ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভক্ত একটি দেশ হল সার্বিয়া। এবং সার্বিয়া তে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার সহজ একটি উপায় হল আপনার সঠিক যোগ্যতা। আপনার যদি সঠিক যোগ্যতা থাকে তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খুব সহজেই পাওয়া যাবে। অর্থাৎ বুঝানো হয়েছে চাকরিদাতা কোম্পানিগুলো যে সমস্ত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করে তা থাকলেই আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন সার্বিয়ার। আজকে আমরা কথা বলবো সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন এবং সার্বিয়া ভিসা খরচ এবং সার্বিয়ার কাজের বেতন কত এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
সার্বিয়া হল বাংলাদেশের জন্য বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় কাজের জায়গা। হাঙ্গেরি হল সার্বিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ। সার্বিয়া ইউরোপের সবচেয়ে আনন্দদায়ক শহরগুলোর মধ্যে এটি দ্বিতীয় অবস্থানে। বর্তমানে ছাড়বে বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে প্রচুর মানুষ সেখানে কাজ করছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর সৌদি আরব সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবাসীরা কাজ করে থাকে। তাই গত কয়েক বছর হলে সার্বিয়া নতুনভাবে বাংলাদেশের মানুষ কাজের জন্য পাড়ি জমাচ্ছে। তাই আপনিও সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজের জন্য সার্বিয়া যেতে পারেন।
সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বিদেশি চাকরিদাতা কোম্পানিগুলোতে যে সমস্ত কাজ প্রয়োজন বেশি সেই সমস্ত কাজের ওপর আপনাকে অভিজ্ঞ হতে হবে তাহলে আপনি যে কোন ক্যাটাগরিতে এপ্লাই করতে পারবেন। এপ্লাই করার পরে স্টিকার ভিসা এর ঢাকা অফিস আপনার ভাষাটি প্রসেস করবে সার্বিয়া ভারতীয় এম্বেসি থেকে। আপনার ভিসা অ্যাপ্লিকেশনটি যাচাই করে দেখবে সঠিক আছে কিনা। এগুলা সবকিছু এম্বাসি নিজেই করে থাকে এক্ষেত্রে আপনাকে ইন্ডিয়া যেতে হবে না। এর ফলে আপনি ৩০ দিনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। এবং দুই মাসের মধ্যেই ফ্লাইট করা সম্ভব হয়।
সার্বিয়া কাজের ভিসা
বর্তমানে সার্বিয়া তে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লোক নিয়োগ দিচ্ছে। কাজের ধরন হলো: কনস্ট্রাকশন সেক্টর এবং ফ্যাক্টরি, শেফ, হোটেল বয়, কেয়ারিং এর জন্য সার্বিয়া সরকার লোক নিয়োগ দিচ্ছে। তাছাড়াও ড্রাইভিং এবং মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রিশিয়ান পদে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কম্পানি গুলোতে ব্যাপক ভাবে লোক নিয়োগ দিচ্ছে।
বর্তমানে যারা এই সমস্ত সেক্টরগুলোতে কাজ করছে তাদের বেতন অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই ভালো এক্ষেত্রে এই সমস্ত সেক্টরগুলোতে কাজ করার জন্য তেমন কোন পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে না। সার্বিয়াতে কাজের ভিসা নিতে হলে এবং ভালো কোন কাজ করার জন্য অবশ্যই পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আপনি যদি সার্বিয়া তে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার কাজের বেতন এবং কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে দেখে নিন
সার্বিয়া কাজের ভিসা খরচ ২০২৩
থাকবে আবার পারমিট ভিসার জন্য খরচ হবে ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত। আপনি কি ধরনের কাজের ভিসা নিয়ে সার্বিয়া তে যাচ্ছেন এবং ওই কাজের বেতন কত সেটার উপর নির্ভর করেই মূলত সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম নির্ধারিত হয়। তাই মূলত নির্ধারিতভাবে সার্বিয়া ভিসার দাম কোথাও উল্লেখ নেই। এমনকি আপনি যদি নিজের ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে কিন্তু কম খরচের মধ্যেও যেতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরে যাচাই-বাছাই নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হলে। ভিসা ফি এবং ইন্সুরেন্স এবং অন্যান্য খরচের জন্য 30 হাজার টাকা প্রদান করলে আপনার কাজটি দ্রুত গতিতে করে দেবে। এক্ষেত্রে যদি আপনার বিশ্বাস না হয় সে ক্ষেত্রে টাকাটা আবার ফেরত দেওয়া হবে।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি দেখে নিন
তবে প্রথম অবস্থায় এই সরকারিভাবে যদি কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সেই সুযোগটি নেওয়া উচিত। অনেক সময় সরকার নিবন্ধিত রিকোরেটিংএজেন্সি গুলো কিন্তু সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে
সার্বিয়া বেতন কত
সার্বিয়াতে আপনি কি ধরনের কাজ করছেন সেটার উপর নির্ভর করে সার্বিয়া কাজের বেতন। মূলত ড্রাইভিং এ কাজ করে সার্বিয়া তে বেতন পাওয়া যায় ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তাছাড়া ফ্যাক্টরি বা অন্যান্য কাজগুলোতে বেতন আনুমানিক মাসে ৪৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সার্বিয়াতে শেফ এর প্রচুর চাহিদা
বর্তমানে সমস্ত কাজের উপর ব্যাপক ভাবে লোক নিয়োগ দিচ্ছে। সার্ভেতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং হোটেল এর জন্য নিয়োগ দিচ্ছে আপনি সের এর কাজ করে প্রতিমাসে 50 থেকে এক লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং এই ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খুব সহজ হয়ে যায়। যদি সে শেফের কাজ জানে। আর এই কাজের উপর ভিসা নিতে হলে আপনাকে পুষ্টিকর ভালো রান্নার রেসিপি অবশ্যই জানতে হবে। সার্বিয়া তে যাওয়ার জন্য আপনি বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
জাপানে যাওয়ার প্রসেস এবং জাপান যাওয়ার প্রশিক্ষণ
সার্বিয়াতে ড্রাইভিং এর কাজ
বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়া তে যাওয়ার পরে আপনি ডাইভিং এর কাজ করতে পারবেন। দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশে ডাইভিং এর জন্য ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সেই হিসেবে সার্বিয়া তে আপনি ড্রাইভিং এর কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সার্ভিস ড্রাইভিং এর কাজ করলে আপনি মাসে ৭০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। ড্রাইভিং এর কাজ আপনি কোন কোম্পানি ভিত্তিক অথবা নিজেই গাড়ি কিনব কাজ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে তাহলে আপনি সার্বিয়া তে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
সার্বিয়া ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং সার্ভেয়ার টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করার জন্য আপনাদের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগতে পারে এক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র লাগবে তা তুলে ধরলাম। এ সমস্ত কাগজপত্রগুলো মূলত সার্বিয়া ওয়ার পারমিট ভিসা আবেদনের জন্যই লেগে থাকে।
- ছয় মাস মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- এই আইডি কার্ডের ফটোকপি
- চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত সনদ
- এজেন্সি হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো স্বাক্ষর
তাছাড়া আপনি যে কোম্পানির মাধ্যমে সার্বিয়া তে যাচ্ছেন সেই কোম্পানি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কি কি লাগবে জানিয়ে দিবে।
সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট দেখতে কেমন
সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেখতে অন্যান্য কাজের ভিসার মতোই তবে প্রথম অবস্থায় আপনি যদি সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেখতে চান তাহলে গুগল থেকে আমাদের দেওয়া পিকচার এর মত আপনারা ভিসা দেখতে পারবেন। নিচে আমরা সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর একটি পিকচার তুলে ধরলাম।
সার্বিয়া ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে সতর্কতা
ভিডিওর মাধ্যমে দেখে আসতে পারেন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন