বিয়ে করতে কি কি লাগে | কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে | পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে

    বিয়ে করতে কি কি লাগে | কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে | পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে

    বিয়ে হলো সামাজিক একটি বন্ধন যার মাধ্যমে একে অপরের সাথে সামাজিকভাবে অনুমোদন বা বৈধ কার্য সম্পাদন করা যার মাধ্যমে একে অপরের সাথে মিলন ঘটানো তাই সবার জানা উচিত বিয়ে করতে কি কি লাগে। আরে বিয়ে কার্য সম্পাদন করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি মেনে বিবাহ কার্য সম্পন্ন করতে হয়। তাই আজকে আমরা কথা বলবো বিয়ে করতে কি কি লাগে এবং কোট মেরেজ করতে কি লাগে। এছাড়াও পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে। এই নিয়ে বিস্তারিত আজকের আলোচনা

    বিয়ে করতে কি কি লাগে

    কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে: অনেকেই জানেন না বিয়ে করতে কি কি লাগে। কারণ মেয়েটা সামাজিক রীতি বা সরকারি আইন অনুযায়ী সম্পাদনা করতে হয়। আপনি বা আপনার বন্ধু অনেকেই আছে যারা কোর্ট ম্যারেজ এর মাধ্যমে অথবা কাজী অফিসে গিয়ে কিভাবে বিবাহ করতে হয় সে সম্পর্কে কিছুই জানে না। বিয়ে করার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে কোট মেরেজ টাকি এবং কাজীর কাছে গিয়ে কিভাবে বিয়ে করতে হয় কাবিননামা এবং রেজিস্ট্রেশন কাবিন মূল্য বা বিয়ে কি? তাহলে চলুন জেনে নিই বিয়ে করতে কি কি লাগে?

    • ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • জন্ম নিবন্ধন আইডির ফটোকপি
    • ছেলে পক্ষের তিনজন সাক্ষী
    • মেয়ে পক্ষের তিনজন সাক্ষী
    • মেয়ের নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • মেয়ের ইন্টারন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • মেয়ে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

    দুজন সম্পর্কের মাঝে অনেক সময় অনিশ্চয়তা চলে আসে তখন অনেকে মনে করেন কোট ম্যারেজ করবেন, চলে যান কোর্টে এই বিষয়টা নিয়ে, আসলে কোর্টে গিয়ে কোন কোড মেরেজ হয় না। আপনি যে উকিল এর মাধ্যমে বিয়ে করবেন অথবা যে  কাজী এর মাধ্যমে বিয়ে করবেন তারাই কোর্টে গিয়ে বিষয়টি ফাইনাল করবে


    এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কাজীর কাছে রেজিস্ট্রি কাবিন মূল্য বিয়ে করে কোন নোটারি পাবলিকের কাছে গিয়ে আপনার প্রাপ্তবয়স্ক এবং জ্ঞানের এবং আপনি যে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এই মর্মে ১০০ বা ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি হলফনামায় সই করতে হবে। আর এই হলফনামাটি আপনার বিয়ের পরবর্তী লাইফ এর ক্ষেত্রে মূল্যবান একটি এভিডেন্স


    কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ কত ২০২৪

    ২০২৪ সালে কোর্ট ম্যারেজ ফি বাড়ানো হয়েছে। ২০০৯ এর বিধিমনা অনুযায়ী ২২ শে সংশোধন করা হয়েছে। ২১ এর বিধি অনুযায়ী বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ আছে। প্রতি এক লাখ টাকাতে ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি ২০২৪ এ বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের খরচের তালিকা

    • ১ লাখ টাকা কাবিন কাবিননামায়: ১৪০০ টাকা
    • ২ লাখ টাকা কাবিননামায়: ২৮০০ টাকা
    • ৩ লাখ টাকা কাবিননামায়: ৪২০০ টাকা
    • ৪ লাখ টাকা কাবিননামায়: ৫৬০০ হাজার টাকা
    • ৫ লাখ টাকা কাবিননামায়: ৭০০ হাজার টাকা


    এছাড়া বর্তমানে কাজী অফিসে কিন্তু আগের তুলনায় খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে কালেমা খরচ বা ওলীমা খরচ সহ আনুষাঙ্গিক কিছু খরচ বহন করা লাগতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনি প্রয়োজনীয় কি কি খরচ লাগে তা আগে থেকেই কাজী অফিস গিয়ে জেনে নিতে পারেন। এবং সরকারি তথ্য অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রি খরচ জেনে নিতে পারেন


    কাজী অফিসে কিভাবে বিয়ে হয়

    বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট বয়স নির্ধারিত করা আছে তাই উক্ত বিষয়ের প্রতি নজর রেখেই ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ হলে কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা যায় সে ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ের উভয়েই দুজনার এনআইডি কার্ড এবং নিবন্ধন কার্ড লাগবে। যদি দুজন প্রাপ্তবয়স্ক হয় তাহলে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হইবে। সেই ক্ষেত্রে দুজনারি পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি লাগবে। এবং দুই ছেলে এবং মেয়ে এর জন্যই সাক্ষী বাধ্যতামূলক


    এগুলো নিয়ে যদি কাজী অফিসে যান তাহলে কাজী অফিসের প্রয়োজনীয় ফি দিয়েই আপনাদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কাজী অফিসে জমা দিতে হবে এবং সেই সাথে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো কাজের রেজিস্ট্রি খাতায় উত্তোলন করার পরেই বিবাহ পড়িয়ে বিবাহ কার্য সম্পাদন করা হয়ে থাকে


    এক্ষেত্রে সকল সাক্ষী গনকে কাজী অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে উপস্থিত থাকা অবস্থায় বিবাহ কার্য শুরু করবে। কাজী সকল বিষয়গুলো বোঝার পরেই মূলত বিবাহ কার্য শুরু করবে এই সময় সকল সাক্ষী গনকে উপস্থিত থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় যে সমস্ত দেনা পাওনার বিষয়গুলো থাকে সেগুলোই তখন ক্লিয়ার করে নিতে হবে যেমন কাবিননামা কত হবে এবং কত নগদ এবং কত টাকা বাকি থাকছে এই বিষয়গুলো রেজিস্ট্রি খাতায় উল্লেখ করতে হয়


    বিয়ে করতে কি লাগে

    বিয়ে করতে হলে জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম নিবন্ধন কার্ড এবং পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি এবং তিনজন ব্যক্তির সাক্ষী লাগবে এবং দুইজন মহিলা। এবং বাংলাদেশ সরকার এর আইন অনুযায়ী ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮  হওয়া লাগবে তাহলেই বিবাহ কার্য সম্পাদন হইবে। 


    ছেলে পক্ষের তিনজন সাক্ষী অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে এক্ষেত্রে পাগল অথবা অন্ধ ব্যক্তিরা কখনোই বিয়ের জন্য সাক্ষী হতে পারবে না এ ক্ষেত্রে বুদ্ধিমান সম্পূর্ণ ব্যক্তিগণ বিয়ের জন্য সাক্ষী হতে পারবে।মেয়ের ক্ষেত্রেও একই রকম ভাবে তিনজন সাক্ষী লাগবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ওই তিনজন ব্যক্তিকে বুদ্ধি জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে। তাই বিয়ে করার আগে এই বিষয়গুলো লাগবেই তা না হলে বিবাহ গ্রহণযোগ্য হবে না


    কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে

    কোট মেরেজ করতে হলে আপনাকে আইনজীবী অথবা কাজী এর কাছে যাইতে হবে তারা 200 টাকার স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে একটি হলফনামা তৈরি করবে এবং সেখানে আপনাদের সই করতে হবে। এবং উক্ত হলফনামায় আপনাদের দুই কপি করে ছবি ছেলে এবং মেয়ের উভয়ের লাগবে। এবং আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র

    • মেয়ের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • ছেলের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • ন্যাশনাল এনআইডি কার্ডের ফটোকপি (ছেলে/ মেয়ে)
    • জন্ম নিবন্ধন এর আইডির ফটোকপি (ছেলে/ মেয়ে)
    • ছেলে মেয়ের উভয় পক্ষের তিনজন করে সাক্ষী
    • ২০০ বাই ১০০ টাকার হলফ নামায় সাক্ষী


    কোট মেরেজ এর মাধ্যমে বিয়ে করতে হলে অনেকে ভাবে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করা লাগবে উক্ত বিষয়টি একেবারে ভুল ধারণা উকিল চাইলে যেকোনো জায়গায় বিবাহ কার্য সম্পাদন করতে পারবে। এবং কাজী অফিসের মাধ্যমে আপনারা কোট মেরেজ সম্পন্ন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে কাজী অফিসে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাদেরকে নিবন্ধন কার্ড এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে যেতে হবে তাহলে আপনার বিবাহ কার্য সম্পন্ন হইবে কোর্ট ম্যারেজ সম্পন্ন হইবে


    কোর্ট ম্যারেজ করতে বয়স কত লাগে

    অনেকেই জানেননা কোট মেরেজ করতে বয়স কত লাগে বাংলাদেশ সরকার অনুযায়ী বিবাহ কার্য সম্পাদন করতে হলে অবশ্যই ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ হওয়া লাগবে তাহলে তারা কোট মেরেজ অথবা বিবাহ করতে পারবে । তাই বলা যায় কোট মেরেজ করতে মেয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলের বয়স ২১ হইতে হবে


    কোট ম্যারেজ করার জন্য নির্ধারিত যেকোনো একজনের বয়স হতে হবে এক্ষেত্রে ছেলের অথবা মেয়ের বয়স যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় তাহলে কোর্ট ম্যারেজ করতে পারবে যদি একজনের না হয় সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। তবে ছেলে পক্ষে অথবা মেয়ে পক্ষের যদি বয়স কম থাকে তাহলে বয়সীমা পূর্ণ হওয়ার পরেই বিয়ের কাগজ সংগ্রহ করতে পারবেন। তার আগে কখনোই কাজে অফিস থেকে বিয়ের কাগজপত্র উত্তোলন করতে পারবেন না শুধুমাত্র একটি কপি হাতে পাবেন।'


    আপনাদের জেনে রাখা উচিত এর বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। এটির জন্য মূলত নিবন্ধন আইডি কার্ড এবং ভোটার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে তারপরে মূলত প্রয়োজনীয় কাগজগুলো দেখানোর পরেই বিবাহ পসম্পাদন করবে


    কোর্ট ম্যারেজ ফি

    কোট মেরেজ করতে হলে কোর্ট ম্যারেজ ফি আবশ্যক সে ক্ষেত্রে এটা দেনমোহর এর ওপর নির্ভর করবে যদি আপনি ১ লাখ টাকা দেনমোহর করেন সেক্ষেত্রে তিন হাজার টাকার মতো কোর্ট ম্যারেজ ফি প্রদান করতে হয় এবং ২০০ টাকা স্টাম্প এর জন্য। এছাড়া বিভিন্ন কাজী অফিসের সাক্ষী বাবদ বা অন্যান্য কালেমা খরচ বাবদ কিন্তু আরো কিছু টাকা প্রদান করা লাগে


    তবে এক্ষেত্রে ফ্যামিলিগতভাবে অথবা আপনার বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে যদি কোর্ট মেরেজ করেন তাহলে কিন্তু খরচ কিছুটা কম হতে পারে এক্ষেত্রে এ সমস্ত খরচ গুলো নেওয়া হয় না শুধুমাত্র কালেমা খরচ এবং কোট স্টাম্প এর জন্য খরচ


    পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি লাগে

    পালিয়ে বিয়ে করতে হলে আপনাকে কোট মেরেজ এর মাধ্যমে বিয়ে করতে হবে সেক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন কার্ড এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। সহ কোর্ট ম্যারেজ ফি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে এবং অবশ্যই ছেলে এবং মেয়ের বয়স পূর্ণ হতে হবে সে ক্ষেত্রে ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ হাওয়া লাগবে


    • মেয়ে এবং ছেলের দুই কপি ছবি
    • মেয়ে এবং ছেলের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
    • মেয়ে এবং ছেলের নিবন্ধন আইডি কার্ডের কপি
    • তিনজন করে উভয় পক্ষের সাক্ষী
    • ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে হবে

    পালিয়ে বিয়ে করলে আপনারা পরবর্তীতে দুই ভাগে বিয়ে করতে পারবেন। কোর্ট ম্যারেজ এবং বিবাহ রেজিস্ট্রির মাধ্যমে। তবে অনেক সময় কিন্তু রিলেশনশিপের বিয়েগুলোতেও দুইভাবেই করে রাখা লাগে তা না হলে পরবর্তীতে কিন্তু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন একটি কোড এফিডেভিট তৈরি করে রাখা এতে করে পরবর্তীতে সমস্যা হবে না



    উপরোক্ত এই বিষয়গুলো নিয়ে গেলেই আপনারা পালিয়ে বিয়ে করতে পারবেন এক্ষেত্রে নিকটস্থ যে কোন কাজে অফিসে গিয়েই কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে করতে হবে। বিয়ে করার জন্য অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় যে সমস্ত সাক্ষী গুলো লাগে সেগুলো সঙ্গে নিয়ে কাজী অফিসে গেলেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ফ্রি প্রদান করে বিবাহ কার্য সম্পাদন করতে পারবেন


    কাজী অফিসে বিয়ের খরচ

    অনেকেই আছে যারা কাজী অফিসে বিয়ের খরচ সম্পর্কে জানেনা তাহলে চলুন বিয়ের কাবিননামার খরচ এবং যেকোনো বিয়ের ক্ষেত্রে একই খরচ বহন করে মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে দেনমোহর এর পরিমাণের উপর ভিত্তি করে একটি বিয়ের রেজিস্ট্রেশন খরচ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ধার্যকৃত দেনমোহর এর জন্য প্রতি হাজার তার অংশবিশেষ এর জন্য দশ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি ধরা হয়। এর পরিমাণ ১০০ টাকা সি এর পরিমাণ কম হবে না এবং ৪০০০ টাকার উপরে হবে না


    কারো বিয়ের দেনমোহর যদি ১০, ০০০টাকা হলে ফ্রি হবে  ১০০ টাকা দশ হাজার পাঁচশো এক টাকা হলে ১১০ টাকা। দেনমোহরের পরিমাণ যদি ৫০ হাজার টাকা হয় তাহলে ৪ হাজার টাকা খরচ লাগবে। আবার যদি দেনমোহর ১০০০ টাকা হয় তাহলেও ফ্রি দিতে হবে ১০০ টাকা তাই সর্বনিম্ন পরিমাণ ০ টাকা লাগবে তাছাড়াও রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের দায়িত্ব ছেলে পক্ষের এটা সরকারকর্তৃক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফ্রি পরিবর্তন ও ধার্য করে থাকে


    অল্প খরচে বিয়ে

    অল্প খরচে বিয়ে করতে হলে আপনার দেনমোহরের পরিমাণ কমাতে হবে তাহলে আপনি অল্প খরচে বিবাহ কার্য সম্পাদন করতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে এক লক্ষ টাকা দেনমোহর করলে মোটামুটি তিন হাজার টাকার মধ্যে আপনি কোর্ট ম্যারেজ অথবা বিবাহ কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। যদি এর পরিমান তাহলে সে ক্ষেত্রে খরচ কমে যাবে। তবে রেজিস্ট্রেশন ফি ছেলেপক্ষ হতে প্রদান করবে


    বর্তমানে অল্প খরচে বিয়ে করা যায় না তবে এক্ষেত্রে আপনারা যদি কিছু বিষয় মাথায় রাখেন তাহলে কিন্তু অল্প খরচে বিয়ে করা যেতে পারে। কেননা বর্তমানে যেকোনো ধরনের বিয়েতেই কিন্তু এক লাখ টাকা দেনমোহর থাকা লাগবে একত্রে কিন্তু সেই অনুযায়ী আপনাকে কাজীর ফি প্রদান করা লাগবে


    কোন খরচ ছাড়া বিয়ে করার উপায়

    বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোনো খরচ ছাড়া বিয়ে করার উপায় নাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে রেজিস্ট্রেশন ফি এবং কাজিফরি অবশ্যই দেওয়া লাগবে। এবং দেনমোহর উপলক্ষে আপনার বিয়ের খরচ নির্ভর করবে আপনার দেরমহর যত কমবে ততো আপনার খরচ কমবে সে ক্ষেত্রে দেনমোহর কমালে অল্প খরচে বিয়ে করতে পারবেন


    এক্ষেত্রে যদি আপনি একেবারে অপারগতা হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু যে কোন একটি সাহায্য কেন্দ্রে গিয়ে আপনি এই বিষয়টি জানাতে পারেন। অথবা যদি আপনি খুবই গরীব হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, সহ আরো অনেক সমাজকর্মী থাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি খুলে বলে বিবাহ কার্য সম্পাদন করতে পারবেন


    যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন এবং পর্যাপ্ত টাকা পয়সা না থাকে অথবা মেয়ের টাকা পয়সা না থাকে তাহলে কিন্তু যে কোন দাম সাদকা এর মাধ্যমে বিবাহ কার্য সম্পাদন করা যায় তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের সহায়তা বা যেকোনো ধরনের সহায়তা লাগলে তা করে নিতে হবে


    হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করব

    হিন্দু কোটপাড়া সম্পূর্ণ করতে হলে অবশ্যই দুজনকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে ছেলে এবং মেয়ে কেউ ভয় নেই মেয়ে ১৮ এবং ছেলে ২১ বছর হইলে হিন্দু কোড মেরেজ সম্পন্ন করা যাবে সেক্ষেত্রে ছেলেকে এবং মেয়েকে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং দুই কপি ছবি এবং নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি অবশ্যক। এবং সেইসাথে সাক্ষীর প্রয়োজন তো অবশ্যই আছে


    তবে ভিন্ন ধর্মের সাথে যদি বিয়ে হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাদের কে কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে আপনাদের বিবাহ বিষয়গুলো সম্পন্ন করার পরে কাজী অফিসের কাছে গিয়ে রেজিস্ট্রি কমপ্লিট করতে হবে তবে এ ক্ষেত্রে একে অপরের ধর্ম পরিবর্তন না করে বিয়ে করা সম্ভব। 


    কোর্ট ম্যারেজ এর বয়স ২০২৪

    কোট মেরেজ সম্পন্ন করতে হলে নির্ধারিত বয়স অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হবে সে ক্ষেত্রে ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ পূর্ণ হতে হবে। এর মধ্যে যদি কারো কম থাকে তাহলে কোট মেরেজ সম্পন্ন করা যাবে তবে তারা একসঙ্গে থাকতে পারবেনা তাদের পূর্ণ বয়স হওয়ার পরেই তারা একসঙ্গে থাকতে পারবে এবং তারপরে তারা বিবাহ কার্য সম্পাদন কাগজ হাতে পাবে না যাকে বলা হয় বিবাহ রেজিস্ট্রি কাগজ। তার পরেও তারা আপাতত ভাবে হলফনামা টা হাতে পাবে


    তবে বর্তমানে এখন কোর্ট এফিডেভিট বিবাহ কার্য সম্পাদন করার পরেও কিন্তু একসঙ্গে থাকা যাচ্ছে এবং বৈধভাবে বসবাস করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন দুইজনারি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে তখন আপনারা বিবাহ রেজিস্ট্রি কাগজ উত্তোলন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যেই কাজী অফিসের মাধ্যমে বিবাহ করেছেন সেখানে গেলেই এক হাজার টাকা দিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি কাগজ তুলতে পারবেন


    ছেলে অথবা মেয়ের বয়স যদি পূর্ণ না হয় তারপরেও কিন্তু তারা কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করতে পারবে তবে কোন ধরনের প্রমাণস্বরূপ কাগজ দেখাতে পারবে না। তাই কোন জরুরী কাজে অথবা জরুরী ভিত্তি যদি বিয়ে করানো লাগে সে ক্ষেত্রে কোর্টের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ করে কোর্টের কপি একটি সংগ্রহ করতে পারবেন এক্ষেত্রে একেবারে বিবাহের রেজিস্ট্রির কাগজ কিন্তু নিতে পারবেন না শুধুমাত্র বয়স সীমা পূর্ণ হলেই কাগজ পাওয়া যায়


    কোর্ট ম্যারেজ সার্টিফিকেট

    দুজন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও যদি কোর্টম্যারেজ সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আপনি যেখান হতে বিবাহ কার্য সম্পাদন করেছেন কাজী অথবা আপনার যে উকিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি কমপ্লিট করেছেন তার মাধ্যম হতেই বিবাহ বা কোর্ট ম্যারেজ সার্টিফিকেট হাতে পাবেন। তাই উক্ত কাশি এবং রেজিস্ট্রি উকিল এর মাধ্যমে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে নিবেন


    কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে করার পরে যদি বয়স কম থাকে তাহলে কিন্তু তৎক্ষণিকভাবে কোন ধরনের কাগজ হাতে পাবেন না এক্ষেত্রে শুধুমাত্র কোর্ট ম্যারেজের কপি নিতে পারবেন এক্ষেত্রে বিবাহ রেজিস্ট্রির মূল কাগজ হাতে পাবেন না


    কোথায় বিয়ে করবেন

    বিয়ে করতে হলে অবশ্যই কাজী অফিসে অথবা কোন উকিলের মাধ্যমে বিয়ে কার্য সম্পাদন করতে পারবেন বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি পৌরসভা বা যে কোন ওয়ার্ডে কাজী অফিস থাকে আপনি এসব কাজী অফিসে কি আপনার বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে এবং সাক্ষী নিয়ে গেলেই আপনার বিয়ে পড়ানো যাবে


    তাই সবথেকে ভালো হয় কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে পড়ানো তারা সবকিছু ম্যানেজ করে নেবে। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই তাদের রিকোয়ারমেন্ট গুলো নিয়ে যাওয়া লাগবে। আপনার বয়স হয়েছে কিনা সেই জন্য আপনার এনআইডি কার্ড এবং মেয়ের এনআইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে তাহলে তারা খুব সহজেই বিয়ে পরিয়ে দিতে পারবে


    তবে এটি শুধুমাত্র যারা পালিয়ে বিয়ে করে অথবা যাদের এ বিষয়ে জ্ঞান নাই অথবা ফ্যামিলিগতভাবে কোন গার্জিয়ান নাই তারা কিন্তু এইভাবে করে নিতে পারে তবে অবশ্যই কাজী অফিসে গিয়ে বৈধ উপায় বিবাহ করার জন্য আপনার নিবন্ধন আইডি কার্ড এবং মেয়ের নিবন্ধন আইডি কার্ড থাকতে হবে তাহলেই বৈধভাবে বিবাহ কার্য সম্পাদন করা যাবে

    ভিডিওর মাধ্যমে দেখে আসতে পারেন বিয়ে করতে কি কি লাগে

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন