চায়না টুরিস্ট ভিসা, চীন ভ্রমণ খরচ, ঢাকা টু চায়না বিমান ভাড়া

    চায়না টুরিস্ট ভিসা, চীন ভ্রমণ খরচ, ঢাকা টু চায়না বিমান ভাড়া


    আজকে আমরা কথা বলব বাংলাদেশ থেকে চায়না টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন এবং চীন ভ্রমণ খরচ কত পড়বে এবং ঢাকা টু চায়না বিমান ভাড়া কত এই নিয়ে সম্পূর্ণভাবে চায়না টুরিস্ট গাইড লাইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরব আশাকরি সম্পন্ন কনটেন্টটি  পড়লে আপনারা বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন


    বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ টুরিস্ট ভিসা নিয়ে চায়নাতে পাড়ি জমাচ্ছে। আর এই বাংলাদেশ থেকে চায়না টুরিস্ট ভিসা করতে হলে আপনাকে কোন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সাহায্য নিতে হবে এবং কিভাবে আপনি সহজেই চায়না ভিসা করতে পারবেন। চায়না ভিসা আপনি নিজেই অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু ঝামেলা হতে পারে


    আপনি যখন চায়না ভিসা করতে যাবেন তখন আপনাকে কিছু বিষয় আগে থেকেই জানতে হবে।  চায়না ভিসা আবেদন করতে হলে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন আছে সেগুলা জোগাড় করতে হবে এবং আপনার একাউন্টে কেমন টাকাপয়সা আদান প্রদান করে থাকেন সেটার প্রমাণ দেখাতে হবে। তাছাড়াও প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো আশা করি চায়না ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন


    চায়না টুরিস্ট ভিসা

    চায়না টুরিস্ট ভিসা করতে হলে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অধিক পরিমাণ টাকা ট্রানজেকশন এর একটি কপি দেখাতে হবে পাশাপাশি আপনার একটি ভ্যালিড ছয় মাসের সার্টিফিকেট থাকা লাগবে তার পরেও আপনি অন্য অন্য কোন দেশে ট্রাভেল করেছেন সেটার একটি প্রমাণ দেখাতে হবে। এই সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো রেডি করার পরেই আপনি নিজেই চায়না ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন আর এই আবেদন প্রক্রিয়া মিনিমাম 27 থেকে 46 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এর মধ্যেই আপনাকে ইমেইল করে জানিয়ে দেয়া হবে


    চায়না টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    চায়না টুরিস্ট ভিসা করতে হলে আপনাকে আবেদন ফরমের সাথে কয়েকটি রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো পূরণ করে আপনাকে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে অথবা কিভাবে আবেদন করতে পারবেন এক অনলাইনের মাধ্যমে দুই অনলাইনের মাধ্যমে। অনলাইনের মাধ্যমে করতে হলে আপনাকে পিডিএফ আকারে সমস্ত ডকুমেন্ট ফাইল গুলো তৈরি করে রাখতে হবে তারপরে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে


    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে


    প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    • 6 মাসের ভ্যালিড পাসপোর্ট
    • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
    • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
    • অন্যান্য জায়গায়ও ট্রাভেল করার প্রমাণ
    • বিমান টিকিট এর ফটোকপি
    • হোটেল বুকিং এর ফটোকপি
    • ফিরতি টিকিট এর ফটোকপি
    উপরুক্ত কাগজপত্র রেডি করে তারপরে আপনি চায়না টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন করার সময় অবশ্যই এ সমস্ত কাগজ গুলো সম্পূর্ণ নির্ভেজাল এবং নির্ভুল থাকা লাগবে। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আগে থেকেই এগুলা ঠিক করে রাখতে হবে

    চায়না টুরিস্ট ভিসা ফি

    চায়না টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত তিন মাস থাকে আর এই তিন মাসের ভিসা ফি 30000tk সিঙ্গেল এন্ট্রির জন্য । কিন্তু আপনি সেখানে অবস্থান করতে পারবেন 60 দিন পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে কিছু দিন বাড়িয়ে নেওয়া যাবে তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তারা জিজ্ঞাসাবাদের পর এই থাকার অনুমতি দিবে। এবং মাল্টিপল এন্ট্রির জন্য খরচ হবে 15000 টাকা এই ভিসার মেয়াদ হবে ছয় মাস থাকা যাবে 60 দিন। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনি কোন রকমের সমস্যা বা অসুস্থ জনিত কোন কারণ থাকে তাহলে তারা জিজ্ঞাসাবাদের পর এই পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনারা থাকার অনুমতি পাবেন


    চায়না ভিসা কিভাবে করবেন

    প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো সঙ্গে নেওয়ার পরে আপনারা বাংলাদেশি চায়না দূতাবাসের মাধ্যমেই টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো সঙ্গে রাখতে হবে সেইসাথে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অবশ্যই দেড় লক্ষ টাকা আদান প্রদান করেছেন তার একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট সঙ্গে নিয়েই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে তারা কাগজপত্র জমা নেওয়ার পর এই কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ভিসা অ্যাপ্রভাল পাবেন কিনা সে বিষয়ে তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে


    চীন ভ্রমণ খরচ

    ব্যবস্থা

    টাকা

    থাকার খরচ

    6 থেকে 10 হাজার টাকা

    খাবার খরচ

    8 থেকে 12 হাজার টাকা

    যাতায়াত খরচ

    চার থেকে আট হাজার টাকা

    ইন্টারনেট খরচ

    2000 টাকা

    বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ ফি

    ছয় থেকে আট হাজার টাকা

    ভিসা খরচ

    15 থেকে 30 হাজার

    সিঙ্গেল এন্ট্রি

    30 হাজার টাকা

    মাল্টিপল এন্ট্রি

    15 হাজার টাকা


    ঢাকা টু চায়না বিমান ভাড়া

    ঢাকা থেকে চীনের বিভিন্ন শহরে বিমানে যেতে দুই ঘন্টা থেকে শুরু করে আড়াই ঘন্টা সময় লাগে। তবে করণা মহামারীর পর বিমান ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি হয়ে 40,600 টাকা হয়েছে। কিন্তু এরকম দূরত্বে অন্যান্য দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে 20 হাজার টাকা থেকে 30 হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যায়। তাছাড়াও বিমান ভাড়া কোন কোন সময় কম বেশী হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে যদি আপনি 15 দিন আগেই বিমানের টিকিট নিশ্চিত করেন তাহলে কিছু টাকা কম পেয়ে যেতে পারেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আগে থেকেই বিমান টিকেট নিশ্চিত করা উচিত সে ক্ষেত্রে কিছুটা কম পাওয়া যাবে


    চায়না ভ্রমণের সর্তকতা

    চায়না ভ্রমণের আগে অবশ্যই আপনাদেরকে কিছু বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী অন্যান্য দেশের তুলনায় চায়নারা একটু ভিন্ন রকম তাই অবশ্যই আপনাদেরকে সর্তকতা স্বরূপ চলাফেরা করা লাগবে। খাবার সম্পর্কে আগেই আপনাকে সর্তকতা অবলম্বন করা লাগবে আপনি যদি ইসলামিক মন মাইন্ডের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে খাবার দাবার বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক হয়ে নিবেন কেননা সেখানে হালাল-হারাম খাবার পার্থক্য রয়েছে তাই সেগুলো দেখে যাচাই-বাছাই করে তারপর এই খাবার চিন্তাভাবনা করবেন


    বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি


    চায়নাতে ভ্রমণের উদ্দেশ্য যদি করে থাকেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা অথবা সিমের ব্যবস্থা আপনার কোম্পানীর মাধ্যমে করে নিবেন তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভিপিএন এর প্রয়োজন পড়ে সেই ক্ষেত্রে এ সমস্ত ভিপিএন গুলো তারা প্রোভাইড করবে কিনা সেই বিষয়টি আগেই ক্লিয়ার করে নিবেন। কেননা চায়নাতে যাওয়ার পরে আপনি যদি ফেসবুক ইউটিউব অথবা গুগোল এর কার্যক্রম চালাতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাদেরকে ভিপিএন ইউজ করা লাগবে


    চায়না রাস্তাঘাট বিষয়ে আপনাকে আগে থেকে জেনে নিতে হবে কেননা চায়না রাস্তাঘাট সম্পর্কে অনেকেই জানিনা তাই এই বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এবং কোথায় কোন জায়গায় আপনি যাচ্ছেন আপনার কোম্পানীর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হয়ে নিতে পারবেন তাছাড়া আপনি সরাসরি গেলে চায়নার বিলবোর্ড দেখে অথবা বিভিন্ন কার্যক্রম দেখে আপনি সেটা জানতে পারবেন না কেননা চায়নার ভাষা সম্পূর্ণ চাইনিজ ভাষায় তারা ব্যবহার করে থাকে বিভিন্ন বিলবোর্ড সহ আদার্স অন্যান্য জায়গা গুলোর নাম


    বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন