আজকে আমরা কথা বলবো পালাও কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন অথবা পালাও টুরিস্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন এবং কোথা থেকে আবেদন করতে হবে এটা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে আমরা এ কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করব। তাছাড়া এখানে জানতে পারবেন পালাউ এর ভিসা খরচ কত টাকা পড়বে এবং টুরিস্ট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ পড়বে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
বাঙ্গালীদের কাছে পালাউ দেশ নামটি শুনলে অন্যরকম মনে হতে পারে তবে এটি একটি সুন্দরতম দেশ এবং এখানে ডলারের আদান-প্রদান চলার কারণে সেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে অথবা বিজনেস করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে তাই বর্তমানে দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর থেকে অনেকেই এখানে কাজের ভিসা নিয়ে অথবা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে।
অনেক বাঙালি আছে দুবাই থেকে অথবা মালয়েশিয়া থেকে সেখানে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ তৈরী করে নিয়েছে এবং বর্তমানে ওখানে কাজে নিয়োজিত আছে পাশাপাশি সেখান থেকে অন্যান্য রাষ্ট্রের যাওয়ার জন্য একটি মাধ্যম তৈরি করে ফেলেছে অথবা বিজনেস করার একটি মাধ্যম তৈরি করে ফেলেছে তাই বলা যায় বাংলাদেশীদের জন্য একটি নতুন কর্মসংস্থান এর জায়গা তৈরি হয়েছে। আর এখানে ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন চলুন দেখে নিই।
পালাউ কাজের ভিসা | Palau Working Visa
পালাউ কাজের ভিসা বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না এবং বাংলাদেশে পালাউ কোন দূতাবাস এখন পর্যন্ত নাই এটি শুধুমাত্র ইন্ডিয়া থেকে করতে পারবে বাংলাদেশীরা। এবং যারা দুবাই অথবা মালয়েশিয়া বা অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে যেতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে। দুবাইতে থাকলে প্রথমত দুবাইয়ে আপনাকে এক বছর অবস্থান করা লাগবে তারপরে আপনি টুরিস্ট ভিসার জন্য অথবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্যে পালাউ যেতে পারবেন।
কাজের ভিসা পেতে হলে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন এবং সেইসাথে আপনাকে দুবাই অথবা ইন্ডিয়ান এম্বাসী সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে কাজের ভিসা নিতে হবে যেমন বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কম্পানি সহ হোটেল-রিসোর্ট আনুষঙ্গিক কয়েকটা বিচারপতি বর্তমানে লোক নিয়োগ চলছে। তাই চাইলেও পালাউ কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে যেতে পারবেন এবং বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?
পালাউ কাজের ভিসার দাম কত
পালাউ যদি কেউ কাজের ভিসা নিতে চাই সে ক্ষেত্রে তার খরচ পড়বে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার মতো এ ক্ষেত্রে সরাসরি দিল্লি দূতাবাসে এপ্লাই করতে পারবেন অথবা যারা দুবাই অথবা সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া রয়েছে সেক্ষেত্রে সেখান থেকেও তারা পালাউ এর দূতাবাসে আবেদন করতে পারবে অথবা বিভিন্ন এজেন্সির রয়েছে এ সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে।
বর্তমানে সরকার নিবন্ধিত অনেক এজেন্সি রয়েছে তাদের মাধ্যমেও কিন্তু বর্তমানে পালাউ এর কাজের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে এক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তাদের মাধ্যমে যাওয়া অনেকটাই নিরাপদ রয়েছে কেননা সরকার নিবন্ধিত লাইসেন্সধারী এজেন্সি গুলোই শুধুমাত্র এই সমস্ত দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য ভিসা ব্যবস্থা করে থাকে এবং তাদের মাধ্যমে গেলে ভালো কাজ নিয়েও যেতে পারবেন।
পালাউ কাজের বেতন কত
বর্তমানে পালাউ যারা কাজে নিয়োজিত আছে তাদের অধিকাংশই রিসোর্ট হোটেল সহ কনস্ট্রাকশন কম্পানি তে কাজ করছে। এবং তারা মাসে ৬৫ থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে তবে এক্ষেত্রে হোটেল-রিসোর্ট, কনস্ট্রাকশন কম্পানি গুলোতে ৬০ থেকে শুরু করে ৭০ হাজার ৮০ হাজার টাকা মান্থলি ইনকাম করা সম্ভব। তাছাড়া ও নিজেই কোম্পানির মাধ্যমে গেলে কোম্পানি কর্তৃক একটি ফিক্সড বেতনে সেখানে কাজ করার সুযোগ থাকে।
বর্তমানে এখানে ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার কর্মী অথবা ড্রাইভিংয়ের অনেক কাজ করছে এবং তারা বর্তমানে মাসে এক থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছে তবে আপনি যদি সেখানে যেতে চান তাহলে আগে থেকেই আপনাকে এ সমস্ত কাজের ভিসা এবং কাজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ থাকতে হবে তাহলে আপনি সেখানে গিয়ে কাজ করে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করার সুযোগ করতে পারবেন।
পালাউ কোন কাজের চাহিদা বেশি
পালাউ একটি দ্বীপ রাষ্ট্র হিসাবে সেখানে পর্যটন এর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই সেখানে হোটেল-রিসোর্ট সহ কয়েকটি বিষয়ের প্রতি মানুষ সেখানে পাড়ি জমাচ্ছে তাই সেখানে বর্তমানে যে সমস্ত কাজের চাহিদা রয়েছে তা হলো কনস্ট্রাকশন, হোটেল, রিসোর্ট, ড্রাইভিং, ফ্যাক্টরি, ফুড প্যাকেজিং, সহ ধরনের কাজের প্রতি দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
তবে এক্ষেত্রে যারা সাধারণত বিদেশ থেকে যেমন দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর সহ অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে যারা এই পালাও দেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছে তারা সাধারণত সেখানে যায় হোটেল বিজনেস অথবা রেস্টুরেন্টের বিজনেস করছে সাধারণত এই সমস্ত কাজ গুলোতে ইনকাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে তাই তারা নিজে গিয়ে সেখানে বিজনেস পরিচালনা করছে।
পালাউ টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
পালাউ টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যদি কেউ যেতে চান তাহলে তার খরচ পড়বে মোটামুটি তিন লাখ টাকার মতো এক্ষেত্রে যাতায়াত খরচ সহ অন্যান্য খরচ বাবদ সব মিলিয়ে তিন লাখ টাকা পড়বে। এবং টুরিস্ট ভিসা নিতে হলে তাদের কিছু প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট আছে সে সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট গুলো পূরণ করতে হবে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক পালাউ টুরিস্ট ভিসা নিতে হলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন।
কুয়েত মাজরা ভিসা,কুয়েত ভিসা নিউজ,কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা
পালাউ টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- 6 মাস মেয়াদের ভ্যালিড পাসপোর্ট
- ছয় মাসে ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- বর্তমানে যে কোম্পানিতে কাজে নিয়োজিত আছেন তার প্রমান
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পূর্বে করেছেন তার প্রমাণ
- বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন তার প্রমাণ
- হোটেল বুকিং এর ফটোকপি
- বিমান টিকিট এর ফটোকপি
উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো নিয়ে ভারতে অবস্থিত পালাউ দূতাবাস থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই রিসেন্ট ছবি সহ অন্যান্য বিষয়গুলো এখানে আবেদনপত্রের সাথে চ্যাট করতে হবে। এবং আপনি সেখানে কত ডলার নিয়ে ভ্রমণে যাচ্ছেন সেই বিষয়টি দেখাতে হবে অথবা আপনি যদি কাজ নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার কার্ড ব্যালেন্স কত আছে তা জানাতে হবে। তাহলে এক থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে আপনার ভিসা অ্যাপ্রভাল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?
পালাউ কাজের ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
পালাউ যদি আপনি কাজের ভিসা নিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন আছে এ সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। পালাও একটি দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে সেখানে দৈনন্দিন পর্যটক এর আনাগোনা বেড়ে চলেছে তাই সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষজন পাড়ি জমাচ্ছে। এবং এখানে যদি কেউ কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাই সেক্ষেত্রে তাকে কিছু প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো প্রদান করা লাগবে।
- বর্তমানে কোন কাজে নিয়োজিত আছেন তার প্রমাণ
- ছয় মাসের একটি ভ্যালিড পাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
- পালাউ কোন কোম্পানি হতে ইনভাইটেশন লেটার
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পালাউ দূতাবাস প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত
উপরুক্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনারা দুবাই মালয়েশিয়া এর বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে তারা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ তৈরি করে সেখানে পাঠাতে পারে অথবা সরাসরি আপনারা দুবাই অবস্থিত পালাও দূতাবাসে হতে আবেদন করতে পারবেন।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সি গুলার মাধ্যমে এখন কম খরচের মধ্যেই পালাউ যাওয়া যাচ্ছে এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভিসা হাতে পাওয়ার পরে অনলাইন থেকে চেক করে তারপরেই বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন সে ক্ষেত্রে মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টসহ প্রয়োজনে আরো কিছু কাগজপত্র লাগে সেগুলো আপনার এজেন্সির মাধ্যমেই বিস্তারিতভাবে জেনে নিবেন।
আজকে আমরা পালাউ এর কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি পর্যায়ক্রমে আমাদের অন্যান্য দেশের কাজের ভিসা সম্পর্কে জানার জন্য এখনই আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে বিস্তারিত তথ্য গুলো ভালো মতো জেনে নিতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য দেশ সম্পর্কে এবং তাদের বেতন সম্পর্কে এবং সুযোগ-সুবিধা জানার জন্য অবশ্যই আমাদের ট্রাভেল সেকশন থেকে অন্যান্য দেশের কাজের ভিসা সম্পর্কে জেনে নিন।
বাংলাদেশ থেকে কি পালাউ যেতে পারবো কাজের ভিসায়?
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন