আজকে আমরা কথা বলবো সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে। আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন সিঙ্গাপুরের টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন এবং সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা করতে হলে প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন। এবং কত দিন মেয়াদের ভিসা পাবেন এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করবো আশা করি সম্পূর্ণ কনটেন্টটি করলে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা করার জন্য যদি আপনার ইন্ডিয়া এবং থাইল্যান্ডের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য যদি পাসপোর্টে থাকে মানে এমন জায়গায় ভ্রমণ করেছেন তাহলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে অন্য কোনো দেশে ভ্রমণ করা লাগবে এমন কোন নিয়ম নেই। তবে ভিসা আবেদনের জন্য উক্ত বিষয় গুলোর প্রতি একটু গুরুত্ব দেওয়া হয়। 5 কর্মদিবসের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ সম্পূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়ে যায়।
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের টুরিস্ট ভিসা ইস্যু করার জন্য সরাসরি ভিসা এজেন্টের কাছ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে তারা ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করে নিতে হবে। অনুমোদিত কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এগুলা করে থাকে। এবং আবেদনের প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়েই আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এবং আবেদন ফরম পূরণ সম্পন্ন হওয়ার পরেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো এটাস্ট করতে হবে। নিচে আমরা দিয়ে দিব অনুমোদিত কিছু ট্রাভেল এজেন্সির লিস্ট।
সিঙ্গাপুর কেন যাবেন
বর্তমানে সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম একটি দেশ যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত কাজের উদ্দেশ্যে অথবা বিজনেস এর উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে থাকে। আবার অনেকেই আছে শুধু ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যেই যেয়ে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় সিঙ্গাপুর একটি সুন্দরতম দেশ এখানে রয়েছে নানান রকম বিনোদন কেন্দ্র এবং আকর্ষনীয় সব স্থাপনা তাই এগুলো দেখার জন্যই মানুষ সাধারণত পাড়ি জমিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী যে সমস্ত কাগজপত্র চাওয়া হয় সেগুলো না দিতে পারলে ভিসা আবেদন সম্পূর্ণ হবে না। চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট গুলো কি কি লাগে।
- 6 মাসের ভ্যালিড পাসপোর্ট
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
- হোটেল বুকিং এর ফটোকপি
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
- অন্যান্য জায়গা ট্রাভেল করেছেন তার প্রমাণ
- বিমান টিকেট এর ফটোকপি
- ফিরতি বিমান টিকিট এর ফটোকপি
এই সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কাগজপত্র যদি কোনরকম ভুল-ত্রুটি থাকে তাহলে কিন্তু আগেই সব কিছু ঠিক করে রাখতে হবে কারণ ভিসা আবেদন করার পরে এগুলো যদি ভুল থাকে তাহলে ভিসা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সিঙ্গাপুর ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
সিঙ্গাপুর ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে এই ফরমটি * করার সময় অবশ্যই পাসপোর্ট এর স্বাক্ষর অনুযায়ী সেখানে স্বাক্ষর করতে হবে। মনে রাখবেন দুইটা স্বাক্ষর যেন দেখতে কি রকম হয় এখান থেকে সিঙ্গাপুরের টুরিস্ট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফ্রী ডাউনলোড করতে পারবেন নিচে আমরা দিয়ে দিব।সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসার দাম কত
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসায় কতদিন থাকতে পারবেন
কেউ যদি সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যায় সেখানে শুধু মাত্র ত্রিশ থেকে 90 দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবে। এরই মধ্যে যদি তার কার্যক্রম সম্পন্ন না হয় তাহলে পরবর্তীতে সে পুনরায় থাকার জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে আবেদন করতে হলে অবশ্যই তাকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানিয়ে তারপরেই আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পরে তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে পর্যবেক্ষণ করার পরে যদি সেটা জটিল কোনো বিষয় হয়ে থাকে তাহলে থাকার অনুমতি পাওয়া যাবে।টুরিস্ট ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে হলে নির্ধারিত কোন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং ফরম সংগ্রহ করার পরে তা সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে এবং ভিসা ফি পরিশোধ করার পরেই ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে। এবং মনে রাখতে হবে যে ভিসা আবেদনের সময় অবশ্যই পাসপোর্ট এর স্বাক্ষর অনুযায়ী স্বাক্ষর করতে হবে যদি স্বাক্ষর না মিল থাকে তাহলে কিন্তু ভিসা অ্যাপ্রভাল পাওয়া সম্ভব নয়।
টুরিস্ট ভিসাতে কাজ করা যায়
অনেক চিন্তাভাবনা করে থাকেন যার মাধ্যমে গিয়ে সিঙ্গাপুরে কাজ করতে পারবেন কিন্তু বর্তমানে এটি একেবারেই আইন বহির্ভূত কাজ সিঙ্গাপুরের নিয়ম অনুযায়ী। তাই কেউ যদি চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন যে সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে গিয়ে কাজ করবেন তাহলে কিন্তু সম্ভব নয়। বর্তমানে যারা টুরিস্ট ভিসায় সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে তাদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখছে বিশেষ করে বাংলাদেশি যারা যায় তাদেরকে বিশেষ নজরদারির মধ্যে সর্বদা রাখা হয়ে থাকে। তাই কেউ যদি এমন চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন তাহলে বর্তমানে অনেকটাই কঠিন একটি ব্যাপার।
জাপানে কাজের ভিসা ২০২২ | জাপান ভ্রমণ ভিসা | জাপান স্টুডেন্ট ভিসা
হোটেল বুকিং কিভাবে করবেন
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই হোটেল বুকিং এর একটি ফটোকপি থাকা প্রয়োজন যেটা আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। আবেদন ফরমের জন্য হোটেল বুকিং এর ফটোকপি করতে হলে অবশ্যই অগ্রিম বুকিং করতে হবে যেটা অনলাইনের মাধ্যমে আপনি দেখে হোটেল বুকিং করতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সঙ্গে নিয়ে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা ভিসা ফি
30 দিন মেয়াদে ভিসা নিতে হলে খরচ পড়বে 3700 টাকা (এল আই ছাড়া ) এবং 7 দিন মেয়াদের ভিসা নিতে হলে খরচ পড়বে চার হাজার পাঁচশো টাকা। তাছাড়া অবশ্যই অনলাইন থেকে দেখিয়ে তার পরেই ভিসা ফি প্রদান করতে হবে কেননা এটা নির্ধারিত থাকে না অনেক সময় এটি কম বেশী হয়ে থাকে তাই অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে দেখে তারপরেই প্রদান করতে হবে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ
অন্যান্য মেম্বারদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ফ্যামেলি গতভাবে যদি কেউ সিঙ্গাপুর টুর করতে চাই তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে আর এই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি তা নিচে তুলে ধরা হলো।
- সবার পাসপোর্ট এবং দুই কপি ছবি
- সবার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- স্ত্রী থাকলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট এর একটি কপি
- সন্তানের জন্ম সনদ এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি
- সন্তানের ছবি
- স্ত্রীর ছবি
এই সমস্ত ডকুমেন্ট এর মধ্যে যদি বাংলায় থাকে তাহলে অবশ্যই সেগুলো ইংলিশে ট্রান্সলেট করে দিতে হবে এবং সেগুলো ট্রান্সলেট করা হলে নেটারি করে সেগুলো জমা দিতে হবে। এবং অবশ্যই সেগুলোতে যদি নামের কোন ভুল অথবা ডেট অফ বার্থ এর কোন ভুল থাকে তাহলে সেটা সংশোধন করে নিতে হবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন