আজকে আমরা কথা বলবো মালটা ভিজিট ভিসা নিয়ে। এবং মালটা ভিজিট ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন এবং কত টাকা খরচ হবে এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন। এই নিয়ে বিস্তারিত আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করবো আশা করি সম্পূর্ণ কনটেন্টটি পড়লে আপনি মালটা ভিজিট ভিসার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক মালটা ভিজিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
বর্তমানে মাল্টাতে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা নিয়ে মানুষজন পাড়ি জমাচ্ছে কিন্তু অনেকেই ভিজিট ভিসা তে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন সেখানে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অথবা বিভিন্ন বিজনেস প্লান করার উদ্দেশ্যে তাই আজকে আমরা এ মালটা ভিসা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে এই কনটেস্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরেছি তাই এখানে ভিসা খরচ সহ যাবতীয় বিষয়টি পেয়ে যাবেন।
মাল্টাতে কেন যাবেন
বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর তম দেশ হল মালটা এখানে দৈনন্দিন জীবনে মানুষ বিভিন্ন টুরিস্ট ভিসা এবং বিজনেস ভিসা নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে। তাই এখানে দৈনন্দিন জীবনে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার কারণে অনেকেই বিজনেস প্ল্যান করার উদ্দেশ্যে বা তারা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা তৈরি করার জন্যই সেখানে পাড়ি জমিয়ে থাকে। তাই আজকে আমরা সম্পূর্ণভাবে মালটা নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবে এবং মাল্টা থেকে অন্যান্য রাষ্ট্রের কিভাবে যেতে পারবে সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
মাল্টা ভিজিট ভিসা
করণা মহামারীর কারণে মাল্টাতে যাওয়া একেবারে বন্ধ ছিল কিন্তু 2021 সালের পর থেকে আবার নতুনভাবে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা সমস্ত ভিসা কার্যক্রম চালু আছে। তবে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে রিকোয়ারমেন্ট জোরালো ভাবে করা হয়েছে। তা হলো করণা ভ্যাকসিন থাকতে হবে। করণা ভ্যাকসিন না থাকলে মালটার কোন ভিসা অ্যাপ্রভাল পাবেনা তাই করণা দুইটা ডজ সম্পন্ন করতে হবে সম্পূর্ণ থাকা লাগবে। তাছাড়াও প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে এবং কাগজপত্র সঙ্গে নিয়েই মালটা ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
মালটা ভিজিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
মালটা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মালটা দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। দূতাবাসে আবেদন করার 27 থেকে 42 দিনের মধ্যেই ভিসা অ্যাপ্রভাল পাবেন কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে মালটার দূতাবাস এর মাধ্যমে ভিসা জাতীয় যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তাই মালটা দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে জেনে নিতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
মাল্টা এম্বাসি বাংলাদেশ
- Address House #21
- 4th Floor, Road # 17
- Block #C,
- Banani Dhaka-1211 Bangladesh
- Phone +88-02-8820388
- Fax +880-02-8832123
- Email maltaconsul.dhaka@gov.mt
মাল্টা ভিসা আপডেট
বর্তমানে মাল্টাতে টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ বিজনেস ভিসা সমস্ত কার্যক্রম চালু আছে তবে তাদের নির্ধারিত রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আগের তুলনায় কয়েকটি অপশন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যেমন করণা ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং সেইসাথে ভিজিট ভিসার জন্য বিমানের টিকিটের ফটোকপি এবং পাশাপাশি হোটেল বুকিং এর ফটোকপি দেওয়া লাগবে তবে আগে এ সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো লাগত না টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু নতুন নিয়মে এ সমস্ত কমেন্টগুলো সঙ্গে নিয়ে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন ও প্রবাসী লোন পদ্ধতি
মালটা ভিজিট ভিসা দাম কত
মালটা ভিজিট ভিসার দাম বর্তমানে দেড়শ ডলার মতো খরচ করা লাগছে। শুধুমাত্র ভিসা ফি এর জন্যই খরচটা নেওয়া হয় পাশাপাশি অন্যান্য খরচ নিজেকে বহন করা লাগবে এবং আনুষঙ্গিক বিমান ভাড়া এবং হোটেল এর জন্য আলাদা আলাদা ভাবে খরচ নির্ধারিত হয়ে থাকে তাই ভ্রমণ প্যাকেজ হিসেবে সাধারণত স্পেসিফিক ভাবে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে করা হয়ে থাকে। তাই শুধুমাত্র ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে ভিসা ফি এর দাম পড়বে 150 ডলার।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | Malta Tourist Visa Requirements
মালটা টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর এই সমস্ত কাগজপত্র তে অবশ্যই ভ্যালিড থাকতে হবে তাছাড়া যদি কাগজপত্র কোন রকমের ভুল থাকে এবং অসত্য প্রমাণিত হয় তবে এ ক্ষেত্রে ভিসা অ্যাপ্রভাল পাওয়া যাবে না তাই অবশ্যই আগে থেকেই সমস্ত কাগজ পাতি ঠিক করে রাখতে হবে।
- 6 মাসের ভ্যালিড পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
- অন্যান্য দেশে ভ্রমণ এর প্রমাণ
- বিমান টিকিট এর ফটোকপি
- বিমানের ফিরতি টিকিট এর ফটোকপি
- হোটেল বুকিং এর ফটোকপি
এ সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে অথবা সরাসরি মালটা ভিজিট দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আবেদন করার পূর্বে এ সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে তারপরে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
ঢাকাতে মিলবে মালটা ভিসা
বর্তমানে ঢাকাতে এই মালটা ভিসা কার্যক্রম সমস্ত বিষয় গুলো পরিচালনা করা যাবে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা নয় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিএমআই এবং বোয়েসেল সরকার কর্তৃক এই দুইটি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে খুব সহজে মাল্টার ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে পাশাপাশি অন্যান্য কাজের ভিসা সহ ওয়ার্ক ভিসা ভিসা এবং বিজনেস ভিসার জন্য সেখানে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা করা সম্ভব।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
তাই যে কেউ যদি মালটা টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে বিএমআইটি এবং বোয়েসেলের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন অথবা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হলে বোয়েসেলের ওয়েবসাইট থেকে ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারেন ধন্যবাদ সবাইকে এসছিলো আজকে আমাদের মালটা ভিজিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন