আজকে আমরা কথা বলবো দুবাই থেকে রোমানিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে কিভাবে আপনারা দুবাই টিকা রোমানিয়া যেতে পারবেন। এবং দুবাই থেকে রোমানিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এ কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করবো। আশা করি সম্পূর্ণ কনটেন্ট করলে আপনারা এই বিষয়টা ভালোমতো জানতে পারবেন তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
বর্তমানে দুবাইয়ে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া সহ বিশ্বের অন্যান্য কান্ট্রি থেকে অনেক মানুষ কাজে যাই এবং এখানে কাজের ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ। তাছাড়াও এখানে টুরিস্ট ভিসা সহ অন্যান্য 20 জন স্থানীয় মানুষ সাধারণত দুবাইতে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে গিয়েও কিন্তু কাজ পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন একটা ব্যাপার আগের তুলনায় এখন কাজ পেতে গেলে আপনাকে অনেক সময় দেওয়া লাগবে। তার পরেও কাজ পাওয়া যাচ্ছে না অনেকেই সেখানে কোনো রকম একটা বছর থেকে কোন একটা কাজের এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে অন্যান্য দেশে চলে যাচ্ছে।
তাই আজকে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব যেখানে দুবাই থেকে আপনারা রোমানিয়া সহ অন্যান্য কোন কান্ট্রিতে যেতে পারবেন এই বিষয়টা নিয়ে। কারণ দুবাইতে কাজ না পাওয়ার জন্য অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অথবা সেনজেনভুক্ত কান্ট্রি গ্রামে চলে যাচ্ছে তাই এই হিসেবে আপনারা রোমানিয়াতে কিভাবে যাবেন সেটা নিয়ে কথা বলি তাহলে চলুন।
দুবাই থেকে রোমানিয়া যাওয়ার উপায়
দুবাই থেকে রোমানিয়া যাওয়ার জন্য অবশ্যই দুবাই এক বছর অবস্থান করা লাগবে তারপরে আপনি রোমানিয়ার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই আবেদন করতে হলে অবশ্যই কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেই রিকোয়ারমেন্ট গুলো পূরণ করেই তার পরে আপনাকে দুবাই থেকে রোমানিয়ার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
দুবাই থেকে রোমানিয়ার যাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আপনি যদি দুবাই না থাকেন তাহলে প্রথমত আপনাকে দুবাই যাতে হবে যদি আপনার দুবাইয়ে কাজের ভিসা না থাকে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে জান। তাহলে অবশ্যই টুরিস্ট ভিসা টা কমপ্লিট করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে নিতে হবে তারপরে সেখানে আপনাকে মিনিমাম 8 মাস থাকা লাগবে এক মাস থাকার পরে এর মধ্যেই আপনাকে একটি কাজের সার্টিফিকেট তৈরি করতে হবে। সার্টিফিকেট নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন একটি কোম্পানির আন্ডারে কিছুদিন কাজ করে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করে নিতে হবে। তারপরে তাদের কাছ থেকে একটি কাজের সার্টিফিকেট করে নিবেন।
এবার যদি আপনার কাজের সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে যান এবং আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট টা একটু উন্নত করা লাগবে। কারণ আপনি যখন রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন কিন্তু আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট চেক করা হবে তাই অবশ্যই আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অধিক পরিমাণ ট্রানজেকশন করেছেন এমন একটি প্রমাণ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন যে আমার ট্রানজেকশন কিভাবে বাড়াবো আপনার ফ্রেন্ড এর মাধ্যমে টাকা আদান প্রদান করে ট্রানজেকশন টা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
এইভাবে আপনারা রোমানিয়ার ভিসার প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো তৈরি করে রাখবেন। কারণ বর্তমানে রোমানিয়াতে কাজের সম্ভাবনা দিনদিন অনেকটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সাথে বিজনেস করতে পারবেন আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় পড়তে পারবেন এবং রোমানিয়া যদি আপনি পার্মানেন্ট হতে পারেন তাহলে সেনজেনভুক্ত কান্ট্রি গ্লানি আপনি অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবেন সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। তাই ইউরোপের কান্ট্রি তে প্রবেশ করতে হলে প্রথমে আপনাকে রোমানিয়ায় স্থায়ী হতে হবে।
দুবাই থেকে রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে
মিডিলিস্ট থেকে রোমানিয়া যাওয়ার জন্য খরচ হবে 5 থেকে সাড়ে 5 লাখ টাকা এর মধ্যে এজেন্সি খরচসহ বিমান ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য সবকিছুই এর মধ্যে ধরা হয়েছে। সেই সাথে আপনি যদি এশিয়ার ভেতর থেকে যেতে চান তাহলে সাড়ে 7 লাখ টাকার মতো খরচ হবে। এরমধ্যে ও আনুষঙ্গিক এজেন্সি খরচসহ ভিসার প্রয়োজনীয় অন্যান্য খরচ বাবদ সাড়ে 7 লাখ টাকা খরচ পড়বে। রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট হাতে পেতে হলে অবশ্যই মিনিমাম তিন মাসের মত সময় লাগবে এটা কোম্পানিভেদে সময় লাগে তাই একটু ধৈর্য ধরতেই হবে আপনাদেরকে।
দুবাই থেকে রোমানিয়া কাজের ভিসা
দুবাই থেকে রোমানিয়া কাজের ভিসা নিতে হলে অবশ্যই আপনার দুবাই একটি পার্মানেন্ট কাজ থাকা লাগবে এবং সেই কাজের একটি প্রমাণ তৈরি করে নিতে হবে যে আপনি বর্তমানে কাজ করছেন এবং এর আগেও কাজে নিয়োজিত ছিলেন এমন একটি অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে পারলেই আপনি রোমানিয়া কাজের ভিসা পেতে পারেন। কারণ আপনি যখন রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন কিন্তু এই সার্টিফিকেটটা আপনাকে দেখানো লাগবে তার পরেই আপনি রোমানিয়া কাজের ভিসা পাবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
তাই অবশ্যই আপনি দুবাইয়ে থাকা অবস্থায় এখান থেকে একটি আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে একটি সার্টিফিকেট তৈরি করে নিবেন তার পরে আপনি রোমানিয়ার বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে সেখানে আবেদন করবেন আবেদন করার পরে আপনাকে একটি ইনভাইটেশন লেটার তারা পাঠিয়ে দিবে এটা সিগনেচার করে আপনি আবার পুনরায় পাঠিয়ে দিলে পরবর্তীতে আপনার ভিসা পাঠিয়ে দিবে আপনার এসএমএস এর মাধ্যমে। তখন আপনি খুব সহজেই দুবাই থেকে রোমানিয়া যেতে পারবেন।
দুবাই থেকে রোমানিয়া যাওয়ার এজেন্সি
বাংলাদেশ ইন্ডিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াসহ পাকিস্তানি অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন সেইসাথে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং লোক নিচ্ছে কোন কাজে এই বিষয়ে সমস্ত কোম্পানির সঙ্গে আপনারা যোগাযোগ করে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ
তবে আপনি যেখানেই আবেদন করেন না কেন অবশ্যই আপনার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে এবং সেইসাথে আপনাকে একটি সিভি তৈরি করতে হবে জাতীয় ক্রিটিকাল জানেন এবং কি কি রিকোয়ারমেন্ট আপনার জানা আছে এই নিয়ে সবকিছুই আপনাদের একটু ভালো প্রোফাইল তৈরি করে নিয়ে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে তাহলে আপনার ভিসা অ্যাপ্রভাল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকবে।
দুবাই থেকে রোমানিয়া যাওয়ার রিকোয়ারমেন্ট
দুবাই থেকে রোমানিয়া যাওয়ার কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো অবশ্যই আপনার থাকা লাগবে। এবং সেগুলো কিভাবে কি করবেন সে বিষয় নিয়ে আমরা এখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক দুবাই থেকে রোমানিয়া যাওয়ার কি কি রিকোয়ারমেন্ট লাগে।
- 6 মাস মেয়াদের অ্যাক্টিভা ই পাসপোর্ট
- আগের পুরানো পাসপোর্ট থাকলে সেটা দেখাতে হবে
- অন্য জায়গায় ভিজিট করেছেন তার একটি প্রমাণ
- পূর্বে কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তার সার্টিফিকেট
- বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন দুবাইতে তার প্রমান
- এনআইডি কার্ড এর একটি কপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
দুবাই থেকে রোমানিয়া যেতে কি কি লাগবে
দুবাই থেকে রোমানিয়া যেতে হলে অবশ্যই আপনার একটি কাজের সার্টিফিকেট থাকা লাগবে এবং ছয় মাস মেয়াদি পাসপোর্ট থাকতে হবে তাহলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে দুবাইয়ের বিভিন্ন এজেন্সির রয়েছে সে সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনি চাইলে নিজেই করতে পারবেন রোমানিয়ার কিছু গভমেন্ট জব ওয়েবসাইট গুলো আছে সেগুলোর মধ্য থেকে সেগুলো নিয়ে আবেদন করার পরেই আপনাকে তারা ইমেইলের মাধ্যমে এটি ফ্রম পাঠাবে অথবা তারা সরাসরি একটি ইনভাইটেশন লেটার পাঠাবে সেন্ড সিগনেচার করে নিশ্চিত করতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
দুবাই থেকে রোমানিয়া কাজ পাওয়ার উপায়
দুবাই থেকে রোমানিয়া কাজ পাওয়া অনেকটা সহজ একটি ব্যাপার এখানে যদি আপনি কাজ পেয়ে যেতে পারেন তাহলে রোমানিয়ায় খুব সহজে চলে যেতে পারবেন এজন্য আপনার দরকার রোমানিয়ায় যেকোনোভাবে একটি কাজ খোঁজা। এজন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় পদ্ধতি অবলম্বন করা লাগবে সেগুলো হলো। প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হবে এবং যাওয়ার পরে তাদেরকে বলতে হবে বর্তমানে কোন কাজের নিয়োগ চলছে।
নির্দিষ্ট কাজের নিয়ম অনুযায়ী আপনি সেখানে আবেদন করতে পারবেন তবে যেই কাজের নিয়োগ চলছে সেই কাজে কিন্তু আপনাকে একটি সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে হবে। আর যদি এই কাজের সার্টিফিকেট আপনার না থাকে সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি আপনার যে অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন যদি না থাকে তাহলে আপনি নিজেই বিভিন্ন জব ওয়েবসাইটগুলোতে খুঁজতে পারেন সেগুলো রোমানিয়ার ওয়েবসাইট হতে হবে। এ রোমানিয়ার ওয়েবসাইট গুলো থেকে জবের জন্য এপ্লাই করতে হবে। ভালো একটি সিভি তৈরি করে তারপরে তারা আপনাকে ফোনের মাধ্যমে অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে কনফার্মেশন নিশ্চিত করবে।
বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি
দুবাই থেকে রোমানিয়া ভিসার আবেদন
দুবাই থেকে রোমানিয়ার ভিসা করা অনেকটাই সহজ তবে আপনাকে অবশ্যই দুবাইতে এক বছর অবস্থান করার পরে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি কাজের সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে হবে সেইসাথে উপরে দেওয়া প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো সঙ্গে নিয়েই আপনি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন অথবা সরাসরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন ওয়েবসাইটের লিংক আমরা নিচে দিয়ে দিব সেখান থেকে আপনারা আবেদন করে রোমানিয়া যেতে পারবেন।
জাপানে কাজের ভিসা ২০২২ | জাপান ভ্রমণ ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন