আগের তুলনায় সহজেই এখন আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি এবং বেসরকারি দুই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা পাবেন। তাই আজকে মূলত আমরা কথা বলব আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন এবং বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে কাজে কত টাকা বেতন প্রদান করা হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা।
দীর্ঘদিন যাবত দেশের বাহির থেকে এবং দেশ থেকে অনেকেই আয়ারল্যান্ডে পড়াশোনা করার জন্য অথবা কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। তবে সঠিক পদ্ধতি এবং কত টাকা খরচ হয় এই বিষয়গুলো অনেকেই জানে না। তাই আমাদের কে অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেছে। তাই উপরোক্ত বিষয়ের উপর আমরা আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা
অনেকে অনেক দেশে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান। আয়ারল্যান্ডে অনেক বাংলাদেশি কাজ করে থাকেন। আয়ারল্যান্ডে নিজের সবকিছু প্রসেসিং করতে পারলে আপনার আয়ারল্যান্ডের যেতে খরচ হবে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কোন এজেন্সির মাধ্যমে বা দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ছয় থেকে আট লক্ষ টাকা। আয়ারল্যান্ডে আপনার মাসিক বেতন সর্বনিম্ন হবে এক লক্ষ 40 হাজার টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ 2 লক্ষ টাকা।
যারা সাধারন ভাবে কাজ করতে পারবেন তারা পাবেন প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মতো। এখানে অনেক বেশি বেতন দেয়া হয় যে কারণে এখানে অন্যান্য দেশ থেকে মানুষ জব বা কাজ করার জন্য এসে থাকে। আয়ারল্যান্ডে সবসময়ই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী নিয়ে থাকে যে কারণে তাদের বেতন বেশি দিয়ে থাকে তারা। আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আমাদের সঙ্গে থাকলে আশা করি আপনি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আয়ারল্যান্ডে ভিসা খরচ কত
অনেকেই অনেক দেশে যেতে চান টাকা আয় করার জন্য। তেমনি আয়ারল্যান্ডে অনেকেই যেতে চান। অনেকের একটি কমন প্রশ্ন থাকে যেকোনো দেশে যাবার পূর্বে সে দেশে যেতে কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আয়ারল্যান্ডে যেতে কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি আইল্যান্ডের যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। এটা যদি আপনি নিজেই প্রসেস করেন অথবা আয়ারল্যান্ডের কোন এজেন্সি দিয়ে প্রসেস করান সেই হিসেবে।
আর যদি আপনি বাংলাদেশ কোন লোকাল এজেন্সি দিয়ে আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দালালরা অনেক বেশি টাকা ও নিয়ে থাকেন। আপনি যদি নিজে নিজে আবেদন করতে পারেন তাহলে নিজে নিজে আবেদন করা উচিত। কেননা, নিজে নিজে আবেদন করলে অনেক কম খরচে আপনি আয়ারল্যান্ডে যেতে পারবেন।
আপনি যদি সরকারি মাধ্যমগুলোতে আয়ারল্যান্ডে যেতে চান তাহলে বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যেতে পারবেন অথবা বোয়েসেলের মাধ্যমেও যেতে পারবেন। বোয়েসেলের মাধ্যমে সরাসরি জব নিয়ে আয়ারল্যান্ডে যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বছরের বিভিন্ন সময়ে আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার জন্য তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে।
অথবা চাইলে বোয়েসেলের অফিসিয়াল ভাবেও যোগাযোগ করে আয়ারল্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হবে এবং কি কি প্রসেস এ বিষয়গুলো জানার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই বুয়েসেলের অফিসে সরাসরি গিয়ে যোগাযোগ করাই উচিত হবে।
আয়ারল্যান্ডে কাজের বেতন কত
আপনাদের সকলের মনে প্রশ্ন জাগে আমি একটি দেশে যাব সেখানে গিয়ে আমি কত টাকা বেতন পেতে পারি সে সম্পর্কে। আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি আয়ারল্যান্ডে গিয়ে আপনি মাসে কত টাকা আয় করতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আয়ারল্যান্ড একটি উন্নত দেশ। এদেশে অনেক বাংলাদেশী শ্রমিকরা কাজ করে থাকেন। একটি শ্রমিক যদি চাই তাহলে সে প্রতিমাসে কাজ করি দেড় থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আয়ারল্যান্ডে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শ্রমিক নেওয়া হয় সেহেতু এখানে বেতন একটু বেশি দেওয়া হয়। অন্যান্য দেশে আপনি মাসে 40 হাজার থেকে 1 লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। সেখানে আয়ারল্যান্ডে দেড় থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
আপনি বেতন পাবেন যা অনেক বেশি। কাজের তারতম্য ভেদে কম-বেশি কাজের বেতন হয়ে থাকে। কিছু কিছু কাজের জন্য 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা আয় করা যায় কিছু কিছু কাজের লোক জন্য দুই লক্ষ টাকা এবং কিছু কিছু কাজের জন্য তিন লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কাজের ওপর ভিত্তি করে বেতন দেওয়া হয়।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
অনেকেই আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান। টাকা আয় করার জন্য অনেকেই অনেক দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে থাকেন। বাংলাদেশের অনেক দেশে গিয়ে কাজ করে যেমন, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইতালি, সিঙ্গাপুর আরো অনেক দেশে যেয়ে থাকে। তেমনি অনেকেই আয়ারল্যান্ডে কাজের জন্য যেতে চাই। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
যেমন, আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের কি ধরনের কাজ করে থাকেন। আয়ারল্যান্ডে বাঙালিরা যে সকল কাজ করে থাকেন তার বেতন কেমন। আয়ারল্যান্ডে থাকা-খাওয়া এ কেমন খরচ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। যারা আয়ারল্যান্ডে যেতে চান অবশ্যই তাদের জন্য এই কনটেন্ট টি অনেক দারুন হতে চলেছে। আমাদের সঙ্গে থাকুন আশা করি উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশিরা কি কাজ করে
অনেকে আয়ারল্যান্ডে যেতে চান। কিন্তু জানেন না সেখানে গিয়ে কেমন কাজ করবেন সে সম্পর্কে। আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো আয়ারল্যান্ডে গিয়ে বাঙালিরা কি কি কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আমরা অনেক দেশে অনেকেই যে থাকি টাকা আয় করার জন্য। তেমনি অনেক বাঙালি যেয়ে থাকে আয়ারল্যান্ডে বা অন্যান্য দেশে একই রকম উদ্দেশ্য নিয়ে। বাংলাদেশিদের জন্য কনস্ট্রাকশন সাইডের অনেক রকম কাজ রয়েছে। বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ করে কনস্ট্রাকশনের অনেকগুলো জবের সুযোগ সুবিধা রয়েছে চাইলে আপনার কিন্তু এখানে আবেদন করতে পারেন। কনস্ট্রাকশন সাইটে যে ধরনের কাজের সুবিধা রয়েছে তা হলো :
সাটারিং কার্পেন্টার
স্টিল পিকচার
মেশিন
ইলেকট্রিশিয়ান
প্লাম্বার
ফোরম্যান
ইলেকট্রিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি
কাজের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এসব কাজগুলো অনেক বাংলাদেশীরা করে থাকে। এসকল জব গুলোর জন্য অবশ্যই আবেদন করতে পারেন। বিশেষ করে যারা মিডেল ইস্টে আছেন তারা সকলেই এধরনের কাজগুলো করে থাকেন। এ সকল শপগুলোর প্রতি যারা এক্সপার্ট তারা ট্রাই করে দেখতে পারেন। এগুলো ট্রাই করে আপনি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে আপনি খুব সহজেই আইল্যান্ডে যেতে পারবেন।
আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের জন্য কি কি জব রয়েছে
অনেকেই আয়ারল্যান্ডের যেতে চান কিন্তু অনেকেই জানেন আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশিরা গিয়ে কি কি কাজ করে সে সম্পর্কে। আজকে আমরা আপনাদেরকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশিরা গিয়ে অনেক রকম কাজ করে থাকেন। যেমন, কেউ করে থাকেন সাটারিং কার্পেন্টারের কাজ। আবার কেউ করে থাকে মিষ্টির পিকচার এর কাজ, মেশিনের কাজ, ইলেকট্রিশিয়ান ইত্যাদি রকমের কাজ করে থাকেন। আবার কেউ কেউ হোটেলে কাজ করেন। ফুড প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয় যেখানে অনেক বাংলাদেশ কাজ করে থাকে।
এ সকল স্থানের যাদের এক্সপেরিয়েন্স আছে তারা খুব সহজেই জব নিউজ করে কাজে লেগে পড়তে পারে। আয়ারল্যান্ডে লোক নেওয়ার পদ্ধতি যারা বেশি এক্সপিরিয়েন্স তাদেরকে বেশি প্রায়োরিটি দেওয়া হয় এবং তাদেরকে সিলেক্ট করা হয়। তারা সবসময়ই এমন লোক নেওয়ার চেষ্টা করে যারা অভিজ্ঞ। আশা করি সকলেই বুঝতে পারছেন।
আয়ারল্যান্ডে যেতে হলে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
অনেকেই আয়ারল্যান্ডে কাজ করার জন্য যেতে চান। জানেন না সেখানে যেতে কি সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে এই সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি যদি আয়ারল্যান্ডে জব বা অন্যান্য কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে তা হল :
আপনার একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং সেটি অবশ্যই বৈধ হতে হবে।
আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ বা চাকরি করে থাকেন তাহলে সেখানকার চাকরি বা কাজ এর অভিজ্ঞতা এর সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
আয়ারল্যান্ডে যেতে হলে আপনার সদ্য তোলা রঙিন দুই কপি ছবির প্রয়োজন হবে।
আপনার সকল প্রকারের তথ্য দিতে হবে, যেমন, যদি আপনি কোথায় পড়াশোনা করে থাকেন সেখানকার সার্টিফিকেট।
আপনি যে দেশ থেকে আবেদন করবেন আপনি সেই দেশে বৈধ কিনা তার একটি প্রমাণ পত্র প্রয়োজন হবে।
আপনি মূলত যেখানে জব করবেন সেখান থেকে আরও কিছু ডকুমেন্ট চেয়ে থাকতে পারে। তবে আমরা যে সকল ডকুমেন্ট এর কথা বললাম সেগুলো স্বাভাবিকভাবে প্রয়োজন হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
তাছাড়া উপর উক্ত ডকুমেন্টগুলো যদি কোন ধরনের ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই আগে থেকে সংশোধন করে নিবেন। সামান্য কিছু ভুলের কারণে কিন্তু আয়ারল্যান্ডের ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি যদি স্টুডেন্ট অবস্থায় যেতে চান অথবা অন্যান্য যেকোনো পরিস্থিতিতেই আপনার সমস্ত কাগজপত্র অবশ্যই ভ্যালিড হতে হবে।
আয়ারল্যান্ডে অনলাইনে জব আবেদন করার নিয়ম কি?
অনেকে আয়ারল্যান্ডে জব করতে চান। কিন্তু জানেন না অনলাইনের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে জব আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। আজকে আমরা অনলাইনে জব আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আয়ারল্যান্ডে জব আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই তাদের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। যে সকল ওয়েবসাইটে আয়ারল্যান্ডের জব সার্কুলার প্রকাশ করা হয়। আপনি আপনার কাজের দক্ষতা এবং পড়াশোনার ডিগ্রী নিয়ে আবেদন করতে পারেন।
সৌদি আরবে জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
আবেদন করার পর যদি আপনার আবেদন তারা অ্যাকসেপ্ট করে নাই তাহলে আপনি খুব সহজেই আয়ারল্যান্ডে যেতে পারবেন। তারা আপনার ভাইবা নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট ডেট দেবেন যেটা অনলাইনে নেওয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি যদি সিলেক্ট হন তবে এ সকল ডকুমেন্ট নিয়ে এম্বাসিতে জমা দিলে আপনি আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।
আরো জানতে ভিজিট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন