আজকে আমরা কথা বলব দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে। দক্ষিণ কোরিয়া বেতন কত হয়ে থাকে বিভিন্ন কাজগুলোতে। তাছাড়া আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর আজকে আমরা এ কনটেন্ট এর মধ্যে দিব যেগুলো আপনাকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য অনেক সহায়তা করবে তাহলে চলুন পর্যায় ক্রমে দেখে নেওয়া যাক দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের বেতন কত এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশ এবং বিদেশের নানা রকমের চাকরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকি আমাদের ওয়েবসাইটের মেনুবার থেকে ট্রাভেল সেকশনে গেলে আপনারা দেশ-বিদেশের নানা খবর সম্পর্কে এবং কাজের বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা এবং দক্ষিণ কোরিয়া তে কোন কাজগুলোতে বেতন সবথেকে বেশি পাওয়া যায় এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে প্রবাসী শ্রমিকদের স্বপ্নের দেশ হলো উত্তর কোরিয়া যেখানে ভালো পরিমাণ বেতনে চাকরি পাওয়া যায় এবং কম সময় ডিউটি করতে হয়। উত্তর কোরিয়া তে খুবই অল্প সময় ডিউটি করা লাগে এখানে দৈনিক 8 ঘণ্টা ডিউটি টাইম। এক্ষেত্রে যারা এশিয়া মহাদেশের যেমন সৌদি আরব কাতার মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ গুলোতে কাজ করে তাদের বেতন আনুমানিকভাবে অনেকটাই কম এবং বেশি পরিমাণ কাজের সময় দেওয়া লাগে।
তাই এই হিসাবে যারা বর্তমানে কোরিয়াতে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছে তাদের সুযোগ সুবিধা বেশি এবং বেতনের পরিমাণ টা অনেকটা বেশি এবং ওই হিসাবে শুধু মাত্র আধ ঘন্টা কাজ এবং যাতায়াত খরচ সহ অন্যান্য বোনাস সহ প্রদান করে। এবং যাওয়ার ব্যাপারে একেবারেই সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া তে যাওয়া যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা
দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হলে আপনাকে সরাসরি বাংলাদেশের বোয়েসেলের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে হবে। আর দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার প্রসেস একেবারেই সরকারি মাধ্যম শুধুমাত্র সরকারি মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়া সম্ভব না। সরকারি মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে হলে খরচ পড়বে ৯০,০০০ হাজার থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার পর্যন্ত। দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা সম্পর্কে জানতে হবে এবং বিলের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে EPS বা E9 ভিসার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়া যাবে।
যারা কাজের ভিসার জন্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের এই মাধ্যম গুলো ফলো করেই যেতে হবে এবং এই ভাবে পরীক্ষা দেওয়ার পরেই আপনাকে রেজাল্টের জন্য ওয়েট করতে হবে যদি রেজাল্ট পেয়ে যান এবং আপনি যাওয়ার জন্য অ্যাপ্রভাল পেয়ে যাবেন। এসকল প্রসেস গুলো সম্পন্ন করবে একেবারে সরকারিভাবে। তবে আপনাদের জন্য রাখা উচিত যে বর্তমানে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা দিচ্ছে না। শুধুমাত্র সরকারি মাধ্যমেই দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা নেওয়া সম্ভব।
আরো পড়ুন : রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কোথায় জেনে নিন
সরকারি ভাবে গেলে বেতন কত
আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারিভাবে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি প্রশিক্ষণ দরকার আছে। যাদের দক্ষতা রয়েছে এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা বলতে গেলে এখানে আপনি যদি বিদেশে অন্যান্য কাজে নিয়োজিত থাকেন এবং তার প্রমাণ হিসেবে যদি দক্ষতা দেখাতে পারেন তাহলে আপনাদের সুযোগ সুবিধা বেশি হবে এবং আপনাদের বেতন আনুমানিক দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হবে।
এবং যাদের কাজের প্রতি পূর্ব অভিজ্ঞতা নাই এবং স্টুডেন্ট কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চাচ্ছে তাদের একটি কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে হবে এটা সাধারণত বোয়েসেলের মাধ্যমে করা যায়। এ দক্ষতা অর্জন করার পরে আপনাকে ভাষা শিখতে হবে তারপরে শারীরিক যোগ্যতা অনুযায়ী বুয়েসেল পরীক্ষা দিয়ে পাস করার পরেই আপনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা দেওয়া হবে।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে বিগত বছরগুলো থেকে দক্ষিণ কোরিয়াতে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে এই ক্ষেত্রে যদি আপনি সরকারি অথবা বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে কিন্তু বেতন আগের তুলনায় বেশি পাবেন
স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে কি কাজ করতে পারবেন
অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন থাকে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে কি কাজ করার কোনো সুযোগ থাকে। দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে থাকেন তবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনাকে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ নিযুক্ত থাকতে হবে। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর নিয়ম অনুযায়ী ছুটির দিনগুলোতে আপনি কাজ করতে পারবেন।
বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়েও কোরিয়াতে যাওয়া যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে আপনার এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন সহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় কিছু রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন আছে এরিকোয়ারমেন্ট গুলো সম্পন্ন করতে পারলেই আপনি এডুকেশন হিসাব মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে বসবাস করতে পারবেন।
আরো পড়ুন : বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন
দক্ষিণ কোরিয়া তে কি কি কাজ করা যায়
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায় যেমন, কৃষি, প্যাকেজিং, ফ্যাক্টরি, কনস্ট্রাকশন, গবাদি পশু পালন, খামার, বাগানবাড়ি, কেয়ারিং, ক্লিনিং, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, পাইপ ফিটিং, নার্স, সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ বর্তমানে বিদ্যমান আছে হারে সমস্ত কাজ নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে।
তবে এই কাজগুলো তো সাধারণত বেতন লক্ষ টাকা থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়াও কোম্পানির আপনাদের বিভিন্ন ধরনের বোনাসসহ যাতায়াত খরচ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য অনেক কিছুই বহন করে থাকে। তাই বলা যায় দক্ষিণ কোরিয়াতে যারা বেঁচে আছেন তাদের উপরোক্ত বিষয়গুলো দক্ষতা অর্জন করেই নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর আপনারা দক্ষিণ কোরিয়াতে গিয়ে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার সহজ মাধ্যম
দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার সহজ গণমাধ্যম নাই আপনাকে অবশ্যই ভাষা শিখতে হবে এবং নির্দিষ্ট একটি কাজের প্রতি দক্ষতা তৈরি করতে হবে তারপরে আপনাকে বোয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করে তরকারিতে টিকার পরেই আপনাকে দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা দেওয়া হবে আবার অনেকেই আছে যারা দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু লটারিতে তার নাম আসেনি। এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বাসী হিসেবে কাজ করে অথবা বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক কর্মসংস্থান রয়েছে সেগুলোতে কাজ করার সুযোগ পায়।
যেকোনো মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ভিসা যাচাই-বাছাই করবেন। সরকারি মাধ্যমে যাওয়ার জন্য অবশ্যই বুয়েসেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে দেখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করতে হবে
আরো পড়ুন : দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় দেখে নিন
আবার অনেকেই আছে যারা কিনা দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে পারেনি নিজেই দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে অথবা বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে কাজ করছে অথবা প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হচ্ছে। তবে আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য প্রিপারেশন নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য বৃথা যাবে না। ধন্যবাদ এই ছিল আজকে আমাদের দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
সতর্কতাঃ স্বরূপ কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত যে বর্তমানে সরকারি ভাবে ছাড়া বেসরকারি পদ্ধতিতে কোন ভাবেই দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ সরকার মাধ্যমে পরিচালিত বুয়েসেল এর মাধ্যমেই যাওয়া সম্ভব। তাই কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেও আপনাদের কোন কাজ হবে না তারা যদি আপনাকে বড় ধরনের টাকার মাধ্যমেও নিয়ে যাই তারপরে আপনাদের যাওয়া উচিত হবে না এক্ষেত্রে সম্পূর্ণটাই বৃথা যাবে।
আরো পড়ুন : কাতারের ভিসা কবে থেকে খুলবে | কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত ?
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়াতে অনেকেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কিন্তু কাজে নিয়োজিত হচ্ছে চাইলে আপনারা স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে ও কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে পারেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা শিখে তারপরে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করলেই দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার সুযোগ করে নিতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে দক্ষিণ কোরিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসাতেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে তাই দক্ষিণ কোরিয়াতে যদি কেউ কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান সে ক্ষেত্রে যদি পসিবল না হয় তাহলে কিন্তু আপনারা চাইলে স্টুডেন্ট নিয়ে যেতে পারবেন। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য কয়েকটি প্রসেস রয়েছে তার মধ্যে স্টুডেন্ট নিয়ে আপনারা যেতে পারবেন।
আজকে মূলত আলোচনা করেছি দক্ষিণ কোরিয়ার কাজের ভিসা নিয়ে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বেতন কত টাকা কোন কাজে কত বেতনসহ বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছি এছাড়া আরো বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত তথ্য গুলো জানেন।
বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে যদি আপনারা দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে চান তাহলে বুয়েসেল এবং বি এম আই টি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদের যোগাযোগ করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মগুলো ফলো করে আবেদন করবেন বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের উপরের দেওয়া লিঙ্ক থেকে খুব সহজেই জেনে নিন এছাড়া আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন আমরা বিস্তারিতভাবে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন