ডাচবাংলা ব্যাংক
আমরা সকলেই ডাচবাংলা ব্যাংকের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে পরিচিত। বিকাশ, নগদ, উপায় ইত্যাদি পেয়েছেন ডাচ বাংলা ব্যাংক একটু বেশি সুবিধাজনক। ডাচবাংলা ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশর নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে। ডাচবাংলা ব্যাংক বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকছেন ডাচবাংলা ব্যাংক।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক এটিএম, ডাচবাংলা মোবাইল ব্যাংকিং, ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এগুলা চালু হয়েছে বাংলাদেশে। এগুলো সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকে জানে আবার অনেকে জানিনা। আজকে আপনাদের সঙ্গে ডাচ বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংক
আপনারা অনেকেই ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর সঙ্গে পরিচিত। ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং আমাদের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকেন। যেগুলো আমরা বিকাশ, নগদ, উপায় ইত্যাদি তে পাই না। আজকে আপনাদের সঙ্গে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্কে আলোচনা করব।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংক রেজিস্ট্রেশন
আপনি যদি ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে আপনার কিছু তথ্য প্রয়োজন হবে। সকল তথ্য গুলো সঠিক ভাবে দিতে পারলে আপনার ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। যে সকল ডকুমেন্ট ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং রেজিস্ট্রেশন এর জন্য লাগবে তার নিচে দেওয়া হল।
প্রথমত দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
আপনার এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি লাগবে।
আপনার অ্যাকাউন্টের নমিনি হিসেবে যাকে রাখতে চান তার এক কপি ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার লাগবে।
উপরে উল্লেখিত এই কয়েকটি ডকুমেন্ট দিয়েই আপনার ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এতে অনেক রকম সুবিধা পেয়ে থাকবেন।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা
ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা সম্পর্কে অনেকে জানেন না। আজকে আপনাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই এবং কম টাকায় টাকা লেনদেন করতে পারি। ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আমরা মাত্র 2 টাকায় 1000 টাকা লেনদেন করতে পারব। বিকাশ, নগদ অ্যাপ এ টাকা লেনদেন করতে হলে হাজারে প্রায় 15 টাকা চার্জ কাটে। কিন্তু আপনি মাত্র 2 টাকা দিয়ে 1000 টাকা ট্রান্সফার করতে পারছেন ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অসুবিধা
সবকিছুতেই কিছু সুবিধা এবং কিছু অসুবিধা থাকে। তবে এটা কি অসুবিধা বলা যায় না কেননা এটি আপনার নিজের জন্যই নিজের অসুবিধা তৈরি করে।
যেমন,
আপনি যদি আপনার পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে আপনার কাছ থেকে সেটা রিসেট করতে 100 টাকা নেবে। এটা আপনি না ভুলে গেলে 100 টাকা আপনার দিতে হতো না। যদি আপনার কার্ড হারিয়ে যায় তাহলে আপনাকে সেই কার্ডে রিপ্লেস করার জন্য 200 টাকা ফি দিতে হবে। যদি আপনি এটিএম কার্ড নিয়ে থাকেন তাহলে এটিএম কার্ড রিনিউ করার জন্য আপনাকে বছরে 200 টাকা দিতে হবে। মূলত এইগুলোই ছিল সুবিধা এবং অসুবিধা।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এ টাকা জমা বা ট্রানস্ফার চার্জ কত
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের যদি আপনি টাকা জমা বা টান্সফার করতে চান তাহলে আপনার কাছ থেকে কত টাকা চার্জ নেওয়া হবে। আসুন আমরা জেনে নেই এ সম্পর্কে বিস্তারিত।
যদি আপনি ডাচ-বাংলা এজেন্ট এর মাধ্যমে টাকা জমা বা ট্রানস্ফার করতে চান তাহলে আপনার থেকে প্রতি হাজারে চার্জ নেওয়া হবে দুই টাকা। যদি আপনি 5000 টাকা পাঠিয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাছ থেকে 10 টাকা চার্জ নেওয়া হবে। যদি আপনি তিন হাজার টাকা পাঠিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার কাছ থেকে 6 টাকা চার্জ নেওয়া হবে। আশাকরি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং দৈনিক কত টাকা তুলতে পারবেন
আপনারা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দৈনিক কত টাকা তোলা যায়। আসুন জেনে নেই এ সম্পর্কে বিস্তারিত। ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কারেন্ট একাউন্টে আপনি দুইবারে 5 লক্ষ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আর যদি আপনি সেভিং একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে চান তাহলে দুই বাড়ি তিন লক্ষ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
আপনি যদি জেনারেল ব্যাংকিং একাউন্টে জমা করেন তাহলে কারেন্ট একাউন্ট এর জন্য আপনি চারবারে 15 লক্ষ টাকা এবং সেভিং একাউন্ট এর জন্য দুইবার 5 লক্ষ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর দৈনিক কত টাকা জমা করতে পারবেন
আপনারা অনেকে জানেনা ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দৈনিক কত টাকা জমা করা যায় বা কত টাকা উত্তোলন করা যায়। ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছে কত টাকা উত্তোলন করা যায় সে সম্পর্কে। এখন আমরা আপনাদেরকে জানাতে চাই দৈনিক কত টাকা জমা করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং নেই কারেন্ট একাউন্ট করে থাকেন তাহলে আপনি 4 বারে ছয় লক্ষ টাকা জমা করতে পারবেন। আর আপনি যদি সেভিংস একাউন্ট তৈরি করে থাকেন তাহলে আপনি দৈনিক জমা করতে পারবেন দুইবারই চার লক্ষ টাকা। মূলত দৈনিক জামা এবং দৈনিক টাকা উত্তোলন সম্পর্কে এগুলাই আলোচ্য বিষয় ছিল।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং কতটুকু নিরাপদ
আপনাদের জানা জরুরী যে আপনি যে একাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন সেটা কতটুকু নিরাপত্তা সম্পর্কে। আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর নিরাপদ ব্যবস্থা সম্পর্কে।
ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং 100% নিরাপদ বললে ভুল হবে না। কেননা ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বা আঙুলের ছাপ নিয়ে থাকেন। আপনাকে টাকা উত্তোলন করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ প্রয়োজন হবে। আর আপনারা হয়তো সবাই জানেন আঙ্গুলের ছাপ কখনো নকল করা যায় না। সুতরাং আমরা বলতে পারি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে জন্য ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শতভাগ নিরাপদ। এখানে আঙ্গুলের ছাপ ব্যতীত কোন টাকা উত্তোলন করা সম্ভব নয়।
ডাচবাংলা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি কি
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন কিংবা অনেকেই জানেন না বায়োমেট্রিক বলতে কী বোঝায়। আসলে এখানে বায়োমেট্রিক বলতে বোঝায় আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করা যায়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আপনাকে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। যেটা আপনারা আঙ্গুলের ছাপ এর সঙ্গে মিলিয়ে আপনাকে শনাক্ত করবে। এটা খুবই কার্যকরী প্রক্রিয়া কেননা আঙ্গুলের ছাপ কখনো নকল করা সম্ভব নয়। একেক ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ একেক রকম হয়। মূলত এগুলোকে বায়োমেট্রিক বলে।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং খুলতে কত টাকা লাগবে
প্রায় সকল মানুষেরই একটি কমন প্রশ্ন থাকে যেকোনো অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে তারা সর্বপ্রথম টাকার প্রশ্নটা করে থাকে। একটি একাউন্ট খুলতে কত টাকা খরচ হবে এ সম্পর্কে অনেক বেশি প্রশ্ন পাওয়া যায়। আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট করতে কত টাকা খরচ হবে।
আপনি যদি ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনার কাছ থেকে মাত্র 10 টাকা নেওয়া হবে। এই 10 টাকার মধ্যে দিয়ে আপনি আপনার একাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করতে কি কি লাগে
অন্যান্য ব্যাংকের মতো ডাচ-বাংলা অ্যাকাউন্ট খুলতেও তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেই রিকোয়ারমেন্ট গুলো হল যে একাউন্ট খুলবে তার দুই কপি ছবি এবং যাকে নমিনি করবে তার অবশ্যই 2 কপি ছবি লাগবে সাথে এনআইডি কার্ড থাকা লাগবে। এবং সিগনেচার। তাহলে আপনি ডাচ বাংলা একাউন্ট করতে পারবেন।
ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংক সম্পর্কে
ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক সম্পর্কে আলোচনা করলে অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। আজকে আপনাদের সঙ্গে ডাচবাংলা ব্যাংকের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। পরবর্তীতে আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি আজকের এই কনটেন্ট থেকে আপনারা আপনাদের প্রায় সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে থাকবেন। আশাকরি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন।যে কোন আপডেট তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আরো পড়তে ভিজিট করুন:
- ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার 10 টি উপায়
- টিকটকে ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় | টিকটক কিভাবে অটো লাইক নিতে পারবেন
- ফ্রি ফায়ার রেডিম কোড টুডে নিউ |
- সরকারি কম্পিউটার কোর্স 2022 | সরকারি অর্থায়নে ফ্রি কম্পিউটার আইটি কোর্স ২০২২
- মুভি ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট | ফ্রি মুভি ডাউনলোড সাইট
- টিকটক থেকে টাকা ইনকাম পদ্ধতি। টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন