আজকে আমরা কথা বলবো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ওষুধ নিয়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হলে কি কি ঘরোয়া উপায় আছে এই কনটেন্টে মাধ্যমে আজকে আমরা জেনে নিব। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কষ্ট কষ্ট দূর করার ট্যাবলেট এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার পরে নিয়মিত মলত্যাগ করতে পারেন না অথবা মলত্যাগ করতে সময়ে অধিক লাগে। অথবা মলত্যাগ করার সময় অধিক চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এবং নিয়মিত বাথরুম না হওয়ার কারণে অসুস্থ অনুভূত হয় তাই আজকে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ এবং এর ট্যাবলেট নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করেছি আশা করি এই সম্পূর্ণ কনটেন্ট পরলে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য কি
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কষ্টোকাঠিনো অর্থ হচ্ছে মলাশয়। মর ঠিকমতো পরিষ্কার ভাবে বের না হওয়া বা মলত্যাগের সময় কষ্ট পাওয়া। যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করার পরেও সপ্তাহে যদি তিন দিনের কম মলত্যাগ হয়ে থাকে তবে তাকে কষ্ট কাঠিন্য বলা হয়। এই মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত কষ্ট পাওয়া হল কোষ্ঠকাঠিন্য।
কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়
কোষ্ঠকাঠিন্য মানুষের বিভিন্ন কারণে হতে পারে। হতে পারে সুষম খাবার, আর জাতীয় খাবার কম খাওয়া, একেবারেপানি কম খাওয়া, আমিষ অথবা সরকারও যুক্ত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া, ফাস্টফুড খাবার গুলো বেশি খাওয়া, অনিয়মিত খাবার খাওয়া, কায়িক পরিশ্রম কম করা, বেশি বেশি দুশ্চিন্তা করা, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, ডায়াবেটিকস, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অথবা টিউমার হলে, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, দীর্ঘক্ষন যাবত বিছানায় শুয়ে বসে থাকা, অতিরিক্ত পরিমাণে ওষুধ সেবনের ফলে, আয়রন অথবা ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ ওষুধ সেবন করা হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার 10 টি উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষণ
স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে কম সংখ্যক বার মলত্যাগ করে থাকলে অথবা ছোট, শুষ্ক, অথবা শক্ত ধরনের পায়খানা হওয়া, এবং মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত কষ্ট পাওয়া, মলত্যাগ করতে অধিক সময় লাগা, মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা, অধিক সময় ধরে মলত্যাগ করার পরেও পূর্ণতার অনুভূতি না হওয়া, নিয়মিত না হওয়ার ফলে পেট ফুলে থাকা, বিভিন্ন ঔষধের মাধ্যমে মলত্যাগ করা, তলপেটে ব্যথা অনুভব করা, এই লক্ষণগুলো যদি দেখা যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে কোষ্ঠকাঠিন্য এর লক্ষণ গুলো।
তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা যায় যখন বুঝবেন আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দেওয়ার পরেও সঠিকভাবে মলত্যাগ হচ্ছে না অথবা মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত ভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তার পরেও ভালোমতো ক্লিয়ার হচ্ছে না তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার কষ্টোকাঠিনো হয়েছে তারপরে আপনাকে সেই অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে।
টিকটক থেকে টাকা ইনকাম পদ্ধতি। টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ Sachet. Movicol এই ঔষধটি দিনে দুইবার অথবা তিনবার করে খেতে হবে। এভাবে পাঁচ দিন থেকে 10 দিন অথবা 15 দিন পর্যন্ত এ ঔষধটি গ্রহণ করলে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। তাই তাদের কষ্টোকাঠিনো আছে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য তে ভুগছেন তারা এই ওষুধটি কিনে দিনে দুই থেকে তিনবার করে গ্রহণ করলে খুব সহজেই কষ্টোকাঠিনো দূর করা সম্ভব।
Suspension. megalax এই ওষুধটির দাম মাত্র 95 টাকা এটি দিনে দুই চামচ করে প্রত্যেকদিন খাবারের আগে এটি গ্রহণ করতে হবে দিনে দুইবার করে এভাবে যদি দশ দিনের মতো এই ঔষধটি সেবন করা যায় তাহলে কষ্টোকাঠিনো দূর করা যায়। যাদের বাথরুমে অধিক সময় বসে থাকা লাগে এবং নিয়মিত বাথরুম হয় না তারা এই ওষুধ সেবন করতে পারেন। বাংলাদেশের যে কোন ফার্মেসিতে ওষুধ পাওয়া যায়।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট এর নাম হলো Duralax 5mg এই ওষুধটি একটা করে দিনে দুইবার খেতে হবে। এটা খাবার পরে কষ্টোকাঠিনো দূর করা যায় এবং যাদের পায়খানা অধিক শক্ত আকারে বের হয়ে থাকে তারা এই ঔষধটি সেবন করলে নরম ভাবে মলত্যাগ করা সম্ভব। তাই যারা অনিয়মিত পায়খানা করে থাকেন তারা ডুরালাক্স এই ঔষধটি খেতে পারেন অথবা অধিক চাপ প্রয়োগ করে মলত্যাগ করা লাগে তারাও এই ওষুধটি সেবন করে খুব সহজেই মলত্যাগ করতে পারবেন।
ডুরালাক্স ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেন না এটি সাধারণত দিনে দুইবার খাওয়া লাগে একবার সকালে একবার রাত্রে এটি খাবারের 5 থেকে 10 মিনিট পর খেতে হয়। এটি হালকা গরম পানি দিয়ে খেলে তাড়াতাড়ি কাজ হয় এটি খাওয়ার পরে পানি না খেলে কিন্তু ওষুধে কাজ করে না। তাই ডুরালাক্স অবশ্যই কুসুম গরম পানি দিয়ে ডুরালাক্স ট্যাবলেট খেতে হবে।
নাইট ক্রিম কোনটা ভালো | নাইট ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম | ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট এর নাম
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার তিনটি ট্যাবলেট এর নাম Sachet. Movicol, Suspension. megalax, Duralax 5mg, এই তিনটি ওষুধের যেকোনো একটি ওষুধ সেবন করলে কষ্টোকাঠিনো দূর করা যাবে। যাদের অধিক মাত্রায় সমস্যা হয়ে আছে তারা ডুরালাক্স খেতে পারেন আর যাদের নিয়মিত মলত্যাগে সমস্যা হয়ে থাকে তারা Sachet. Movicol, Suspension. megalax এই দুইটি ওষুধ সেবন করলেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যাবে। এই ওষুধগুলো সাধারণত 7 থেকে 10 দিন নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যাই।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম
কষ্ট কাঠিন্য দূর করতে পলাশন করতে পারেন নিয়মিত। প্রথমে আপনাকে যোগা ম্যাপ এর উপর সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। দুইটা পায় একেবারে ছাড়িয়ে দিন। দাঁড়া থাকা অবস্থায় হাঁটু ভাঁজ করে বসার চেষ্টা করতে হবে। এবং দুটো হাত বুকের কাছে জোর করে নমস্কারের ভঙ্গিতে করার চেষ্টা করুন। ঘাড় এবং কাঁধ সর্বদা আলগা রাখুন। রিলাক্স করতে থাকুন। এই অবস্থায় পাঁচবার শ্বাস গ্রহণ করুন এবং শ্বাস ছাড়তে থাকুন। এভাবে নিয়মিত ব্যায়াম করতে থাকলে কষ্টোকাঠিনো দূর করা যাবে।
আপনি কি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য আরেকটি ব্যায়াম কাজে লাগাতে পারেন। মেঝের উপরে দাঁড়িয়ে দুধ টিপা সামান্য পরিমাণ ফাক করুন। তারপরে চেয়ারে বসার ভঙ্গিতে বসার চেষ্টা করুন। হাতদুটো সামনে একেবারে সমানভাবে রাখার চেষ্টা করুন। এ অবস্থায় থাকাকালীন দশবার শ্বাস গ্রহণ করুন এবং শ্বাস ছাড়ার চেষ্টা করুন। এইভাবে নিয়মিত ব্যায়াম করলে কষ্টোকাঠিনো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে। এবং সেইসাথে যষ্টিমধু খেতে হবে এটা শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এক কাপ পানিতে আধা চা চামচ পরিমাণ জষ্টিমধুর গুড়ো করে দিতে হবে এবং সেটা পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে তাহলে কষ্টোকাঠিনো দূর করা সম্ভব।
ডুমুরের সম্পর্কে সচরাচর আমরা সবাই কমবেশি জানি এই ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ডুবো পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং একটি গরম পানিতে রাখতে হবে ফলে এতে থাকা ফাইবারের পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং দ্রুত পেট পরিষ্কার করবে।
দুধ এবং ঘি খেতে হবে। এটি খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব প্রত্যেকদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যাবে অবশ্য এইভাবে নিয়মিত খাবার গ্রহণ করলে কষ্টোকাঠিনো না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
Airdrop এ কিভাবে কাজ করতে হয় | এয়ারড্রপ থেকে ইনকাম
এবং প্রত্যেকদিন কমপক্ষে 30 মিনিটের মত হাঁটাহাঁটি করতে হবে অথবা ব্যায়াম করতে হবে। এবং ব্যায়াম করার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। ব্যায়াম করার ফলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মেয়েদের ভুরি কমে যায় পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব।
প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার এবং মৌসুমি ফল খেতে হবে। এবং এই খাবারগুলো নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। যেকোনো সময় খাবার অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং ফাস্টফুড খাবার গুলো না খাওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে কষ্ট কাঠিন্য দূর করা সম্ভব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন