মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা
আপনারা অনেকেই অনেক সময় অনেক দেশে ঘুরতে যেয়ে থাকেন। অনেকেরই দেশ ভ্রমণ করার ইচ্ছা রয়েছে। যারা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় যেতে চান মূলত তাদের জন্য আমাদের আজকের এই কনটেন্ট টি। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে কত টাকা লাগে। মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা লাগে বা কি কি করতে হয়।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কতদিন থাকতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসা খরচ কত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জন্যই আমাদের এই কনটেন্ট টি। আশা করি আপনারা আমাদের এই কন্টেন্ট থেকে আপনাদের মনের সকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন। আশা করি আপনারা আমাদের এই কন্টাক্ট থেকে উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কবে খুলবে
আপনারা অনেকেই মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান। আপনারা জানেন মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা বন্ধ রয়েছে। আবার অনেকেই জানেন মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কবে খুলবে সে সম্পর্কে। আপনারা যারা জানেননা মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে আমরা আপনাদের আজকে সে সম্পর্কে ধারণা দিব। মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা দুই বছর বন্ধ ছিল। আপনারা সবাই জানেন করোনা মহামারীর কারণে টুরিস্ট ভিসা বন্ধ ছিল। 1 এপ্রিল 2022 সালে টুরিস্ট ভিসা সম্পূর্ণরূপে খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে আবার আপনারা টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কবে থেকে চালু হয়েছে সে সম্পর্কে বা কবে খুলবে সে সম্পর্কে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ কত
মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসা নিয়ে অনেকেই যেতে চান। আপনাদের একটি কমন প্রশ্ন থেকে থাকে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ কত সে সম্পর্কে। জেনে নিই মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আপনি যদি মালয়েশিয়ায় যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে প্রায় 45 ডলারের মত। আপনি যদি দ্রুত মালয়েশিয়ায় যেতে চান তাহলে আপনার 65 ডলারের মতো খরচ হবে। আর আপনি যদি একটু ধীরে সুস্থে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে 35 ডলারের মত। মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে টুরিস্ট যাত্রীদের জন্য 35 ডলার পরিষেবা ফি রয়েছে। মালয়েশিয়ায় সরকার 2016 সালে যারা মালয়েশিয়া ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য ই-ভিসা চালু করেন। সেখানে গিয়ে দর্শনার্থীরা ত্রিশ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মালয়েশিয়ায় যেতে কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
আপনারা অনেকেই মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান। আপনারা অনেকেই জানেন অথবা অনেকে জানেন না মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে হলে কি কি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে। এগুলা জানা আপনাদের অতি জরুরী কেননা যে সকল ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন সে সকল ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে ভুল করলে আপনার ভিসা রিফিউজ হতে পারে। আসুন জেনেনি মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় যেতে হলে কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
প্রথমত আপনার একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে। যার ন্যূনতম মেয়াদ থাকতে হবে 6 মাস।
আপনার পাসপোর্ট এর মূলকপি পাশাপাশি ফটোকপি রাখলে অনেক সুবিধা হবে।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে। কেননা আপনার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে কিনা ঘুরার জন্য তার একটি প্রমাণ পত্র।
আপনি যদি কোন ব্যবসা করে থাকেন তাহলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে।
আপনি যদি ছাত্র অবস্থায় মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনি যে কলেজে পড়ো সেই কলেজের কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
আপনি যদি কোথাও চাকরি করেন তাহলে আপনার সেই প্রতিষ্ঠান কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
আপনার ভিজিটিং কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
আপনার দুই কপি ছবির প্রয়োজন হবে। অবশ্যই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে। ছবিটি অবশ্যই সদ্যতোলা হতে হবে। অনেক আগের ছবি দিয়ে আপনি ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন না।
আপনি যদি কারো আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া যেতে চান তাহলে তার আমন্ত্রণ পত্রের রেফারেন্স লেটার এর প্রয়োজন হবে।
আপনি কি কারণে মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে।
মূলত এ সকল ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন হয় মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় যেতে হলে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে হলে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে।
মালয়েশিয়ায় হোটেল খরচ কত
আপনারা মালয়েশিয়ায় অনেকেই ভ্রমণ করতে যেতে চান। আপনারা সেখানে গিয়ে কোথায় থাকবেন কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। মালয়েশিয়ায় হোটেল খরচ কত তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন। আসুন জেনেনি মালয়েশিয়ায় হোটেল খরচ কত তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আপনি মালয়শিয়া যে দিনপ্রতি 5000 রিংগিত থেকে 500 মালয়েশিয়ান রিংগিত পর্যন্ত খরচ করে সেখানে অবস্থান করতে পারেন। আপনার চাহিদার উপর নির্ভর করবে আপনার কত টাকা খরচ হবে সেটা। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিবেন আপনি তিন তারকা চার তারকা নাকি পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করবেন। মালয়েশিয়াতে সকল হোটেলগুলোতে চেক ইন করে থাকে দুপুর বারোটার সময়। সুতরাং আপনারা সকালে হোটেল খুঁজতে বেরিয়ে পড়তে পারেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মালয়েশিয়ান হোটেলে কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ফি কত
আপনারা অনেকেই মালয়েশিয়ায় ঘুরতে বা বেড়াতে যেতে চান। আপনারা অনেকেই জানেন না মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য কত টাকা দিতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ফি সম্পর্কে।
আপনি যদি মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার ভিসা প্রসেসিং ফি 5800 টাকার মত লাগবে। 5800 টাকাতে সিঙ্গেল এন্টি পাবেন ভিসার মেয়াদ পাবেন তিন মাস এবং মালয়েশিয়ায় আপনি 30 দিন থাকতে পারবেন। 5800 টাকা মাল্টিপল এন্টি, এর মাধ্যমে আপনি মালয়েশিয়ায় 30 থেকে 90 দিন থাকতে পারবেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ফি সম্পর্কে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় কাজ করা যাবে কি
আপনারা অনেকেই মালয়েশিয়াতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে গিয়ে সেখানে কাজ করার কথা চিন্তা করে থাকেন। আসলে আমরা সকলেই জানি টুরিস্ট ভিসা মানে সেখানে দর্শন করতে যাওয়া বা ঘুরে বেড়াতে যাওয়া বোঝায়। আপনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কাজ করতে গেলে আপনার অনেক সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে মালয়েশিয়ায় কাজ করেন তাহলে এটা অবৈধ ভাবে কাজ করা হবে। আর আপনারা সকলেই জানেন অবৈধ কোন কিছু করায় সঠিক নয় বা উচিত নয়।
আপনারা যারা ভাবছেন টুরিস্ট ভিসা নিয়ে গিয়ে সেখানে কাজ করবেন তাদের জন্য বলছি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে গিয়ে সেখানে কাজ করতে চাইলে আপনি অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। পরিশেষে আপনাকে দিছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন টুরিস্ট ভিসা নিয়ে গিয়ে সেখানে কাজ করা উচিত কি উচিত না সে সম্পর্কে।
মালয়েশিয়ার সেরা দর্শনীয় স্থানের নাম কি
আপনারা অনেকেই মালয়েশিয়া ভ্রমণ করতে যেতে ইচ্ছুক। আপনারা অনেকেই জানেন না আমার সুনাম মালয়েশিয়ার দর্শনীয় স্থান গুলোর নাম বা স্থান গুলো সম্পর্কে। মালয়েশিয়া অনেক সুন্দর একটি দেশ। মালয়েশিয়া ভ্রমণ করার জন্য খুবই সুন্দর জায়গা। আসুন জেনেনি মালয়েশিয়ার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।
পেট্রোনাস টাওয়ার : আপনি মালয়েশিয়া গিয়ে * পেট্রোনাস টাওয়ার * ঘুরতে যেতে পারেন। এই টাওয়ারটি কে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু টুইন টাওয়ার বলা হয়। দুই টাওয়ার এর মধ্যবর্তী স্থানে একটি ব্রিজ আছে যে ব্রিজ টির নাম স্কাইব্রিজ। আপনি টুইন টাওয়ারে সন্ধ্যার পরে গেলে সবচেয়ে ভাল ভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
লংকাবি : এটা কুয়ালালামপুর থেকে 413 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে গিয়ে আপনি ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট দেখতে পাবেন এবং অপূর্ব সুন্দর ঝর্না দেখতে পাবেন। বাদুরের গুহা, ঈগলের গুহা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
দামুন ভ্যালি : এখানে অনেক সুন্দর বনভূমি রয়েছে যার জন্য এটি সেরা ভ্রমণের স্থান। এখানে অনেক রকম জীব-বৈচিত্র অবিশ্বাস্য বনভূমি রয়েছে। আরো অনেক কিছু রয়েছে।
পেনাং : পেনাং মালয়েশিয়ার ভোজন রাজধানী বলা হয়ে থাকে। এখানে বিভিন্ন রকম খাদ্যের সমাহার রয়েছে। সেখানে অনেক রকম উৎসব হয়ে থাকে। এ কারণে মূলত পর্যটকেরা এখানে বেড়াতে আসে।
মালাক্কা সিটি : আপনারা অবশ্যই মালাক্কা নামটির সঙ্গে সকলে পরিচিত। এটা বর্তমানে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। সুন্দর স্থাপত্যশৈলী খাবার এবং ফুটপাতের বাজার অনেক আকর্ষণীয়।
আলোর সেতার : পর্যটকরা মালয়েশিয়ায় এই স্থানে বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে থাকে। এখানে খুবই আকর্ষণীয় দিক রয়েছে যাকে মূলত আমরা আলোর সেতার নামে জেনে থাকি। এখানে চুনাপাথরের পাহাড় ও দেখতে পাবেন তার সঙ্গে বরং ঘড়িওয়ালা ভবন সুলতান জাদুঘর ইত্যাদি।
আরো অনেক স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ায় দর্শন করার মত। সে সকল স্থানে আপনাদের সঙ্গে অন্য আরেকদিন আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আজকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা এই সকল স্থান গুলো দর্শন করে অনেক আনন্দ পাবেন।
আরো জানতে ভিজিট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন