ভিজামন অন্যান্য রোগের জন্য ভালো একটি ঔষধি তেমনি চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মেথি। তাই আজকে আমরা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করব চুলের জন্য মেথির উপকারিতা এবং চুলে মেথি কিভাবে ব্যবহার করবেন চুলে মেথি ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা যাক চুলের জন্য মেথির উপকারিতা নিয়ে।
চুল পড়া সমস্যা বা চুলের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভুগে থাকেন তাই এই সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য মেথির গুরুত্ব অনেক বেশি। চুলের জন্য মেথির উপকারিতা অনেক রয়েছে পর্যায়ক্রমে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এটার মাধ্যমে আপনার চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে এবং চুল গজাতে সাহায্য করবে এবং মেথির কারণে চলে কি কি প্রভাব পড়তে পারে এ বিষয়টা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেই।
চুলের জন্য মেথির উপকারিতা
মানুষের জন্য চুলপড়া সত্যিই একটি বিব্রতকর সমস্যা হয়ে থাকে। চুল মানুষের বহুবিধ কারণেই পড়তে পারে হতে পারে সেটা জেনেটিক সমস্যা বা অন্যান্য সমস্যা অথবা ওষুধের সাইড ইফেক্ট এর কারণেও চুল পড়তে পারে। সাধারণত দৈনিক ঘরে যদি 50 থেকে 100 পর্যন্ত চুল পড়ে থাকে তাহলে এটিকে স্বাভাবিকভাবে ধরে নেয়া যেতে পারে। তবে এর থেকে যদি বেশি পড়ে তাহলে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে এর জন্য চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ মেথির উপর ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়। কারণ চুলপড়া সমস্যা এবং চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য মেথির অত্যন্ত কার্যকরী কিছু উপায় রয়েছে।
চুলের খুশকি দূর করতে মেথি
সাধারণত চুলের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে চুলের খুশকি। এটি সন্ধিকালের পড়বে দেখা যায় না। খুশকি হলে সাধারণত মোটামুটি সবাই লক্ষ্য করে এবং সহজে বুঝতে পারে তার মাথায় খুশকি হয়েছে। একটু সচেতনতা অবলম্বন করলে খুব সহজেই আপনি আপনার চুলের খুশকি দূর করতে পারবেন। এবং সম্পূর্ণরূপেই খুশকি মুক্ত রাখতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে দুই থেকে তিন চামচ মেথি 1 কাপ পানিতে মিশিয়ে 10 থেকে 12 ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবং মেথির পানি ব্লেন্ড করে ভালোমতো পেস্ট করে নিন এর সাথে দুই থেকে তিন চামচ টক দই মিশিয়ে নিন।
মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এবার সম্পূর্ণ প্রার্থী মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগিয়ে দিন। 50 থেকে 60 মিনিটের মত অপেক্ষা করে তারপর ভালোমতো শ্যাম্পু দিয়ে মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন পানি দিয়ে। যদি আপনার মাথায় অতিরিক্ত খুশকি থাকে তাহলে সপ্তাহে অত্যন্ত একবার হলেও 15 দিনে একবার করে এই প্যাক টি ব্যবহার করা উচিত তাহলে একেবারেই নিরাময় হয়ে যাবে খুশকি । কারণ মৃত্যুর মাধ্যমে পুষ্টি যোগায় এবং ছত্রাক সংক্রমণ রোধ করে চুলের জন্য।
মেথি চুলের অকালপক্কতা রোধ করে
চুল অকালে পেকে যাওয়ার কারণে অনেকেই হতাশায় ভোগেন। বিশেষ করে যাদের অল্প বয়সে চুল পাকা শুরু হয় তাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপুষ্টি ও চুলের যত্নের জন্য চুলের অকালপক্কতা দেখা দিতে পারে অনেক সময়। আপনার শরীরে যদি আয়োডিন ও ভিটামিনের অভাবে চুলের যে স্তরে রঙ্গের তৈরি হয়, সেই স্তরের রঞ্জক কোষ তৈরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং চুল সাদা বা পাকা শুরু হয়ে যেতে পারে। অনেক সময়ই অসুস্থতার কারণে এবং জটিল কোনো সমস্যার কারণে অথবা মানসিক সমস্যার আঘাতে চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। মেথি কিভাবে সমাধান করবেন সে বিষয়টা নিয়ে তুলে ধরলাম।
মেথি নারিকেল তেলের মধ্যে কমপক্ষে দুই দিন ডুবিয়ে রাখুন। এবারের কুসুম কুসুম গরম পানি করে মাথায় হালকা করে ম্যাসাজ করুন। চুলের যেকোন সমস্যার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি সাধারণত টনিকের মতো কাজ করে থাকে এবং রং ফিরিয়ে আনতে অনেকটাই সাহায্য করে। এবং চুলের অকালপক্কতা এবং পুষ্টি জনিত সমস্যা সমাধান করে থাকে এবং নারিকেল তেল। এবং চুল বৃদ্ধিতে সমান ভাবে সাহায্য করে থাকে মেথি ও নারিকেল তেল।
চুল বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজাতে মেথি
সাধারণত বিভিন্ন সমস্যার কারণে যদি চুল পড়ে যায় এবং সেই চুল নতুনভাবে গজানোর জন্য আমরা বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি তবে সব পদ্ধতির মেন পদ্ধতি হলো। চুল বৃদ্ধি করতে মেথির প্রয়োজন পর্যায়ক্রমে জানিয়ে দেই চুল গজাতে মেথি কিভাবে ব্যবহার করবেন।'
অক্টোবর চামচ পানিতে মেথি এবং দুই চামচ সরিষার দানা পাউডার ভালো মতো মিশিয়ে নিন। এবং 3 থেকে 4 টেবিল-চামচ কুসুম গরম পানিতে এই পাউডার এক থেকে দুই ঘন্টা ভালোমতো ভিজিয়ে রাখুন। সেই সাথে এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে হালকা করে নেহি পেস্ট তৈরি করে ফেলুন।
পেস্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে ভালোমতো মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন তারপর 15 মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালোমতো চুলে শ্যাম্পু করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একটি মাসে অত্যন্ত একবার করে ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের রুক্ষভাব দূর হয়। সাধারণত শরীর সাথে ভিটামিন এ রয়েছে এবং চুলের যত্নে ভিটামিন এ অত্যন্ত কার্যকরী। তাই এই প্যাকটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং মেয়েটির দাঁড়া তোকে ঠান্ডা রাখে এবং ত্বকের কোষ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজার ও কন্ডিশনার হিসেবে মেথি
4 টেবিল চামচ 2 কাপ পানিতে মিশিয়ে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে পানিটুকু সেকে ফেলুন। এবং সেই পানিটুকু চুল শ্যাম্পু করার পরে সে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে ব্যবহার করলে কন্ডিশনারের থেকে চুলের ময়েশ্চারাইজার এর কাজ করে থাকে। চুল ঝরঝরে এবং সিল্কি করতে সাহায্য করে। কিভাবে মেথি চুলকে সমস্যামুক্ত করে এবং যুগের পর যুগ চুলকে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
চুলে মেথি ব্যবহারের নিয়ম
একটা পানিতে থেকে তিনি টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন তারপরে হালটা পেস্ট তৈরি করে চুলের সম্পূর্ণ ত্বকে হালকা করে মেসেজ করে লাগিয়ে রাখুন 30 থেকে 40 মিনিটের মত। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুলের সিল্কি ভাব চলে আসবে এবং চুলকে কালো এবং উজ্জ্বল করবে। সেইসাথে চুল পড়া কমে যাবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। এইভাবে সপ্তাহে মিনিমাম একবার ব্যবহার করতে হবে।
চুলের যত্নে ডিম ও মেথি
চুলের যত্নে ডিম ও মেথি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডিমের কুসুম খেলে দেওয়ার পরে ডিমের পাশের যে সাদা পানির অংশগুলো থাকে সেগুলো নিয়ে মেথির সাথে পেস্ট করে ফেলুন। 1 থেকে 2 চামচ পেস্ট তৈরি করার পরে মাথার ত্বকে হালকা করে মাসাজ করুন এতে করে। চুলের খুশকি দূর করবে এবং চুলকে কালো করতে সহায়তা করবে। এবং চুল পড়া রোধে অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে থাকে ডিম ও মেথি। তাই চুলের যত্নে ডিম ও মেথি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে খুবই ভাল ফলাফল পাবেন।
চুলের যত্ন মেথি ও কালোজিরা
চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে থাকে। 1 টেবিল-চামচ কালোজিরা এবং 2 টেবিল চামচ মেথি নিয়ে 1 কাপ পানিতে মিশিয়ে রাখুন। তারপরে ব্লেন্ডারে অথবা বাটার বেটে পেস্ট তৈরি করুন এবং সেই পেস্ট মাথার ত্বকের সমস্ত জায়গায় ভালো মতো লাগিয়ে রাখুন। এভাবে সপ্তাহে 3 দিন ব্যবহার করলেই নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে এবং চুল পড়া সাহায্য করবে। এবং চুলের অকালপক্কতা রোধ করবে।
মেথির ব্যবহার ও উপকারিতা
চুলে মেথির ব্যবহার এবং উপকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চুল পড়া রোধ করে চুল গজাতে সাহায্য করে, চুলকে সিল্কি করে, মাথার ত্বকে যদি ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া জনিত কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি রোধ করে, এবং চর্মরোগ থাকলে সেটিও দূর করে দেয়, এবং ত্বকের ভিটামিন এর ও প্রয়োজনীয়তা দূর করে, তাই চুলের জন্য মেথির ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী, তাই চুলের জন্য মেথির উপকারিতা অনেক রয়েছে, সপ্তাহে একবার হলেও চুলের জন্য মেথির ব্যবহার করা উত্তম।
চুলের যত্নে মেথি বীজ
চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, শুধুমাত্র যদি কেউ মেমেথি বীজ পেস্ট করে চুলের যত্নে ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার চুল আস্তে আস্তে অনেক ঘন এবং কালো হয়ে যাবে তাই চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেমেথি বীজ। তাছাড়াও মেতের ব্রিজ পানিতে মিশিয়ে সেই পানি ব্যবহার করলে চুল সিল্কি হয়।
চুলের জন্য মেথির প্যাক
1 কাপ পানিতে 2 টেবিল চামচ মেথি এবং এক চামচ কালোজিরা পানিতে মিশিয়ে 2 ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপরে পেস্ট তৈরি করুন এবং সম্পূর্ণ মাথার ত্বকে আধা ঘন্টার মত লাগিয়ে রাখুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে চুলের চর্মরোগ দূর করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলকে সুন্দর রাখে। তাই চুলের জন্য মেথির প্যাক টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি
চুলের যত্নে আমলকি তো বরাবরই ভালো ভূমিকা পালন করে সেই সাথে যদি মেথির ব্যবহার করা হয় তাহলে চুলকে মোটা চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এবং মেথি ব্যবহারের ফলে চুলের অকালপক্কতা রোধ করে চুলকে মসৃণ করে। এবং মাথার ত্বকে ভাইরাস মুক্ত রাখে। চুলকে খুশকি মুক্ত করতে হলে চুলের জন্য আমলকি ও মেথির গুরুত্ব অনেক বেশি। উপরে আমরা পর্যায়ক্রমে আমলকির প্যাক তৈরির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি।
চুলের যত্নে মেথি ও টক দই
এক চামচ পানিতে দুই চামচ মেথির পেস্ট তৈরি করার পরে দুই চামচ টক দই দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই পেস্ট মাথায় হালকা করে মাসাজ করে সমস্ত ত্বকে লাগিয়ে দিন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যাবে। নতুন চুল উঠতে সাহায্য করবে চুলের ভাইরাস দূর করবে। নতুন চুল গজাবে এবং চুল অনেক ঘন করতে সাহায্য করবে। তাই চুলের জন্য মেথি এবং টকদই অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- লতা হারবাল ক্রিম এর উপকারিতা | লতা হারবাল ক্রিম এর দাম | লতা হারবাল ফেসওয়াশ
- নাইট ক্রিম কোনটা ভালো | নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম | ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
- ঘরোয়া উপায়ে নাইট ক্রিম তৈরি | ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম বানানোর উপায়
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন