আজকে আমরা কথা বলব সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা এবং সিঙ্গাপুর ভিসা কিভাবে করবেন এবং ভিসা প্রসেস কিভাবে সম্পন্ন করতে হয় তা এই কন্টাক্ট এর মধ্যেই তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম চালু আছে এই ক্ষেত্রে জার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা আমাদের নিচে পর্যায়ক্রমে তথ্যগুলো প্রকাশ করা আছে পড়তে থাকুন।
সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিট সহ যাবতীয় ভিসা কার্যক্রম চালু আছে এক্ষেত্রে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজে বেতন কত এই সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের পর্যায়ক্রমে তথ্যগুলো দেওয়া আছে সেগুলো করতে থাকুন। এছাড়া নতুন কোন বিজ্ঞপ্তি বর্তমানে প্রকাশ আছে কি না এ সম্পর্কেও আমরা এখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি।
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা
যারা যারা প্রবাসে যেতে চান তাদের সিঙ্গাপুরের প্রতি একটি অন্যরকম টান থাকে। তবে, যে কোন দেশে যাওয়ার আগেই আমাদের সে দেশ সম্পর্কে ডিটেইলস জেনে নেওয়া উচিত। আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ভিসা নিয়ে, সিঙ্গাপুরের ভিসা নেওয়ার জন্য যেগুলো জানা জরুরী।
অনেকের মুখ থেকে শোনা যায় যারা সিঙ্গাপুরে যায় তাদের 1 মাসে 60, 70 হাজার টাকা বেতন। কিন্তু আসলে এটা ঠিক নয়, কেননা বেতন নির্ভর করে কাজের ওপর তাই একেক জনের বেতন একেক রকম। সবার বেতনই যদি এক হতো তাহলে কাজের মধ্যে কোন ভেদাভেদ থাকতো না। আপনারা এসব গুজবে কান দেবেন না। না জেনে না বুঝে যদি কিছু বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার বিশ্বাস ভেঙ্গে যেতে পারে।তার জন্য বুঝবেন তারপরে বিশ্বাস করবেন। আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পারবেন।
সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা
সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন কাজ নিয়ে যদি আপনি সরাসরি বাংলাদেশ থেকে সরকারি মাধ্যমগুলোতে যেতে চান তাহলে খরচ সাড়ে তিন লাখ টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলার মাধ্যমেই আপনাকে যেতে হবে তাহলে আপনারা এই খরচের মধ্যেই যেতে পারবেন।
আর বেসরকারি এজেন্স গুলার মাধ্যমে যদি আপনারা ভালো মানের কাজ নিয়ে যেতে চান তাহলে কিন্তু খরচ আরো বেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে বেসরকারি অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা কিনা অন্যান্যভাবে তারা ভিসা সংগ্রহ করে। যেমন সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন এজেন্সি রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক সিঙ্গাপুরে পাঠায়। তবে কি পদ্ধতিতে এবং কিভাবে ভিসা পাবেন তা নিচে দেখে নিন।
সিঙ্গাপুরের ভিসা কত টাকা তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন তবে বিভিন্ন কাজের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরের ভিসার দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য সাধারণত সিঙ্গাপুরের ভিসার দাম হয়ে থাকে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা এবং ট্রেনিং বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে। এখানে সাধারণত কাজ করতে পারে অদক্ষ কর্মী যারা হোটেল ক্লিনার কনস্ট্রাকশন মেশিনারিজ সেবামূলক কাজ গুলো তারা করতে পারবে অথবা গৃহকর্মীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারবে।
সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসার জন্য যেগুলো জানা জরুরি
আপনি
যদি সিঙ্গাপুর
কাজের
ভিসা
করতে চান তাহলে এগুলো আপনার জানা প্রয়োজন আপনি যে কোম্পানিতে কাজ
করতে যাবেন বা যেতে চাচ্ছেন
সে কোম্পানির ভিসার ধরন। প্রতিবছর ফ্রী রিনিউ করা যাবে কিনা, বেসিক রেট কোন শর্ত আছে কিনা ইত্যাদি। আপনার পরিচিত প্রতিবেশী যদি সিঙ্গাপুরে থাকেন তাহলে তাকে দিয়ে আপনি ওই কোম্পানিতে ভিজিট
করে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তা জেনে নিতে
পারেন। ভিসার পরে পরবর্তী সময়ে আপনি কি কি সুবিধা
পেতে পারেন তা জেনে নেওয়া
দরকার
সৌদি আরবে কাজের ভিসা | সৌদি আরবের ভিসা কবে খুলব
সিঙ্গাপুরে হোটেল জব
অন্যান্য
দেশে হোটেল
জব
এর চাহিদা বেশি, যারা বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টের খাবার
রান্না করে। তাদের চাকরির সুযোগ বেশি থাকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। যেমন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এর মত উন্নত
দেশে। একজন শেফ এর মাসিক বেতন
বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 70 হাজারের মতো। যারা এই পেশায় যায়
তাদের ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা ও কম হয়
সিঙ্গাপুরের ভিসা কিভাবে করবেন
সিঙ্গাপুরের ভিসা করতে হলে অবশ্যই সিঙ্গাপুরে অবস্থান রত কারো হতে আমন্ত্রণপত্র নিতে হবে।ভিসা ফি ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার। ভিসা করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হবে, সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর দিন থেকে শুরু করে ৬ মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট অবশ্যই থাকতে হবে। পাসপোর্টে কমপক্ষে একটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে। তিন মাসের মধ্যে তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। ছবি রঙিন হবে এবং এর ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হবে, ছবির সাইজ হবে ২৫ থেকে ৩৫ মিলিমিটার।
সিঙ্গাপুর সরকার কেন এত প্রবাসী যাচ্ছে
২০২৪ সালে বেশ কিছু কোম্পানি থেকে লোক ছাঁটাই করা হয়েছে পাশাপাশি অনেক পুরনো কর্মী ছিল তাদেরকে দেশে চলে আসার কারণেই মূলত বর্তমানে আরো ব্যাপকভাবে প্রবাসী ক্রমে নিচ্ছে সিংগাপুর সরকার। তবে নতুন বছর উপলক্ষে যারা নতুন নতুন কাজ নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু নতুন কিছু নিয়মও বেঁধে দেওয়া হয়েছে এই নিয়মগুলো জানার জন্য আমাদের পর্যায়ক্রমে তথ্যগুলো পড়তে থাকুন।
সিঙ্গাপুরের বেশ কিছু নতুন কোম্পানি খোলা হয়েছে সেই কোম্পানিগুলোতে প্রায় ১৭ হাজার কর্মী নেবে বলে তারা জানিয়েছে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহ ইন্ডিয়া, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, নেপাল সহ আরো অনেক রাষ্ট্রের মানুষ সেখানে কাজ করার সুযোগ পাবে তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশে কি কি প্রসেসে আপনারা ভিসা করতে পারবেন তা আমরা বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরেছি।
সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসাতে কাজ
সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসা তে কাজ করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে অথবা যেখান থেকেই সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান না কেন ড্রাইভিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। এবং ডাইভিং এর উপর ট্রেনিং নিয়েছেন সেটার একটি সার্টিফিকেট কঁপি ফাঁকা লাগবে তাহলে আপনি সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসার উপরে তাদের জবাব ওয়েবসাইটগুলোতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আর সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতেই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তাই চাইলে আপনিও সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং ভিসা কাজে যোগ দিতে পারবেন।
সিঙ্গাপুর ক্লিনার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সিঙ্গাপুর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তাদের জব ওয়েবসাইটগুলোতে। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম দেশগুলোর থেকে অনেকটা এগিয়ে আসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কারণে সিঙ্গাপুর। তারা অন্যান্য দেশের তুলনায় সিঙ্গাপুর প্রতিনিয়ত পরিষ্কারের দিক থেকে অনেক উন্নত। তাই তারা ক্লিনার পদের জন্য ব্যাপক ভাবে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জন্য ক্লিনিং পদে ওয়েব সাইটগুলোতে ক্লিনার নিয়োগ দিচ্ছে। সেই হিসেবে বাংলাদেশে প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা নতুনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বৈঠকের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের ভিসার জন্য এখন থেকে আবেদন করতে পারবে বাংলাদেশ শ্রমিকরা।
সিঙ্গাপুরের কনস্ট্রাকশন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
কাজের নাম: কনস্ট্রাকশন কোম্পানি
কাজের বেতন: ৮০,০০০ টাকা
কাজের সময়: ৮ ঘন্টা
অফ টাইম: ২ ঘন্টা
থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা: কোম্পানি নিজেই
যাতায়াত খরচ: কোম্পানি
কাজের স্থান: সিঙ্গাপুর
কাজের মেয়াদ: ৩ বছর
কাজের ধরন: বাসা বাড়ি
যারা উত্তর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করতে চাচ্ছেন তারা সরকার নিবন্ধিত সমস্ত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে করতে পারবেন বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৩ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে 5 লক্ষ টাকার মত। বিভিন্ন খরচের উপর নির্ভর করে মূলত ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরে কাজ কিভাবে খুঁজবেন
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা মহামারী পর থেকে সে দেশে কাজের চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। যেমন ক্লিনিং পদে বর্তমানে ব্যাপক হারে লোক নিয়োগ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে নতুনভাবে ক্লিনিক পদে লোক নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে নতুনভাবে নিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সেই তুলনায় সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য লিখার উপরে মিনিমাম একটি ট্রেনিং অবশ্যই থাকতে হবে। আর যদি ট্রেনিং থাকে তাহলে খুব সহজে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন।
যারা সিঙ্গাপুরে বর্তমানে অবস্থান করছেন তারা যদি কাজ করতে চান তাদের কোম্পানির বাহিরে তাহলে তারা অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সাথে কাজ করতে পারবে তবে অবশ্যই। আপনি যে কোম্পানিতে বর্তমানে অবস্থান করছেন সেই কোম্পানি থেকে আপনাকে অব্যহতি নিতে হবে। তাহলে আপনি অন্যান্য কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন তাছাড়াও যদি আপনি পার্টটাইম কাজ করতে চান তাহলে তাদের জব ওয়েবসাইট ভিজিট করে সিভি এর মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
সিঙ্গাপুরে কেন যাবেন
বর্তমান বিশ্বে প্রায় বাংলাদেশের মানুষ সব জায়গাতেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজ করছে। তবে বর্তমানের মানুষজন ইউরোপ কান্ট্রি তে ঢুকার চেষ্টা করছে শুধুমাত্র বেতন বৃদ্ধির জন্য তবে ভালো স্কিল ডেভেলপ করে কেউ যদি সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমায় তাহলে তার সমান ইনকাম করা সম্ভব হবে।
শুধুমাত্র সিঙ্গাপুরেই সুবিধা বেশি দেওয়া থাকে তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় সিঙ্গাপুরে কাজ করে অনেক সুবিধা। টাকার পরিমাণ বেশি পাওয়া যায় এমন কি কাজের চাহিদা ও বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বেশি। অন্যান্য দেশে যেতে হলে অনেক টাকা খরচ হয়ে থাকে তবে সিঙ্গাপুরে ছয় থেকে আট লাখ টাকার মধ্যেই সেখানে যাওয়া যায় এবং মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়।
এবং ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে চান এবং কম খরচে যেতে চান ভালো কোন দেশে তাহলে তাদের জন্য হবে এটি বেস্ট অপশন। কারণ কম খরচে ভালো একটি দেশে যেতে পারবেন এবং কম পরিশ্রমী ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অন্যান্য দেশের তুলনায় সিঙ্গাপুর অনেকটাই শান্তিপ্রিয় দেশ এখানে দুর্ঘটনা বাস শ্রমিকদের উপর অত্যাচার খুবই কম হয়। একেবারে হয় নাই বললেই চলে শ্রমিকদের ওপর কঠোর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন