আজকে কথা বলব কিস্তিতে সিঙ্গার ফ্রিজ কেনার নিয়ম এবং সিঙ্গার ফ্রিজের মূল্য তালিকা নিয়ে।বর্তমান সময়ে সংসারের সব থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস হল ফ্রিজ। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ফ্রিজ। তাই অনেকেই কিস্তিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট কিভাবে কিনে এ বিষয়ে জানেন না তাই আজকে আমরা জানিয়ে দিব কিস্তিতে কিভাবে সিঙ্গার ফ্রিজ কিনবেন এবং সিঙ্গার ফ্রিজের দাম এবং মডেল নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্পূর্ণ বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
আপনি সাধ্যের মধ্যে যদি মানসম্মত একটি ফ্রিজ কিনতে চান তাহলে সিঙ্গার ফ্রিজ আপনার জন্য সবথেকে বেটার। আরএসএস কিনার আগে অবশ্যইআপনার বিভিন্ন কোম্পানির মডেল এবং দাম সম্পর্কে অবশ্যই জেনে রাখা দরকার। বাংলাদেশের বর্তমান দেশ সেরা কোম্পানির মধ্যে সবার নামের আগে মাথায় আসে সিঙ্গার ফ্রিজ এর নাম। ফ্রিজ কেনার আগে আপনিও নিশ্চয়ই সিঙ্গার ফ্রিজের দামের মডেল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়েছেন তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি বিষয়।
কিস্তিতে সিঙ্গার ফ্রিজ
আপনি যদি কিস্তিতে সিঙ্গার ফ্রিজ কিনতে চান তাহলে আপনাকে সরাসরি সিঙ্গার আউটলেটে যেতে হবে। তারপরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে তারা আপনাকে কিস্তিতে কিভাবে ফ্রিজ কিনতে চান সেই বিষয়ে আপনাকে সম্পূর্ণ বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিবে। সিঙ্গার ফ্রিজ কিনতে হলে 30 পার্সেন্ট ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। অর্থাৎ বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী আপনি যেই মডেলের সৃষ্টি করেছেন তার 30% প্রেমের অগ্রিম জমা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে ছয় মাসের মধ্যে কোন ইন্টারেস্ট ছাড়াই বাকি টাকা পরিশোধ করতে পারবেন কিস্তির মাধ্যমে।
দেশের জন্য অনেকের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকে না তাই সিঙ্গার ফ্রিজ বর্তমানে তাদের কিস্তি সুবিধা চালু করেছে এই কিস্তির মাধ্যমে আপনি চাইলে খুব সহজেই সিঙ্গাপুরের যেকোনো মডেল কিনতে পারবেন তবে কিস্তির মেয়াদ ছয় মাসের বেশি হলে আপনাকে সুদসহ টাকা প্রদান করা লাগবে আর আপনি যদি ছয় মাস আগেই টাকা দিতে পারেন তাহলে আপনার কোন ইন্টারেস্ট লাগবেনা। তবে সে ক্ষেত্রে আপনি ছয় মাসের পরে দুই বছর পর্যন্ত কিস্তির মেয়াদ নিতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনাকে এক্সট্রা ইন্টারেস্ট দিতে হবে।
কিস্তিতে সিঙ্গার ফ্রিজ কেনার নিয়ম
কিস্তিতে ফ্রিজ কিনতে হলে আপনার পছন্দের মডেল অনুযায়ী ডাউনপেমেন্ট হিসেবে 30% পেমেন্ট প্রদান করতে হবে। এবং বাকি টাকা 6 মাস মেয়াদের মধ্যে প্রদান করতে হবে আপনি যদি ছয় মাস মেয়াদের মধ্যে প্রদান করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন ইন্টারেস্ট দেওয়া লাগবে না। বর্তমানে তাদের প্রেস কার্ড অফার চলছে আর এই ক্যাস্ক্যাডে 1000 টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেয়ে যেতে পারেন। এটি কিস্তিতে কিনলে ও অফারটি প্রযোজ্য। তাই যারা কিস্তিতে সিঙ্গার ফ্রিজ কিনতে চাচ্ছেন তারা খুব সহজেই বাংলাদেশের যেকোনো সিঙ্গার আউটলেটে গেলেই পেয়ে যাবেন বিস্তারিত তথ্য।
যে কোন মডেলের ফ্রিজ কি কিস্তিতে কেনা যায়
হ্যাঁ বর্তমানে বাংলাদেশের যে কোন মডেলের ফ্রিজ আপনারা কিস্তিতে কিনতে পারবেন কিস্তিতে কিনার ক্ষেত্রে কিন্তু প্রয়োজনীয় যে সমস্ত অফার থাকে সেই অফারের আওতায় ভুক্ত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে যে কোন মডেলের ফ্রিজ কেনার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে ডাউন পেমেন্ট প্রদান করতে হয় এক্ষেত্রে আপনি অগ্রিমভাবে যত টাকা ডাউন পেমেন্ট দিতে পারবেন তত টাকা পরবর্তীতে আপনার কিস্তি কমে যাবে।
মনে করেন ফ্রিজের দাম ৫০ হাজার টাকা আপনি যদি অগ্রিম 20 হাজার টাকা দেন তাহলে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী আপনার কিস্তি নির্ধারিত হবে এবং পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী চুক্তিতে আপনাকে কিস্তি প্রদান করতে হবে। তাই ফ্রিজ কেনার ক্ষেত্রে আপনারা যদি ডাউন পেমেন্ট বেশি দিয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের খুবই অল্প খরচের মধ্যে ভালো মানের ফ্রিজ আপনার ঘরে নিয়ে আসতে পারবেন।
বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো জেনে নিন
কিস্তিতে সিঙ্গার ফ্রিজ কিনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি
- সর্বশেষ মাসের ইলেকট্রিসিটি বিল
- সিঙ্গারের দেওয়া সঠিকভাবে পূরণকৃত ফরম
- চুক্তিপত্রে দুজন গ্যারান্টার স্বাক্ষর
- কমপক্ষে 30 পার্সেন্ট ডাউন পেমেন্ট
- ডাউনপেমেন্টের পরিমাণ যত বেশি কিস্তির পরিমাণ কত কম
- ছয় মাসের মধ্যে সকল কিস্তি পরিশোধ করলে জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট
সিঙ্গার ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার সুবিধা
- একেবারে সমস্ত টাকা প্রদান করতে হবে না
- আপনার পছন্দ অনুযায়ী মডেল নির্বাচন করতে পারবেন
- যে কোন মডেলের জন্য কিস্তি প্রযোজ্য
- বাংলাদেশের যে কোন সিঙ্গার দোকান থেকে নিতে পারবেন
- শুধুমাত্র 30% ডাউন পেমেন্ট দেওয়া লাগে
- ছয় মাস পর্যন্ত কোন ইন্টারেস্ট ছাড়া সিঙ্গার ফ্রিজ দিতে পারবেন
- ছয় মাস পর দুই বছর মেয়াদ পর্যন্ত টাকা প্রদান করতে পারবেন সেক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট লাগবে
কিস্তিতে সিঙ্গার ফ্রিজ কেনার শর্ত
সিঙ্গার ফ্রিজ কেমন
সিঙ্গার ফ্রিজ কোন দেশের তৈরি
সিঙ্গার ফ্রিজ একটি আমেরিকান কম্পানি। আমেরিকা থেকে বিভিন্ন পার্স পাতি বাংলাদেশ প্রস্তুত করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে তারা আমেরিকা থেকে সিঙ্গাপুরের যাবতীয় পার্স পাতি গুলো আমদানি করে এবং বাংলাদেশি টেকনিশিয়ান দ্বারা অঙ্কগুলো সেটআপ করার মাধ্যমে বিভিন্ন মডেলের ফ্রিজ তৈরি করা হয়। এবং পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সকল সিঙ্গার আউটলেটে পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং সেখান থেকে বিক্রি করা হয়।
সর্বশেষ কথা
আপনি যদি কিস্তির মাধ্যমে নিতে চান তাহলে সরাসরি বাংলাদেশের যেকোনো সিঙ্গার আউটলেটে গেলে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন সেইসাথে দাম এবং মডেল ওপর নির্ভর করে আপনার কিস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবে এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তারা বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবে। আর আপনি যদি আগে থেকেই মডেল এবং দাম এর বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সিঙ্গার ওয়েবসাইট লিংক প্রবেশ করুন।
কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম | কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার নিয়ম
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন