আজকে আমরা কথা বলব জাপান কাজের ভিসা নিয়ে এবং জাপান কাজের ভিসার বর্তমান ২০২৩ এ কত টাকা খরচ পড়ছে এবং যাওয়ার নতুন প্রসেস কি রয়েছে এ সংক্রান্ত তথ্যগুলো নিয়ে। সেই সাথে আজকে আমরা এই কন্টেন্টের মধ্যে আলোচনা করব জাপান কাজের বিচার দাম কত এবং ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে।
বিগত বছর করে তুলনায় ২০২৩ সালে আবারো পুনরায় জাপানে নতুন ভাবে বিভিন্ন পদে শ্রমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জাপান যাওয়ার জন্য অবশ্যই জাপানি ভাষা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে এবং N4-N3 পাস করতে হবে। তারপরে জাপান যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে তাছাড়া জাপান যাওয়ার জন্য আরো কিছু প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট আছে তা তুলে ধরলাম।
জাপানি কেন যাবেন
বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক দেশ হল জাপান যেখানে নিরাপদ পরিবেশ এবং বিশ্বমানের শিক্ষাদান করা হয় এবং প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন জীবনের কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে হারে জাপানে কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে জাপানে কর্মী না থাকার কারণে বইয়ের বিশ্ব থেকে দক্ষ শ্রমিকদের জাপানে ভালো বেতনে চাকরির জন্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
সেই সাথে স্টুডেন্ট অবস্থায় জাপানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে এখানে পার্ট টাইমে সপ্তাহে ২৮ ঘন্টা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১২০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পাবে। মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। এবং জাপানে স্থায়ীভাবে বসবাস করারও সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানে যাওয়ার জন্য একেবারে কম খরচ লাগে সেই সাথে যদি আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করে জাপানে যেতে পারেন তাহলে মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন এবং পাশাপাশি জাপানে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন।
জাপান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কোথায় এবং কিভাবে শিখবেন
জাপান যাওয়ার জন্য শারীরিক যোগ্যতা এবং গঠন সবকিছু ঠিকঠাক থাকা লাগবে। শারীরিকভাবে ঠিক থাকলে আপনাকে কিছু ট্রেনিং এর মাধ্যমে তারা নির্বাচন করে নিবে। উত্তর ট্রেনিংয়ে যদি আপনি ঠিকঠাকমতো পারফরম্যান্স করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি জাপানে কাজের ভিসা পাবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে এইচএসসি ও সমমান পাস থাকা লাগবে। তাহলে আপনি সরকারি ভাবে জাপান ভিসা পেয়ে যাবেন।
জাপানে কাজের ভিসা ২০২৩
২০২৩ সালে জাপানে যাওয়ার নতুন নিয়ম হলো আবেদনকারীকে অবশ্যই ৩০ বছরের নিচে বয়স হতে হবে। আবেদনকারীকে ব্যাচেলর ডিগ্রী পাস করতে হবে এবং জাপানি ভাষা N4-N3 পাশ করতে হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে যারা শ্রমিক হিসেবে জাপানি কাজে যাবে তাদের জন্য জাপানি স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছে যে অন্যান্য বরের তুলনায় ২০২৩ সালে জাপানে ব্যাপকভাবে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাবে বলে তারা জানিয়েছে। তবে সরকারিভাবে যারা জাপানে যাবে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই জাপানি ভাষা এবং নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে তারপরেই জাপানে যাওয়ার সুযোগ করে নিতে পারবে।
জাপানে কোন কাজের বেতন বেশি
জাপানের একজন শ্রমিকের বেতন মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে স্পেসিফিক ভাবে জাপানের সবথেকে কোন কাজের বেতন বেশি সেটি হল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের। শ্রমিক হিসেবে কোন কাজে বেতন বেশি সেটি হল কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কাজ।
বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত ইঞ্জিনিয়ার বা টিচাররা জাপানে চাকরির উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকে তাদের বেতন শ্রমিকদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি হয়ে থাকে। তাই যারা জাপানে গিয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি ভালো কোন জব করতে পারবে তাদের ক্ষেত্রে বেতন কিন্তু অন্যান্যদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি পাবে। এবং দক্ষ শ্রমিকদের গুরুত্ব জাপানে অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় অধিকাংশ বেশি দেওয়া হয়।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?
বর্তমানে বিভিন্ন কাজের উপরে লোক নিয়োগ দিচ্ছে তবে নিয়োগ পাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সেই কাজ বিষয়ে দক্ষ হতে হবে সেখানে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মালি এ সমস্ত বিষয় ছাড়াও কেয়ারিং এর কাজগুলো করতে পারবেন। এবং এই কাজগুলোতে নির্ধারিত ডিউটি অথবা মাসিক ভিত্তিতে কাজ করা হয়ে থাকে তবে বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন বেতন নির্ধারিত থাকে।
জাপান যেতে কত টাকা লাগে
জাপান যেতে সর্বনিম্ন ১৮ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার মধ্যে জাপানে যাওয়া যায়। তবে আপনি যদি সরকারিভাবে জাপান যেতে চান তাহলে একেবারেই নামমাত্র খরচে জাপানে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে জাপানে যাওয়ার আগে জাপানি ভাষা শিখে পাস করে তারপরে জাপানে যাওয়ার সুযোগ করে নিতে পারবেন।
তবে আপনি যদি বেসরকারিভাবে যেতে চান অথবা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে আপনাকে ১৮ লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। বর্তমানে আগের তুলনায় জাপানে যাওয়ার খরচ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে ভিসা জটিলতা সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ের জন্য অনেকটাই বেশি হবে।
তাছাড়া যদি আপনি কাজের উদ্দেশ্যে যান তাহলে বাংলাদেশী নির্বাচিত হয় ভাবে তাদের ভাষা শিখে সে ক্ষেত্রে যদি বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে যাইতে চান তাহলে আপনার কোন টাকা পয়সা লাগবে না। এমনকি আপনার কাজের জন্য চিন্তা করা লাগবে না এখান থেকেই আপনি কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে পাড়ি জমাতে পারবেন। তাই যদি নির্ধারিত কাজ এর জন্য যাইতে চান তাহলে উক্ত বিষয় এর উপর এপ্লাই করুন
জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত
জাপানে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন ৮০ হাজার টাকা। বর্তমানে যারা জাপানি কাজে যাচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপরে কাজে যাওয়ার জন্য সিলেক্ট করা হয়। জাপানি একজন অদক্ষ শ্রমিকের কোন ধরনের গুরুত্ব দেওয়া হয় না তাই যারা যাই তারা দক্ষ শ্রমিক হয়ে তারপরে জাপানে যাই এবং তাদের বেতন সর্বনিম্ন ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়।
পরবর্তীতে ওই শ্রমিক যদি নিয়মিত ওই কোম্পানিতে কাজে থাকতে পারে তাহলে প্রত্যেক বছর তার বেতন বৃদ্ধি পাবে এবং এক্ষেত্রে পরবর্তীতে সে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ পাবে। তাই বর্তমানে যারা জাপান যেতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে এবং ভাষার দক্ষতা অর্জন করে তারপরে যাওয়া উচিত।
জাপানে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
২০২৩ সালে যারা সরকারিভাবে অথবা বেসরকারিভাবে জাপানে যেতে চান এক্ষেত্রে অবশ্যই নির্ধারিত একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং বুয়েসেল অথবা বিএমআইটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে।
জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি মাস অথবা আগস্ট মাসের মধ্যেই এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকে বুয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। এর মধ্যে আপনারা যোগাযোগ করে দেখতে পারেন অথবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনারা দেখে আসতে পারেন। তাছাড়া যখন জাপানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তখন কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে এই খবর বা বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাবেন।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা নেওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ন্যূনতম এইচএসসি/আলিম/ডিপ্লোমা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। অথবা মাস্টার্স অনার্স পড়ুয়া স্টুডেন্টরাও জাপানের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। জাপানি স্টাডি কাপ পাঁচ বছরের জন্য গ্রহণযোগ্য বয়সসীমা অবশ্যই ৩০ এর নিচে থাকতে হবে তারপরে আপনি স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।
এক নজরে জাপান স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা
- এসএসসি/আলিম/ডিপ্লোমা
- মাস্টার্স অনার্স স্টুডেন্ট
- স বয়সীমা তিরিশের নিচে হতে হবে
- জাপানি স্টাডি কাপ পাঁচ বছরের গ্রহণযোগ্য
- জাপানি ভাষা এন ফোর N4-N3 পাস করতে হবে
- জাপান কালচার আয়ত্ত করতে হবে
এছাড়াও যারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক হিসেবে জাপানে যেতে চায় তাদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যারা ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে যেতে চান তাহলে সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনার আবেদন করতে পারেন। অথবা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য স্পেসিফিক ভাবে আলাদা রিকোয়ারমেন্টও দেওয়া হয় সে বিষয়টি আপনারা নজরে রাখবেন।
জাপানে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ
জাপানে পড়া অবস্থায় আপনি উচ্চ শিক্ষার গ্রহণ করতে পারবেন পাশাপাশি সেখানে পার্ট টাইম জব করার সুযোগ পাবেন। এখানে সাপ্তাহিকভাবে ২৮ ঘন্টা থেকে শুরু করে ১২০ ঘন্টা পর্যন্ত সপ্তাহে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে আপনি মাসে এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা অথবা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
তাছাড়া অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেখানে আপনি স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন এবং নাগরিকত্ব অর্জন করারও সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে নিতে পারবেন। সেখানে যদি আপনি পড়াশোনা করার পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অথবা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ নিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনাদের স্থায়িত্ব হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।
জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে জাপানের সবথেকে কেয়ারিং ম্যানের চাহিদা বেশি। কৃষি কাজে বর্তমানে আগের তুলনায় অনেকটাই চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে কৃষিকাজে আগের তুলনায় বেতনও অনেকটাই বেশি। কনস্ট্রাকশন কোম্পানি সহ আরো ফ্যাক্টরির কাজ যেগুলোতে দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে জাপান হচ্ছে একটি অর্থনৈতিক দেশ যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম একটি দেশ।
এই দেশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে এবং মোটামুটি যে সমস্ত কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে সেই অনুযায়ী জাপানে কর্মীর সংখ্যা একেবারেই কম হওয়ার কারণে দেশের বাহির থেকে শ্রমিক জাপানে নিয়ে এসে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। তাই জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু তুলে ধরেছি।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন | ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
জাপানের বর্তমানে ক্লিনিং পদে ব্যাপকভাবে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে তাদের বিভিন্ন জব ওয়েবসাইটগুলোতে। কেউ যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে তাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনার সিভি সাবমিট করে দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই আপনাদের জাপানি ভাষা এনফোর এবং n3 পাস করতে হবে তারপরে আপনারা উক্ত বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
তবে অবশ্যই সিভিতে আপনার মিনিমাম এক্সপেরিয়েন্স উল্লেখ করতে হবে আপনি পূর্বে কোথাও কাজ করেছেন কিনা এবং কোন কোন কাজের অভিজ্ঞতা আছে এবং কতদিন যাবৎ কাজ করেছেন তার একটি প্রমাণ স্বরূপ সার্টিফিকেট তুলে ধরা লাগবে। ক্লিনিং সহ বিভিন্ন মেকানিক্যাল এবং ড্রাইভিং এর কাজের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে জাপানে। এবং বর্তমানে রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন শপিংমলে ক্লিনিং পদে ব্যাপকভাবে নিয়োগ দিচ্ছে।
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা
জাপানে অনেকেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যান তবে বিগত বছরগুলোতে খুবই কম সংখ্যক কর্মী নিয়োগ দিয়েছিল জাপান সরকার তাদের মধ্যে অনেকেই স্টুডেন্ট হিসাবে যোগ দিয়েছেন আবার অনেকেই কাজের ভিসা তে যোগ দিয়েছেন তবে মোটামুটি ৪০০ লোকের মত নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাই বর্তমানে জাপান সরকার আরো কিছু লোক নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রবাসী সংস্থার সঙ্গে আলাপ হয়েছে তারা নির্দিষ্ট ট্রেনিং এবং ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ লোক নিবেন।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসা নিতে হলে আপনাকে এসএসসি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে ব্যাচেলর ডিগ্রী গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট থাকা লাগবে মাস্টার্স বা পোস্ট গ্রাজুয়েশন ভর্তির জন্য সেখানে আপনি আবেদন করতে পারবেন। ব্যাচেলর ডিগ্রী মাস্টার ডিগ্রী প্রোগ্রাম নিয়ে আপনি সেখানে গবেষণার জন্য বা হায়ার স্টাডিজ জন্য জাপানে পাড়ি জমাতে পারবেন।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
তবে দুবাই মালয়েশিয়ার সিঙ্গাপুরের মতো আপনাকে এখানে স্টুডেন্ট ভিসা বা ভ্রমণ ভিসার জন্য কোন সমস্যায় পড়তে হবে না কারণ সেই সমস্ত দেশে স্টুডেন্ট ভিসা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে যদি যান এবং সেখানে গিয়ে যদি আপনি কাজে নিয়োগ হন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তবে জাপানে গিয়ে আপনি এই সমস্ত বিষয়ের উপর কাজও করতে পারবেন কোন সমস্যা হবে না।
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি লাগে
জাপানি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য নির্ধারিত কিছু বিষয়ের প্রতি তারা দেখে থাকে উক্ত বিষয়ে যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তা নিচে তুলে ধরা হলো
- আপনার ব্যাংক এবং ইনকামের একটি স্টেটমেন্ট লাগবে
- আপনি কোন বিষয়ে স্কলারশিপ পেয়েছেন তার একটি প্রমাণ
- আপনার পারিবারিক ব্যক্তিগত সার্টিফিকেটগুলো
- স্কলারশিপের ফরম আপনার এনআইডি কার্ড এবং নিবন্ধন
- আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে হতেই স্কলারশিপ পেয়েছেন তার একটি সত্যায়িত পত্র
- এবং আপনার একটি কভার লেটার সাথে থাকা লাগবে
জাপান ভ্রমণ ভিসা
বর্তমান সময়ে জাপান ভ্রমণ ভিসা আগের থেকে অনেকটাই জটিল হয়েছে কারণ করণা মহামারীর কারণে ভ্রমণ ভিসা তাদের বন্ধ ছিল সে ক্ষেত্রে নতুন ভাবে আবার ভ্রমণ ভিসা চালু করার চিন্তাভাবনা করেছি জাপান সরকার। তাই কেউ যদি ভ্রমণ ভিসা নিয়ে এসে দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যান তাহলে তাদের ভিসা আপডেট টা চেক করে নিবেন তাহলে আপনি নিশ্চিত হয়ে যাবেন ভ্রমণ ভিসা সম্পর্কে। আর আমাদের এখানে চোখ রাখুন আমরা তাদের ভিসা কার্যক্রম চালু হওয়া মাত্রই আমরা এখানে আপডেট করে দিব।
চায়না স্কলারশিপ কিভাবে আবেদন করবেন?
অন্যান্য দেশের মতো আপনি ভ্রমণ ভিসা তে যে কোন সমস্যায় পড়তে হবে না কারণ দুবাই মালয়েশিয়া বা অন্যান্য দেশগুলোতে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে গেলে সেখানে আপনি কোন কাজ করতে পারবেন না বরং সে আপনাকে আরো জরিমানা করবে। তাই এখানে নিশ্চিত থাকুন যে আপনি যদি ভ্রমণ ভিসা পেয়ে সেখানে যান তার পরেও আপনার কোন সমস্যা হবে না আপনি নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন