আজকে আমরা কথা বলবো বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিয়ে কিভাবে লোন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং এই লোন পেতে হলে কি কি করতে হবে এবং আবেদন করার পদ্ধতি কি এই নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো। তাছাড়াও আলোচনা করব বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন, প্রবাসী লোন, সাধারণ লোন, স্যানিটেশন লোন, এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পর্যায়ক্রমে বুরো বাংলাদেশ প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিয়ে।
বাংলাদেশ প্রথম শ্রেণীর এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে বুরো বাংলাদেশ বাংলাদেশ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের কার্যক্রম শুরু থেকেই বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে নানা রকমের সুযোগ-সুবিধা দেয়া আসছে তারা। তাদের 13 লক্ষ গরিব পরিবারকে বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে লোন প্রদান করছেন যাদের মধ্যে 90 শতাংশ নারী। তাদের এই পিছিয়ে পড়ার জন্যই এ সমস্ত জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বা ভাল মতো গড়ে তোলার জন্যই এবং ক্ষমতায়ন করার জন্য বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি লোন প্রদান করছে। প্রিয় পাঠকগণ আজকে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আপনাদেরকে ক্লিয়ার করব কিভাবে লোন এর জন্য আবেদন করবেন।
বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি
সচরাচর দরিদ্র মানুষদের কে খুব সহজেই কেউ লোন দিতে চায়না। এই লোন নিতে হলে পড়তে হয় নানা রকমের প্রশ্নের মুখে এবং নানারকম ঝামেলার মুখে। যদিও বা কোন জায়গায় লোন পাওয়া যায় তাতেও ঝামেলার শেষ নেই। কিন্তু বর্তমানে বুরও বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই লোন নিতে পারবেন। এজন্য শুধুমাত্র দরকার আপনার একটি প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স এবং আপনার এনআইডি কার্ড। তাহলে আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবার অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জাগতে পারে এটা কোন কোন ক্ষেত্রে লোন দিয়ে থাকে। বুরো বাংলাদেশ কয়েকভাবে লোন দিয়ে থাকে তার মধ্যে প্রবাসী লোন আছে কৃষি লোন আছে স্যানিটেশন লোন আছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলোতে খুব সহজেই লোন নিতে পারবেন। এ সমস্ত লোন নিতে হলে তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সে রিকোয়ারমেন্ট গুলো নিচে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরলাম।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন | ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২২
বুরো বাংলাদেশ প্রবাসী লোন পদ্ধতি
যারা মনে করছেন বিদেশ গিয়ে শ্রমিক ভিসা নিয়ে ইনকাম করবো কিন্তু টাকার অভাবে সেটা হয়ে উঠছে না কিন্তু বুরো বাংলাদেশ প্রবাসী লোন হিসেবে একটি লোন শাখা চালু করেছে যেখানে আপনি খুব সহজেই বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন নিতে পারবেন। অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে অনেক রকমের ঝামেলা পোহাতে হয় কিন্তু বুরও বাংলাদেশ প্রবাসী লোন এর ক্ষেত্রে একেবারেই ঝামেলাহীনভাবে লোন প্রদান করে তারা তবে তাদের কিছু ছোট একটি রিকোয়ারমেন্ট আছে সেটা অবশ্যই আপনাকে পূরণ করতে হবে তাহলে আপনি বুরো বাংলাদেশ প্রবাসী লোন পেয়ে যাবেন।
বুরো বাংলাদেশ প্রবাসী লোন কিভাবে পাবেন
অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে আমি প্রবাসী লোন বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন কিভাবে নেব এবং এই লোন নিতে হলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এবং কি কি থাকা লাগবে। তাই এই প্রশ্নের সমাধান আমরা এখানে দিয়ে দেবো। আপনি যদি প্রবাসী লোন নিতে চান তাহলে আপনি যে দেশে থাকেন সে দেশের ওয়ার্ক পারমিট কার্ড অবশ্যই থাকা লাগবে এবং সেটার ফটোগ্রফি আবেদনপত্রের সাথে পাঠাতে হবে। সেই সাথে তাদের ছোট কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে নিচে তুলে ধরা হলো।
- ভিসা এর ফটোকপি
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র
- ভ্যালিড পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- পাসপোর্ট এর মেয়াদ অত্যন্ত 6 মাস
- বিদেশে যে কাজে নিয়োজিত আছেন তার রশিদ
- বিমান টিকেটের রশিদ
বুরো বাংলাদেশ ঋণ সুবিধা
বুরো বাংলাদেশ তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে লোন সেবা চালু করেছে প্রায় 13 লক্ষ মানুষের বর্তমানে ঋণ প্রদান করছে বুরও বাংলাদেশ। কৃষি লোন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রদান করছে যেমন প্রবাসী লোন এনজিও লোন, বিজনেস লোন , বিজনেস লোন, সেবা চালু করেছে তারা। তাই যারা প্রবাসী লোন নিতে চান তারা খুব সহজেই বুরও বাংলাদেশ এর মাধ্যমে লোন নিতে পারবেন।
বুরো বাংলাদেশ সাধারণ লোন কিভাবে পাবেন
গ্রামীণ শহরের মানুষজন অথবা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য বুরও বাংলাদেশ তাদের লোন সেবা চালু করেছে সাধারণ নাম এক্ষেত্রে যে কেউ চাইলেই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে। সাধারণ শুধুমাত্র অসহায় দরিদ্রদের জন্য বুরো বাংলাদেশ দিয়ে থাকে। এই দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য পরিষদের ক্ষমতা এবং চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই বুরও বাংলাদেশ 5000 টাকা থেকে শুরু করে 25000 টাকা পর্যন্ত তারা লোন দিচ্ছে বর্তমানে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে আবার এক বছর থেকে তিন বছর সীমা পর্যন্ত 12 কিস্তি থেকে 36 কিস্তির মধ্যেই এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
সাধারণ হতদরিদ্র মানুষ সহ যাদের জমি জায়গা নাই তারা খুব সহজেই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। লোনের জন্য আবেদন করতে হলে আপনার একজন গ্যারান্টার প্রয়োজন গ্যারান্টার যদি থাকে তাহলে খুব সহজে আপনি এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং লোন এর জন্য আবেদন করতে হবে।
বুরো বাংলাদেশ কৃষি লোন কিভাবে পাবেন
কৃষি ক্ষেত্র বর্তমানে বুরো বাংলাদেশ লোন প্রদান করছে। কৃষিক্ষেত্রে মানোন্নয়ন করতে এবং কৃষি মুখে করতে মানুষকে বুরো বাংলাদেশ লোন প্রদান করছে। উন্নত কৃষি এবং ক্ষেত-খামারের জন্য উদ্যোক্তা হতে এই লোনের প্রধান উদ্দেশ্য। এবং কৃষি লোন বর্তমানে পরিবারের খাদ্য উৎপাদন বাড়ায়। খামারিদের জন্য লোন প্রদান করছে 10 হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 25 হাজার টাকা পর্যন্ত লোড নিতে পারবে। এই লোনের কিস্তি সাপ্তাহিক ভাবে 45 থেকে 90 দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। মাসিক কিস্তি হিসাবে 12 থেকে 36 কিস্তিতে এই ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে।
তাই কেউ যদি চাই কৃষি লোন নিয়ে তার ক্ষেত-খামারের উন্নতি প্রকল্পে কাজ চালিয়ে যাবে তাহলে খুব সহজেই বুরও বাংলাদেশ এর মাধ্যমে কৃষি লোন নিতে পারবে সে ক্ষেত্রেও 10 হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 25 হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে। তবে অবশ্যই তার খামারে বিষয়টি আবেদনপত্রের সাথে তুলে ধরতে হবে এবং ভিজিট এর মাধ্যমে পরিদর্শন করে তারপরেই কৃষি লোন দেওয়ার জন্য ব্যক্ত হবে।
বুরো বাংলাদেশ হাত লোন কিভাবে পাবেন
বুরো বাংলাদেশ হাত লোন বলতে বোঝানো হয়েছে। এটি একটি সাধারণ লোন এল টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য এবং পরিবেশ উন্নত করার প্রকল্পে বুরো বাংলাদেশ দ্বারা পরিচালিত এবং ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করার লক্ষ্যে এ ঋণ পরিকল্পনা চালু করা হয়েছে। সাধারণত তাদের উদ্দেশ্যে অর্থনীতিক ধাক্কা সামলানোর জন্য এবং আর্থিক এবং শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্পদের ঘাটতি রক্ষা সহ পরিবেশ রক্ষার জন্য হাতল প্রদান করে থাকে। যেমন হতে পারে ঈদ-পূজা বড়দিন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কার্যক্রমের জন্য হাত লোন দিয়ে থাকে। হাত লোন নিতে হলে আপনাকে 5 হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন। এবং 5 থেকে 6 মাসের মধ্যেই লোন পরিশোধ করতে হবে।
কেউ যদি হাত লোন নিতে চাই তাহলে খুব সহজেই বুরো বাংলাদেশ মাধ্যমে নিয়ে বিবাহ কার্যক্রম বিবাহ অনুষ্ঠান বড়দিনের অনুষ্ঠান ঈদ-পূজা যাবতীয় অনুষ্ঠান এর কার্যক্রম বিবেচনায় নিতে পারবে। তবে এটি উপযুক্ত প্রমাণ হিসাবে দেখাতে হবে তাহলে এই লোন পাওয়া অনেকটাই সহজ একটি ব্যাপার। কারো যদি বিবাহযোগ্য কন্যা থাকে তাহলে এই লোন এর মাধ্যমে বিবাহ কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবে তবে পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বুরো বাংলাদেশ লোন নেওয়ার উপায়
বাংলাদেশের যে কোন লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার উপযুক্ত প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হতে পারে যেমন আপনি যদি কৃষি জমির জন্য লোন নেয় তাহলে খুশি উপাদান আপনাকে দেখাতে হবে যেমন আপনার জমির দলিল আপনি যদি স্যানিটেশন অথবা বাথরুমের জন্য লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে লোনের প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে। অথবা প্রবাসীর জন্য আপনি যদি লোন নিতে চান তাহলে আপনি যেই দেশে কাজ করছেন। সে দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ফটোকপি সহ অন্যান্য কাগজ পাতি জমা দিয়ে তারপরে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে।
বুরো বাংলাদেশ স্যানিটেশন ও জল লোন
বিভিন্ন দরিদ্র গোষ্ঠীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং স্যানিটেশনের জন্য বুরো বাংলাদেশ বিভিন্ন পরিকল্পনা তৈরি করেছে তার মধ্যে অন্যতম পরিকল্পনা হলো বুরও বাংলাদেশ জব সেনিটেশন লোন। এই লোন নেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই গ্রামীণ জীবনের দরিদ্র এলাকার নিরাপদ পানির ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা করেছে বুরও বাংলাদেশ। নিরাপদ পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন এবং স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার জন্য নিরাপদ স্যানিটেশনের নির্মাণের জন্য লোন দিয়ে থাকে বুরও বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ 5 হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 20,000 টাকা পর্যন্ত এই লোন নেওয়া যাবে। এ লোন পরিশোধের সময় হল 45 থেকে 90 কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে এবং এক থেকে তিন বছর মাসিক কিস্তি এবং 12 থেকে 36 কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে অবশ্যই।
এই লোনের মাধ্যমে গভীর নলকূপের জন্য নিতে চান তাহলে খুব সহজে লোন পাবেন তবে অবশ্যই আপনাকে উপযুক্ত প্রমাণ হিসাবে দেখাতে হবে তারপরে ঋণ প্রদান করবে। আর এই ঋণ প্রদান করার আগে অবশ্যইআপনার ভেরিফিকেশন প্রসেস হতে পারে ভেরিফিকেশনে যাচাই-বাছাই করে যদি আপনি যোগ্য হন তারপরে আপনি লোন পাবেন। আরে হিসাবে আপনি 5 হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 20,000 টাকা পর্যন্ত পাবেন
বুরো লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
লোন নেওয়ার জন্য তাদের প্রথম স্টেপ হিসাবে বিভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন পড়তে পারে যেমন আপনি যদি কৃষি লোন নিতে চান তাহলে আপনার জমির দলিল প্রমাণ হিসেবে ভেরিফিকেশনের জন্য চাইতে পারে। অথবা আপনি যদি স্যানিটেশন বা সাধারণ লোন নিতে চান সেটার কারণ অবশ্যই আবেদনে উল্লেখ করতে হবে এবং তারা যদি যাচাই-বাছাই করে সবকিছু ঠিকঠাক দেখে তারপরে আপনি লোনের যোগ্য হবেন। আর তাদের সাধারণত যে কোন লোনের জন্য অবশ্যই এনআইডি কার্ড সহ চেয়ারম্যান কর্তৃক সনদপত্র থাকা লাগবে।
সর্বশেষ কথা
বড় বাংলাদেশের যেকোনো লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই সরাসরি এনজিওর সঙ্গে কথা বলবেন তাছাড়া যদি আপনি দালালের মাধ্যমে বা অন্যান্য মাধ্যমে কথা বলেন তাহলে নানা রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন যেমন হতে পারে এই লোন দেওয়ার জন্য আপনার কাছে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করতে পারে যা মিলন মেয়ে দিব আমাকে এত টাকা দেওয়া লাগবে এমন কথা বলে অনেকেই আপনার কাছে আসতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদেরকে না করবেন সরাসরি এনজিওর সাথে কথা বলবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন