আজকে আমরা কথা বলব ইউক্রেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে। কিভাবে আপনারা ইউক্রেনের কাজের ভিসা পাবেন এবং এই ভিসা নিতে হলে কত টাকা খরচ করতে হবে এবং কি কি রিকোয়ারমেন্ট আছে এই নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করব আশাকরি সম্পূর্ণ কন্ট্রোলে আপনারা বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হল ইউক্রেন। সেনজেন ভুক্ত হওয়ার প্রথম দাবিটি উক্রেনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। আর এই ভিসা নিতে হলে তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে এবং এ সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আমরা তুলে ধরব এবং সেখানে কাজ পাবার কি কি যোগ্যতা লাগে এবং কাজের বেতন কত সেই সাথে কোন কোন কোম্পানিতে বর্তমানে নিয়োগ দিচ্ছে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
ইউক্রেন কাজের ভিসা
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ইউক্রেন এখানে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে তাই এশিয়া মহাদেশ থেকে বা অন্যান্য কান্ট্রি থেকে বর্তমানে ব্যাপক ভাবে লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিশ্চিত করেছে সরকার। সেখানে কৃষিকাজে সহ কনস্ট্রাকশন কম্পানি এবং ভিজিট টু ওয়ার্ক ভিসা চালু করেছে। তাই এই সমস্ত বিষয় নিয়ে খুব সহজেই উপরে যাওয়া যাবে। ইউক্রেনের গণমাধ্যমে লোক নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে এই সমস্ত ক্যাটাগরিতে তাই নিচে আলোচনা করা হলো কি কি ক্যাটাগরিতে লোক নিবে এই নিয়ে।
ইউক্রেনে কৃষিকাজে আরও উন্নত করার জন্য বহির্বিশ্ব থেকে কৃষক আমদানির কথা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণমাধ্যম তাছাড়াও গবাদি পশু পালন সহ অন্যান্য কনস্ট্রাকশন কম্পানি এবং হোটেল এর কাজের জন্য ব্যাপক ভাবে লোক নিয়োগ দিবে বলে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে তাই উপরোক্ত ক্যাটাগরিতে যে কেউ চাইলে আবেদন করে সেখানে কাজে নিয়োজিত হতে পারবে।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
ইউক্রেনে কেন কাজে যাবে না
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশ হওয়ার উপায় নেই কাজ করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে সেখানেই। কারণ ইউরোপীয় অন্যান্য দেশগুলোর মতোই ইউক্রেনীয় কাজের বেতন পাওয়া যায় তাই সেখানে কাজ করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। এবং বেতন কিছুটা ইউরোপীয় অন্যান্য দেশের মতো ইউক্রেনে বেতন পাওয়া যায় তাই এখানে কাজ করে শ্রমিকদের জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে যেমন ওভারটাইম এবং ডিউটি সহ ধরা হয়ে থাকে ইউক্রেনীয় সেটাও করা হয়। তাই এখানে কাজ করে শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা ইউরোপীয় অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে পাওয়া যায়।
ইউক্রেন কাজের ভিসার দাম কত | Ukraine work permit cost
ইউক্রেনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফিস বর্তমানে 460 ডলার লাগছে তবে অন্যান্য আদার্স যাবতীয় যা খরচ লাগে তা নিজেকে বহন করা লাগবে তবে এক্ষেত্রে যদি কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কিছুটা কম পড়ে যেমন বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক খরচ কম্পানি বহন করে তাহলে এই খরচ এরমধ্যেই ইউক্রেনের কাজের ভিসা পাওয়া সম্ভব।
তবে ইউক্রেনের বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে দুই বছর পর্যন্ত যাতায়াতের বিমান ভাড়া সহ থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং এক্সট্রা বোনাস সহ কিছু প্রোভাইড করে থাকে তবে সব কোম্পানিই কিন্তু একরকম নয় কিছু কিছু কোম্পানি শুধুমাত্র এবং সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। সেজন্য আপনার কোম্পানির সঙ্গে আগে থেকে যোগাযোগ করে নিবেন তারা কী কী খরচ প্রোভাইড করতে সক্ষম।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
ইউক্রেনে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে উক্রেনে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা তৈরি হয়েছে যেমন কৃষিকাজে, গবাদি পশু পালন, হোটেল রেস্টুরেন্ট এর কাজ, ফুল বাগানের কাজ, ফার্মের কাজ, ফ্যাক্টরিতে কাজ, দোকানের কাজ, কনস্ট্রাকশন কম্পানি, গার্মেন্টস, ইলেকট্রিক কাজ, এ সমস্ত কারণে বর্তমানে চাহিদা বেশি রয়েছে তাই এই কাজগুলো রাতে যদি বহির্বিশ্ব থেকে কেউ গিয়ে সেখানে কাজ করতে ইচ্ছুক হয় তাহলে ভালো পরিমাণ বেতন তোলা সম্ভব।
ইউক্রেনে কাজের বেতন কত
বর্তমানে ইউক্রেনে মান্থলি 23000 UAH ইনকাম করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে ওভারটাইম সহ কাজের উপর ডিপেন্ড করবে। এটি একটি এভারেজ বেতন। তাছাড়া অন্যান্য কাজে নিয়োজিত থেকে আপনি যদি সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে ভালো পরিমাণ বেতন তুলতে পারবেন এটি একটি এভারেজ বেতন হিসেবে বিভিন্ন কাজের প্রতি তুলে ধরা হয়েছে।
কানাডা জব ভিসা | কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ইউক্রেন ভিসা আবেদনের নিয়ম | ukraine work permit agency
ইউক্রেনের ভিসা আবেদন করতে হলে ইউক্রেনের দূতাবাসে আবেদন করতে হবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইউক্রেনের দূতাবাস নেই। শুধুমাত্র বর্তমানে দিল্লি থেকেই ইউক্রেনের দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা যাচ্ছে আরে আবেদন করতে হলে তাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
তবে দিল্লিবাসীর মাধ্যমে সরাসরি নিজে গিয়ে আবেদন করতে হবে কোন দালালের মাধ্যমে যদি করেন তাহলে এটি একটি লং টাইম প্রচেষ্টা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই নিজে গিয়ে দিল্লি ইউক্রেন দূতাবাস হতে আবেদন করতে পারবেন।
ইউক্রেনে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ইউক্রেনে যাওয়ার জন্য তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে। কারণ এটা একটি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ তাই সে দেশের নিয়ম কারণ অনুযায়ী আপনাকে কিছু কাগজপত্র প্রমাণ দেখাতে হবে যেমন আপনাদের কি কাজ করতেন এবং আপনার কাজের প্রতি দক্ষতা আছে কিনা এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু এবং আপনি অন্যান্য দেশে কাজ করেছেন কিনা এই নিয়ে একটি ওভারঅল আপনার বায়ো ডাটা প্রকাশ করা লাগবে।
- ছয় মাসের পাসপোর্ট থাকা লাগবে
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- অন্যান্য জায়গা ট্রাভেল করেছেন তার প্রমাণ
- দূতাবাস সত্যায়িত কাগজপত্র
- ইংরেজি ভাষার যোগ্যতা তার প্রমান
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
ইউক্রেনে কাজ পাওয়ার উপায়
ইউক্রেনে যদি বর্তমানে কেউ জেগে থাকেন এবং কাজ না পেয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আপনারা ইউক্রেনের গভমেন্ট জব ওয়েবসাইটগুলো থেকে জব খুঁজে নিতে পারেন তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির নোটিশবোর্ড অনুযায়ী আপনারা জব খুজতে পারেন যেমন বড় বড় কোম্পানি রয়েছে তাদের ওয়েবসাইটগুলোতেও জবের অফার দিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে সিভি তৈরি করে সেসব জায়গায় সাবমিট করতে হবে প্রয়োজনমতো আপনাকে ফোন দিয়ে অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে ডেকে নিতে পারে।
তাছাড়াও সচারাচার ইউক্রেনের রেস্টুরেন্টসহ ড্রাইভিং বা অন্যান্য কাজের জন্য ব্যাপকভাবে বিভিন্ন কোম্পানিতে লোক নিয়োগ চলছে পাশাপাশি বিভিন্ন বিজনেস করার জন্য এবং বিজনেস দোকানপাটের জন্য তারা দোকানের সামনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে সে সমস্ত জায়গায় সরাসরি গিয়ে আপনাদেরকে যোগাযোগ করতে হবে।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ
ইউক্রেনের বর্তমান অবস্থা
ইউক্রেন অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই উন্নত একটি দেশ তবে বর্তমানে যুদ্ধের কারণে তাদের পরিস্থিতি একটু অন্যরকম। তবে এটিই স্বাভাবিক হওয়ার পর পরেই আশা করা যায় কাজের জন্য মানুষ এখানে পাড়ি জমাবে তবে এ ক্ষেত্রে বর্তমানে যারা কাছে আছে তারা তেমন কোন সমস্যা নেই বললেই চলে আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক একটি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন