আজকে আমরা কথা বলবো ফিজি গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে এখানে আপনারা গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে কিভাবে যেতে পারবেন এবং এ গার্মেন্ট ভিসা এর মাধ্যমে কত টাকা বেতন পাবেন। এবং এই গার্মেন্টস ভিসা তে যেতে হলে কি কি দক্ষতা থাকা লাগবে। এবং কত ঘন্টা সময় ডিউটি করতে হয় ফিজিতে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করেছি তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পর্যায় ক্রমে ফিজি গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে বিস্তারিত।
বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক ভাবে গার্মেন্টস এর কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই সেখানে বাংলাদেশ থেকে সহ বিশ্বের অন্যান্য কান্ট্রি থেকে গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে কাজ করতে আসছে মানুষজন। বাংলাদেশ থেকে ফিজিতে গার্মেন্টস কর্মীদের বেশি সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে অনেকেই কম খরচেই সিঁড়িতে চলে যাচ্ছে। সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সহ যাবতীয় কার্যক্রম কম্পানি পরিচালনা করে থাকে সেই সাথে দুই বছরের যাতায়াতের খরচ সহ তারা বহন করে থাকে।
তাই এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে এবং ডিউটি টাইম অনেকটাই কম থাকার কারণে অনেকেই বাংলাদেশথেকে ফিজিতে গার্মেন্ট ভিসা নিয়ে চলে যাচ্ছে এবং সেখানে গার্মেন্টস কাজে নিয়োজিত আছে। তাইলে যেকোনো দক্ষ কর্মী গার্মেন্টস ভিসা তে গিয়ে সেখানে কাজ করতে পারে।
গার্মেন্টস ভিসাতে কেন যাবেন
ফিজি গার্মেন্টস ভিসা তে যাওয়ার একটি মাত্রই কারণ সেখানে হল সুযোগ সুবিধা বেশি। এবং ডিউটি টাইম অনেকটাই কম সেই তুলনায় যদি কেউ ওভারটাইম করে থাকে তাহলে সে ভালো পরিমাণ বেতন তুলতে পারবে এবং থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা কোম্পানি বহন করে থাকে পাশাপাশি আপনার দুই বছরের জন্য বিমান ভাড়া সহ যাতায়াতের আনুষঙ্গিক খরচ কম্পানি বহন করে থাকে। তাই এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা বেশি থাকার কারণেই গার্মেন্টে সাথে মানুষজন ফিজিতে পাড়ি জমাচ্ছে।
ফিজি গার্মেন্টস ভিসা
বর্তমানে ফিজিতে গার্মেন্ট সেক্টরে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলছে যেমন সুইং অপারেটর, মেশিন, মেকানিক, ইলেকট্রনিক্স, সহ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলছে। এসমস্ত ক্যাটাগরি ছাড়াও যে কেউ গার্মেন্টসের বিভিন্ন পদের জন্য দক্ষ হয়ে সেখানে যেতে পারবে। এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবে। ফিজি গার্মেন্টস ভিসা থেকেও যদি যায় তাহলে বাংলাদেশের তুলনায় সেখানে বেতন পরিমাণে অনেকটা বেশি এবং সুযোগ সুবিধা বেশি।
ফিজি গার্মেন্টস ভিসায় বেতন কত
বর্তমানে সুইং অপারেটর এর বেতন 32 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 45 হাজার টাকা পর্যন্ত। এবং মেশিন মেকানিক 40 হাজার টাকা থেকে শুরু করে ওভার টাইম সহ মাসে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন হয়ে থাকে। তা ছাড়াও বিভিন্ন অপারেটরসহ ওভারটাইম এবং আনুষঙ্গিক থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা কোম্পানি বহন করে থাকে। পাশাপাশি দুই বছরের জন্য বিমান ভাড়া সহ দেশে আসার যাবতীয় খরচ কম্পানি বহন করবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
পাশাপাশি ওভারটাইমে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। তাছাড়া দক্ষ হয়ে আপনি বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত পারবেন গার্মেন্টসের অন্যান্য সেক্টর গুলোতে তাই অবশ্যই দক্ষ হয়ে তারপরে আপনাকে ফিজিতে যাওয়া লাগবে সে ক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস এর বিভিন্ন ট্রেনিং সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় গুলা শিখে তারপর এসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তাহলে আপনার কাজের অগ্রগতি ও বেশি থাকবে এবং আপনি ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন।
ফিজি দেশ কেমন
বর্তমানে অর্থনীতির দিকে অনেকটা এগিয়ে আছে ফিজি এবং সেইসাথে এই দেশটি অনেক সুন্দর এবং এটি একটি মনোরম পরিবেশ দেশ। সেখানে দৈনিন্দিন বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষজন পাড়ি জমাচ্ছে বিভিন্ন কাজের জন্য তাই আর এই সমস্ত দেশ থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়ার অনেকটাই সুযোগ সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি এখানে কোম্পানি ভিসা বা অন্যান্য ভিসা কার্যক্রমের জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত এখানে পাড়ি জমাচ্ছে।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?
ফিজিতে গার্মেন্টস বিষয়ে দক্ষতা লাগবে
ফিজি গার্মেন্টস ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনার দক্ষতা প্রয়োজন আছে। দক্ষতা ছাড়া ফিজিতে গার্মেন্টস এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না। দক্ষতা প্রমাণ স্বরূপ তারা ভিডিও দেখতে চাই আপনি কোন বিষয়ে এর আগে কাজ করেছেন এবং কোথায় কাজ করেছেন তার একটি ভিডিও দেখাতে হবে ভিসা আবেদন করার জন্য। আর এই ভিডিওটি অবশ্যই আগে থেকেই তৈরী করে রাখা লাগবে। তাহলে আপনার ভিসা পাওয়া তে অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
ছাড়াও আপনি যেখানে কাজ করেছেন বর্তমানে শেখার থেকে একটি রশিদের কপি বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক বেতনের প্রমাণ থাকলে সেটি অবশ্যই আবেদনের সাথে তুলে ধরবেন তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে পাশাপাশি। বাংলাদেশের অন্যান্য গার্মেন্টস ট্রেনিং সেন্টারের যদি কোন সার্টিফিকেট থেকে থাকে তাহলে সেটাও তুলে ধরবেন।
গার্মেন্টস প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যদি গার্মেন্টসে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন আছে এ সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে ফিজি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সেই সাথে আরো কিছু প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট তারা দিয়ে থাকে সেগুলো অবশ্যই আগে থেকেই কালেক্ট করার চেষ্টা করবেন।
- ছয় মাসের ভ্যালিডপাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- গার্মেন্টস এর প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট
- যেই কাজের প্রতি দক্ষতার একটি ভিডিও
- আপনি যেখানে বর্তমানে কাজে নিয়োজিত আছেন তার প্রমান
- বেতনের একটি ফটোকপি
কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?
ফিজি দেশের টাকার মান
ফিজি 1 ডলার সমান বাংলাদেশি 43 টাকা। ফিজি 11 ডলার সমান বাংলাদেশি 500 টাকা। ফিজি 23 ডলার সমান বাংলাদেশি 1000 টাকা। তবে এই টাকার মান বিভিন্ন সময় চেঞ্জ হতে পারে। বর্তমানে ডলার রেট এবং ফিজি টাকার মান অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে প্রত্যেকদিনের ওঠানামা করে থাকে অবশ্যই অনলাইন থেকে দেখেই তারপরেই আদান প্রদানের ব্যবস্থা নিবেন।
কত ঘন্টা ডিউটি করা লাগে
ফিজিতে গার্মেন্টস ডিউটি টাইম সাধারণত 8 হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে ওভারটাইম সহ 10 ঘন্টা এবং 12 ঘণ্টা পর্যন্ত করা যায়। তবে ওভারটাইম বাধ্যতামূলক না কিন্তু কোন কোন কোম্পানিতে ওভারটাইম কিছুটা বাধ্যতামূলক থাকে আর ওভারটাইমের সাধারণত বেতন একটু বেশী তোলা সম্ভব তাই ওভারটাইম প্রত্যেকটা কোম্পানিতে আছে। কিন্তু কোন কোন কোম্পানিতে ওভারটাইম দুই ঘন্টা মাস্ট করা লাগে। আবার কোন কোন কোম্পানিতে ইচ্ছার স্বাধীনতা ওভারটাইম করতে পারবে।
যেতে কত টাকা লাগে
ফিজিতে যেতে হলে অবশ্যই কোম্পানির ভিসার মাধ্যমে অথবা বাংলাদেশের বোয়েসেল অথবা বিএমইটির মাধ্যমে গার্মেন্ট ভিসাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য ফিচার মাধ্যমে যেতে হবে সেই ক্ষেত্রে খরচ একেবারেই কম পড়বে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে ইংরেজিতে যাওয়া সম্ভব আর সরকারিভাবে যদি যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আরো কম হয়ে যাবে। সরকারিভাবে যেতে হলে আপনাদেরকে বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়ে তারপর এই সহকারী হিসেবে যেতে হবে এ ক্ষেত্রে অনেকটাই খরচ কম হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ কোরিয়া ট্রেনিং সেন্টার | কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার
ফিজিতে থাকার ব্যবস্থা
ফিজি গার্মেন্টস ভিসা তে গেলে তারা তাদের কোম্পানির নিজস্ব খরচেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবে পাশাপাশি যাতায়াতের জন্য খরচ সহ আনুষঙ্গিক আরো কিছু খরচ বহন করে থাকে। পাশাপাশি টাইম এর জন্য একটা গাড়ির ব্যবস্থা এবং বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি তারা ভালোমতোই দিয়ে থাকে তাই অবশ্যই ফিজিতে থাকা-খাওয়ার জন্য আপনার কোম্পানির মাধ্যমেই সেটি পেয়ে যাবেন।
সর্বশেষ কথা
ফিজিতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের বিএমআইটি অথবা বুয়েসেল সহ ফ্রিজিয়ান দূতাবাস এর মাধ্যমে যোগাযোগ যোগাযোগ করে গার্মেন্টসসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ের উপর কথা বলে তারপরে যেতে পারবেন। তাছাড়া দালালের মাধ্যমে একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। কারণ দালালরা স্যার আপনাকে ভুলভাল ভিসা হাতে ধরিয়ে দিতে পারে। তাই অবশ্যই ভিসা হাতে পাওয়ার পরে অনলাইনের মাধ্যমে অথবা বাংলাদেশের কিছু সরকারি বেসরকারি কোম্পানি আছে সেগুলোর মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তারপর এই গানটি জিতে যাবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন