আজকে আমরা কথা বলবো দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় নিয়ে। কিভাবে দুবাই থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন এবং কত টাকা খরচ হতে পারে এবং কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এখানে আলোচনা করবো আশা করি সম্পূর্ণ কনটেন্ট পড়লে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক দুবাই থেকে ইউরোপে কিভাবে যাওয়া যায় এবং কোন এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে যাওয়া নিরাপদ এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
সাধারণত আমরা কাজের উদ্দেশ্যে দেশের বাহিরে যেয়ে থাকি তবে ইউরোপ কান্ট্রির ভেতর ঢুকতে কিন্তু আমাদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেকেই অনেকেই আছে যারা কিনা অবৈধ পথ অবলম্বন করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করছে এই ক্ষেত্রে কিন্তু লাইফে রিক্স নিয়ে তারা এ সমস্ত কাজ করে থাকে এমনকি তাদের জীবনেও চলে যায়। রাস্তার মধ্যে অনেকে মারাও যায় তাই এই সমস্ত পদ্ধতি না করে সরাসরি লিগ্যাল উপায়ে কিভাবে আপনারা দুবাই থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে যাবেন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এখানে আলোচনা করেছি।
দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়
দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুই বছর মেয়াদী একটি ভিসা তৈরি করা লাগবে। এবং সেখানে অবশ্যই মিনিমাম এক বছর অবস্থান করতে হবে। অনেকের মতে এখানে শুধুমাত্র সাত থেকে আট মাস পর্যন্ত থাকার পরেও দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রসেস করা যায় তবে এক্ষেত্রে কিন্তু ভিসা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই অবশ্যই মিনিমাম একবছর দুবাইতে অবস্থান করা লাগবে। দুবাইতে এক বছর অবস্থান করার পরে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো পূরণ করতে হবে। সে সম্পর্কে নিচে তুলে ধরা হলো।
আপনি এই এক বছরের মধ্যে দুবাইতে আপনি চাইলে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সেখানে গিয়ে অবস্থান করতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সেখানে যাওয়ার পরে আপনি আপনার ফ্যামিলির সদস্য অথবা আপনার পরিচিত কেউ যদি থেকে থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে আপনারা টুরিস্ট ভিসা কনভার্ট করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তে নিয়ে যেতে পারবেন এইভাবে আপনি এক বছর সেখানে অবস্থান করতে পারলেই ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার আপনার একটি সুযোগ তৈরি হবে।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
তবে অবশ্যই আপনাকে যেকোন মূল্যে সেখানে অবস্থান করতেই হবে আপনি টুরিস্ট ভিসা তে যান না কেন আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যান না কেনো অবশ্যই আপনাকে দুই বছর মেয়াদী একটি ভিসা তৈরি করতে হবে এবং সেখানে অবশ্যই এক বছর মিনিমাম থাকায় লাগবে তারপরে আপনি ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারবেন তাহলে চলুন কিভাবে আপনারা এই প্রসেসে আগাবেন।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট স্ট্রং করতে হবে
এতক্ষণ ছিল দুবাইতে যাওয়ার পরে আপনার কি কি কাজ করা লাগবে। এবার আসা যাক ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর বিষয় নিয়ে। দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ব্যাংকের স্টেটমেন্ট এখানে একটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য। কেননা আপনি যখন দুবাই থেকে ইউরোপে দেশে যাবেন তখন আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ অন্যান্য বিষয়ে তারা পর্যবেক্ষণ করবে তখন যদি আপনার ব্যাংকে স্টেটমেন্টে ভালো পরিমাণ টাকা আদান প্রদান করে থাকেন তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে।
তাই এই জন্য আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট স্ট্রং করতে হবে মিনিমাম ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ ভালো পরিমাণ টাকা আদান প্রদান করেছেন এরকম হওয়া লাগবে তাহলে ভিসা পাওয়াটা অনেকটাই সহজ একটি ব্যাপার। ব্যাংক স্টেটমেন্টের যদি আপনি অধিক পরিমাণ টাকা ট্রানজেকশন করতে চান তাহলে আপনার ফ্রেন্ডের অথবা আপনার কোম্পানির সঙ্গে একটু ভালো ডিল করে নিতে পারেন যে আমার এত পরিমান টাকা এখানে আদান-প্রদান করতে হবে এ বিষয় নিয়ে আপনি একটা পরিকল্পনা তৈরি করে আদান-প্রদান করে নিতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
ট্রাভেল হিস্টরি থাকতে হবে
দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অবশ্যই ট্রাভেল হিস্ট্রি থাকতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখার পরেই আপনার পরবর্তীতে দেখা হবে আপনি কোথায় কোথায় ট্র্যাভেল করেছেন মানে এর আগে কোন কোন দেশে ভ্রমণ করেছেন এ বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণ করবে। যদি দেখেন আপনি অনেক দেশেই ঘুরেছেন এবং সেখানে গিয়ে অবস্থান করেছেন তাহলে আপনার ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজ হবে। কেননা ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার আগে তারা ট্রাভেল হিস্ট্রি চেক করে দেখে যে আপনি ভ্রমণকারী কিনা এবং সেখানে কি উদ্দেশ্যে যাবেন তারা এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্যেই সাধারণত ট্রাভেলস হিস্ট্রি চেক করা হয়।
তাই অবশ্যই আপনাকে দুবাই যাওয়ার আগে অথবা দুবাই যাওয়ার পরে এক বছরের মধ্যেই করে নিতে পারেন সেটা অথবা আগে থেকেও এই কাজটি করে নিতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনার ভিসা পাওয়াটা অনেকটাই সহজ একটি ব্যাপার হয়ে যাবে তাই অবশ্যই ট্রাভেল হিস্ট্রির প্রমাণ হিসাবে আপনি বিমান টিকেট গুলো সংরক্ষন করতে পারেন অথবা আপনার পাসপোর্ট সেটা প্রমাণ তারা পেয়ে যাবে। এভাবে আপনারা ট্রাভেল হিস্ট্রি তৈরি করতে পারেন তাহলে ভিসা পাওয়া সহজ হবে এবং আপনার দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার উপায় অনেকটাই এগিয়ে নিতে পারবেন।
কানাডা জব ভিসা 2022 | কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার পরিকল্পনা
আপনি যদি চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন যে দুবাই থেকে ইউরোপে প্রবেশ করবেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমত দুবাইয়ে প্রবেশ করা লাগবে সেখানে আপনি ভিজিট ভিসা নিয়ে খুব সহজে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে কোনো রকমের সমস্যা হয় না। বর্তমানে দুবাই ভিজিট ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজ একটি ব্যাপার সে ক্ষেত্রে কিছু টাকা খরচ করলেই অ্যাসিস্ট্যান্ট আপনি দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা পেয়ে যাবেন কোন রকমের ঝামেলা হবে না।
হিজরী সাথে যাওয়ার পরে আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি রেসিডেন্সিয়াল ভিসার জন্য আপনাকে কাজে নিয়োজিত হতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার ফ্রেন্ড অথবা পরিচিত কারো মাধ্যমে এই সুযোগটা করে নিতে পারবেন তবে কাজ পাওয়াটা দুবাইয়ে কিন্তু একটু কঠিন ব্যাপার কিন্তু চেষ্টা করলে সম্ভব। যখন আপনি দুবাইয়ে কাজে নিয়োজিত হয়ে যাবেন এবং আপনার দুই বছর মেয়াদী একটি ভিসা পেয়ে যাবেন তখন কিন্তু আপনি এক বছর থাকার পরেই। ইউরোপে যাওয়ার জন্য আপনি প্রস্তুত হতে পারবেন।
জাপানে কাজের ভিসা ২০২২ | জাপান ভ্রমণ ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা
প্রস্তুত হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ট্রাভেল হিস্ট্রি করা লাগবে আপনাকে ছোট কোন দেশগুলোতে ভ্রমণ করা লাগবে যেমন জর্জিয়া আছে ওমান, কুয়েত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আজারবাইজান সহ অন্যান্য ছোট ছোট কাজগুলোতে আপনাকে ভ্রমণ করে ট্রাভেল হিস্ট্রি তৈরি করতে হবে এইভাবে আপনি ইউরোপের ভিসা পাবার জন্য এই কাজগুলো করে নিবেন তাহলে ভিসা পাওয়া সহজ একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে কারণ। ইউরোপে যাওয়ার জন্য এই বিষয়গুলো দেখা হয়।
পরবর্তীতে আপনার যখন ট্রাভেল হিস্ট্রি ব্যাংক স্টেটমেন্ট সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে তারপরে আপনাকে এখন একটি ভ্যালিড এজেন্সি খোঁজা লাগবে যেখানে তারা খুব সহজেই পাঠাতে পারবে এবং রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী কোনো রকমের সমস্যা যাতে না হয় এরকম একটি কোম্পানির সঙ্গে আপনাকে চুক্তি করা লাগবে সে ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই আগে কোন পেমেন্ট করবেন না।
দুবাই থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগবে
দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রথমে দুবাইয়ের ভিসা তৈরি করতে হবে এবং পরবর্তীতে আপনার কিছু রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করার জন্য ভ্রমণ করা লাগবে আনুষঙ্গিক এজেন্সি খরচ সহ বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়েছে এই সমস্ত খরচ নির্ধারিত নয়। শুধুমাত্র দুবাই এবং ভ্রমণ খরচ আপনাকে অনলাইন থেকে দেখেশুনে যাচাই-বাছাই করেই সেগুলো জেনে নিতে হবে। এইভাবে আপনি ভ্রমণ করে নিতে পারেন এবং প্রোফাইল স্ট্রং করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার জন্য সহজ হবে।
পরবর্তীতে আপনি যখন দুবাই থেকে ইউরোপে যাবেন সেক্ষেত্রে এটার জন্য নির্দিষ্ট করে কোন বলা নেই এক্ষেত্রে আপনি ইন্ডিয়ান বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে দুবাই থেকে যেতে পারবেন অথবা বাংলাদেশি অনেকেই রয়েছে যারা দুবাই থেকে ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজের নিয়োগ দিয়ে থাকে তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন এক্ষেত্রে কিন্তু এসব কোম্পানি গুলো সাধারণত কোনো রকমের টাকা-পয়সার লেনদেন করা হয় না যখন আপনি ভিসা হাতে পাবেন তখনই টাকাপয়সা লেনদেন হবে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ
তাই অবশ্যই এসমস্ত টাকাপয়সা কখনই আগে দিবেন না তবে সাধারণভাবে ছোটখাটো কোন ভেরিফিকেশন করার জন্য অথবা আপনার ভিসা কাজের জন্য আযান ও তারা কিছুটা খরচ চেয়ে থাকে এক্ষেত্রে আপনি তাদের প্রমান সহকারে বারসিক সহকারে সমস্ত খরচগুলো আপনারা নিয়ে রাখবেন তাহলে পরবর্তীতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি দুবাই বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে সহায়তা নিয়ে সমস্ত টাকা তুলে নিতে পারবেন।
দুবাই থেকে ইউরোপ কিভাবে যাবেন
এবার আসা যাক দুবাই থেকে ইউরোপ কিভাবে যাবেন। দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ এর অনেক এজেন্সি রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে আপনারা যেতে পারবেন অথবা ইন্ডিয়ান অনেক কোম্পানি রয়েছে পাশাপাশি শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপের অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা দুবাই থেকে ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানিতে যেতে পারবেন অথবা দুবাইয়ের দূতাবাস হতেও আপনারা ইউরোপের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই এই সমস্ত জায়গায় আবেদন করতে হলে উপরের দেওয়া রিকোয়ারমেন্ট গুলো আপনার অবশ্যই থাকতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
কিকি রিকোয়ারমেন্ট লাগবে
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বিমান টিকিট এর ফটোকপি
- পূর্বের ট্রাভেল করেছেন তার প্রমাণ
- বর্তমানে যে কাজে নিয়োজিত আছেন তার প্রমাণ
- কী উদ্দেশ্যে ইউরোপ যাচ্ছেন তার একটি বৃত্তান্ত
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন