দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের ভিসা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিবো এবং কিভাবে আপনারা দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন এবং কৃষি কাজে দক্ষতা অর্জন করে কোরিয়ায় গিয়ে কাজ করতে পারবেন এই নিয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে কনটেন্ট এর মাধ্যমে আলোচনা করেছি আশা করি সম্পূর্ণ কোনটি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়াতে কয়েকটি মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন একটি হচ্ছে eps ভিসার মাধ্যমে অথবা E9 ভিসার মাধ্যমে তাছাড়াও আপনারা টুরিস্ট ভিসা সহজে স্টুডেন্ট ভিসা এবং এবং বিজনেস ভিসা নিয়ে আপনারা দক্ষিণ কোরিয়াতে গিয়ে কাজ করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন ভিসা অনুযায়ী আপনাদের স্কিল ক্যাটাগরি ভিন্ন থাকা লাগবে এবং প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট অবশ্যই থাকতে হবে তারপরে আপনি দক্ষিণ কোরিয়াতে গিয়ে কাজ করতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায কৃষি কাজের ভিসা
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়াতে 40 হাজার লোক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে কৃষিকাজে 15 হাজারের মতো লোক নিয়োগ দেবে বলে তারা নিশ্চিত করেছে তবে কৃষিকাজের যারা দক্ষ শ্রমিক রয়েছে তারাই শুধুমাত্র কাজের জন্য অগ্রাধিকার পাবে। যারা বর্তমানে কৃষি কাজে দক্ষতা অর্জন করেছেন অথবা পূর্বে কোথাও কোন দেশে গিয়ে কৃষিকাজে কাজ করেছেন তাদের এই সুযোগ সুবিধা বেশি দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সেই সাথে অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা শিখে পরীক্ষা দিয়ে আপনাকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষি কাজের ভিসা পাবেন।
তাছাড়াও বর্তমানে দুবাই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর সহ অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে খুব সহজেই দক্ষিণ কোরিয়াতে পাড়ি জমাচ্ছে এবং সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশন কম্পানি এগ্রিকালচার প্যাকেজিং সহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছে তারা জানিয়েছে বর্তমানে এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ এবং দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত মান্থলি ইনকাম করা যায়।
আরো পড়ুন : রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায় জেনে নিন
দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষি কাজের বেতন কত
কৃষিকাজে সাধারণত গবাদিপশু পালন খেত খামার, ফলের বাগান, পুকুর, ফার্ম সহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি কাজে নিয়োজিত আছে তাদের বেতন আনুমানিক গড় মাসে 1 লক্ষ 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে সমস্ত কাজগুলোতে অবশ্যই পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তা না হলে বাংলাদেশ টিটিসি কেন্দ্র হতে অথবা বোয়েসেল হতে উক্ত কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপরেই দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে হবে।
এবং সেই সাথে অবশ্যই বাধ্যতামূলকভাবে ভাষা শেখা লাগবে ভাষা শিখার পরেই আপনাকে পরীক্ষা দিয়ে তার পরেই সরকারি মাধ্যমে কম খরচেই দক্ষিণ কোরিয়া চলে যেতে পারবেন এক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ এবং কিছু নির্দিষ্ট কাজের পরে টাকা লাগে তাছাড়া সম্পূর্ণ সরকারি খরচে দক্ষিণ কোরিয়া তে যাওয়া যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষিকাজ কেমন কঠিন
দক্ষিণ কোরিয়াতে কৃষিকাজে উন্নত করার লক্ষ্যে বৈদেশিক ভাবে শ্রমিক আমদানি করবে বলে নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সেই তুলনায় বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে অনেক লোক কৃষি কাজ সহ অন্যান্য কাজে নিয়োজিত আছে এবং পুনরায় নতুনভাবে কৃষি কাজের লোক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়াতে কৃষিকাজ তেমন একটা কঠিন বিষয় না তারা বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে একেবারেই পরিশ্রম কমে এসেছে তাই শুধুমাত্র মেশিন চালানোর দক্ষতা সহ কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে কৃষিকাজ একেবারেই সহজ একটি ব্যাপার। তাই কেউ যদি চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন দক্ষিণ কোরিয়া তে গিয়ে কৃষি কাজ করতে কঠিন হবে তাহলে একেবারে ভুল ধারণা খুব সহজে আপনারা কৃষি কাজ করতে পারবেন এটা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?
কৃষি প্রশিক্ষণ কোথায় নিবেন
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য কৃষি প্রশিক্ষণ নিতে হলে বাংলাদেশের বিএমইটি ভবন থেকে আপনারা কৃষি প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন অথবা বোয়েসেল মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনারা এই সমস্ত বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন। কৃষি কাজে যাওয়ার জন্য আপনার কৃষি অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং ভাষা দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে পরীক্ষা দিয়ে তারপরেই কৃষি কাজের ভিসা নিতে পারবেন।
কৃষিকাজে কি দক্ষতা প্রয়োজন
অবশ্যই কৃষি কাজে যাওয়ার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন আছে তবে এক্ষেত্রে যারা দীর্ঘদিন যাবত বিদেশে কৃষি কাজে নিয়োজিত আছে তাদের ক্ষেত্রে একেবারে সহজ একটি ব্যাপার দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারা শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে ভাষা শিখি পরীক্ষার মাধ্যমে তারা চলে যেতে পারবে তবে এক্ষেত্রে বর্তমানে অথবা অতীতে কোথাও যদি কৃষি কাজে নিয়োজিত থাকে তার প্রমাণ হিসাবে দেখাতে হবে তাহলেই সে কৃষি বিষয়ে যেতে পারবে।
তবে যারা বর্তমানে এখন পর্যন্ত কোন কৃষি কাজে নিয়োজিত ছিল না তাদেরকে এবার ধরা হয় অথবা আন স্কিলড হিসাবে গণ্য করা হয় তাদেরকে সরাসরি বিএমইটি মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তারপরেই কিসের জন্য আবেদন করতে হবে এবং সেই সাথে অবশ্যই ভাষা শিখে বিএমইটির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন : ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন | ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন