আজকে আমরা কথা বলবো সিঙ্গাপুরি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কিভাবে আপনারা স্টুডেন্ট ভিসা করবেন এবং অস্ট্রেলিয়ার ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয় এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এই নিয়ে আজকেই কনটেন্টের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো আশা করি সম্পূর্ণ কনটেন্টটি পড়লে তারা সিঙ্গাপুরে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত সিঙ্গাপুর সরকার তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক সহায়তা করছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কম্পিটিশন চলছে। সিঙ্গাপুর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন তাই অনেকেই সিঙ্গাপুরে স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে পড়াশোনা চিন্তাভাবনা করছেন। তাদের জন্যই আজকে আমরা এই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবো।
কেন সিঙ্গাপুর পড়তে যাবেন
অনেকেই চিন্তাভাবনা করে থাকেন যে ইউরোপ কান্ট্রি ছাড়া সিঙ্গাপুরে কেন সিঙ্গাপুর পড়তে যাবেন। সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বর্তমানে টপ টেন সিমেন্ট রয়েছে এখানে পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থেকে একটু বেশি পাওয়া যায় এবং এখানে হাতে কলমে শিক্ষার গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। সেই সাথে এখান থেকে পড়াশুনা শেষ করার পরে সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তে জব করার সুযোগ তৈরী হয় তাই আমি পড়াশোনা করলে চাকরি সুযোগ বেশি থাকে।
সিঙ্গাপুর স্টুডেন্ট ভিসা
সিঙ্গাপুরে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে এইচএসসিতে এবং এসএসসিতে 4.5 লাগবে। এবং আইএলটিএস স্কোর 6.5 থাকতে হবে। তারপরেই সিঙ্গাপুরের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার পরেই যদি আবেদন সম্পন্ন হয় তারপরেই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ইনভিটেশন লেটার এর সঙ্গে নিয়ে। তাছাড়াও প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে আমরা তুলে ধরব।
এবং পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন করার পূর্ব মুহূর্তে কিছু স্পেশাল কোর্স আছে সেগুলো করে নিতে হবে এখানে দুইভাবেই সিঙ্গাপুরের পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে ইংলিশ মিডিয়ামে এবং সিঙ্গাপুরের নিজস্ব ভাষার মাধ্যমে। ইংলিশ মাধ্যমে পড়াশোনা করার আগে অবশ্যই আইএলটিএস অথবা ইংলিশের একটি ভালো কোর্স করে তারপরেই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে সেইসাথে এই কাগজটি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
সিঙ্গাপুর সোনার দাম কত | আজকে সিঙ্গাপুর সোনার দাম
সিঙ্গাপুর স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত
সিঙ্গাপুর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য খরচ পড়বে সিঙ্গাপুরি 60 ডলার। শুধুমাত্র একটা ভিসার খরচ বাবদ আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ এবং স্টুডেন্ট ফি বাবদ এক্সট্রা খরচ প্রদান করা লাগবে এটি শুধুমাত্র ভিসার জন্য 60 ডলার ধরা হয়েছে। আনুষঙ্গিক দূতাবাসে যদি কোন রকমের ফ্রী নিতে চাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অনলাইন থেকে দেখে তারপরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। আবার কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে যেগুলোতে অগ্রিম সেমিস্টার ফি নিয়ে থাকে এটা সিঙ্গাপুরের নিয়মে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ নাই তাই অবশ্যই জেনেশুনে তারপরেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন।
সিঙ্গাপুরে কোন কোর্স করানো হয়
বর্তমানে সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিদ্যামান আছে যেমন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, নেটওয়ার্কিং, কম্পিউটার টেকনোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মেকানিক্যাল, সিরিয়াল, ইলেকট্রিক্যাল, মেডিকেল, নার্সিং, এডিটিং, অ্যানিমেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, ডাটা সাইন্স, ইলেকট্রোমেডিক্যাল, সহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানাচ্ছে উপযুক্ত কোড অনুযায়ী যে কেউ আবেদন করতে পারবে।
বাংলাদেশ কোরিয়া ট্রেনিং সেন্টার | কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার
সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত বিশ্বের জব সেক্টর কোন গুলোর উপর চাহিদা বেশি সেই অনুযায়ী স্টুডেন্টদেরকে তৈরি করে থাকে তাই এখান থেকে যে সমস্ত স্টুডেন্টরা বের হয় সচরাচর সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জব করার সুযোগ হয়ে থাকে তাই সেই অনুযায়ী সমস্ত সাবজেক্ট এর উপরে দক্ষ করে তৈরি করা হয় স্টুডেন্টদেরকে।
স্টুডেন্ট ভিসায কিভাবে আবেদন করবেন
সিঙ্গাপুরে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে হলে অবশ্যই নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইনভাইটেশন লেটার পেয়েছেন ইনভাইটেশন লেটার নিয়ে সিঙ্গাপুর এম্বাসি এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো যদি ইংলিশে ট্রান্সলেট করা না থাকে সেগুলো ইংলিশে ট্রান্সলেট করে নিতে হবে। এবং প্রত্যেকটি কাগজপত্রে অবশ্যই সিঙ্গাপুরের দূতাবাস কর্তৃক স্বাক্ষর করে তারপরেই জমা দিতে হবে।
সিঙ্গাপুরের দূতাবাস হতে একটি আবেদন ফরম নিতে হবে সেই আবেদন ফরম টি ভালোমতো পূরণ করার পরে সিঙ্গাপুরের দূতাবাসের মাধ্যমে তা জমা দিতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চেয়েছিল সেগুলোতে অবশ্যই সিঙ্গাপুর দূতাবাস হতে স্বাক্ষর করে তারপর এই পোস্ট অফিসে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে তা বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে।
সিঙ্গাপুর স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সিঙ্গাপুর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে এই সিঙ্গাপুর দূতাবাস এর মাধ্যমে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে তা জমা দিতে হবে আর কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিচে আমরা লিস্ট আকারে তুলে ধরলাম। আর এই সমস্ত কাগজপত্র গুলো অবশ্যই সিঙ্গাপুর দূতাবাস কর্তৃক স্বাক্ষর করে তারপরেই জমা দিতে হবে এবং পাশাপাশি বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিক্ষকের প্রশংসা পত্র এবং তার স্বাক্ষর অবশ্যই থাকা লাগবে।
- 6 মাস মেয়াদি পাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- এডুকেশনাল সার্টিফিকেট
- ট্রান্সলেট করা না থাকলে ট্রান্সলেট করে নিতে হবে
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- এসএসসি সার্টিফিকেট
- এইচএসসি সার্টিফিকেট
- বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইনভিটেশন লেটার
- বিমান টিকেট এর ফটোকপি
- বাবা-মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
উপরোক্ত কাগজপত্র নিয়ে তারপরে সিঙ্গাপুর দূতাবাসের মাধ্যমে তা জমা দিতে হবে এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আগে থেকে ভুলভ্রান্তি ঠিক করে তারপরেই আবেদন করতে হবে তা না হলে যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি থেকে থাকে তাহলে কিন্তু ভিসা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
সিঙ্গাপুর স্টুডেন্টদের থাকার ব্যবস্থা
সিঙ্গাপুর স্টুডেন্টদের থাকার ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে তবে কেউ যদি বাহিরে থাকতে চায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফরম জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। কী উদ্দেশ্যে বাহিরে থাকছেন এবং কতদিন যাবৎ বাইরে থাকবেন এই বিষয়টি তারা জানতে চাইবে এ বিষয়টি যদি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হতে পারে তারপরে আপনি বাইরে থাকার জন্য অনুমতি পাবেন।
স্টুডেন্ট অবস্থায় পারটাইম জব
সিঙ্গাপুরের স্টুডেন্ট অবস্থায় পার্ট টাইম জব করার সুযোগ আছে। তবে কেউ যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই পার্টটাইম কাজ একেবারে সময় কম দেওয়া উচিত কেননা সেখানে পড়াশোনা অনেকটাই কঠিন একটি ব্যাপার তাই অবশ্যই পড়াশোনায় সুযোগ দিতে হলে পার্টটাইম কাজ করার চিন্তা মাথায় নিয়ে আসা যাবেনা। তবে যারা একদম কাজের উদ্দেশ্যে যায় তারা কাজে মনোযোগ দিলে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
তাই পাশাপাশি কেউ যদি পার্টটাইম কাজ করার সুযোগ করে থাকে তাহলে তাকে একটু কঠিন পরিশ্রম করা লাগবে কেন না সেখানকার শিক্ষার কারিকুলাম গুলো একেবারে কঠিন একটি ব্যাপার সেখানে সুযোগ দেওয়া সময় দেওয়া এবং কাজের সময় দেওয়া একটা স্টুডেন্ট পক্ষে যতটা সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে তারপরে পার্টটাইম কাজ করার সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা | লন্ডনের সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে
সতর্কতাঃ
সতর্কতাঃ স্বরূপ জানানো যাচ্ছে যে সিঙ্গাপুরের যেকোনো ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে তারপরে সিঙ্গাপুর যাওয়ার চিন্তাভাবনা করবেন। কেননা অনেকের আছে কাজের ভিসা দেবে বলে স্টুডেন্ট ভিসা হাতে ধরিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে অনেক টাকা হাতে ফেলে এবং পরবর্তী 2 বছরের মধ্যে আবার দেশে ফেরত আসা লাগে। তাই অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা চেক করে তারপরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন