আজকে আমরা কথা বলবো চায়না কাজের ভিসা নিয়ে। কিভাবে আপনি চায়নাতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন এবং সেখানে কাজ করতে পারবেন এবং আপনাদেরকে আরও জানিয়ে দিব এখানে কতদিন যাবৎ কাজ করতে এবং ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন পর্যন্ত সময় লাগবে। তাহলে চলুন আজকে আমরা জেনে নেই তাইনা কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
চায়নাতে কয়েকটি মাধ্যমে যাওয়া যায় তারমধ্যে হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বিজনেস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা সহ আরো কয়েকটি বিষয় মাধ্যমে আপনি চিনে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেই রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে যেতে হবে। তাই আজকে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমেই আপনাদেরকে তুলে ধরবো কিভাবে আপনারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে চায়নাতে প্রবেশ করতে পারবেন।
চায়না কেন কাজে যাবেন
বর্তমান সময়ের সবথেকে প্রভাবশালী দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ হলো চিন। একবিংশ শতাব্দী বর্তমান শাসন করছে বা নেতৃত্ব দিচ্ছে বলা যায়। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুরু করে ভারত উপমহাদেশ এশিয়া মহাদেশ আমেরিকা ইউরোপ ও বিভিন্ন দেশে চীনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে এবং দৈনন্দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নত এই দেশে প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন কাজের চাহিদা তৈরি হচ্ছে তাই বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে চিনে পাড়ি জমাচ্ছে। আর সেই প্রচেষ্টায় কীভাবে হবে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরবো।
চায়না কাজের ভিসা ২০২২
চায়না কাজের ভিসার জন্য বাংলাদেশের বোয়েসেল অথবা বিএমইটির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানি এসমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকে সরাসরি তারা কোনোভাবেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনা। এসমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সাধারনত ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রিকোয়ারমেন্ট থাকে। মনে রাখতে হবে যে চায়নাতে সাধারণত গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট ছাড়া ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন।
তাছাড়াও আপনি যদি চায়নাতে কাজের ভিসা নিতে চান তাহলে আপনাকে পার্সোনালি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে যেমন ইলেকট্রিক কোম্পানি এবং ফোনের এক্সেসরিজ এর বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে সমস্ত কোম্পানির সাথে আপনাকে যোগাযোগ করে তাদের মেম শোরুমে কাজ নিতে হবে তাহলে আপনারা চায়নাতে যাওয়ার একটি সুযোগ তৈরি করতে পারবেন বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে চায়নাতে প্রবেশ করতে পারবেন।
বর্তমানে ভিভো এবং রিয়েলমি কোম্পানিগুলোতে চায়নাতে ক্যামেরা অ্যাক্সেসরিজ এবং অন্যান্য প্যাকেটিং এর কাজের জন্য বোয়েসেল এর মাধ্যমে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। সেখানে বর্তমানে আড়াই থেকে তিন হাজারের মতো লোক নিয়েছিল সেই সময়ে কিন্তু বর্তমানে তাদের এই কার্যক্রম আপাতত বন্ধ আছে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী আবারও তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে প্রকাশ হওয়া মাত্রই আমরা আমাদের এখানে তুলে ধরব।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
চায়না কাজের বেতন কত
চায়নাতে ইলেকট্রিক কোম্পানি সহ কয়েকটি আদার্স কোম্পানি রয়েছে যে সমস্ত কোম্পানিতে বেতন ক্যাটাগরি হয়ে থাকে 2800 আরএমবি থেকে শুরু করে 3000 আরএমবি এরমধ্যে। তবে এটি সাধারণত ব্যাসিক ক্যাটাগরিতে। ব্যাসিক ক্যাটাগরিতে ডিউটি করা লাগে আধঘণ্টা এবং ওভারটাইম বাধ্যতামূলক থাকে যেখানে তিন ঘন্টা এক্সট্রা এগারোটা পর্যন্ত করা লাগে। তাই চায়নাতে সাধারণত 2800 আরএমবি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 4000 আরএমবি পর্যন্ত সমস্ত কাজের বেতন হয়ে থাকে।
চায়না ভিসা খরচ
চায়নাতে 2 বছরের মাল্টিপল ভিসা নিতে হলে খরচ করতে হবে 32 হাজার টাকা। আরে ভিসা প্রসেসিং সময় লাগে সাধারণত 5 থেকে 10 দিনের মত। সেইসাথে এম্বাসি ফ্রী হিসাবে এবং ভিসা প্রসেসিং ফি হিসেবে 10000 টাকা খরচ করা লাগবে। পাশাপাশি ইন্ডিয়া এবং নেপাল ভ্রমণের উদ্দেশ্য টাকা লাগতে পারে।
চায়নাতে 6 মাস মেয়াদী ডাবল এন্ট্রি 13000 টাকা লাগবে। যদি আগে কখনো চাইনা যাওয়া থাকে। পাশাপাশি এক বছর মেয়াদী মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য 22,000 টাকা খরচ করা লাগতে পারে। উপরোক্ত ঈপ্রসেস অনুযায়ী অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ এর জন্য ডেলিভারি নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি আপনি যদি জরুরী ভিত্তিতে নিতে চান। তাহলে তিন হাজার টাকা এক্সট্রা এবং সেইসাথে শর্তসাপেক্ষ একটি পাসপোর্ট চায়না ভিসা করা হবে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে 2022 | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ
চায়না কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে চায়নাতে মোবাইল কোম্পানি সহ কনস্ট্রাকশন কম্পানি এবং কয়েকটি বিশেষ ফ্যাক্টরি রয়েছে এবং মোবাইল এক্সেসরিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টরিতে কাজ এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তবে এই সমস্ত কোম্পানিতে নিয়োগ পেতে হলে বা জবের জন্য এপ্লাই করতে হলে অবশ্যই বিএমআইটি অথবা বইয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনাকে চায়নাতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হবে তবে অবশ্যই চায়না এম্বাসি মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনারা বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে কাজে নিয়োগ পেতে পারেন।
চায়না কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন
চায়না কাজের ভিসা নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই বোয়েসেল এবং বিএমআইটি মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে তারা যদি রিসেন্ট কোন বিজ্ঞপ্তি থেকে থাকে সেই অনুযায়ী আপনাকে তারা অবহিত করবে। পাশাপাশি আপনি যদি সরাসরি কাজের জন্য নিয়োগ পেতে চান তাহলে চায়না আব্বাস এর মাধ্যমে অথবা দিল্লি এম্বাসির মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনাকে চায়নার ভিসার ব্যবস্থা করতে হবে তা না হলে সরাসরি আপনি এ সমস্ত জায়গা ছাড়া কোথাও ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না এবং সেইসাথে অবশ্যই ব্যাচেলর ডিগ্রী সহ কয়েক ধরনের রিকোয়ারমেন্ট আছে সে রিকোয়ারমেন্ট গুলো পূরণ করে তারপরে আপনাকে ভিসা পাওয়ার যোগ্য হবেন।
জাপানে কাজের ভিসা ২০২২ | জাপান ভ্রমণ ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা
চাইনা ভিসা পেতে কি কি লাগবে
চায়না ভিসা পেতে হলে তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেই রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে পাশাপাশি এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন সহ কয়েকটি তথ্য দেখানো লাগতে পারে। তাছাড়াও তাদের বিভিন্ন কোম্পানির শর্তসাপেক্ষে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে।
- এডুকেশন সার্টিফিকেট
- ছয় মাসের ভ্যালিড পাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- চায়না ভাষা শিক্ষার সার্টিফিকেট
- চায়নাতে চাকরির ইনভাইটেশন লেটার
- লাস্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা
- মিনিমাম দুটি দেশ ভ্রমণের প্রমাণ
- বর্তমানে যে কাজে আসেন তার প্রমান
উপরোক্ত রিকোয়ারমেন্ট নিয়ে তারপরে আপনি বাংলাদেশের বোয়েসেল অথবা চায়না এম্বাসি মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনি যেই কোম্পানিতে আবেদন করবেন সেই কোম্পানির সাথে আগে আপনার ডিল ভালোমতো কমপ্লিট করে নিবেন।
চায়না স্কলারশিপ কিভাবে আবেদন করবেন? খরচ সহ বিস্তারিত
সর্বশেষ
চায়নাতে কাজের ভিসা সহ স্টুডেন্ট ভিসা এবং কয়েক ধরনের বিজনেস ভিসা চালু আছে এসমস্ত ভিসা নিয়ে আপনারা চায়নাতে যেতে পারবেন তবে অবশ্যই দালালের মাধ্যমে ছাড়া সরাসরি আপনারা বিএমআইটি অথবা বুয়েসেল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে চায়নাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তা ছাড়া দালালের মাধ্যমে কখনোই চায়নাতে যাওয়া উচিত হবে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন