পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কিভাবে পাবো
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যদি আপনি পেতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য যে ব্যক্তি আবেদন করবে তাকে অবশ্যই মেট্রোপলিটন কিংবা জেলা পুলিশের আওতাধীন এমন এলাকায় তাকে থাকা লাগবে। এবং তাকে অবশ্যই পাসপোর্ট অনুযায়ী ঠিকানার বাসিন্দা হতে হবে। পুলিশ তার পাসপোর্ট অনুযায়ী ঠিকানা নির্বাচন করবে।
যদি কোন বিদেশে অবস্থানকারী কোন ব্যক্তি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে যে দেশে অবস্থান করছে, এবং সেই দেশ হতে বাংলাদেশ দূতাবাস হাইকমিশনের সঙ্গে বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দের সাথে যোগাযোগ করে পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে। তাহলে সে বিদেশ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবে।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর জন্য যদি পাসপোর্ট নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ না থাকে সে ক্ষেত্রে ঠিকানা প্রমাণস্বরূপ আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র দিতে হবে অথবা নিবন্ধন সনদপত্র বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর সনদ পত্রের ফটোকপি দিতে হবে। এবং এগুলো সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা বা প্রথম শ্রেণীর ব্যক্তিদের দ্বারা সত্যায়িত করে সেখানে দাখিল করতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার প্রয়োজনীয় শর্তাবলী
- আবেদনকারীকে মিনিমাম তিন মাস মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট থাকা লাগবে।
- পাসপোর্টে উল্লেখিত ঠিকানা অনুযায়ী তাকে অবস্থান করা লাগবে
- মেট্রোপলিটন জেলা পুলিশের আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত থাকা লাগবে।
- পাসপোর্ট অনুযায়ী ঠিকানাতে অবস্থান করা লাগবে।
বিদেশগামী প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক যদি হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশে বসবাস করে তাহলে সমস্ত নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে ইস্যু করা যাবে। বাংলাদেশে অবস্থানকারী কোন ব্যক্তি চাকরি কিংবা বিভিন্ন কাজের জন্য যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে জেলা কিংবা সিএসপি শাখায় যোগাযোগ করে সংগ্রহ করতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র, প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা কারা সত্যায়িত করে নিতে হবে এবং তথ্য পাতার স্ক্যান কপি সহ। বিদেশ গামী নাগরিকদের ক্ষেত্রে জাস্টিস অফ পিস সত্যায়িত পাসপোর্টের পাতার স্ক্যান কপি দিতে হবে। বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক এর মাধ্যমে কোন শাখা হতে 500 টাকা মূল্যমানের ট্রেজারি চালান তৈরি করতে হবে অথবা অনলাইনে ক্রেডিট ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে নির্ধারিত সার্ভিস প্রদান করতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
এছাড়া আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলোর মধ্যে যদি কোন ধরনের ভুল থাকে তাহলে কিন্তু পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আপনি পাবেন না। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনার নিবন্ধন আইডি কার্ডে অথবা ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোন ধরনের ভুল থাকে তাহলে সেগুলো আগে থেকে সংশোধন করে নেওয়া। তা না হলে আপনি ছোট্ট কোন ভুলের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আটকে যেতে পারে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইন আবেদন
অনলাইনের মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হলে www.pcc.police.gov.bd/ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে এবং যে কেউ নিজের অথবা অন্যের পক্ষ হতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো স্ক্যান করে এই ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হবে।
দ্বিতীয় অপশন হলো নিবন্ধনকারী ব্যবহারকারীকে অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করার পরে এপ্লাই মেনুতে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে হবে।
আবেদন ফরমের প্রথম পর্যায়ে ব্যক্তিগত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে হবে এবং দ্বিতীয় ধাপে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা গুলো পূরণ করতে হবে নিখুঁত ভাবে। এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত সেই ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে।
আবেদন ফরমের জন্য তৃতীয় ধাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান কপি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার আগে যেগুলো জানা জরুরী
আবেদন ফরমের চতুর্থ ধাপে আপনার এন্ট্রিকৃত সকল তথ্য গুলো পুনরায় দেখানো হবে আবেদনের কোন ভুল থাকলে আগের স্টেপ এগিয়ে আপনি সেগুলো ঠিক করতে পারবেন। আবেদনটি সাবমিট করার পরে ভুল সংশোধন করার উপায় থাকবেনা।
বিদেশ যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন
বিদেশ যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে হলে আপনাকে পাসপোর্ট অনুযায়ী ঠিকানায় অবস্থান করা লাগবে। বর্তমান ঠিকানা সঙ্গে আপনার এনআইডি কার্ডের মিল থাকা লাগবে এছাড়াও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হতে স্বাক্ষর করে নিতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য মূলত এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে এখন দেখা হচ্ছে তাই আগে থেকেই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটটি তৈরি করে রাখতে হবে যেকোন সময় যদি আপনার ভিসা চলে আসে তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি বিদেশে চলে যেতে পারবেন।
কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইনে চেক
পাসপোর্ট অনুযায়ী ঠিকানা এবং বর্তমানের ঠিকানার সঙ্গে মিল আছে কিনা শেটি ভালো মতো দেখতে হবে। নিবন্ধন এবং এনআইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি সহ এবং প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত আছে কিনা সে বিষয়টা ভালোমতো দেখলেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যাচাই করা সম্ভব।সেটি বুঝতে পারবেন এটা আসল নাকি নকল
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট মেয়াদ কতদিন
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই যদি সে বিদেশের না যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আবার নতুন করে করতে হবে অর্থাৎ ৬ মাস পর পর পুনরায় নতুন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে।
প্রত্যেকবার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট করার জন্য একই নিয়মে আবার পুনরায় আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার সময় বর্তমান ঠিকানা এবং পাসপোর্ট এর নিবন্ধন অনুযায়ী যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সে ঠিকানা অনুযায়ী অবস্থান করা লাগবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হেল্পলাইন নম্বর
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হেল্পলাইন নাম্বার হল ০১১৯১-০০৬৬৪৪, ০২-৭১২৪০০০ এই নম্বরগুলো থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য যে কোন সহায়তা নিতে পারবেন। এছাড়াও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য ডিএমপির সদর দপ্তরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হয়
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করতে হবে। এবং তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী তারা ভেরিফিকেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী ঠিকানাটি ব্যবহার করতে হবে।
অনলাইনের মাধ্যমে যদি আপনারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের আবেদন করতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সঙ্গে নিয়ে নিচের দেওয়া আমাদের এই লিংক থেকে আপনারা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমেই পুলিশ ক্লিয়ার সার্টিফিকেট আবেদন করতে পারবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয়
প্রথমত অবস্থায় যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন রিজেক্ট হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে পুনরায় আবার https://pcc.police.gov.bd/এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আগের মতই আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। আবেদন করার সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য যে সমস্ত ডকুমেন্টগুলো চাওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে আপলোড করতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার সময় যেই সমস্ত ভুলগুলো করেছিলেন তা পুনরাই করা যাবে না। এবং আপনার কাগজপত্র যদি নামের ভুল অথবা নিবন্ধন এবং ডেট কোন ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই সেগুলো সংশোধন করে তারপরেই আপনাকে আবেদন করতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন