কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ | কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

    কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

    আজকে আমরা মূলত আলোচনা করব কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ নিয়ে। বিগত বছরগুলোতে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন সাধ্য একটি ব্যাপার ছিল কিন্তু ২০২৩ সালে এসে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া কিন্তু এখন অনেকটাই সহজ তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং যোগ্যতা থাকতে হবে তাহলে আপনারা ২০২৩ সালে খুব সহজেই কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডায় পড়াশোনা করার সুযোগ করে নিতে পারবেন


    কানাডার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট থাকে তাই অবশ্যই আপনি যেই সমস্ত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন সেই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে অনলাইনে প্রথম অবস্থায় রিসার্চ করে দেখতে হবে এবং তাদের যোগ্যতা কি কি চাওয়া হয় এবং কিভাবে আবেদন করতে হয় এই সমস্ত তথ্য গুলো আমরা নিচে প্রকাশ করেছি


    কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩-এ নতুনভাবে পুনরায় চালু করা হচ্ছে বিগত বছরগুলোতেও কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা চালু ছিল কিন্তু ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু করে অক্টোবর মাস পর্যন্ত কানাডার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন করতে পারবে।  বছরের শুরুতেই কানাডার প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্কলারশিপের জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয় এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এ সময়ের মধ্যে আবেদন করে থাকে


    তবে আগের মত এই কানাডার স্টুডেন্ট ভিসাতে তেমন কোন পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়নি এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টের তথ্য আগের মতই দেওয়া আছে। তাই আমাদের দেওয়া নিচের এই তথ্যগুলোর মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পারবেন খরচ কত এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ কি কি বিষয় ভালোমতো উল্লেখ করা লাগবে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি


    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৩

    কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা ফি ৮৫ ডলার প্রদান করা লাগে। কানাডা স্টাডি পারমিটের জন্য আপনি যদি সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলার মাধ্যমে করেন তাহলে ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করা লাগবে। কানাডার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার জন্য প্রত্যেক বছরে খরচ হবে বাংলাদেশি টাকায় ১৮ থেকে ২০ লক্ষ টাকা

    তবে যদি আপনি সরাসরি কানাডার ইন্টারন্যাশনাল কলেজগুলোতে চান্স পান তাহলে আপনাদের পড়াশোনার খরচ অনেক অংশে কম লাগবে সেইসাথে কলেজে ভালো রেজাল্ট করলে এবং টপ রেংকিং এর ভেতর থাকতে পারলে আপনার সেমিস্টার ফি বাবদ অনেক টাকায় কম লাগবে

    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি

    বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি অনেক এজেন্সি রয়েছে তবে যদি আপনি সরকার নিবন্ধিত লাইসেন্স থাকে এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আবেদন করেন তাহলে আপনি বিশ্বস্ততার সাথে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। তবে যদি আপনি নিজেই কানাডার ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় কানাডার বিভিন্ন কলেজগুলোতে আবেদন করে ইনভাইটেশন লেটার সংগ্রহ করতে হবে।




    আপনি যদি ঐ সমস্ত কলেজগুলো থেকে ইনভাইটেশন লেটার সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে সরাসরি কানাডা দূতাবাস থেকে আপনারা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ 27 দিন থেকে শুরু করে ৪০ দিনের মধ্যে এই কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা করে নিতে পারবেন।

    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন আছে যদি সেই সমস্ত যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা কি কি থাকা লাগবে
    1. একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা লাগবে
    2. দশম কিংবা দ্বাদশ অথবা ডিপ্লোমা গুলির অনুলিপি সত্যায়িত হয়েছে
    3. 2 পন্ডিত উল্লেখ
    4. এবং নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে দুটি সুপারিশ
    5. স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি
    6. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে একটি গ্রহণযোগ্যতার একটি চিঠি 
    7. প্রাপ্তি রশিদ
    8. আর্থিক সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে
    9. স্টাডি এবং ভিসা করার অনুমতি থাকতে হবে
    10. কোনকের অথবা মামলা মোকাদ্দমা থাকা যাবে না
    11. ইংরেজি দক্ষতা থাকা লাগবে
    এছাড়াও যদি আপনার কোনো অতিরিক্ত বিষয়গুলো লাগে তাহলে আপনি আবেদন জমা দেওয়ার আগে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় হতে জেনে নিবেন

    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার দাম

    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার দাম নির্ধারিত ভাবে কথা উল্লেখ নাই কারণ এটি নির্ভর করে সম্পূর্ণটাই এজেন্সির উপর। তবে বাংলাদেশে এজেন্সি অনুযায়ী কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার দাম নির্ধারিত থাকে সর্বনিম্ন ৮ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে

    তবে আপনি যদি আবেদন করার পরে নিজে নিজেই কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেস করে থাকে তাহলে খুবই কম খরচের মধ্যেই কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন এক্ষেত্রে একেবারে আপনার খরচ কম হবে এবং কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই চলে যেতে পারবেন। তবে যারা অনেকেই নতুন আছে তারা কিন্তু কানাডায় স্টুডেন্ট সম্পর্কে তেমন কোন আইডিয়া থাকে না তাই এজেন্সির সাহায্য নিয়ে থাকে।

    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম

    প্রথম অবস্থায় আপনাকে কানাডার স্কুল কলেজগুলোতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে রিকোয়ারমেন্ট গুলো দেখে আবেদন করতে হবে আবেদন করার পরে যদি আপনার আবেদন সম্পন্ন হয় এবং তারা এপ্রুভাল দিয়ে দেয় তাহলে আপনাকে একটি ইনভাইটেশন লেটার দেওয়া হবে। কানাডার স্কলারশিপের ইনভিটেশন লেটার নিয়ে আপনাকে কানাডা দূতাবাসে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

    এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় যে সমস্ত তথ্য গুলো চাওয়া হবে সবগুলো যদি দিতে পারেন তাহলে তো ফর্মে আপনার একটি জীবন বৃত্তান্ত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করে আপনাকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।


    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ

    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা এখন সরাসরি বাংলাদেশ থেকেই করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা গুলো অর্জন করে তারপরে আপনাকে আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে সর্বনিম্ন এইচএসসি পাস থাকতে হবে তারপরে আপনি কানাডার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে অথবা কলেজ গুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন

    এক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে কানাডায় স্টুডেন্টদের সাথে পড়তে হলে অবশ্যই আপনাকে আইএলটিএস স্কোর মিনিমাম 6 পয়েন্ট থাকতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন কলেজগুলোতে বিভিন্ন রকম রিকোয়ারমেন্ট থাকে তাই কানাডাতে স্টুডেন্টদের সাথে পড়ার জন্য আগে থেকে দেখে নিবেন আপনি কোন কলেজে ভর্তি হতে চাচ্ছেন এবং তাদের রিকোয়ারমেন্ট গুলো কি কি

    স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে কানাডাতে কাজ

    আপনি চাইলে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে কানাডাতেও কাজ করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সময় বের করে এবং সময় নির্ধারণ করে কাজগুলো করতে হবে। এই কাজগুলো করার সময় আপনার টাইম মেনটেন করে চলতে হবে এবং আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে তা না হলে আপনার ভিসার সমস্যা হতে পারে। এজন্য আপনাকে সময় নির্ধারণ করে এই কাজগুলো করতে হবে। আপনি কানাডাতে স্টুডেন্ট অবস্থায় বিভিন্ন অনলাইন কম্পানি সহ রেস্টুরেন্ট ক্লিনিংবদ ড্রাইভিং এর কাজগুলো করতে পারবেন। এই কাজগুলো করে আমি আপনি মাসে 1 থেকে 2 লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে


    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা তে কাজ 

    আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার কাজ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে সময় নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি সময় নির্ধারণ করে কানাডায় স্টুডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এবার প্রশ্ন আসে আপনি কোথায় কাজ করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে তাদের জব ওয়েবসাইটগুলো ফলো করতে হবে সেখানে তারা বিভিন্ন কোম্পানির কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে সেখান থেকে আপনি শিবির সাবমিট করার মাধ্যমে কাজ পেতে পারেন।


    কানাডা ডাইভিং কাজ সহ অন্যান্য কাজ নিয়োগ


    আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানি এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তে কাজ করতে পারবেন। তাই বলা যায় আপনি স্টুডেন্টদের সাথে কাজ করতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে পার্টটাইম সময় তৈরি কোরে নেওয়া লাগবে তা না হলে আপনার পড়াশোনার জন্য সমস্যা হয়ে যাবে। অনেকেরই পরিস্থিতি অনেক সময় খারাপ যায় সে ক্ষেত্রে এ পার্ট টাইম জব গুলোই তাদের সাপোর্ট দিয়ে থাকে তাই বাংলাদেশ থেকে বা অন্যান্য দেশ থেকে যারা আসে দেশে পড়ালেখা করতে যায় তারা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তাদের খরচ টা চালিয়ে নেয়।


    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট

    কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টের তথ্য জানতে চাই। আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টে যদি অধিক পরিমাণ ট্রানজেকশন এর তথ্য থাকে এবং সেই সাথে আপনার ব্যাংক পড়াশোনা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকে তারপরে আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন


    মূলত কানাডাতে পড়াশোনা করার জন্য অধিক পরিমাণ টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়ে তাই অনেকেই আছে যারা কিনা পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকার পরেও কানাডার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য চিন্তাভাবনা করে থাকে এ ক্ষেত্রে কিন্তু শুধুমাত্র আবেদন করাই হবে তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম


    রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?


    তাই চেষ্টা করবেন কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার সংগ্রহ করার আগে আপনার ব্যাংক একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা সংরক্ষিত রাখা এবং সেই সাথে অধিক পরিমাণ টাকা ট্রানজেকশন করা থাকলে আপনার কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে


    আপনি যে সমস্ত কাজগুলো করতে পারবেন

    হোটেল রেষটুরেন্ট বয় হিসেবে কাজ করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনাদের কে বিভিন্ন ক্লিনার অথবা রেস্টুরেন্টের খাবার পরিবেশন সহ বিভিন্ন টুকিটাকি কাজ গুলা করে আপনি মাস শেষে ভালো একটি ইনকাম করতে পারবেন।

    তাছাড়া আপনি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি গুলোতে অথবা কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কানাডাতে কাজ করতে পারবেন চাইলে যদি আপনার স্কিল বা দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারবেন। তাই আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি এই কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারবেন।


    ভিডিওর মাধ্যমে দেখে আসুন


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন