অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন কিভাবে গ্রিসে কাজের ভিসা পাওয়া যায় তাদের এই প্রশ্নের আজকে সমাধান দিব। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কৃষি শ্রমিক নিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে সরকার। বাংলাদেশ থেকে যারা গ্রিসে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তাদের এবার সুবর্ণ সুযোগ চলে এসেছে। গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসদ আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসদ আহমেদ জানিয়েছেন অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী এর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন সেখানে তারা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ থেকে কৃষি বিষয়ক শ্রমিক নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির পরিকল্পনা তৈরি করেন এবং বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকভাবে কৃষি শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। কৃষি ছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক শ্রমিক বিভিন্ন কাজে এসে অবস্থান করছে। সেখানে হোটেল কর্মী এবং ক্লিনার পদে ড্রাইভিং পদে বর্তমানে লোক কাজ করছে।
আজকে আমরা কথা বলবো গ্রিসের কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় এবং তুরস্ক থেকে গ্রিস কিভাবে যাতে পারবেন। তাছাড়াও আলোচনা-করবো গ্রিসে কিভাবে যাওয়া যায় এবং কাজের ভিসা পেতে হলে আপনাকে কি কি করা লাগবে এবং কি কি কাগজপত্র থাকা লাগবে এই সমস্ত বিষয়টি আজকের আলোচনা তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
গ্রিসে কিভাবে যাওয়া যায়
আপনাকে গ্রিসে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। সাধারণত রোগীকে আইন অনুযায়ী আপনার প্রত্যাশিত তারিখের পরে পাসপোর্ট এর বৈধতার জন্য তিন মাসের অনুমতি দিয়ে থাকে। আপনার যদি ছয় মাসের মেয়াদের প্রয়োজন হয় তাহলে দেশে ভ্রমণ করে তবে আপনাকে আপনার ভ্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেওয়া লাগবে। তাই সাধারণত আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি কোনো বাধা যাতে আপনার না হয় এজন্য 6 মাস মেয়াদের থাকা উচিত।
হারিয়ে যাওয়া অথবা চুরি হওয়া পাসপোর্ট ব্যক্তিরা কখনোই প্রবেশ করতে পারবে না। এবং তাদের মূল পয়েন্টে ফিরে আসতে হবে। গ্রিক অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত করে বলেছেন। এ বিষয়ে যদি অনুরোধ করা হয় তবে আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত প্রমান সহ দেখাতে হবে তা না হলে আপনাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
আপনি যদি অবৈধভাবে বিদেশে যেতে চান তাহলে এটা সম্পূর্ণ একটি বেআইনি পন্থা তাইগ্রিস সরকার বর্তমানে এই বিষয়ে কঠোর ভাবে নির্দেশনা জারি করেছেন। অবৈধভাবে যদি কেউ প্রবেশ করে থাকে তাহলে তাকে দেশে পাঠানো হবে। তাই বৈধ উপায়ে গ্রিসে যাওয়াই আপনার জন্য নিরাপত্তা না হলে জীবনের রিস্ক এবং আপনার টাকা পয়সা নষ্ট হতে পারে অবৈধ পথে গ্রিসে পাড়ি দিলে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
গ্রিসে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা এর আন্ডারে কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে আপনাকে গ্রিসে কৃষি ভিসার আবেদন করতে হবে নিচে কিভাবে আবেদন করবেন সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরেছি এবং কিভাবে আবেদন করবেন অনলাইনে সেখানেও আমরা লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি দেখে নেবেন।
গ্রিসে কাজের ভিসা
বর্তমানে গ্রিসে বিভিন্ন কাজের চাহিদা রয়েছে। গ্রিস মন্ত্রী নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ থেকে কৃষি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লোক নিয়োগ দেবে। প্রায় 15 হাজারের মতো কৃষি সহ বিভিন্ন কাজের লোক নিয়োগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন সরকার। তার মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রয়েছে যেমন হোটেল কর্মী, মেকানিকাল, কৃষি, ইলেকট্রিক্যাল, কনস্ট্রাকশন, সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লোক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে তবে প্রাথমিক অবস্থায় কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে লোক নিয়োগ দিতে চাচ্ছে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
গ্রিসে কৃষি ভিসা ২০২৩
এ বছরে নতুনভাবে গ্রিসে সরকারিভাবে কৃষি কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে গ্রিসে কাজে যাওয়ার সুযোগ পাবে। যারা ২০২৩ সালে নতুন ভাবে গ্রিসে কাজে যেতে চাচ্ছেন তারা চাইলে বয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রপাতি চালানোর মতো দক্ষতা থাকতে হবে। এবং কৃষি কাজে অভিজ্ঞতারাই শুধুমাত্র কৃষি কাজের উপর ভিসা নিতে পারবে।
অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী জানান। গ্রীক সরকার 15 হাজার নিবে কৃষি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করবে। এবং তাদের নাগরিকদের আবাসন ও আইনগত সুবিধা সহ বৈধ নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য সমস্ত সুবিধা প্রদান করবে বলে নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে তাদের কৃষি শক্তি উন্নতি করার জন্য এবং কৃষি অর্থনীতি উন্নতি করার জন্য বাংলাদেশ থেকে পুরনো হাজার শ্রমিক নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাই যারা কৃষি ভিসায় যেতে গ্রিসে চান। তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি শ্রমিকদের নিয়োগের সহায়তা করতে প্রস্তুত। তাদের দুই বছর মেয়াদী কৃষি ভিসা প্রদান করা হবে এ বিষয়ে যৌক্তিক বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন বেশি
তুরস্ক থেকে গ্রিস কিভাবে যাওয়া যায়
অনেকেই জানতে চেয়েছেন তুরস্কে থেকে দেশে কিভাবে যাওয়া যায়। তুরস্ক থেকে গ্রিস এ যেতে হলে আপনাকে দুই ঘন্টা 55 মিনিটের মত সময় লাগবে। এবার প্রশ্ন আসতে পারে বাস নাকি অন্য কোন মাধ্যমে দেশে যাওয়া যায়। আপনি যদি ফ্লাই করে যেতে চান সময় লাগবে দুই ঘণ্টা 55 মিনিট এবং এর খরচ হবে পনেরশো থেকে 2000 রুপী।
তুর্কির উপকূলীয় অঞ্চলের সাথে ডেডোকানিজ উত্তরে এশিয়ানের দ্বীপ গুলির মধ্যে দূরত্ব কম তাই ফেরিতে 20 মিনিট থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগতে পারে। তাই এই বন্দরগুলোতে আপনি সাধারণত আগমনের জন্য বন্দরের পাশাপাশি ফেরির উপর নির্ভর করে সেখানে আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে তুর্কি নাগরিকরা কনস্যুলেট যাচাইকৃত জরুরী ভ্রমণ ব্যতীত স্থায়ী বাসিন্দা হলে আপনি যে কোন দেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে গৃহে প্রবেশ করতে কখনোই পারবে না। তবে গ্রিক নাগরিকরা তুরস্কে যেতে এবং উভয় পাশে কোয়ারেন্টাইন এর প্রয়োজন ছাড়াই এখন গ্রিসে পুনরায় প্রবেশ করতে পারবে।
জাপানে কাজের ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা
গ্রিসে স্পন্সর ভিসায় যাওয়ার উপায়
আপনি যদি গ্রীসে ভিজিট করতে চান অথবা পড়ালেখার জন্য এবং কাজের জন্য যেতে চান তবে আপনাকে অন্যান্য ব্রিজ সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং দেশের ভ্রমণের অভিপ্রায় তা নির্ভর করে। কাজ বা সেখানে থাকার জন্য আপনাকে সেই অনুযায়ী আলাদা গ্রিট সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সেখানে মার্কিন নাগরিকরা 90 দিন পর্যন্ত কোন ভিসা ছাড়াই পর্যটন ভিসার মাধ্যমে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে পারবে। তাই যারা বিভিন্ন দেশ থেকে ভিসা নিতে চাচ্ছেন তারা ভ্রমণ ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা বা কাজের ভিসা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন তাছাড়া গৃহে প্রবেশ করার কোন অনুমতি নেই।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
গ্রিসে ভিসার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা যা লাগবে তা নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো এবং সমস্ত কাগজপত্র আগে থেকেই ভুল সংশোধন করে রাখবেন।
- জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি
- নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি
- লাস্ট এডুকেশন যোগ্যতা
- বৈধ পাসপোর্ট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- এবং আপনার বাবা-মায়ের নিবন্ধন কার্ড
দুবাই নতুন কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত তথ্য
গ্রীস স্টুডেন্ট ভিসা
বর্তমানে হায়ার স্টাডিজ জন্য গ্রিসে স্টুডেন্ট ভিসায় বিভিন্ন দেশ থেকে পাড়ি জমাচ্ছে স্টুডেন্টরা তাই বাংলাদেশসহ ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য কান্ট্রি থেকে গ্রীস স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে অবশ্যই থাকা লাগবে। এই লিঙ্ক এ আবেদন করুন
গ্রিসে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য নিচের দেওয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো অবশ্যই থাকা লাগবে তা নাহলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না
এসএসসি পাস সার্টিফিকেট অবশ্যই 4. পয়েন্ট লাগবে। এবং স্নাতক এর জন্য চার বছর মেয়াদি মাস্টার্সের জন্য দুই বছর মেয়াদী এবং ডিগ্রী শেষ করে কেউ যদি মাস্টার্সে ভর্তি হতে চান তাহলে এক সিস্টার কমপ্লিট করে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন তাছাড়া আপনি আবেদন করতে পারবেন না
আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন সেপ্টেম্বর মাসে মূলত এর অধিবেশন শুরু হয়ে থাকে আপনি সরাসরি অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে পারবেন আবেদনের জন্য আপনাকে 100 বা 200 ইউরও প্রদান করা লাগবে।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা লাগবে আপনার আইএলটিএস স্কোর মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় পর্যন্ত থাকা লাগবে তা না হলে আপনি গেছে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না শুধুমাত্র স্টুডেন্টরা।
গ্রিস দেশটি কেমন
বর্তমানে অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই উন্নত একটি কান্ট্রি হয়ে উঠেছে তারা বিভিন্ন ভাবে তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাই বর্তমানে এ দেশটিতে কাজের জন্য অথবা স্টুডেন্টদের জন্য ভিসা দিয়ে থাকে তাই অনেকে পড়ালেখা অথবা কাজের জন্য বেঁচে পাড়ি জমিয়ে থাকেন সে যদি কেউ কাজের জন্য যায় তাহলে মাসে 1 থেকে 2 লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবে। তাই আপনি যদি ভেসে যেতে চান তাহলে উপরের বৈধ উপায়ে গুলো মেনে তারপরে দেশে প্রবেশ করবেন।
গ্রিস ভিসার দাম কত
আপনি যদি গ্রীসে ভিসার জন্য আবেদন করতে থাকেন তাহলে ভিসা প্রকার নির্বিশেষে আপনাকে ভিসা ফি হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। দূতাবাস ভিসা ফি প্রদান করতে আপনাকে ভিসার আবেদনে প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে সমস্ত তথ্য আগে থেকে জেনে নিতে হবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফি ধরা হয়ে থাকে। গ্রিসের স্বল্পস্থায়ী ভিসা ফি হিসেবে ধরা হয় 80 ইউরো।
এবং আপনি যদি গ্রীষ্মে দীর্ঘকালীন ভিসা নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন বিভাগের অংকের অর্থ দাঁড়ায় তা হল 180 ইউরও হতে পারে সে ক্ষেত্রে যারা এই ক্যাটাগরিতে পরে তারা হলো অধ্যায়ন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণার্থী সেচ্ছাসেবক পরিবার পূর্ণ মিলন বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য। 6 মাস মেয়াদী হয় সে ক্ষেত্রে 180 ইউরও কত খরচ পড়বে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন