে হবে। যদি স্ত্রী কর্তৃক হয়ে থাকে তাহলে স্ত্রী কর্তৃক নিতে হবে। তার পরেও আপনার নিকটস্থ এলাকার চেয়ারম্যান দ্বারা বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়াই ভাল হবে। আগে থেকে তাই বিষয়টি ক্লিয়ার করে নিতে হবে।
কাজী অফিসে তালাকের নিয়ম
তালাক যেখানে ইচ্ছা সেখানে দিতে পারবেন নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। ভালো কোনো আইনজীবী ধরে বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে তালাক দিতে পারবেন। আমরা সাধারণত যার দ্বারা বিবাহ কার্য সম্পাদনা করা হয় তার মাধ্যমে তালাক দিয়ে থাকি। এটা কোন নিয়ম নাই চাইলে যেকোন আইনজীবীর মাধ্যমে তালাক কার্য সম্পাদন করতে হয় পারবেন।
তার পরেও আপনাকে কিছু মাধ্যমে অবলম্বন করা লাগতে পারে। চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হওয়া লাগতে পারে। অথবা সালিশ বৈঠক করে সমাধান করা লাগবে। এই সমস্ত বিষয় গুলা ফেস করা লাগতে পারে। তবে এটা জেনে রাখুন যে কাজী অফিসে গিয়ে তালাক দেওয়া কোন বাধ্যতামূলক আইন নেই। যে কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে অথবা আপনার নিজস্ব পছন্দের কাজির কাছে তালাক কার্য সম্পাদন করতে পারবেন। যেখানে সুবিধা সেখানে গিয়ে তালাক দিতে পারবেন।
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম ও ছেলেদের ভালো নাইট ক্রিম
কাজী অফিসে ডিভোর্স
কাজী অফিসের মাধ্যমে ডিভোর্স এবং বিবাহ দুই টাকার জমি সম্পাদনা করা হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশের যে কোন কাজে অফিসে আপনাদের ডিভোর্স কার্য সম্পাদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে কে তালাক দিতে পারবে। মেয়ে ছেলেকে তালাক দিতে পারবে। তবে লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করতে হবে এবং সময়ের মধ্যে সেটি কার্যকর হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের যেকোনো সরকার নিবন্ধিত কাজী অফিসগুলোর মাধ্যমে আপনারা ডিভোর্স কার্য সম্পাদন করতে পারবেন। অথবা কোর্টের মাধ্যমেও ডিভোর্স কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। দেশের বাইরে থেকেও কাজী অফিসের মাধ্যমেও ডিভোর্সের জন্য কাজ করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য একজন ব্যক্তি আপনার মাধ্যম হতে হবে।
তবে মনে রাখবেন কাজী অফিসের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে ডিভোর্স কার্যসম্পাদন করার জন্য অবশ্যই আপনার নিকট আত্মীয় কোন ব্যক্তি হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার জমি জমা সহ যে সমস্ত দায়িত্বগুলো আপনার পার্সোনাল কেউ ম্যানেজ করে তাদের মাধ্যমেই এই বিষয়টি কাজী অফিসের মাধ্যমে আগাতে হবে।
ডিভোর্স ফরম এর ছবি
অনেকেই ডিভোর্স কার্যসম্পাদনের করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ফলো করে ডিভোর্স ফরম পূরণ করে। এই ক্ষেত্রে ডিভোর্স ফরম এর ছবি প্রয়োজন হয়। ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম সম্পর্কে সকলেই অবগত নয় তাই নিচের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ধারণা নিতে পারবেন। সেজন্য নিচে আমরা একটি ডিভোর্স পেপারের ফরম এর ছবি পূরণকৃত অবস্থায় তুলে দিয়েছি সেটা দেখে পূরণ করতে পারবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন