আজকে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব যে আপনারা এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন। এস্তোনিয়া হলো একটি সেনজেনভুক্ত কান্ট্রি কান্ট্রি থেকে আপনি খুব সহজেই অন্যান্য দেশে প্রবেশ করতে পারবেন তাই অনেকেই আছে আমাদের মধ্যে যারা দুবাই মালয়েশিয়ার সিঙ্গাপুরে বসবাস করছে অথবা কাজের উদ্দেশ্যে সেখানে আছে তারা খুব সহজেই এস্তোনিয়াতে যেতে পারবে। আর এস্তোনিয়াতে যাওয়ার পর অন্যান্য কান্ট্রি গলাতে গিয়েও সেখানে কাজ করতে পারবে।
এস্তোনিয়া বর্তমানে বিভিন্ন কাজের অফার করছে তবে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সেখানে না যেতে পারলেও অন্যান্য দেশ থেকে খুব সহজে আপনি যেতে পারবেন তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকেও এস্তোনিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া যাচ্ছে শুধুমাত্র সিজনাল ভিসা নিয়ে তাছাড়াও আপনি দুনিয়াতে টুরিস্ট ভিসা সহ কয়েকটি ভিসার মাধ্যমে খুব সহজে যেতে পারবেন।
আপনি যদি এস্তোনিয়াতে একবার যেতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে যদি একটি জব সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য খুবই সহজ হয়ে যাবে ব্যাপারটা তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেওয়া যাক এস্তোনিয়া তে কিভাবে জব পাবেন এবং আপনার যাওয়ার প্রক্রিয়া টা কি হতে পারে।
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। সরকারিভাবে এবং বেসরকারিভাবে এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। সরকারিভাবে যেতে হলে খরচ অনেকটাই কম পড়বে আর যদি আপনি বেসরকারিভাবে অন্যান্য সরকার নিবন্ধিত এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে যান তাহলে খরচ কিছুটা কম হবে।
বর্তমানে দেশের বাইরে থেকেও সেখানে গিয়ে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। আজকে আমরা কথা বলব এস্তোনিয়া তে বেতন কত টাকা এবং সেখানে কাজ কিভাবে পাবেন এবং কি কি সুযোগ সুবিধা আছে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
এস্তোনিয়া যাওয়ার খরচ কত 2025
বর্তমানে কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যাচ্ছে। এস্তোনিয়া ভিসা ফি ১২,০০০ টাকা। বিমান ভাড়া ৬০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতিমাসের খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়াতে যাওয়ার জন্য টোটাল খরচ পড়বে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
তবে আপনি যদি ভালো মানের কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে কিন্তু খরচ কম বেশি হতে পারে এক্ষেত্রে অনেক কোম্পানিও কিন্তু তারা সমস্ত খরচ বহন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে আপনি এস্তোনিয়ার আর কোন কোম্পানিতে যদি চাকরি পেয়ে যান তাহলে সমস্ত খরচ দিয়েই তারা নিয়ে যাবে।
এস্তোনিয়া কাজের বেতন কত ২০২৫
এস্তোনিয়াতে একজন কর্মীর মাসিক গড় বেতন ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে কৃষি এবং আইটি বিষয়ক দক্ষতা থাকলে আরো ভালো পরিমাণে বেতন পাওয়া যায়। সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করলে এমন বেতন পাওয়া যায় তবে এর থেকে আরও উন্নত মানের কাজ ইলেকট্রিশিয়ান অথবা কনস্ট্রাকশন কর্মী হিসেবেএস্তোনিয়াতে কাজ করলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ থাকে।
এস্তোনিয়াতে পেয়ে যেতে চান তাহলে কিন্তু ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন এক্ষেত্রে বর্তমানে কম খরচের মধ্যে গিয়ে সেখানে মাস শেষে এক লক্ষ টাকা থেকে আরো বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করার সুযোগ থাকে।
এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
২০২৫ সালে এস্তোনিয়া যেতে খরচ পড়বে প্রায়ই ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যদি যান তাহলে নির্ধারিত একটি কাজের উপর যেতে পারবেন এক্ষেত্রে খরচ পড়বে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। সরকারিভাবে এস্তোনিয়া যেতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লাগে।
তবে আপনি চাইলে দেশের বাইরে থেকেও যেতে পারবেন এক্ষেত্রে বর্তমানে যারা দুবাই অথবা মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর রয়েছে তারাও কিন্তু চাইলে যেতে পারবে তবে এক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে সে সমস্ত দূতাবাসে গিয়ে আপনাদেরকে কি কি তথ্য লাগবে এবং কত টাকা খরচ লাগবে সেটা জেনে নিতে পারেন।
এস্তোনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমান সময়ে যারা কর্মী হিসেবে এস্তোনিয়া যেতে চাচ্ছেন তারা কনস্ট্রাকশন কাজে চাহিদা বেশি, তাছাড়া আরো অন্যান্য কাজ রয়েছে যেমন রেস্টুরেন্ট কর্মী, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক, ড্রাইভিং পেশাই প্রতিনিয়ত কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকল কাজগুলো শিখে যদি আপনারা যেতে পারেন তাহলে কিন্তু কাজ পাওয়া সহজ হবে।
আপনাদের আরো কয়েকটা বিষয় জেনে রাখা উচিত যে অবশ্যই সেখানে যাওয়ার আগে ভালো একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে গেলে ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া যায় এবং কাজটা পাওয়া সহজ হয় এবং দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
এস্তোনিয়া কি সেনজেন দেশ
এস্তোনিয়া একটি সেনজেন দেশ। ২০০৭ সালে এস্তোনিয়া দেশ কে সেনজেনভুক্ত করা হয়। উত্তর ইউরোপের বালটিক সাগরের উপরে অবস্থিত, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে আসে কাজের উদ্দেশ্যে এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অনেক ভালো থাকে।
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বর্তমানে চালু আছে তবে এটা সিগনাল ভিসা শুধুমাত্র যে সমস্ত কাজের মাত্রা বেশি থাকে তখনই আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে খুব সহজে যেতে পারবেন। এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে আপনাকে জব ওয়েবসাইটগুলোতে তাদের বর্তমান কি কি জব চালু আছে সেই বিষয়ে আপনাকে আগে থেকেই দেখে রাখতে হবে এবং আবেদন করতে হবে।
এস্তোনিয়াতে ফল সংগ্রহের কাজ, খাবার তৈরীর কাজ, বাসা বাড়ির কাজ, বাগান বাড়ির কাজ, গবাদি পশু পালনের কাজ, সহ কয়েক ধরনের ভিসা সার্ভিস চালু আছে যেগুলো নিয়ে আপনি সরাসরি এস্তোনিয়াতে যেতে পারবেন বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে অথবা নিজ দেশের মাধ্যমে।
তবে সিজনাল ভিসা হিসাবে দুনিয়াতে যেতে হলে আপনার কিছু রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন আছে তবে অন্যান্য ভিসার মেয়াদ যেমন 90 থেকে ত্রিশ দিন এটা শুধুমাত্র টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তবে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে এখানে মিনিমাম দুই বছরের রিকোয়ারমেন্ট আছে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই দুই বছর পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে হবে। এবং নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে এবং আপনার যে এজেন্সি রয়েছে তার মাধ্যমেই আপনাকে কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
এস্তোনিয়াতে Long Stay visa এর মাধ্যমে সেখানে যেতে হবে কেননা সেখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির ভিসা থাকতে হবে অথবা আপনি চাইলে শিক্ষা বিষয়ক রিচার্জের জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে পারবেন তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন সহ কয়েক ধরনের প্রমাণ আপনাকে দেখাতে হতে পারে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক ভিসা কিভাবে পাবেন
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে আপনাকে তাদের গভমেন্ট জব ওয়েবসাইটগুলো থেকে খুঁজে আপনার যেই জবটা পছন্দ সেই জবের অনুযায়ী আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সেই জবের রিকোয়ারমেন্ট গুলো আপনাকে দেখে নিতে হবে তারা কতটুকু এক্সপেরিয়েন্স চাচ্ছে সে বিষয়টিও দেখে নিবেন তারপরেই আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে তেমন কোনো রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না যেমন গবাদি পশু পালন, মাছ ধরা, ক্ষেত খামার এর কাজ, ফুল বাগানের কাজ, এই কাজগুলো শুধুমাত্র কিছু রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন আছে এগুলোতে খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন তবে এ সমস্ত কাজ গুলো তাদের জব ওয়েবসাইটগুলোতে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা আছে সেখান থেকে আপনারা আইডিয়া নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্কিল থাকতে হবে আপনি যেই কাজের প্রতি যাবেন না কেন সেই কাজে আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা ছাড়া তারা কাজে ভালো পরিমাণ বেতন দিবে না তাই অবশ্যই আপনি এস্তোনিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করেই তারপরেই যাওয়া উচিত।
তা ছাড়াও বিভিন্ন কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার প্রমাণ হিসাবে তারা বিভিন্ন ডকুমেন্ট চাইতে পারে যেমন আপনি যদি রান্নার কাজ এর জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনি আই এর আগে কোথায় কোন রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন সে বিষয়ে কেউ আপনার কাছে প্রমাণ হিসেবে দেখতে চাই যদি আপনি দেখাতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার বেতন বৃদ্ধি করা হবে এবং কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে কি লাগবে
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে তাদের দেওয়া কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সে রিকোয়ারমেন্ট গুলো পূরণ করে তারপরে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে অন্যান্য দেশে যাওয়ার মত যেমন রিকোয়ারমেন্ট আছে এস্তোনিয়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে তা নিচে তুলে ধরা হলো।
- 6 মাস মেয়াদি পাসপোর্ট থাকা লাগবে
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের চার কপি ছবি
- ইন্সুরেন্স পলিসি
- অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করেছেন তার প্রমাণ
- বিমান টিকিট এর ফটোকপি
এস্তোনিয়া তে কিভাবে কাজ পাবেন
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সেখানকার পেয়ে যান তাহলে যদি আপনি প্রথম অবস্থায় কাজ নাও পান তবে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির আন্ডারে খুব সহজে কাজ করতে পারবেন এজন্য আপনার পরিচিত কোন কনস্ট্রাকশন কম্পানি বা বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে যোগাযোগ করে সেখানে কাজে অবস্থান করতে পারবেন সেজন্য আপনার দরকার ভালো একটি কমিউনিটি সঙ্গে যোগাযোগ থাকা। কারন বাংলাদেশ থেকে যারা কিছু মানুষ আছে তারা বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কম্পানি এস্তোনিয়াতে কাজ করছে আপনি চাইলে তাদের কোন টিমের সঙ্গে কথা বলে খুব সহজেই এস্তোনিয়াতে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।
দুনিয়াতে যদি আপনি কাজ পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জব ওয়েবসাইটগুলো খোঁজাখুঁজি করে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে সেখানে আপনি সরাসরি গিয়ে জব পাওয়াটা খুব একটা সহজ ব্যাপার না তাই আপনাকে অনলাইন অফলাইন দুই মাধ্যমেই খুব ভালোমতো খোঁজাখুঁজি করা লাগবে যদি একবার আপনি সেখানে যাবে প্রবেশ করতে পারেন তাহলে আপনাকে স্ক্রিল যদি ভাল থাকে পরবর্তীতে আপনাকে যে কোন জব এর নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় লাগবে না খুব তাড়াতাড়ি আপনার জব পেয়ে যাবেন।
কানাডা জব ভিসা | কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
এস্তোনিয়া কাজের বেতন কত
এস্তোনিয়াতে এভারেজ বেতন হিসেবে মাসে ধরা হয়ে থাকে 540 ডলার। তা ছাড়াও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে বেতন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে সচারাচার আইটি রিলেটেড কাজ অথবা টিচারদের বেতন সহ এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড যাদের রয়েছে সেই ক্ষেত্রে তাদের বেতন বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া রয়েছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার এদের বেতন ও অন্যান্য দের বেতনের থেকে অনেকটাই বেশি বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। তাই যারা এস্তোনিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই দক্ষতা অবলম্বন করে এবং যে সমস্ত কাজে বেতন বেশি সেই কাজগুলোকে যদি আপনারা যেতে পারেন তাহলে ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া সম্ভব।
এস্তোনিয়া ভিসা পেতে খরচ কত হবে
এস্তোনিয়া ভিসা ফি হিসেবে আপনাকে খরচ করা লাগতে পারে 120 ইউরোর মত। তবে বিভিন্ন খরচসহ বা অন্যান্য হিসাবে বিবেচনা করলে আপনার মোটামুটি অনেক টাকায় দাঁড়াবে। তবে এস্তোনিয়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশী হিসেবে অনেক টাকা খরচ করতে হবে কেননা এটি একটি সেনজেনভুক্ত কান্ট্রি সেখানে যেতে হলে আপনাকে লং টাইম এর ভিসা করতে হবে আর লন্ডনের ভিসা করতে হলে খরচ একটু বেশি পড়বে।
এস্তোনিয়া দেশ কেমন
বর্তমানে এস্তোনিয়া দেশটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কাজের জন্য সেখানে পাড়ি জমাচ্ছে কারণ এস্তোনিয়া হল সেনজেনভুক্ত একটি কান্ট্রি। বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে আসছে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে অথবা এডুকেশন অথবা রিসার্চ পারপাসে। সেখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় জবের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই সেখানে যাবে চাহিদা পূরণ করার উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে। ইউরোপের অন্যান্য কান্ট্রির মতোই এমন একটি দেশ হচ্ছে এস্তোনিয়া। এখান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে খুব সহজে যাতায়াত করা যায় তাই সচরাচর মানুষ সবাই এখানেই বেশি আসার চেষ্টা করে। এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে কাজ পাওয়া অনেক সহজ।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
বর্তমানে যারা দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর এসমস্ত দেশগুলোতে অবস্থান করছে তারা টুরিস্ট ভিসা মাধ্যমে প্রবেশ করছে এবং এস্তোনিয়াতে যাওয়ার পরে তারা বিভিন্ন কাজ সংগ্রহ করে তারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করলে খুব সহজেই তখন আবেদন গ্রহণ হয়ে যাচ্ছে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সেখানে যেতে পারছে। তাই যারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়াতে যেতে পারেননি তারা খুব সহজেই এই সমস্ত কান্ট্রি হতে খুব সহজেই আপনারা যেতে পারবেন।
এস্তোনিয়া থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া
সাধারণত যারা ইউরোপ কান্ট্রি তে প্রবেশ করার ইচ্ছা রয়েছে এবং প্রবেশ করতে চান তারাই বেশিরভাগ সময় এস্তোনিয়াতে এই ভাবেই সেখানে যায় এবং সেখান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গুলোতে যেমন সুইজারল্যান্ড ফ্রান্স ইতালি জার্মানি এসমস্ত দেশগুলোতে ঢোকার জন্য। কারণ এস্তোনিয়াতে বর্তমানে বিভিন্ন ওয়ার্ক ভিসা শহরতলীর বিভিন্ন ভিসা সার্ভিস চালু আছে এই সুযোগেই অনেক দেশ থেকেই সেখানে গিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে এবং সেখান থেকে স্বামী অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনার কিছু ডিপার্টমেন্ট আছে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
এস্তোনিয়া তে কি কি কাজ পাওয়া যায়
খাবার প্যাকেজিং, কৃষিক্ষেত্রে, বাসা বাড়ির কাজ, বাগানের কাজ, গবাদি পশু পালন, বিভিন্ন ধরনের কাজ বর্তমানে চালু আছে এসমস্ত কাজ দিয়ে খুব সহজে আপনি এস্তোনিয়া তে যেতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা থাকা লাগবে। এসমস্ত কাজগুলোতে এপ্লাই করতে হলে আপনি মিনিমাম এই কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা আছে সেই বিষয়টি আপনাকে প্রমাণ হিসাবে অন্যান্য জায়গায় যে কাজ করেছেন তার যেকোনো কাগজপত্র দেখানো লাগতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন