বছরের বিভিন্ন সময় আমাদের শরীরে জ্বর আসে এবং আমাদের শরীরকে দুর্বল করে দেয়। জ্বর আসলে খাবারের প্রতি রুচি থাকে না। অনেকের মাথা যন্ত্রণা করে অথবা শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। বিভিন্ন রকমের সমস্যা তৈরি হয় তাই জ্বর কে দ্রুত সারার জন্য আমরা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে থাকি তবে এই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করার কিছু নিয়ম আছে তাই জ্বরের এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে জানতে চেয়ে থাকে তাই আজকে আমরা এই কনটেন্টে মাধ্যমে জ্বরের এন্টিবায়োটিক নিয়ে আলোচনা করব।
আমাদের কাছে অনেকেই জ্বরের এন্টিবায়োটিক এর নাম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে পরিচয় করে দিব যেগুলা খেলে আপনি জ্বরের থেকে মুক্তি পাবেন এবং তাছাড়াও আলোচনা-করবো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং জ্বরের এনটিবেটিক সিরাপের নাম কি এই নিয়ে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম
সিপ্রোফ্লক্সাসিন, এজিথ্রোমাইসিন, সেফিক্সিম, সেফট্রিয়াক্সোন ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বরের জন্য এই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গুলো সেবন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই এনটিবেটিক গুলো সেবন করা উচিত। বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে তবে নরমাল জলের ক্ষেত্রে কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত নয়। সাধারণ অবস্থায় প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে পরবর্তীতে জ্বর ভালো না হলে এই অ্যান্টিবায়োটিক গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার 10 টি উপায়
অনেকে আছে সচরাচর আসামাত্র অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে থাকে তবে এই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করার ফলে আপনাকে বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। শরীর দুর্বল হয়ে যাবে এবং অন্যান্য রোগের মাত্রা বেড়ে যাবে সেক্ষেত্রে এনটিবেটিক দেখেশুনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত তা না হলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে আপনার অন্যান্য রোগের মাত্রা বেড়ে যাবে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ এর নাম
নাপা নাপা এন্টিবায়োটিক সিরাপ। জ্বরের জন্য ভালো ভূমিকা পালন করে থাকে তবে নাপা সিরাপ শুধুমাত্র শিশুদের জন্যই ডাক্তার লিখে থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুদের জ্বরের ওষুধ সেবন করতে হবে। জ্বর বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকতে পারে ভাইরাসজনিত জ্বর অথবা সিজিনাল জ্বর সহ কয়েক ধরনের জ্বর আসছে ব্যাকটেরিয়া জনিত জ্বর আসলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ গ্রহণ করবেন।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরের জন্য ওষুধ সেবন করা উচিত। কারণ বাচ্চাদের জন্য মাঝে মাঝে এসে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ওষুধ সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জ্বরের নাপা সিরাপ ব্যবহার করবেন। তাছাড়াও কয়েক ধরনের নাপা সিরাপ আছে যেগুলোতে ব্যবহার করলে জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তবে সেগুলো ডাক্তার এর রোগীর অবস্থা বুঝে তারপরে সমস্ত ওষুধ গুলো লিখে থাকে।
টিকটকে ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় | টিকটক কিভাবে অটো লাইক নিতে পারবেন
জ্বরের এন্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়ম
জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক সেবন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই দিনে তিন বাবা চারবারের বোতলে আট অথবা 6 ঘন্টা পর পর ওষুধ খেতে বলা হয়ে থাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। তবে কোন এক সময় যদি দোষ খেতে ভুলে যায় তবে সে ক্ষেত্রে কিন্তু পরবর্তীতে বেশি ওষুধ খাওয়া যাবে না। তবে অনেক সময় আছে যে এন্টিবায়োটিকের পুরো শেষ করার আগেই শরীরে ভালো লাগতে পারে সে ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই সম্পূর্ণ কমপ্লিট করতে হবে এবং পাশাপাশি যে প্যারাসিটামল বা অন্যান্য ওষুধ দিয়েছে সেগুলো সেবন করতে হবে। এবং সেইসাথে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরে অবশ্য একটি ভিটামিন বি সিরাপ খেয়ে নিতে হবে এতে করে আপনার শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
জ্বরের পাশাপাশি যদি শরীরে অতিরিক্ত ব্যথা থাকে তাহলে এটি ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ। অনেকে মনে করে থাকে জ্বর হলেই এনটিবেটিক শুরু করা উচিত তারপরও অনেকেই দেখা যায় যে এটি অলরেডী শুরু করে দিয়ে থাকে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরের এন্টিবায়োটিক শুরু করা উচিত নয়। প্রথম অবস্থায় লক্ষণ বোঝা চিকিৎসা নিতে হবে তাছাড়া প্যারাসিটামল খাওয়া বা প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা সহ বিশ্রাম নিতে হবে এগুলো অধিকাংশ সময় জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
সরকারি কম্পিউটার কোর্স 2022 | সরকারি অর্থায়নে ফ্রি কম্পিউটার আইটি কোর্স ২০২২
তবে রোগী যদি নিজেই এনটিবেটিক খেয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের মতে এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা ভুল কার্যক্রম। একই ওষুধ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকমের কাজ করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে কারও ক্ষেত্রে খাওয়া উচিত আবার কারো ক্ষেত্রে খাওয়া উচিত নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরের এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে এবং সেখানেই নিয়ম তারা বলে দিবে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম
জ্বরের এন্টিবায়োটিক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
বাচ্চাদের জ্বর আসলে নাপা এন্টিবায়োটিক সিরাপ খাওয়ার আগে অবশ্যই জ্বর সম্পর্কে আপনাকে জেনে নিতে হবে। এটাকি ভাইরাসজনিত জ্বর নাকি অন্য কোনো জোর যার কারণে আপনি এন্টিবায়োটিক সিরাপ খেতে চাচ্ছে এ সম্পর্কে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরেই এন্টিবায়োটিক সিরাপ গ্রহণ করবেন তা না হলে বাচ্চার নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই 10 ঘণ্টা পরপর অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দিনের যেকোনো সময় এন্টিবায়োটিক সিরাপ গ্রহণ করা যায় তবে অবশ্যই সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে এবং জলের তাপমাত্রা অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। তা না হলে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে।
মুভি ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট | ফ্রি মুভি ডাউনলোড সাইট
জ্বরের এন্টিবায়োটিক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন যারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করে থাকে। আবার নির্দিষ্ট কোর্স সম্পন্ন করে না। ডাক্তাররা জানিয়েছে যে ভাইরাল ইনফেকশন বা সর্দি-কাশি-জ্বর এসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে যদি ইনফেকশন ও সংক্রমণ দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে যায় তবে এক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা যেতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ভাইরাস জীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়। শরীরের দুর্বল অনুভূত করে। যে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই খুব সিরিয়াস অবস্থা না হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত না তাই সিরিয়াস অবস্থা দেখলেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন তার আগে কখনোই সেবন করবেন না।
টিকটক থেকে টাকা ইনকাম পদ্ধতি। টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন