আজকে আমরা কথা বলবো আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় নিয়ে এবং আমেরিকার গ্রীন কার্ড কিভাবে পাবেন এবং এটা পেতে হলে কতদিন পর্যন্ত সময় লাগবে এবং কত টাকা পর্যন্ত খরচ হবে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরেছি আশা করি আপনারা এই কনটেন্টে সম্পূর্ণ পড়লেই আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া কি সম্ভব
অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া কি সম্ভব। বর্তমান সময়ে নাগরিকত্ব পাওয়া অনেকটা সহজ একটি ব্যাপার আবার অনেকের কাছে কঠিন একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় কারণ বর্তমান সময়ে কঠিনভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেই আমেরিকাতে নাগরিকত্ব দিচ্ছে আপনার যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সবকিছু ঠিকঠাক থাকে এবং আপনার উদ্দেশ্য যদি সঠিক হয় তাহলে আমেরিকাতে নাগরিকত্ব পাওয়া একেবারেই সহজ একটি ব্যাপার তাছাড়াও আপনি যদি বিভিন্ন মাধ্যম ফলো করে আমেরিকাতে নাগরিকত্ব পেতে চান তাহলে আপনাকে বিশেষ কিছু মাধ্যম অবলম্বন করা লাগবে তা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
আমেরিকাতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে অবদানকারী কে অবশ্যই তাদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব কিভাবে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবেন এবং কখন কিভাবে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হয় এবং কোন সময় এই পরীক্ষাগুলো দিতে হয় তাহলে চলুন আবেদনের সঙ্গে কি কি তথ্য প্রমাণ লাগে এবং কি কি কাগজপত্র লাগে সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।
কারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে
আমেরিকার নাগরিকেরা যে সমস্ত অধিকার পেয়ে থাকেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভোট দেওয়ার অধিকার, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে এবং ফিরে আসার জন্য অধিকার না হারিয়ে সেইসাথে আমেরিকার বাইরেও যতদিন ইচ্ছা তার সেই অনুযায়ী বসবাস অধিকার আছে। স্বাভাবিকভাবে আবেদনের মাধ্যমে নাগরিক হওয়ার জন্য একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই গ্রীন কার্ডধারী হতে হবে এবং এই সমস্ত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে তা নিচে তুলে ধরা হলো।
তাছাড়াও যারা দীর্ঘ সময় আমেরিকাতে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছে অথবা পাঁচ বছর যাবৎ কাজে নিয়োজিত আছে তারা আমেরিকাতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে তবে সেই সাথে অবশ্যই আপনার কোম্পানির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে তারপরে আবেদন করতে হবে। অথবা আপনার কোম্পানির মাধ্যমেও আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা লাগবে।
আপনি যদি সেখানে দীর্ঘদিন যাবত বিজনেস পরিচালনা করে আসেন তাহলে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনি কি বিজনেস করছেন এবং কতদিন যাবৎ এখানে বিজনেসে অবস্থান করছেন সেই বিষয়টি আপনাকে নিশ্চিত ভাবে ক্লিয়ার করতে হবে তাহলেই আপনাকে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়া করেই নাগরিকত্ব দিবে।
কানাডা জব ভিসা 2022 | কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য নির্ধারিত কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে এসমস্ত রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে। আর নাগরিকত্ব আবেদনের পূর্বে অনলাইন থেকে এবং তাদের এম্বাসির মাধ্যমে আপনারা সরাসরি বর্তমান সময়ের যোগ্যতা রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো জেনে নিতে পারবেন নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো কি কি কাগজপত্র এবং যোগ্যতা প্রয়োজন।
- কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে আমেরিকায় গ্রীন কারি হতে হবে
- স্বামী বা স্ত্রী কমপক্ষে তিন বছর ধরে মার্কিন নাগরিক হতে হবে বৈবাহিক সূত্রে বসবাস করতে হবে
- ইমিগ্রেশন এবং ন্যাশনালিটি 313 ( বি ) ধারা প্রযোজ্য
- কোয়ালিফাই মিলিটারি সার্ভিসের বেসিসে আবেদন করতে হবে
- এবং আমেরিকাতে কাজে নিয়োজিত আছে তার একটি প্রমাণ
- বৈবাহিক সূত্রে হলে উভয়পক্ষের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এনআইডি কার্ড
- এবং এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- এবং মেডিকেল রিপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট
কখন আবেদন করতে পারবেন
আমেরিকায় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সব সময় এই সার্ভিসটি খোলা থাকে না তবে বছরের বিভিন্ন সময় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য এই সার্ভিসটি চালু থাকে তাই অবশ্যই আপনাকে উত্তর সময়টি জেনে তারপর এই নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে তার আগে যদি আপনি আবেদন করেন তাহলে সেই সময় আপনার আবেদনের জন্য তারা প্রস্তুতি নেবে। তাই নিচের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আপনারা বছরের যে সমস্ত সময়ে আবেদনের জন্য সময় দিবে তখনই আবেদন করতে পারবেন।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন
আবেদন করার জন্য আপনাকে 18 বছরের বেশি বয়স হতে হবে সেইসাথে ইংলিশে ভালো দক্ষ হতে হবে এবং পড়ালেখাতেও ভালো রেজাল্ট থাকতে হবে সেইসাথে আমেরিকান ইতিহাস সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে তাদের ভাইভা বোর্ডের জন্য। এবং আমেরিকাতে আপনি পরবর্তীতে কি করতে চান এবং কতদিনের জন্য আমেরিকাতে থাকতে চান সেই বিষয়টিও তাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। তারপরে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুযায়ী আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে এবং সেই ফরমেট সাথে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে
আমেরিকাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আপনাকে নাগরিকত্ব পেতে হবে আর এই নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য তাদের কিছু মূল্যবান কাগজপত্র প্রমাণ হিসাবে চাইতে পারে তাই উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো কি কি লাগবে তা নিচে তুলে ধরা হলো।
- ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকতে হবে
- আমেরিকাতে গিয়ে কি কি করতে চান
- আপনার এলাকার একটি চেয়ারম্যান কর্তৃক সার্টিফিকেট
- ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি
- জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের চার কপি ছবি
- আইইএলটিএস বা ইংলিশ স্পোকেন কোর্স এর সার্টিফিকেট
এ সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে আবেদনপত্রের সাথে অ্যাডজাস্ট করে তারপরে আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং সেইসাথে আপনার প্রয়োজনীয় ভুল থাকলে কাগজপত্র সেগুলো আগে থেকেই সলভ করে নিতে হবে। তা না হলে আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
কিভাবে আবেদন করবেন
আপনাকে আবেদন ফরমের নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে এর সঙ্গে আপনাকে গ্রীন কার্ড এর জন্য পাশের দুই কপি ছবি এবং 725 মার্কিন ডলার ফ্রী সংযুক্ত করতে হবে। এবং ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হলে আপনাকে পরবর্তীতে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে অথবা আপনাকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে সেই অনুযায়ী আপনাকে ইন্টারভিউ বোর্ডে যেতে হবে। পরবর্তীতে ইন্টারভিউয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে সেটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সেই আবেদনপত্রের সাথে আবারো জমা দিতে হবে।
আপনি যদি বিবাহ করে থাকেন সেই সাথে আপনার কাবিননামা সহ আপনার স্ত্রীর বায়ো ডাটা তাদের কাছে জমা দিতে হবে এবং স্ত্রীর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে আপনাকে ফরমের সাথে আবেদন করতে হবে। পরবর্তীতে আপনাকে পরীক্ষার ডেট সহ অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে জানানো হবে এবং পরীক্ষাতে আপনি কিভাবে এটেন্ড করবেন সে বিষয়টি তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে। এই প্রসেস গুলোর মাধ্যমে আপনারা আমেরিকার গ্রীন কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে 2022 | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ
পরীক্ষা না দিয়ে নাগরিকত্ব পাওয়া কি সম্ভব
আপনি যদি কোন প্রতিবন্ধী হয়ে থাকেন তার জন্য আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বিষয়ে সাধারণ একটি দক্ষতা থাকলেই চলবে তখন আপনাকে আপনার চিকিৎসক কর্তৃক একটি ফরমের মাধ্যমে আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। সেই সাথে মেডিকেল এর যাবতীয় রিপোর্ট এবং আপনার শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমেই আপনাকে একটি কাগজ তৈরি করে নিতে হবে সেই কাগজটা সঙ্গে জমা দিতে হবে।
তাই অবশ্যই একমাত্র পরীক্ষা ছাড়াই বাজাতে পারবে তারা হচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধী তাদের মাধ্যমে তবে প্রতিবন্ধী হলে অবশ্যই আপনাকে মেডিকেল রিপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো সঙ্গে নিয়ে তারপরে আপনাকে আবেদন করতে হবে তাছাড়া আপনি আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাবেন না।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার উপায়
বর্তমান সময়ে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়া অনেকটা সহজ হয়েছে আগের তুলনায়। গ্রিন কার্ড পাওয়া অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সেখানে গিয়ে কোন কোম্পানির মাধ্যমে কালেক্ট করতে পারেন তাহলে আপনি গ্রীন কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন তাছাড়াও আপনি যদি ভাল কোন জবের অফার পেয়ে আমেরিকাতে যেতে পারেন এবং সেখানে 5 বছরের মতো কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাবেন তবে আগের তুলনায় বর্তমানে অনেকটাই সহজ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এসমস্ত বিষয়গুলোতে।
তাছাড়া আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার জন্য আপনি ওখানে যদি বিয়ে করতে পারেন এবং আপনার কাবিননামা সহ সমস্ত কাগজপত্র তাদেরকে দেখাতে পারেন তাহলেই এই প্রসেস এর মাধ্যমে আপনি আমেরিকার গ্রীন কার্ড পেতে পারেন। আমেরিকার গ্রীন কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে আরও কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে এবং সেইসাথে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র তারা দেখতে পাবে এবং ইন্টারভিউর মাধ্যমে আপনাকে আমেরিকার গ্রীন কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন | ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন