আজকে আমরা কথা বলবো সৌদি আরবের কৃষি ভিসা নিয়ে। বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের কাজের উদ্দেশ্যে মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে সেখানে। তবে বর্তমানে ফ্যাক্টরি ভিসা, ক্লিনিং ভিসা, সহ অন্যান্য বিষয়ের মাধ্যমে সৌদি আরবে কর্মরত আছে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া শ্রীলঙ্কা এর সমস্ত দেশের মানুষজন। কিন্তু নতুন একটি ফিচার মাধ্যমে বর্তমানে সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছে সেটা হল কৃষি ভিসা। অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন আসতে পারে যে সৌদি আরব মরুভূমি দেশ তাহলে সেখানে কিসের আবার কিভাবে করে এবং কৃষি আবাদ করা কি সম্ভব।
এতদিন আপনারা যা জেনেছেন এটা ভুল জেনেছেন কারণ সৌদি সরকার বর্তমানে কিসের উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। 2018 সালের আগে গম উৎপাদনে সবথেকে বেশি উৎপাদন করেছিল সৌদি আরব তাহলে ধরে নিন সৌদি আরব কৃষিক্ষেত্রে কতটা উন্নতি করছে। তারা বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন করছে এবং মরুভূমি এলাকাজুড়ে তারা সবুজ বনায়ন সৃষ্টি করেছে যার ফলে বর্তমানে কৃষি উন্নতি লাভ করেছে।
তারা নতুন আঙ্গিকে জানিয়েছে যে কৃষি ক্ষেত্রে তাদের উন্নতির লক্ষ্যে বিদেশি কৃষি বিষয়ে দক্ষ লোক কে সৌদি আরবের ভিসা দিয়ে সেখানে কাজে নিয়োগ দেবে। বাংলাদেশ ইন্ডিয়া শ্রীলঙ্কা অন্যান্য দেশের কৃষি বিষয়ে দক্ষ তারা চাইলে সৌদি আরবে কৃষি ভিসা গিয়ে কাজ করতে পারবে। সৌদি আরবে খেজুর বাগান সহ অন্যান্য বাগান রয়েছে সে সমস্ত কৃষি ভিসা এর মাধ্যমে কাজ করতে পারবে।
সৌদি আরবে কৃষি ভিসাতে কাজ
বর্তমান সরকার কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি করার লক্ষ্যে বৈদেশিক ভাবে কর্মী নিয়োগ করবে বলে নিশ্চিত করেছে সৌদি আরব সরকার। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই কৃষি বিষয়ে দক্ষ জনবল নিয়োগ দেবে যারা শুধুমাত্র কৃষি বিষয়ে দক্ষ এবং তাদেরকে শুধু নিয়োগ দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে। সৌদি আরব সরকার জানিয়েছে যে বর্তমানে তাদের কৃষি ক্ষেত্রে আরও উন্নতির লক্ষ্যে এই কৃষি ভিসা চালু করা হচ্ছে। তাই চাইলে যে কেউ কৃষি ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করতে পারবে।
তাদের মরুভূমি অঞ্চল গুলো কে কৃষি জমিতে রূপান্তরিত করছে এবং ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা বনায়ন তৈরি করছে এবং গম সরিষা সহ বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলমূল বাগান তৈরি করছে। তাই এই সমস্ত পরিচর্যার ক্ষেত্রে অবশ্যই কৃষিবিদের প্রয়োজন। তাই যারা কৃষি বিষয়ে দক্ষ তারা চাইলেই সৌদি আরবে কৃষি ভিসা তে যেতে পারবে। তবে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে কৃষি বিষয়ে যারা দক্ষ আছে তারা চাইলেই কৃষি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে অথবা সৌদি আরবে গিয়ে নিজেও বিজনেস করতে পারবে কৃষি কাজ নিয়ে।
সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন কিভাবে পাবেন দেখে নিন
যেমন অনেকেই বাংলাদেশ আছে তারা সৌদি আরবে গিয়ে কৃষি কাজ নিজেই করছে এবং সেখানে শাকসবজি-ফলমূল সহ বিভিন্ন বাগান এবং নার্সারি তৈরি করে। গাছপালা বিক্রি করছে সেখান থেকে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে তাই আপনি যদি মনে করেন সৌদি আরবে গিয়ে আমি নার্সারি সহ অন্যান্য গাছপালা তৈরি করে সেখানে বিক্রি করব তাও ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বিগত বছরগুলো থেকে সৌদি আরব বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে গাছপালা সংরক্ষণ করেছে তবে বর্তমানে সৌদি আরবে। তারা নিজেরাই নার্সারি তৈরি করছে এবং গাছ উৎপাদন করছে সেখান থেকে তাদের বিভিন্ন শহর গুলোতে সাপ্লাই দিচ্ছে এবং তারা এভাবেই সবুজ শ্যামল একটি দেশ তৈরি করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। এবং তাদের সেচ পদ্ধতি অত্যন্ত ভালো। এবং এমন কিছু উদ্ভিদ যা তৈরি করেছে তা মাটির গুনাগুন বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
সৌদি আরবে কাজের ভিসা | সৌদি আরবের ভিসা কবে খুলবে
সৌদি আরবে কি কৃষি ভিসা পাওয়া যায়
বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে কৃষি ভিসা তে কাজ পাওয়া যাচ্ছে। এবং আপনি চাইলে নিজেও সেখানে গিয়ে কৃষি কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন। বর্তমানে বিভিন্ন খেজুর বাগান সহ বড় বড় খেজুর ফ্যাক্টরি গুলোতে কৃষি বাগানের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে সেই সমস্ত কৃষি কাজ ছাড়াও রয়েছে নার্সারি ফুলের বাগান এ সমস্ত জায়গায় কৃষি ভিসা তে কাজ পাওয়া যাচ্ছে।
তাই চাইলেই বাংলাদেশ থেকে এসমস্ত বাগান এবং কৃষি ভিসা তে গিয়ে কাজ করতে পারবে। তবে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার পূর্বে কৃষি কাজে দক্ষতা দেখাতে হবে বা তৈরি করতে হবে তাহলেই কৃষিকাজে ভিসা পাওয়া সহজ হবে এবং সেখানে গিয়েও ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া সম্ভব।
কৃষি ভিসাতে বেতন কত
সৌদি আরবের বিভিন্ন কাজের বেতন সাধারণত 60,000 থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে তবে ড্রাইভিং ভিসা বা অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে বেতন কিছু বেশি হতে পারে। তবে কৃষি কাজের ক্ষেত্রে 40,000 থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন হয়। পাশাপাশি নিজেও কৃষিকাজে সৌদি আরবে ভালো কিছু তৈরি করতে পারবে যেমন ছোটখাটো নার্সারি।
বা বিভিন্ন ফুলের দোকান এবং ফুলের বাগান। এগুলো যদি নিজে তৈরী করতে পারে তাহলে কৃষিকাজে সৌদি আরবে ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া অন্যান্য মালিকের অধীনে থেকে যদি খুশি কাজে সহযোগিতা করতে পারে তা হলেও ভালো পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। এবং মালিকের বিশ্বস্থতা লাভ করতে পারলে এবং তার যদি উন্নতি প্রকল্প বেশি পরিমাণ দেখাতে পারে তাহলে তাকে ভালো পরিমাণ বেতন দিয়ে রাখা সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কৃষি ভিসাতে কাজ কঠিন কেমন
সৌদি আরবের কৃষিকাজ খুব একটা বেশি কঠিন নয়। কারণ তারা সেখানে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে যেমন ডিজিটাল ভাবে মাটি খননের কাজ। অথবা ডিজিটাল ভাবে শেষ পদ্ধতি দিয়ে থাকে যেগুলো মাধ্যমে অনেক পরিশ্রম কম হয়। যার ফলে খুব সহজেই সৌদি আরবে কৃষি কাজগুলো করা যায়। যেমন হতে পারে বাগানের কাজ সে ক্ষেত্রে অনেকটাই নিরাপদে কাজ করা যায়। এবং তাদের সেচ পদ্ধতি ডিজিটাল পদ্ধতি সুইচ দিয়ে বিভিন্ন গাছের মাধ্যমে সেচ প্রদান করতে হয়। অথবা জমি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণের কাজ খুব একটা কঠিন নয়।
কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?
কৃষি ভিসা পেতে হলে কি করতে হবে
সৌদি আরবে গিয়ে যদি আপনি কৃষি ভিসা তে কাজ করার মনোনিবেশ তৈরি করেন তাহলে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। তবে আপনাকে কৃষি বিষয়ে ভিসা নিতে হবে যাতে করে আপনি এই বিষয়ে সেখানে গিয়ে নিজে কাজ করতে পারেন এবং অন্য কোনো মালিকের হয়ে কাজ করতে পারেন যেমন বাগানের কাজ।
মালির কাজ, সহ অন্যান্য অভিসার মাধ্যমে যেগুলোতে সহজেই অন্যান্য কাজ করা সম্ভব নিশি আমরা সৌদি আরবের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি এবং কি কি ভিসা পাবে সে বিষয়টিও তুলে ধরেছি। আপনি যদি সৌদি আরবে কৃষি হিসাবে কাজে যেতে চান তাহলে নিজে গিয়েও ভালো কিছু করতে পারবেন এমন আছে বাংলাদেশী যারা পাশাপাশি সৌদি আরবের জমি নিয়ে সেখানে কৃষি উৎপাদন করছে এবং ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে। এইভাবে আপনি সৌদি আরবে গিয়ে কৃষি কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন।
দুবাই কাজের ভিসা | দুবাই ভিসা আজকের খবর
সাবধানতা
সবাইকে সজাগ থাকতে হবে কেননা সৌদি আরবে বর্তমানে বেশি সংখ্যক লোক মানুষ কাজ করে তাই সেখানকার ভিসা হাতে পাওয়ার পরে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে নিবেন তা না হলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা বা হজের ভিসার ধরিয়ে দিয়ে আপনার কাছে কাজের ভিসা বলে টাকা নিতে পারে। তাই অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে আপনার ভিসা চেক করে নিতে পারবেন। এতে করে আপনি শিওর হতে পারবেন আপনাকে কোন বিষয় ভিসা দেওয়া হয়েছে। সরাসরি দালালের মাধ্যমে এড়িয়ে চলবেন। সরাসরি সৌদি আরবের এম্বাসি যে সমস্ত এজেন্সি রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন