সাইপ্রাস থেকে অন্য দেশে যাওয়া যাই কিভাবে জেনে নিন

    সাইপ্রাস থেকে অন্য দেশে যাওয়া


    আজকে আমরা কথা বলবো সাইফাস থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়া যায় কিভাবে এই বিষয়টি নিয়ে। বর্তমানে সাইপ্রাসে অবৈধ এবং বৈধ হবে অনেকেই সেখানে যাচ্ছে কাজের উদ্দেশ্যে অথবা সেখান থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য তবে সেখানে যাওয়ার পরে আপনাকে রেসিডেন্সি কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে তারপরে আপনি সাইপ্রাস থেকে অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে আপনার কিছু রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো পূরণ করলেই তারপরে আপনি রেসিডেন্সি কার্ড পাবেন তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সাইপ্রাস থেকে অন্যান্য দেশে কিভাবে যেতে পারবেন এই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

    বর্তমানে সাইপ্রাস থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়া অনেকটাই সহজ একটি ব্যাপার তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে যেগুলো করলে আপনি অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন অথবা আপনি সরাসরি ইউরোপের বিভিন্ন কান্ট্রি তে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে তাদের শর্ত গুলো অবশ্যই পুরন করতে হবে।

    সাইপ্রাস থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়ার উপায়

    সাইপ্রাস থেকে যদি আপনি অন্যান্য দেশে যেতে চান তবে এক্ষেত্রে কন্টাক্ট ম্যারেজ করতে হবে অথবা যেকোনো মূল্যে একটি চাকরি ম্যানেজ করতে হবে তাহলেই সাইপ্রাসের রেসিডেন্সি কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। আর একবার যদি রেসিডেন্সি কার্ড পেয়ে যান তবে এক্ষেত্রে আপনার ইউরোপের বিভিন্ন কান্ট্রি তে প্রবেশ করতে পারবেন অথবা ইতালি পোল্যান্ড সহ অন্যান্য শহরগুলো তে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবেন।

    সাইপ্রাসের যদি রেসিডেন্সি কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি অন্যান্য দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন না। আর ইতালি ইউরোপে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই রেসিডেন্সি কার্ড পেতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ টাকা খরচ করে খুব সহজেই আপনারা দালালের মাধ্যমে রেসিদেন্সি কার্ড পেয়ে যাবেন তবে একটু পরিশ্রম অবশ্যই করতে হবে।

    তবে আগের তুলনায় পাশে এখন অনেকটাই সহজ ভাবে অন্যান্য দেশে যাওয়া যায় আপনি যদি কন্টাক্ট ম্যারেজ করতে পারেন তবে এক্ষেত্রে খুব সহজ হবে তাছাড়া একটা যদি সব ম্যানেজ করতে পারেন তাহলেও কিন্তু আপনার রেসিডেন্সি কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

    রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি?   সুযোগ সুবিধা কেমন এবং সেলারি কত?

    এক্ষেত্রে কিন্তু অন্যান্য দেশে যাওয়াটা অনেকটাই কঠিন ব্যাপার হয়ে যায় তবে এক্ষেত্রে যদি আপনি সচরাচর পোল্যান্ড অথবা ইতালিতে যেতে চান তাহলে খুব সহজেই যেতে পারবেন এক্ষেত্রে তেমন কোনো কঠিন বাধা-নিষেধ নাই তবে ইতালি পোল্যান্ড থেকে আপনি ইউরোপের অন্যান্য কান্ট্রি তে প্রবেশ করতে পারবেন সেদেশের জব ম্যানেজ করে অথবা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে।

    কন্টাক্ট ম্যারেজ এর মাধ্যমে

    কন্টাক্ট ম্যারেজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন দালালের দ্বারস্থ হওয়া লাগবে। এ সমস্ত দালালদের মাধ্যমে ইউরোপের মেয়েদের সাথে বিয়ে করে আপনি খুব সহজেই সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্সি পেতে পারেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে যে কোন উকিলের দ্বারস্থ হওয়া লাগবে এবং উকিল আপনাকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ভেরিফিকেশন এর পরেই তারা রেসিডেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করে দিতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে নিয়ে বাছাইয়ের জন্য আপনাকে দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিতে হবে।

    দালালরা ইউরোপের কোন মেয়ে কে ম্যানেজ করে দিতে মিনিমাম পাচ থেকে ছয় হাজার ডলার খরচ করতে হবে তারপরে আপনার সঙ্গে কন্টাক মেরেজ করে দিবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে পরবর্তী বিষয়গুলো দেখভাল করতে হবে যেমন মেয়েদের মার্কেট করাসহ আনুষাঙ্গিক বিষয় গুলো আপনাকে ম্যানেজ করতে হবে তারপরে এইভাবে আপনারা কয়েক মাস সেখানে থাকার পরেই রেসিডেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় | ইতালিতে বেতন কত?

    আর এই রেসিডেন্সি কাজগুলো নিয়ে খুব সহজে রোমানিয়া ইতালিয়া সহ কয়েকটি রাষ্ট্র অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারবেন এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে আপনাদের এই ভ্রমণ অবস্থায় ইতালিসহ পোল্যান্ড অন্যান্য শহর গুলোতে যেকোনো একটি কাজে নিয়োজিত হয়ে যেতে হবে এরপর এই আপনারা আস্তে আস্তে ইতালি এর বাসিন্দা হওয়ার পরেই সেদেশের স্থায়ী হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    সাইপ্রাস থেকে অন্যান্য দেশে যেতে খরচ কত

    সাইপ্রাস থেকে যদি অন্যান্য দেশে যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কিছুটা খরচ বেশি পড়বে কেননা এখানে কন্টাক্ট ম্যারেজ সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ের প্রতি খরচ করা লাগে। এক্ষেত্রে বিবাহ কার্য সম্পাদন করার জন্য মিনিমাম 5 হাজার  ডলার খরচ হবে। তারপরেও উকিল খরচ অন্যান্য কাজের জন্য খরচ করা লাগবে সে ক্ষেত্রে মোটামুটি পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার ডলারের মধ্যেই আপনার সাইপ্রাস এর  একটি রেসিডেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    এক্ষেত্রে আপনাকে মিনিমাম এক মাস থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় দেয়া লাগবে এরই মধ্যেই আপনাদের যাবতীয় ভেরিফিকেশন প্রসেস সম্পন্ন হয়ে গেলেই আপনাদের রেসিডেন্সি কার্ড পেয়ে যাবেন তারপরেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গুলো থেকে খুব সহজেই সেখানে যেতে পারবেন এবং কোনো রকমের সমস্যা হবে না।

    ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে  | অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খরচ

    টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যাওয়া

    সাইপ্রাস থেকে যদি আপনি অন্যান্য দেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই চারপাশের আপনাকে একটু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকতে হবে যেখানে দুই বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকতে হবে তার মধ্যে আপনাকে এক বছর থাকার পরেও অন্যান্য দেশে ভিজিট করার জন্য অনুমতি পাবেন। তবে অবশ্যই পাশে কিন্তু ভিজিট ভিসা থেকে আপনি অন্যান্য দেশে ভিজিট ভিসা করতে পারবেন না। এখানে শুধুমাত্র যারা কাজে নিয়োজিত আছে তারা এই সুযোগটা পাবে।

    সাইপ্রাসে যখন কাজের ভিসা মাধ্যমে আপনি সেখানে এক বছর অবস্থান করবেন তার পরেই টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভ্রমণের সুযোগ পাবেন এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আপনার ইনকামের একটি লিস্ট দেখানো লাগবে পাশাপাশি আপনি কোন কোম্পানিতে কাজ করছেন আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়গুলো প্রতি আপনাকে দেখানো লাগবে তারপরে আপনি টুরিস্ট ভিসার অন্যান্য দেশে যাওয়ার সুযোগ করতে পারবেন।

    বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয় দেখে নিন

    সাবধানতা

    সাইপ্রাসে আপনি যদি যেকোন মূল্যেই প্রবেশ করে থাকেন তবে অবশ্যই আপনাকে সেখানে একটি কাজে নিয়োজিত হয়ে যেতে হবে অথবা আপনাকে শরণার্থী শিবিরে চলে যেতে হবে তাহলেই আপনার একটি ব্যবস্থা করে দেবে সে দেশের সরকার হয়তোবা সেখানে আপনাকে শরণার্থী শিবিরে থাকার ব্যবস্থা করে দিবে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে আপনাকে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে হবে।

    কিন্তু সেই পাশে থাকা অবস্থায় আপনি কখনোই অবৈধ পথে অন্যান্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না কেননা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা তারা দিয়ে থাকে এক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে অথবা সে দেশে গেলেও আপনাকে রাখতে পারে তাই অবশ্যই সর্বদা বৈধ পন্থা অবলম্বন করেই সাইপ্রাস থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়ার সুযোগ করে নিতে হবে।

    দুবাই থেকে মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Post a Comment (0)

    নবীনতর পূর্বতন