দুবাই থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় নিয়ে আজকে আমরা এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো আশা করি আপনারা বিস্তারিতভাবে জানবেন তাহলে চলুন আমরা কি কি বিষয়ে আলোচনা করব সেটা জেনে নিই। কন্টাক্ট এর মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব দুবাই থেকে কানাডা যাওয়ার উপায়, এবং দুবাই থেকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন। এবং কত টাকা খরচ করতে হবে ভিসার জন্য এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এই নিয়ে বিস্তারিত।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে এবং ইন্ডিয়া সহ অন্যান্য কান্ট্রি থেকে অনেকেই দুবাইতে বর্তমানে কাজে নিয়োজিত আছে তবে এখানে বর্তমানে দিন দিন কাজের চাহিদা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। তাই অনেকেই চিন্তাভাবনা করছে যে দুবাই থেকে কানাডা সহ অন্যান্য দেশে কিভাবে যাওয়া যায়। তাই এই বিষয় নিয়ে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরব। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আপনারা দুবাই থেকে কানাডায় যাবেন।
দুবাই থেকে কানাডা যাওয়ার উপায়
দুবাই থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুবাইয়ে এক বছর অবস্থান করতে হবে। এক বছর থাকার পর আপনি কানাডায় যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনি কোন এজেন্সির হেল্প নিতে পারেন অথবা চাইলে আপনি নিজেই কানাডায় বিভিন্ন জবের জন্য আবেদন করতে পারেন তাই নিচে আমরা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করব কিভাবে আপনারা দুবাই থেকে কানাডায় জব এর জন্য আবেদন করবেন।
তাছাড়াও কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো আপনাকে অবশ্যই পুরন করতে হবে যেমন কানাডায় যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সে রিকোয়ারমেন্ট গুলো থাকতে হবে। যেমন অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কাজের একটি সার্টিফিকেট লাগবে পাশাপাশি আপনার ইংলিশে দক্ষতা আছে তার একটি প্রমাণ দেখাতে হবে। তাছাড়া আরও কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরবো।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
কারা দুবাই থেকে কানাডায় যেতে পারবে
দুবাই থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য চারটি ভিসা সার্ভিস চালু আছে। ক্যাটাগরি A,B,C,D এই ক্যাটাগরি অনুযায়ী দুবাই থেকে কানাডায় যাওয়া যাবে। স্টুডেন্ট এবং ডিপ্লোমা পাশ করেছে তারা এ এবং বি ক্যাটাগরিতে যাতে পারবে। কিন্তু যারা সামান্য পরিমাণ শিক্ষা অর্জন করেছে তারা ক্যাটাগরিতে যাতে পারবে সে ক্ষেত্রে তাকে অনুযায়ী জবের জন্য আবেদন করতে হবে এবং জব যদি অ্যাপ্রভাল পাই তারপর এসে যেতে পারবে।
এবার আসা যাক শ্রমিকরা কোন ক্যাটাগরিতে কানাডায় যেতে পারবে। শ্রমিকরা কানাডায় যেতে হলে D ক্যাটাগরির মাধ্যমে যেতে হবে। এই ক্যাটাগরিতে কোন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট লাগে না শুধুমাত্র কাজের উপর দক্ষতা থাকলেই এই ক্যাটাগরিতে যেতে পারবে তবে কি কি কাজের প্রতি দক্ষতা থাকবে তা নিচে আমরা তুলে ধরব।
যেমন, গবাদি পশু পালন, ক্ষেত খামার, কৃষি, ক্লিনিং, কনস্ট্রাকশন, সহ কয়েকটি ক্যাটাগরি আছে এসমস্ত ক্যাটাগরিতে যেতে হলে কোন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট লাগেনা তারাবি ক্যাটাগরি অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে এক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবে অথবা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে করতে পারবে। অনলাইনে কিভাবে আবেদন করবেন তা দেখানো হবে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
কানাডায় জব এর জন্য অনলাইনে আবেদন
আপনি যদি দুবাই থেকে কানাডায় জব করতেছেন অথবা যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে অথবা নিজেই আপনি কানাডা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জব এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। জব এর জন্য আবেদন করার পরে আপনাকে ভিসা অ্যাপ্রভাল তারা নিশ্চিত করবে এবং প্রয়োজনীয় কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন এবং কিভাবে আপনি ভিসা পাবেন তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন।
https://emigratecanada.com/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে প্রবেশ করার পরে আপনারা ইমিগ্রেশন সেকশন থেকে ওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে আপনার প্রয়োজনীয় ক্যাটাগরি অনুযায়ী সেখানে জব দেখতে পাবেন এবং কিকি রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো দেখতে পারবেন। জব রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী ওই সমস্ত জবগুলোতে আপনি আবেদন করবেন যেমনটি ক্যাটাগরিতে হলে তেমন কোনো রিকোয়ারমেন্ট লাগেনা সেই অনুযায়ী আপনাকে আবেদন করতে হবে।
পাশাপাশি আপনি যদি ভালো শিক্ষিত এবং ভালো কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনি অন্য কোন ক্যাটাগরির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কি কি রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন সেটা অবশ্যই দেখে নিতে হবে। তাছাড়াও আপনি কিভাবে দুবাইয়ে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করবেন সে নিয়ম কথা বলব।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
দুবাই থেকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
দুবাই থেকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান তাহলে আপনাকে দুবাইতে টুরিস্ট ভিসাতে যেতে হবে অথবা কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে এক বছরের মতো অবস্থান করতে হবে। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় দুবাই থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই হিসাবে একটি কাজের ভিসায় কনভার্ট করে নিতে হবে। এবং সেখানে এক বছর থাকার পরে আপনি কানাডাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হলে অবশ্যই আপনার ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হবে বি ক্যাটাগরির আবেদন করার জন্য আপনার একটি সিভি তৈরি করতে হবে সেটিতে আপনি কি কি কাজ পারেন এবং কি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন এবং আপনার আনুষঙ্গিক তথ্য দিয়ে একটি ভালো সিভি তৈরি করবেন সেই স্মৃতি আপনি কানাডা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের কাছে সাবমিট করবেন তারপর আপনাকে ফোনের মাধ্যমে অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করে দেবে যে আপনি ভিসা পাবেন কিনা।
কানাডা ভিসার জন্য কিভাবে অ্যাপ্লিকেশন করবেন
কানাডা জবের জন্য এপ্লিকেশন করতে হলে কানাডা এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এই ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে। আপনাকে ইমিগ্রেশন থেকে ওয়ার্ক পারমিট সিলেট করা লাগবে পর পারমিট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ক্যাটাগরি অনুযায়ী অথবা সি ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন সেখানে আবেদন করার পরে আপনাকে পরবর্তীতে ইমেইলের মাধ্যমে অথবা চিঠির মাধ্যমে আপনার ভিসা অ্যাপ্রভাল পাবেন কিনা তা জানিয়ে দিবে।
বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি
কোন এজেন্সির মাধ্যমে এপ্লিকেশন করবেন
তাছাড়াও আপনারা দুবাই থেকে সরাসরি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে জানতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে দুবাই অবস্থিত ইন্ডিয়া অথবা বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের এজেন্সি রয়েছে সে সমস্ত এজেন্সি তে গিয়ে আপনি সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং বর্তমানে কোন কোন কাজ গুলোর প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সে বিষয়ে জানতে পারবেন। এবং তাদের কাছে জেনে নিতে পারবেন যে কত টাকা খরচ লাগবে দুবাই থেকে কানাডা যেতে এবং কত টাকা বেতনে কাজ পাবে।
দুবাই থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন
তাদের সাথে কথা বলার পরে যদি আপনার ভিসার জন্য আবেদন করতে বলে তাহলে আপনি তাদের কাছে আবেদন করতে পারেন অথবা চাইলে আপনি অন্য কয়েকটি এজেন্সি ঘুরে দেখতে পারেন যে তারা কত টাকা নিচ্ছে এবং তাদের ওখানে কি কি সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে এবং কী পরিমান বেতনে আপনাকে তারা চাকরি দিবে। এই বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে নেওয়ার পরেই আপনাকে দুবাই থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করে দেখতে পারেন।
দুবাই থেকে কানাডা যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
দুবাই থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে যেমন আপনাকে দুবাই অবশ্য এক বছর অবস্থান করা লাগবে পাশাপাশি আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকা লাগবে এবং সেইসাথে আপনাকে পূর্বের কিছু ট্রাভেল করেছেন কিনা তার একটি প্রমাণ তৈরি থাকা লাগবে তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি থাকা লাগবে।
- 6 মাস মেয়াদী একটিভেট পাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
- নির্দিষ্ট কাজের উপর দক্ষতা
- ইংলিশ জানা থাকলে তার একটি সার্টিফিকেট
দুবাই থেকে কানাডা যেতে খরচ কত
দুবাই থেকে কানাডা যাতে হলে খরচ করতে হবে সাত লাখ টাকার মতো। বাংলাদেশ থেকে এবং পাশাপাশি ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য দেশের মাধ্যমে যদি যেতে চাও তাহলে 8 থেকে 9 লাখ টাকার মতো খরচ হবে তাছাড়া ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন ধরনের রিকোয়ারমেন্ট আছে এবং আপনাকে কি উদ্দেশ্যে কানাডায় যাবেন এবং কতদিন থাকবেন এই বিষয় নিয়ে আপনাকে জবাবদিহিতা করতে হবে আনুষঙ্গিক অন্যান্য অনেক ধরনের সমস্যা আছে তবে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা কানাডার পাওয়া যায় না।
দুবাই থেকে কানাডায় কিভাবে জব এর আবেদন করবেন
দুবাই থেকে কানাডায় জব এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে দুবাইয়ের মেইন ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করতে হবে ওয়েবসাইটের লিংক আমরা নিচে দিয়ে দিব এবং আমরা এখান থেকেও দেখিয়ে দিব যে কিভাবে আপনারা জবের জন্য আবেদন করবেন। জব এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে নিচের দাও ওয়েবসাইটে প্রথমে প্রবেশ করতে হবে তারপরে ইমিগ্রেশন সেখান থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সিলেক্ট করতে হবে এবং সেখান থেকে আপনারা বিভিন্ন কাজের প্রতি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন করার পরেই আপনাকে তারা ইমেইলের মাধ্যমে অথবা আপনাকে ফোনের মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন