যারা মেক্সিকোতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করা লাগবে সেটা আমরা পর্যায়ক্রমে আজকে আলোচনা করব। মেক্সিকোতে কিভাবে ভিসা আবেদন করবেন এবং যাওয়ার প্রসেস কি এবং কত টাকা খরচ হয় এই নিয়ে আজকের বিস্তারিত আলোচনা তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত মেক্সিকোর কোন এমব্যাসি তৈরি হয়নি তাই বাংলাদেশ থেকে ভিসার আবেদন করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন মাধ্যম অবলম্বন করে মেক্সিকোতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারবে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবে টাইম সমস্ত প্রসেস গুলো আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে দেখিয়ে দিব কিভাবে আপনি মেক্সিকোতে যেতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেই।
এখানে আমরা দেশ বিষয়ে নানা রকম টপিক নিয়ে আলোচনা করে থাকে আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে ট্রাভেল রিলেটেড ক্যাটাগরিতে গিয়ে সমস্ত দেশে যাওয়ার প্রসেস সম্পর্কে জানতে পারবেন
মেক্সিকো টুরিস্ট ভিসা | Mexico tourist visa fee
টুরিস্ট ভিসা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু পন্থা অবলম্বন করা লাগবে। যেহেতু বাংলাদেশে মেক্সিকোর কোন এমবি নাই সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষগুলো ইন্ডিয়া থেকে মেক্সিকোর টুরিস্ট ভিসা নিয়ে থাকে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে থাকে। সেখান থেকে মোটামুটি খরচ একটু বেশি পড়লেও নিশ্চয়তা বেশি পাওয়া যায়। ইন্ডিয়া থেকে টুরিস্ট ভিসা নিতে হলে মোটামুটি 8 লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। এবং সেই সাথে যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান তাহলে মোটামুটি 10 লাখ টাকার মতো খরচ হবে।
মেক্সিকো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আপনি যদি দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর সমস্ত স্থানের কাজ করে থাকেন অথবা সৌদি আরবে থাকেন তাহলে মেক্সিকো যাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু মাধ্যম অবলম্বন করা লাগবে। আপনাকে প্রথম অবস্থায় অন্য কোন রাষ্ট্রের জন্য টুরিস্ট ভিসা নিতে হবে এবং সেই রাস্তা থেকে মেক্সিকো তে যাওয়ার জন্য পদ্ধতি তৈরি করতে হবে। তারপরে মেক্সিকোতে যাওয়ার পরে আপনি অ্যাক্সিকোন এম্বাসি বরাবর একটি আবেদন করতে পারবেন যে আমার নির্দিষ্ট কোনো সমস্যার কারণে দেশে পাড়ি জমাতে পাচ্ছিনা এবং আমার রাজনৈতিক অথবা অর্থনীতি কোন সমস্যা আছে। সেই আবেদনে এরকম ভাবে উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ করার পরে আপনাকে বিবেচনা করে তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার চেষ্টা করবে।
এইভাবে আপনি মেক্সিকোর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা মেক্সিকোর নাগরিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাছাড়া আপনি লিবিয়া বা অন্যান্য রাষ্ট্রের মাধ্যমে মেক্সিকোতে পাড়ি জমাতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচটা মোটামুটি একটু বেশি পড়বে। ম্যাক্সিকোতে বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকেই আছে যারা এখন পর্যন্ত ওখানে কাজ করছে এবং টুরিস্ট ভিসা মাধ্যমে তারা কাজ করছে।
মেক্সিকোতে সেখানে বিভিন্ন কাজের জন্য পাড়ি জমাচ্ছে। বর্তমান ইন্ডিয়া থেকে মেক্সিকোতে সব রকমের ভিসায় পাওয়া যাচ্ছে তাই যারা বাংলাদেশ থেকে যেতে ইচ্ছুক তারা ইন্ডিয়া থেকে নেতৃত্বে যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি হবে। তাছাড়াও আপনি কিরগিস্থান অথবা লিবিয়া এর মাধ্যমেও মেক্সিকোতে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা লাগবে এবং টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন পড়বে।
মেক্সিকোতে কিভাবে যাবেন
মেক্সিকোতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু পন্থা অবলম্বন করা লাগবে। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে মেক্সিকোতে যাওয়ার জন্য কোন এমব্যাসি নাই সেক্ষেত্রে আপনাকে ইন্ডিয়া দিল্লি এম্বাসির মাধ্যমে মেক্সিকোতে পাড়ি জমাতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে হবে দিল্লি এম্বাসি মাধ্যমে। তাহলে আপনি ম্যাক্সিকোতে যেতে পারবেন। অথবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে মেক্সিকোতে যাওয়া সম্ভব এর মাধ্যমে।
মেক্সিকো টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগবে
মেক্সিকো টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু পন্থা অবলম্বন করা লাগবে তার পর্যায়ক্রমে নিচে তুলে ধরা হলো। এবং টুরিস্ট ভিসা নিতে হলে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে নিচের দেওয়া রিকোয়ারমেন্ট গুলো অবশ্যই পুরন করতে হবে।
- মেক্সিকো টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে অবশ্যই মেক্সিকোর দূতাবাসে আবেদন করতে হবে।
- মেক্সিকো ভিসা আবেদন ফরম টি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে হবে।
- মেক্সিকো ভিসা আবেদন ফরম পাওয়া যাবে একটি দূতাবাস ওয়েবসাইটে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,, পাসপোর্ট, ছবি, নিবন্ধন আইডি কার্ড।
- ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য পাসপোর্ট এর কপি
মেক্সিকো টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- একটি অরজিনাল পাসপোর্ট সেখানে ভ্রমণের তারিখ এবং ছয় মাসের বৈধ হতে হবে
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- পাসপোর্ট আকারের দুই কপি ছবি
- ট্যাক্স রিটার্ন এবং পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ
- ভিসার একটি ফটোকপি এবং আধার কার্ড কঁপি
- বিবাহ প্রশংসাপত্র
- এবং জন্ম সনদ
মেক্সিকো ভিসা প্রসেসিং
মেক্সিকো ভিসা প্রসেসিং হওয়ার জন্য মিনিমাম 15 থেকে 20 দিনের মতো সময় লাগবে দিল্লি এম্বাসিতে। তারপরে যদি ভিসা প্রসেসিং হয় আপনার মোবাইল অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবে তারা পরবর্তী সময়ে টাকার জন্য আপনাকে বলা হবে কত টাকা খরচ হবে এবং কত মাসের ভিসা আপনি পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে টাকা কখনই আগে প্রদান করা লাগবে না। তাই অবশ্যই কোনো প্রতারককে আগে কখনো টাকা দিতে যাবেন না। দিল্লির এম্বাসি কাজগুলো সরাসরি নিজে গিয়ে করা উচিত।
- জাপানে কাজের ভিসা ২০২২ | জাপান ভ্রমণ ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা
- ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে 2022 | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ
- সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি | সৌদি আরবে জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন